রোনালদোর ২০ বছরের পুরোনো রেকর্ড যখন হুমকির মুখে  

ক্রীড়া ডেস্ক
Thumbnail image

বয়স সবে ১৬। ফুটবল খেলার ফাঁকে তাঁকে এখনো স্কুলের পড়াশোনায়ও সময় দিতে হয়। ইতিমধ্যেই তারকা খ্যাতি পেয়ে যাওয়া ল্যামিন ইয়ামাল দুর্দান্ত ছন্দে আছেন চলতি ইউরোতেও। জর্জিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোয় ৪-১ গোলে জেতা ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্সে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পুরোনো এক রেকর্ডে ভাগ বসালেন ইয়ামাল। 

এবারই  ইউরোতে প্রথমবার খেলতে আসে জর্জিয়া।  ইয়ামাল রেকর্ড গড়তে বেছে নিলেন নবাগত দলকেই। জার্মানির রেইন স্টেডিয়ামে গত রাতে ৫১ মিনিটে ইয়ামালের ক্রস থেকে গোল করেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। এবারের ইউরোতে এটা ইয়ামালের দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট। স্পেনের ১৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার যখন রোনালদোর পুরোনো রেকর্ডকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছেন। এর আগে ২০০৪ ইউরোতে দুই অ্যাসিস্ট করেছিলেন রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের বয়স ছিল ১৯ বছর। বয়সের হিসেবে এক ইউরোতে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙার সুযোগ পাচ্ছেন ইয়ামাল। ৫ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে স্পেন। 

রেইন এনার্জি স্টেডিয়ামে গতকাল শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে স্পেন। ১৮ মিনিটেই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রবিন লে নরমান্দে করেন আত্মঘাতী গোল।  সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাড়িয়েছে স্প্যানিশরা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে স্প্যানিশদের সমতায় ফেরান রদ্রি। প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোলের বন্যা বইয়ে দেয় স্পেন। ৫১, ৭৫ ও ৮৩ মিনিটে স্পেনের গোল তিনটি করেন রুইজ, নিকো উইলিয়ামস ও দানি অলমো।  

জর্জিয়া ম্যাচের আগে স্পেনের কোচ দে লা ফুয়েন্তে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন ইয়ামালকে। লা ফুয়েন্তে তখন বলেন, ‘বয়সের তুলনায় সে অনেক বেশি পরিপক্বতা দেখিয়ে আসছে। ব্যক্তি এবং ফুটবলার হিসেবে সে নিজের উন্নতি ধারা অব্যাহত রাখছে।’ লা ফুয়েন্তের ভরসার প্রতিদান দিয়ে জার্মানির বিপক্ষে শেষ আটেই রেকর্ডটা ইয়ামাল করে ফেলতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। টুর্নামেন্টে অপরাজিত জার্মানদের বিপক্ষে লড়াইটা যে কঠিন হবে, সেটা আর না বললেও চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত