নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এক সারিতে আবাহনীর সব খেলোয়াড়ের গায়ে জার্সি নম্বরটা ঠিক ‘৮ ’। ১৮ বছর ধরে আবাহনীকে ঘর মানা প্রাণতোষ কুমার দাসের অবসরের মুহূর্তটা রাঙিয়ে রাখতেই আকাশি-নীলদের এই আয়োজন। হাতে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী আর গলায় ফুলের মালা জড়িয়ে ফুটবলকে বিদায় জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই মিডফিল্ডার। মাঠের বাইরে বসে দেখলেন প্রিয় দলের আক্ষেপ মোচনের এক জয়।
স্বাধীনতার ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম স্বাধীনতা কাপ। ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী লিমিটেড। পরের ৩০ বছরে স্বাধীনতা কাপের আট আসরে দুইবার ফাইনাল খেলেও স্বাধীনতা কাপের শিরোপা অধরাই ছিল আকাশি-নীলদের। লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৩১ বছরের সেই আক্ষেপ মেটাল মারিও লেমোসের দল।
ঘরোয়া ফুটবলে আবাহনীর দাপট কমাতে চান, ম্যাচের আগেরদিন এমনটাই বলেছিলেন আবাহনী কোচ মারিও লেমোস। জিততে চেয়েছিলেন দলের হয়ে প্রথম শিরোপাও। কোচের কথা সত্যি করে বসুন্ধরাকে ম্যাচে ফিরতেই দেয়নি আবাহনী। তপু বর্মণ, তারিক কাজীর মতো পরীক্ষিত ডিফেন্ডারদের না থাকায় বসুন্ধরার রক্ষণও ছিল বেশ নড়বড়ে।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ দেশের ঘরোয়া ফুটবলের দুই পরাশক্তির খেলা জমল ম্যাচের শুরু থেকেই। মাঠের উত্তর আর দক্ষিণ প্রান্তের গ্যালারি দখলে নিয়ে আবাহনী-বসুন্ধরাকে সমর্থন জোগাতে মাঠে এলেন ৮ হাজারের বেশি সমর্থকও। নিজ নিজ সমর্থকদের সমর্থনে দুই দলই খেলল আক্রমণাত্মক খেলা।
পুলিশকে শেষ সময়ের গোলে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে বসুন্ধরা। কিন্তু সেই ম্যাচে দলটি হারিয়েছে তাদের আক্রমণের প্রাণ জোনাথন ফার্নান্দেজকে। ফাইনালে জোনাথনের পরিবর্তে শুরু থেকেই খেললেন ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফল। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের অভাবটা প্রথমার্ধে ভালোই টের পেয়েছে বসুন্ধরা।
বলের দখলটা প্রথম ৪৫ মিনিটে তুলনামূলক বেশিই দখলে রেখেছিল আবাহনী। নিজেদের রক্ষণ সামলে তবেই আক্রমণে গেছে বসুন্ধরা। ২২ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বসনিয়ান স্টোয়ান ভ্রানিয়েসের দূরপাল্লার এক শট ঠেকিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতম। পাল্টা জবাবটা আবাহনী দিয়েছে চার মিনিট পরেই। ইরানিয়ান সতীর্থ মিলাদ শেখের রক্ষণচেরা এক পাস থেকে বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি আবাহনী অধিনায়ক রাফায়েল অগুস্তো।
৩০ মিনিটের মাথায় ধাক্কা বসুন্ধরা শিবিরে চোটে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ। পরের মিনিটে তার বদলি হিসেবে নামানো হয় বিশ্বনাথ ঘোষকে। ৩৮ মিনিটে রাফায়েলের ক্রস থেকে ডারিলটনের হেড ঠেকিয়ে দেন জিকো।
বিরতির পরেই বসুন্ধরার রক্ষণে ফাটল ধরান রাকিব হোসেন। ৫৪ মিনিটে অধিনায়ক রাফায়েলের রক্ষণচেরা পাসে ডি-বক্সের মুখে বল পান এই উইঙ্গার। গায়ে লেগে ছিলেন ইয়াসিন আরাফাত, তাকে খসিয়ে বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করে দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে গোল করার কাজটা সারেন রাকিব।
এই গোলের সাত মিনিট বাদে বসুন্ধরাকে ম্যাচে ফেরার লড়াই থেকে ছিটকে দেয় রিমন হোসেনের এক ফাউল। ৬১ মিনিটে বল পায়ে আবাহনীর ডি-বক্সে ঢুকে পরেছিলেন দেড় মৌসুম বসুন্ধরাতে খেলে যাওয়া কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিন্দ্রেস। তাকে ফাউল করে মাটিতে ফেলতেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সায়মুন সানি। প্রতিবাদে তাকে ঘিরেও রাখলেন বসুন্ধরার খেলোয়াড়েরা কিন্তু সায়মুন অটল থাকলেন পেনাল্টির সিদ্ধান্তেই। ৬৩ মিনিটে স্পটকিক থেকে বল লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ডারিলটন গোমেজ।
বসুন্ধরার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন এই ডারিলটনই। ৭২ মিনিটে রাফায়েল অগুস্তোর কর্নার থেকে হেডে কাটব্যাক করে ডারিলটনের পায়ে বল ফেলেন ইরানি মিডফিল্ডার মিলাদ শেখ। দুর্দান্ত রিসিভে বলটা পায়ে জমিয়েই ডান পায়ের শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গতির সঙ্গে নেওয়া শট ঠেকানোর কোনো রাস্তাই যেন জানা ছিল না বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোর।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্যবধান কমানোর চেষ্টাটাও সফল হয়নি বসুন্ধরার। ৮২ মিনিটে বসনিয়ান ভ্রানিয়েসের জোরালো এক শট ফিরিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান। দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েও বল বাইরে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডারিলটন গোমেজ। বাকি সময়টায় গোল না পেলেও বসুন্ধরার অর্ধে ছড়ি ঘোরালো আবাহনী। তাতেই এল কাঙ্ক্ষিত এক জয়।
এক সারিতে আবাহনীর সব খেলোয়াড়ের গায়ে জার্সি নম্বরটা ঠিক ‘৮ ’। ১৮ বছর ধরে আবাহনীকে ঘর মানা প্রাণতোষ কুমার দাসের অবসরের মুহূর্তটা রাঙিয়ে রাখতেই আকাশি-নীলদের এই আয়োজন। হাতে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী আর গলায় ফুলের মালা জড়িয়ে ফুটবলকে বিদায় জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই মিডফিল্ডার। মাঠের বাইরে বসে দেখলেন প্রিয় দলের আক্ষেপ মোচনের এক জয়।
স্বাধীনতার ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম স্বাধীনতা কাপ। ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী লিমিটেড। পরের ৩০ বছরে স্বাধীনতা কাপের আট আসরে দুইবার ফাইনাল খেলেও স্বাধীনতা কাপের শিরোপা অধরাই ছিল আকাশি-নীলদের। লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৩১ বছরের সেই আক্ষেপ মেটাল মারিও লেমোসের দল।
ঘরোয়া ফুটবলে আবাহনীর দাপট কমাতে চান, ম্যাচের আগেরদিন এমনটাই বলেছিলেন আবাহনী কোচ মারিও লেমোস। জিততে চেয়েছিলেন দলের হয়ে প্রথম শিরোপাও। কোচের কথা সত্যি করে বসুন্ধরাকে ম্যাচে ফিরতেই দেয়নি আবাহনী। তপু বর্মণ, তারিক কাজীর মতো পরীক্ষিত ডিফেন্ডারদের না থাকায় বসুন্ধরার রক্ষণও ছিল বেশ নড়বড়ে।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ দেশের ঘরোয়া ফুটবলের দুই পরাশক্তির খেলা জমল ম্যাচের শুরু থেকেই। মাঠের উত্তর আর দক্ষিণ প্রান্তের গ্যালারি দখলে নিয়ে আবাহনী-বসুন্ধরাকে সমর্থন জোগাতে মাঠে এলেন ৮ হাজারের বেশি সমর্থকও। নিজ নিজ সমর্থকদের সমর্থনে দুই দলই খেলল আক্রমণাত্মক খেলা।
পুলিশকে শেষ সময়ের গোলে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে বসুন্ধরা। কিন্তু সেই ম্যাচে দলটি হারিয়েছে তাদের আক্রমণের প্রাণ জোনাথন ফার্নান্দেজকে। ফাইনালে জোনাথনের পরিবর্তে শুরু থেকেই খেললেন ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফল। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের অভাবটা প্রথমার্ধে ভালোই টের পেয়েছে বসুন্ধরা।
বলের দখলটা প্রথম ৪৫ মিনিটে তুলনামূলক বেশিই দখলে রেখেছিল আবাহনী। নিজেদের রক্ষণ সামলে তবেই আক্রমণে গেছে বসুন্ধরা। ২২ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বসনিয়ান স্টোয়ান ভ্রানিয়েসের দূরপাল্লার এক শট ঠেকিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতম। পাল্টা জবাবটা আবাহনী দিয়েছে চার মিনিট পরেই। ইরানিয়ান সতীর্থ মিলাদ শেখের রক্ষণচেরা এক পাস থেকে বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি আবাহনী অধিনায়ক রাফায়েল অগুস্তো।
৩০ মিনিটের মাথায় ধাক্কা বসুন্ধরা শিবিরে চোটে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ। পরের মিনিটে তার বদলি হিসেবে নামানো হয় বিশ্বনাথ ঘোষকে। ৩৮ মিনিটে রাফায়েলের ক্রস থেকে ডারিলটনের হেড ঠেকিয়ে দেন জিকো।
বিরতির পরেই বসুন্ধরার রক্ষণে ফাটল ধরান রাকিব হোসেন। ৫৪ মিনিটে অধিনায়ক রাফায়েলের রক্ষণচেরা পাসে ডি-বক্সের মুখে বল পান এই উইঙ্গার। গায়ে লেগে ছিলেন ইয়াসিন আরাফাত, তাকে খসিয়ে বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করে দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে গোল করার কাজটা সারেন রাকিব।
এই গোলের সাত মিনিট বাদে বসুন্ধরাকে ম্যাচে ফেরার লড়াই থেকে ছিটকে দেয় রিমন হোসেনের এক ফাউল। ৬১ মিনিটে বল পায়ে আবাহনীর ডি-বক্সে ঢুকে পরেছিলেন দেড় মৌসুম বসুন্ধরাতে খেলে যাওয়া কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিন্দ্রেস। তাকে ফাউল করে মাটিতে ফেলতেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সায়মুন সানি। প্রতিবাদে তাকে ঘিরেও রাখলেন বসুন্ধরার খেলোয়াড়েরা কিন্তু সায়মুন অটল থাকলেন পেনাল্টির সিদ্ধান্তেই। ৬৩ মিনিটে স্পটকিক থেকে বল লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ডারিলটন গোমেজ।
বসুন্ধরার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন এই ডারিলটনই। ৭২ মিনিটে রাফায়েল অগুস্তোর কর্নার থেকে হেডে কাটব্যাক করে ডারিলটনের পায়ে বল ফেলেন ইরানি মিডফিল্ডার মিলাদ শেখ। দুর্দান্ত রিসিভে বলটা পায়ে জমিয়েই ডান পায়ের শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গতির সঙ্গে নেওয়া শট ঠেকানোর কোনো রাস্তাই যেন জানা ছিল না বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোর।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্যবধান কমানোর চেষ্টাটাও সফল হয়নি বসুন্ধরার। ৮২ মিনিটে বসনিয়ান ভ্রানিয়েসের জোরালো এক শট ফিরিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান। দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েও বল বাইরে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডারিলটন গোমেজ। বাকি সময়টায় গোল না পেলেও বসুন্ধরার অর্ধে ছড়ি ঘোরালো আবাহনী। তাতেই এল কাঙ্ক্ষিত এক জয়।
ফলোঅন এড়ানো দূরে থাক, দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০০ রান করতেই হিমশিম খেতে হলো বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ফিফটিতে টেনেটুনে ১৫৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও খারাপ অবস্থা—১৪৩ রানে অলআউট।
১৩ মিনিট আগেচ্যাম্পিয়ন দল বলে কথা। তা-ও আবার টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বরণ তো জাঁকজমকপূর্ণই হবে। সাবিনা খাতুনদের দেখতে ঢাকা বিমানবন্দরে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে নিয়মিতই। মাঝে মধ্যে দুই একটা জুটিতে যা রান হয়, সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
২ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝখানেই শোনা গেল নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কথায় বোঝা গেল, শান্তকে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না।
৩ ঘণ্টা আগে