সন্দীপন ব্যানার্জি, মায়ামি থেকে
ফাইনাল ঘিরে গত কয়েক দিনে প্রচুর উত্তেজনা দেখলাম মায়ামিতে। কোপা আমেরিকার ফাইনাল দেখতে এত মানুষ এসেছেন স্টেডিয়ামে, অবাক হওয়ার মতো। তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ দর্শক ছিলেন কলম্বিয়ার। আর্জেন্টিনার যাঁরা প্রবাসী, তাঁরাই শুধু আসতে পেরেছেন। আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো নয় যে ফ্লাইটে করে এখানে এসে হাজার ডলারের টিকিট কেটে ম্যাচ দেখবেন। কলম্বিয়ার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী থাকেন মার্কিন মুলুকে। আর কলম্বিয়া থেকেও প্রচুর দর্শক এসেছেন মায়ামিতে।
গত পরশু দুই দলের সংবাদ সম্মেলন কাভার করতে এসে বোঝা যাচ্ছিল, দুই দলের দর্শকদের ঢল নামবে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে। হলুদ জার্সির আধিক্য দেখে মনে হচ্ছিল ফাইনালের গ্যালারিতে তাঁদের ভিড়ই বেশি দেখা যাবে। কাল ফাইনালের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে মনে হলো অন্তত ৩ লাখ মানুষ অপেক্ষায়। অথচ গ্যালারির ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বাতাস চলাচলের ফাঁকফোকর গলে, বেষ্টনী পেরিয়ে অনেক মানুষ ঢুকেছেন, যাঁদের টিকিটই ছিল না। লাখো মানুষের এই চাপ নেওয়ার প্রস্তুতি ছিল না স্টেডিয়ামে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীদের। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল, নিরাপত্তাকর্মীরা বাধ্য হয়েছেন অনেককে ছেড়ে দিতে! প্রতিটি গ্যালারিতেই দর্শকেরা দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছেন। এমনকি সংবাদকর্মীদের গ্যালারিতেও দর্শক ঢুকে পড়েছেন।
মাঠের বাইরের এসব বিশৃঙ্খলা একপাশে সরিয়ে রাখলে বলব, ফাইনালটা দারুণই হয়েছে। সবাই আর্জেন্টিনাকে ফেবারিট ধরে ফাইনাল দেখেছে। তবে কলম্বিয়া ছেড়ে কথা বলেনি। আনহেল দি মারিয়ার শেষ ম্যাচ ছিল। ৬৫ মিনিটে চোট পেয়ে লিওনেল মেসির উঠে যাওয়া, ডাগআউটে তাঁর কান্না ছুঁয়ে গেছে সব দর্শককে। এমনকি যখন মেসি উঠে গেলেন, আমার পাশে বসা কলম্বিয়ার দর্শকদেরও হতাশ মনে হলো। তাঁরা মেসির আরও খেলা দেখতে চেয়েছিলেন। গ্যালারিতে বেশির ভাগ দর্শক কলম্বিয়ান হলেও তাঁরা প্রতিপক্ষ দর্শকদের কোনো আক্রমণ বা কটূক্তি করেননি। এখান থেকে শেখার আছে কিন্তু। ফাইনাল শেষে কলম্বিয়ান দর্শকেরা আর্জেন্টাইনদের অভিনন্দন জানাতে জানাতে বের হলেন।
লেখক: ভারতীয় সাংবাদিক
ফাইনাল ঘিরে গত কয়েক দিনে প্রচুর উত্তেজনা দেখলাম মায়ামিতে। কোপা আমেরিকার ফাইনাল দেখতে এত মানুষ এসেছেন স্টেডিয়ামে, অবাক হওয়ার মতো। তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ দর্শক ছিলেন কলম্বিয়ার। আর্জেন্টিনার যাঁরা প্রবাসী, তাঁরাই শুধু আসতে পেরেছেন। আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো নয় যে ফ্লাইটে করে এখানে এসে হাজার ডলারের টিকিট কেটে ম্যাচ দেখবেন। কলম্বিয়ার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী থাকেন মার্কিন মুলুকে। আর কলম্বিয়া থেকেও প্রচুর দর্শক এসেছেন মায়ামিতে।
গত পরশু দুই দলের সংবাদ সম্মেলন কাভার করতে এসে বোঝা যাচ্ছিল, দুই দলের দর্শকদের ঢল নামবে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে। হলুদ জার্সির আধিক্য দেখে মনে হচ্ছিল ফাইনালের গ্যালারিতে তাঁদের ভিড়ই বেশি দেখা যাবে। কাল ফাইনালের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে মনে হলো অন্তত ৩ লাখ মানুষ অপেক্ষায়। অথচ গ্যালারির ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বাতাস চলাচলের ফাঁকফোকর গলে, বেষ্টনী পেরিয়ে অনেক মানুষ ঢুকেছেন, যাঁদের টিকিটই ছিল না। লাখো মানুষের এই চাপ নেওয়ার প্রস্তুতি ছিল না স্টেডিয়ামে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীদের। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল, নিরাপত্তাকর্মীরা বাধ্য হয়েছেন অনেককে ছেড়ে দিতে! প্রতিটি গ্যালারিতেই দর্শকেরা দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছেন। এমনকি সংবাদকর্মীদের গ্যালারিতেও দর্শক ঢুকে পড়েছেন।
মাঠের বাইরের এসব বিশৃঙ্খলা একপাশে সরিয়ে রাখলে বলব, ফাইনালটা দারুণই হয়েছে। সবাই আর্জেন্টিনাকে ফেবারিট ধরে ফাইনাল দেখেছে। তবে কলম্বিয়া ছেড়ে কথা বলেনি। আনহেল দি মারিয়ার শেষ ম্যাচ ছিল। ৬৫ মিনিটে চোট পেয়ে লিওনেল মেসির উঠে যাওয়া, ডাগআউটে তাঁর কান্না ছুঁয়ে গেছে সব দর্শককে। এমনকি যখন মেসি উঠে গেলেন, আমার পাশে বসা কলম্বিয়ার দর্শকদেরও হতাশ মনে হলো। তাঁরা মেসির আরও খেলা দেখতে চেয়েছিলেন। গ্যালারিতে বেশির ভাগ দর্শক কলম্বিয়ান হলেও তাঁরা প্রতিপক্ষ দর্শকদের কোনো আক্রমণ বা কটূক্তি করেননি। এখান থেকে শেখার আছে কিন্তু। ফাইনাল শেষে কলম্বিয়ান দর্শকেরা আর্জেন্টাইনদের অভিনন্দন জানাতে জানাতে বের হলেন।
লেখক: ভারতীয় সাংবাদিক
এর চেয়ে ভালো একটা দিন আর কী হতে পারত মনফিলস-সভিতোলিনা দম্পতির জন্য! অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আজ দুজনেই জিতেছেন। আর তাঁদের জেতাটা চলতি টুর্নামেন্টের বড় দুটি অঘটনও!
১ ঘণ্টা আগেজসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে রেখেই আজ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে ভারত। এই তিন ক্রিকেটার একই সঙ্গে ভারতীয় ওয়ানডে দলে সবশেষ খেলেছিলেন ঘরের মাঠে ২০২৩ বিশ্বকাপে।
২ ঘণ্টা আগেঅনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে জামাল ভূঁইয়া। প্রিমিয়ার লিগে পাননি কোনো দলও। শেষ পর্যন্ত ডেনমার্কেই ফিরে যান। সেখানে লম্বা সময় ছুটির আমেজে থাকলেও অনুশীলন ছাড়েননি জামাল, ‘এত দিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম, ওখানে স্থানীয় পর্যায়ে খেলেছি ক্লাবে অনুশীলন করেছি।’
৩ ঘণ্টা আগেনেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ শুরু পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নেপালের বিপক্ষে ব্যাটিংটা ততটা ভালো না হলেও বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ ছিল বাংলাদেশ। টস জিতে নেপালকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার।
৩ ঘণ্টা আগে