ফিফা বিশ্বকাপ প্রার্থিতা থেকে সৌদিকে বাদ দেওয়ার দাবি অ্যামনেস্টির

ক্রীড়া ডেস্ক     
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ৫৬
ফিফা হেডকোয়ার্টার্স। ছবি: সংগৃহীত

২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়াটা সৌদি আরবের যখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করা হচ্ছে, তখনই বিশ্বকাপ প্রার্থিতা থেকে মরুর দেশটিকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সৌদি আরবে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়া এড়াতে এবং মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সৌদির আয়োজক হওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বলছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।

জুরিখে ১১ ডিসেম্বর হবে ফিফা কংগ্রেস। যার আগেই ২০৩০ ও ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক প্রার্থিতার মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করবে ফিফা। তার আগেই সৌদির বিশ্বকাপ প্রার্থিতা বাতিলের দাবি তুলল অ্যামনেস্টি। ফিফার সেই কংগ্রেসেই সদস্য দেশগুলোর ভোটাভুটিতেই নিশ্চিত হবে সৌদি আরবের ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়াটা। যদিও ২০৩৪ বিশ্বকাপে আয়োজক হওয়ার প্রার্থিতায় আছে শুধু সৌদি আরব। এই বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার প্রার্থিতা দেওয়ার যে শেষ সময়সীমা ছিল, তার মধ্যে প্রার্থিতা দিয়েছে শুধু সৌদি আরবই। তাই প্রার্থিতায় সৌদির প্রতিপক্ষ কেউ না থাকলেও ফিফা কংগ্রেসে সৌদির প্রার্থিতার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে ভোট দেওয়া কিংবা ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারবেন ফিফার ২১০ সদস্য দেশ। আয়োজক হওয়ার জন্য সৌদির প্রার্থিতার পক্ষে চাই ১০৬ ভোট।

কিন্তু সেই ভোটাভুটির আগে অ্যামনেস্টি আর স্পোর্টস অ্যান্ড রাইট অ্যালায়েন্সের (এসআরএ) দাবি, সৌদির মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই নাজুক। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শ্রম অধিকার ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রধান স্টিভ ককবার্ন বলছেন, সংস্কারের বিশ্বাসযোগ্য নিশ্চয়তা না পেয়ে সৌদি আরবকে ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হতে দেওয়াটা হবে দেশটির অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম উপেক্ষা। এতে অনুরাগীরা বৈষম্যের শিকার হবে, অভিবাসী শ্রমিকেরা আরও শোষণের শিকার হবে, অনেকে মারাও যাবে বলে আশঙ্কা অ্যামনেস্টির।

নারী অধিকারের প্রতি সম্মান না দেখানো, দেশের মানুষের ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকার অভিযোগ তো অনেক আগে থেকেই আছে দেশটির সরকারের ওপর।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত