সাহিদ রহমান অরিন
সিজার মালদিনি-পাওলো মালদিনি, পেরিকো আলোনসো-জাবি আলোনসো, মাজিনহো-থিয়োগা আলকান্তারা ও রাফিনহা, পিটার স্মাইকেল-ক্যাসপার স্মাইকেল — ফুটবল ভুবনে বিখ্যাত বাবার স্বনামধন্য ছেলে হতে পেরেছেন এমন আরও অনেকে। কিন্তু বাবার পথ অনুসরণ করে বিখ্যাত কোচ হতে পেরেছেন কজন?
তালিকাটা নেই বললেই চলে। তাই বলে কি কাতারটা খালিই থেকে যাবে? মনে হয় না। এ অভাব পূরণ করতেই তো এসে গেছেন ডেভিড আনচেলত্তি! কি, নামের শেষ অংশটা চেনা চেনা লাগছে? ঠিকই ধরেছেন। কোচদের ‘ডন’ বলা হয় যাঁকে, সেই কার্লো আনচেলত্তির ছেলে ডেভিড।
৩২ বছর বয়সী ডেভিড বাবার পথ অনুসরণ করে কোচিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি! বাবা কার্লো এখন যেখানেই যান, সঙ্গে রাখেন ছেলেকে।
৬ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরেছেন কার্লো আনচেলত্তি। আর ছেলে ডেভিড হয়েছেন সহকারী কোচ। ইতোমধ্যে ক্লাবটির হয়ে দারুণ ছাপ রাখতে শুরু করেছেন ডেভিড। বাবা কার্লোকে তো মাঝে মাঝে পরামর্শও দেন তিনি! বাবা-ছেলের যুগলবন্দীতে নতুন মৌসুমে রিয়াল হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। লা লিগায় এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা একমাত্র ম্যাচে স্বদেশি ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারিয়ে এসেছেন দুজন। অথচ কাছ থেকে দেখলেও কার্লো-ডেভিডের সম্পর্কটা বোঝার উপায় নেই!
‘যারা ভালদেবেবাসে (রিয়ালের ট্রেনিং গ্রাউন্ড) আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে দেখে, তারা বুঝতেই পারে না আমরা বাবা-ছেলে। এমনকি মাঠেও আমরা চরম পেশাদারির পরিচয় দিয়ে থাকি’—এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন দুজন।
২০০৯ সালে খেলা ছেড়ে দেওয়া ডেভিড শীর্ষ পর্যায়ের কোচিংয়ে পা রাখেন আরও তিন বছর পর। ২০১২ সালের প্রথম দিনেই প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ফিটনেস কোচ হওয়ার সুখবরটা পান তিনি। পরের বছর একই ভূমিকায় রিয়ালে দেখা যায় তাঁকে। এরপর বাবা কার্লোর সহকারী হয়ে বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি, এভারটন ঘুরে ফিরেছেন সেই রিয়ালেই।
কোচিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে ডেভিড বলেছেন, ‘মনে হতো আমি প্রতিভাবান ফুটবলার নই। তবে খেলাটাকে ভীষণ পছন্দ করি। সব সময় এর সঙ্গেই থাকতে চেয়েছি। তাই ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করি।’ ছেলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ৬২ বছর বয়সী কার্লোর মুখ থেকে ঝরেছে প্রশংসা, ‘সে সব ব্যাপারেই জানতে চায়। ওর আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করে।’
গত ৯ বছরে কার্লো আনচেলত্তি যা যা জিতেছেন, বলতে গেলে তার ভাগীদার ডেভিডও। তবে কার্লো সবার চেয়ে আলাদা হয়ে আছেন দুটি ক্লাব বিশ্বকাপ, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ভিন্ন চার দেশে লিগ শিরোপা জিতে। এমন এক মহান কোচের রক্ত বইছে যাঁর শরীরে, সেই ডেভিড তো বাবাকে ছেড়ে যেতে চাইবেনই! তাঁর স্বপ্নযাত্রাটা স্বার্থক হলে কোচিং অঙ্গনও পেয়ে যাবে জগদ্বিখ্যাত বাবার স্বনামধন্য ছেলেকে।
ডেভিড আনচেলত্তি
জন্ম: পার্মা, ইতালি
বয়স: ৩২ বছর
বাবা: কার্লো আনচেলত্তি
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি: ২০০৯ সাল
কোচিং ক্যারিয়ার
লাইসেন্স: উয়েফা ‘এ’ ক্যাটাগরি
পিএসজি (ফিটনেস কোচ)
১ জানুয়ারি ২০১২-৩০ জুন ২০১৩
রিয়াল মাদ্রিদ (ফিটনেস কোচ)
১ জুলাই ২০১৩-২৫ মে ২০১৫
বায়ার্ন মিউনিখ (সহকারী কোচ)
১ জুলাই ২০১৬-২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
নাপোলি (সহকারী কোচ)
১ জুলাই ২০১৮-১০ ডিসেম্বর ২০১৯
এভারটন (সহকারী কোচ)
২২ ডিসেম্বর ২০১৯-৩০ জুন ২০২১
রিয়াল মাদ্রিদ (সহকারী কোচ)
১ জুলাই ২০২১-বর্তমান
সিজার মালদিনি-পাওলো মালদিনি, পেরিকো আলোনসো-জাবি আলোনসো, মাজিনহো-থিয়োগা আলকান্তারা ও রাফিনহা, পিটার স্মাইকেল-ক্যাসপার স্মাইকেল — ফুটবল ভুবনে বিখ্যাত বাবার স্বনামধন্য ছেলে হতে পেরেছেন এমন আরও অনেকে। কিন্তু বাবার পথ অনুসরণ করে বিখ্যাত কোচ হতে পেরেছেন কজন?
তালিকাটা নেই বললেই চলে। তাই বলে কি কাতারটা খালিই থেকে যাবে? মনে হয় না। এ অভাব পূরণ করতেই তো এসে গেছেন ডেভিড আনচেলত্তি! কি, নামের শেষ অংশটা চেনা চেনা লাগছে? ঠিকই ধরেছেন। কোচদের ‘ডন’ বলা হয় যাঁকে, সেই কার্লো আনচেলত্তির ছেলে ডেভিড।
৩২ বছর বয়সী ডেভিড বাবার পথ অনুসরণ করে কোচিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি! বাবা কার্লো এখন যেখানেই যান, সঙ্গে রাখেন ছেলেকে।
৬ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরেছেন কার্লো আনচেলত্তি। আর ছেলে ডেভিড হয়েছেন সহকারী কোচ। ইতোমধ্যে ক্লাবটির হয়ে দারুণ ছাপ রাখতে শুরু করেছেন ডেভিড। বাবা কার্লোকে তো মাঝে মাঝে পরামর্শও দেন তিনি! বাবা-ছেলের যুগলবন্দীতে নতুন মৌসুমে রিয়াল হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। লা লিগায় এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা একমাত্র ম্যাচে স্বদেশি ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারিয়ে এসেছেন দুজন। অথচ কাছ থেকে দেখলেও কার্লো-ডেভিডের সম্পর্কটা বোঝার উপায় নেই!
‘যারা ভালদেবেবাসে (রিয়ালের ট্রেনিং গ্রাউন্ড) আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে দেখে, তারা বুঝতেই পারে না আমরা বাবা-ছেলে। এমনকি মাঠেও আমরা চরম পেশাদারির পরিচয় দিয়ে থাকি’—এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন দুজন।
২০০৯ সালে খেলা ছেড়ে দেওয়া ডেভিড শীর্ষ পর্যায়ের কোচিংয়ে পা রাখেন আরও তিন বছর পর। ২০১২ সালের প্রথম দিনেই প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ফিটনেস কোচ হওয়ার সুখবরটা পান তিনি। পরের বছর একই ভূমিকায় রিয়ালে দেখা যায় তাঁকে। এরপর বাবা কার্লোর সহকারী হয়ে বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি, এভারটন ঘুরে ফিরেছেন সেই রিয়ালেই।
কোচিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে ডেভিড বলেছেন, ‘মনে হতো আমি প্রতিভাবান ফুটবলার নই। তবে খেলাটাকে ভীষণ পছন্দ করি। সব সময় এর সঙ্গেই থাকতে চেয়েছি। তাই ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করি।’ ছেলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ৬২ বছর বয়সী কার্লোর মুখ থেকে ঝরেছে প্রশংসা, ‘সে সব ব্যাপারেই জানতে চায়। ওর আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করে।’
গত ৯ বছরে কার্লো আনচেলত্তি যা যা জিতেছেন, বলতে গেলে তার ভাগীদার ডেভিডও। তবে কার্লো সবার চেয়ে আলাদা হয়ে আছেন দুটি ক্লাব বিশ্বকাপ, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ভিন্ন চার দেশে লিগ শিরোপা জিতে। এমন এক মহান কোচের রক্ত বইছে যাঁর শরীরে, সেই ডেভিড তো বাবাকে ছেড়ে যেতে চাইবেনই! তাঁর স্বপ্নযাত্রাটা স্বার্থক হলে কোচিং অঙ্গনও পেয়ে যাবে জগদ্বিখ্যাত বাবার স্বনামধন্য ছেলেকে।
ডেভিড আনচেলত্তি
জন্ম: পার্মা, ইতালি
বয়স: ৩২ বছর
বাবা: কার্লো আনচেলত্তি
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি: ২০০৯ সাল
কোচিং ক্যারিয়ার
লাইসেন্স: উয়েফা ‘এ’ ক্যাটাগরি
পিএসজি (ফিটনেস কোচ)
১ জানুয়ারি ২০১২-৩০ জুন ২০১৩
রিয়াল মাদ্রিদ (ফিটনেস কোচ)
১ জুলাই ২০১৩-২৫ মে ২০১৫
বায়ার্ন মিউনিখ (সহকারী কোচ)
১ জুলাই ২০১৬-২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
নাপোলি (সহকারী কোচ)
১ জুলাই ২০১৮-১০ ডিসেম্বর ২০১৯
এভারটন (সহকারী কোচ)
২২ ডিসেম্বর ২০১৯-৩০ জুন ২০২১
রিয়াল মাদ্রিদ (সহকারী কোচ)
১ জুলাই ২০২১-বর্তমান
জয়ের জন্য রাজশাহীর দরকার ১৯২ রান। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে যেমনটা শুরু হওয়া দরকার, দুর্বার রাজশাহীর ইনিংসের শুরুটা তেমন হয়নি। উল্টো ২০ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তাসকিন আহমেদের রাজশাহী। ৪ রান করে জিসান, ৯ রানে মোহাম্মদ হারিস ও ৫ রান করে ইয়াসির আলী বিদায় নিয়েছেন। শুরুর এই বিপর্যয়ের পর আর মাথা উ
৬ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে নাইজেরিয়া। নিজেদের ঐতিহাসিক টুর্নামেন্টে দারুণ এক অঘটনও ঘটিয়ে দিল তারা। আজ মালয়েশিয়ার কুচিংয়ে তারা ২ রানে হারিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে।
৭ ঘণ্টা আগেএটাই তাঁর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। কিন্তু মেলবোর্ন পার্কে যেভাবে খেললেন ১৯ বছর বয়সী লারনার তিয়েন; তাতে এটা তাঁর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান বলে মেনে নেওয়াটা কঠিন। অবাছাই প্রতিযোগী হয়ে খেলতে এসে তরতরিয়ে উঠে যান চতুর্থ রাউন্ডে।
৮ ঘণ্টা আগেচুক্তির বাইরে থাকলেও প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপের ম্যাচগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। যে দুই প্রতিযোগিতায় স্থানীয় ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়েও খুশি তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে