পুলিশকে ঘরের মাঠের শক্তি দেখাল বসুন্ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ২২
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২: ০৩

বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার পথে পথে লাল রঙা সাইনবোর্ড। গ্যালারি ভর্তি হাজারের বেশি দর্শক। দেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে নিজেদের মাঠে খেলার ঐতিহাসিক মুহূর্তটা রাঙাতে কম-বেশি চেষ্টা করে গেছে বসুন্ধরা কিংস। তবে সেরা উপহারটা দিয়েছেন ফুটবলাররাই। 

এবারের লিগে প্রথম তিন ম্যাচে কেবল জার্সি দেখেই চিনতে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলারদের। প্রথম ম্যাচে নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের কাছে হার। পরের দুই ম্যাচ জিততে হয়েছে বেশ কষ্ট করেই। নিজ মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা আর দর্শকদের সামনে ফিরতেই চতুর্থ ম্যাচে চেনা রূপে বসুন্ধরা। বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে ৩-০ গোলে বড় জয় পেয়েছে টানা দুইবারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। 

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথমার্ধে অবশ্য ভালোই ধুঁকেছে স্বাগতিকেরা। প্রতিপক্ষ পুলিশের বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেয়েছিল বসুন্ধরা। সেই ম্যাচকে মনে করিয়ে নিজেদের অর্ধে রক্ষণের ব্যারিকেড দিয়ে বসেছিলেন পুলিশের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো ও জয়ন্ত কুমার। ছয় ফুট দীর্ঘ দানিলোর কারণে স্পটকিক থেকেও সুবিধা করতে পারছিলেন না বসুন্ধরার ফুটবলাররা। এমন ম্যাচে আবার চোটের কারণে ছিলেন বসনিয়ান ফরোয়ার্ড স্টোয়ান ভ্রানিয়েস। 

ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিটে বলার মতো একটাই বড় আক্রমণ শানিয়েছে বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের ভেতরে সুবিধা করতে পারছিলেন না বলে বাইরে থেকে শট নেন স্বাগতিক অধিনায়ক রবসন রবিনহো। একক প্রচেষ্টায় নেওয়া রবসন রবিনহোর শট পুলিশ গোলরক্ষক নেহালকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয়েছে পোস্টে লেগে। 

বিরতির পর একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজোন। ৪৬ মিনিটে তৌহিদুল আলম সবুজের বদলি হিসেবে নামেন মিডফিল্ডার মাহাদি ইউসুফ খান। মূলত মাহাদি মাঠে নেমেই বদলে দিয়েছেন ম্যাচের চালচিত্র। দলের তিন গোলেই প্রত্যক্ষ ভূমিকা এই প্রবাসী ফুটবলারের। 

৬৬ মিনিটে রবসন ভাঙেন পুলিশের রক্ষণ ‘ব্যারিকেড’। ডি-বক্সের ডান প্রান্তের বাইরে পুলিশ ডিফেন্ডার ইসা ফয়সালের পা থেকে বল কেড়ে অধিনায়কের কাছে পাস বাড়ান মাহাদি। ফাঁকাতেই ছিলেন রবসন। এবার ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ডান পায়ের জোরালো শটে পুলিশ গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জড়ান জালে। 

৭৭ মিনিটে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করেন রবসনই। এতেও অবদান মাহাদির। ডি-বক্সে মাহাদিকে ফাউল করে বসেন ম্যাচ জুড়ে পুলিশের রক্ষণে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো।  স্পটকিকে রবসনের নেওয়া কোনাকুনি শট ঠেকাতে ঠিকভাবেই ঝাঁপান পুলিশ গোলরক্ষক কিন্তু বল ছিল না নাগালে। 

এই পেনাল্টি থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় পুলিশ ডাগআউটে। রেফারির সঙ্গে বিতর্কে জড়ান বদলি হয়ে ডাগআউটে বসা ডিফেন্ডার ইসানূর রহমান। ৬২ মিনিটে একবার কার্ড দেখেছিলেন ইসানূর। ৮২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে ইসানূরকে ড্রেসিংরুমে পাঠান রেফারি আনিসুর রহমান। 

মাঠের বাইরের উত্তেজনা থামতেই পুলিশ ডি-বক্সে ঝড় তোলেন সুমন রেজার বদলি হিসেবে মাঠে নামা এলিটা কিংসলে। ৮৭ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মাহাদির রক্ষণ চেরা এক পাস থেকে কোনাকুনি শটে জয়ের ব্যবধান বড় করেন এলিটা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত