বাংলাদেশ দলের সব বিদেশি কোচিং স্টাফের মতো অ্যাশওয়েল প্রিন্সও এই মুহূর্তে আছেন ছুটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ছুটি কাটানোর ফাঁকে আজকের পত্রিকাকে সময় দিলেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক। সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার কথা বলেছেন গত দুটি সিরিজে দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: শুরুতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন স্বল্প মেয়াদে। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর শেষেই লম্বা সময়ের জন্য যুক্ত হয়েছেন বিসিবির সঙ্গে। এই সিদ্ধান্ত নিতে আসলে কোন বিষয়টি কাজ করেছে?
অ্যাশওয়েল প্রিন্স: দলটার সম্ভাবনা। বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের কিছু দুর্দান্ত ব্যাটার আছে, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। নাঈম, শামীম, সৈকত (মোসাদ্দেক), (নুরুল হাসান) সোহানরা আসলেই দুর্দান্ত ব্যাটার। সঙ্গে তামিম, লিটন, সাকিব, মুশফিক, সৌম্যর মতো দারুণ অভিজ্ঞরাও আছে। অবশ্য তারা সবাই এই মুহূর্তে সাদা বলের দলে আছে। আমি শুধু একটা টেস্টে দলকে পেয়েছি, জিম্বাবুয়ে সফরে। এর বাইরেও আমাদের সম্ভাবনাময় বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার আছে। মুমিনুল হকের মতো সব সময় নির্ভরযোগ্য অভিজ্ঞ ব্যাটারও আছে।
প্রশ্ন: টেস্টে আপনার সর্বোচ্চ ইনিংসটা বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৮ সালে সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অপরাজিত ১৬২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন। ওই টেস্টের কোন স্মৃতি আপনার বেশি মনে পড়ে?
প্রিন্স: (হাসি) বহুদিন আগের কথা। যেটা মনে করতে পারছি, যখন (মার্ক) বাউচার আমার সঙ্গে উইকেটে যোগ দেয়, আমরা বেশ সংগ্রাম করছিলাম। তখন একটা ভালো জুটির দরকার ছিল (বাউচারের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ২৭১ রানের জুটি হয়েছিল)। আর সাকিব সেদিন দুর্দান্ত বোলিং করেছিল, সম্ভবত ৫ (৬) উইকেট পেয়েছিল।
প্রশ্ন: দেশের মাঠে হওয়া গত দুটি সিরিজের উইকেট এবং ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে। ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে এই দুই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যাটিং নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?
প্রিন্স: ব্যাটিংয়ের কথা বললে এই দুই সিরিজ থেকে বেশি ইতিবাচক বিষয় বের করা আসলেই কঠিন। তিনটি দলের (বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড) ব্যাটিং ইউনিটের জন্যই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। যে কেউ তর্ক করতে পারে, আমাদের ব্যাটাররাই এখানে বেশি খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি প্রত্যাশিতই। এটি আমাদের ঘরের মাঠ। নিশ্চিত আমাদের ব্যাটাররা ওমান ও আরব আমিরাতের ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে দারুণ কিছু করতে পারবে।
প্রশ্ন: গত দুটি সিরিজে বাংলাদেশ দলের তিন ওপেনার সৌম্য-লিটন-নাঈম বেশ ভুগেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
প্রিন্স: আমরা দেখেছি, দুই সিরিজেই তিনটি ভিন্ন দলের ২১-২৪ জন দারুণ ব্যাটার দুই সিরিজেই রান তুলতে বেশ সংগ্রাম করেছে। সুতরাং, আমরা এই তিনজনের ওপর বেশি নির্দয় হতে চাই না। যদি আমাকে বলতেন, অন্য ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে রান করেছে, তাহলে হয়তো আমরা তিনজনের দিকে আঙুল তুলতে পারতাম। কিন্তু ঘটনা তো সেটি ছিল না।
প্রশ্ন: শুধু এই দুই সিরিজেই নয়, বাংলাদেশ টপ অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা দলের অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিটন-সৌম্য ছয় বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু এখনো তাঁদের দলে জায়গা পাওয়া কিংবা ব্যাটিং পজিশন নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয়। কবে তাঁরা সাকিব-তামিম-মুশফিকের মতো ধারাবাহিক পারফরমার হতে পারবেন?
প্রিন্স: সময় ও ধৈর্য। সব তরুণ ব্যাটারের প্রয়োজন সময় ও ধৈর্য। যারা (নির্বাচকেরা) তাদের ওপর আস্থা রাখছে, তাদেরও সময় দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো সমস্যার সমাধান রাতারাতি করা যায় না। বিশ্বের সেরা বোলারদের বিপক্ষে খেলছেন, এটা সহজ নয়। শক্তিশালী ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোও এখানে সহযোগিতা করে। আন্তর্জাতিক স্তর শেখার জায়গা নয়। ক্রিকেটারদের গড়ে তুলতে প্রতিটি দেশেই প্রতিযোগিতামূলক ঘরোয়া ক্রিকেট থাকা দরকার। আমাদের ক্রিকেটারদের অবশ্য ধারাবাহিক উন্নতির সুযোগ আছে। বিশ্বকাপের পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। মুমিনুল, শান্ত (নাজমুল), সাইফ, সাদমান, মেহেদী, ইবাদতের মতো ক্রিকেটারদের খুবই ভালো হতো যদি ইংল্যান্ড এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার লিগে তারা খেলতে পারত। আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য ক্রমাগত উন্নতির সুযোগ খুঁজতে হবে। শুধু ক্রিকেটীয় উন্নতি নয়, ব্যক্তিগত উন্নতিও। বিদেশের পরিবেশে বেশ কিছু সময় কাটাতে হবে এবং নিজের সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে হবে।
প্রশ্ন: আমরা দেখেছি নিল ম্যাকেঞ্জি লিটনকে নিয়ে বেশ কাজ করেছেন। লিটনও বলেছেন, ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে কাজ করে তাঁর বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন আবার লিটন ছন্দে ফেরার অপেক্ষায়। লিটন-সৌম্যর এই বিষয়গুলো কীভাবে দেখেন?
প্রিন্স: লিটন রানে নেই বলছেন, জিম্বাবুয়েতে টেস্টে তার সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছে, ৯৫ রান। সেটির ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেঞ্চুরিও করেছে। দুর্ভাগ্য, শেষ ওয়ানডেতে চোটে পড়ায় ওখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেলতে পারেনি। সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজও মিস করে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে এমন এক উইকেটে ফিরেছে, যেখানে কোনো দলের ব্যাটসম্যানই ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারেনি। সৌম্য কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিল।
প্রশ্ন: বলা হচ্ছে, ঘরের মাঠে শেষ দুই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাননি। উইকেটের সহায়তা পাওয়ায় বোলারদেরও সেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। আপনি কীভাবে দেখেন বিষয়টি?
প্রিন্স: সমালোচকেরা যেটা মনে করে, সেটি বলার অধিকার তাদের আছে। যে উইকেটে খেলে, খেলোয়াড়েরা কিন্তু সেটা তৈরি করে না। তাদের একটা উইকেট দেওয়া হয়েছে। তাদের কাজ হলো খেলা এবং সফল হওয়ার চেষ্টা করা। আমরা কি অধিনায়ক এবং তার দলকে কিছু কৃতিত্ব দিতে পারি?
প্রশ্ন: আমরা জানি যে পাওয়ার হিটিং টি-টোয়েন্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম ছক্কা মারা দল হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটাররা ঘরের মাঠে মন্থর উইকেটে খেলে অভ্যস্ত—পাওয়ার হিটিং দক্ষতায় পিছিয়ে থাকার পেছনে এটাই কি আসল কারণ?
প্রিন্স: অনেকগুলো কারণের মধ্যে পিচ একটি কারণ হতে পারে। কিন্তু আমি দেখেছি, ছয় মারার মতো সামর্থ্য আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালোভাবেই আছে, যেটি আপনাকে রোমাঞ্চিত করতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ অনেক দিন ছয়-সাত নম্বরে দুর্দান্ত ব্যাটার খুঁজছে, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। আফিফ-শামীম-সোহানকে এই পজিশনে থিতু করার এটাই কি সেরা সুযোগ?
প্রিন্স: এই অল্প সময়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থেকে আফিফ-শামীম-সোহানদের দেখে উৎসাহিত হয়েছি। তাদের সামর্থ্যে আমার আস্থা আছে। তবে আমি নমনীয়তায় বিশ্বাস করি, একটি বিষয়ে স্থির থাকতে চাই না। তাদের একটি নির্দিষ্ট পজিশনে আটকে রাখতে চাই না। তারা সবাই দলে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করার সামর্থ্য রাখে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলেনি। এবার নকআউট পর্ব পেরোতে কতটা আশাবাদী?
প্রিন্স: দল হিসেবে আমরা কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও অধিনায়ক রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) অধীনে দুর্দান্ত করছি। তারা (ডমিঙ্গো-মাহমুদউল্লাহ) দলে একধরনের বিশ্বাস ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু ক্রিকেট তো ক্রিকেট, আমরা যেন অতি আত্মবিশ্বাসী না হই। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। একই সঙ্গে সব প্রতিপক্ষকে সমীহ করতে হবে। এখনো আমাদের সামনে বাছাইপর্ব আছে। ম্যাচ ধরে ধরেই আমরা এগোব।
প্রশ্ন: শুরুতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন স্বল্প মেয়াদে। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর শেষেই লম্বা সময়ের জন্য যুক্ত হয়েছেন বিসিবির সঙ্গে। এই সিদ্ধান্ত নিতে আসলে কোন বিষয়টি কাজ করেছে?
অ্যাশওয়েল প্রিন্স: দলটার সম্ভাবনা। বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের কিছু দুর্দান্ত ব্যাটার আছে, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। নাঈম, শামীম, সৈকত (মোসাদ্দেক), (নুরুল হাসান) সোহানরা আসলেই দুর্দান্ত ব্যাটার। সঙ্গে তামিম, লিটন, সাকিব, মুশফিক, সৌম্যর মতো দারুণ অভিজ্ঞরাও আছে। অবশ্য তারা সবাই এই মুহূর্তে সাদা বলের দলে আছে। আমি শুধু একটা টেস্টে দলকে পেয়েছি, জিম্বাবুয়ে সফরে। এর বাইরেও আমাদের সম্ভাবনাময় বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার আছে। মুমিনুল হকের মতো সব সময় নির্ভরযোগ্য অভিজ্ঞ ব্যাটারও আছে।
প্রশ্ন: টেস্টে আপনার সর্বোচ্চ ইনিংসটা বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৮ সালে সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অপরাজিত ১৬২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন। ওই টেস্টের কোন স্মৃতি আপনার বেশি মনে পড়ে?
প্রিন্স: (হাসি) বহুদিন আগের কথা। যেটা মনে করতে পারছি, যখন (মার্ক) বাউচার আমার সঙ্গে উইকেটে যোগ দেয়, আমরা বেশ সংগ্রাম করছিলাম। তখন একটা ভালো জুটির দরকার ছিল (বাউচারের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ২৭১ রানের জুটি হয়েছিল)। আর সাকিব সেদিন দুর্দান্ত বোলিং করেছিল, সম্ভবত ৫ (৬) উইকেট পেয়েছিল।
প্রশ্ন: দেশের মাঠে হওয়া গত দুটি সিরিজের উইকেট এবং ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে। ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে এই দুই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যাটিং নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?
প্রিন্স: ব্যাটিংয়ের কথা বললে এই দুই সিরিজ থেকে বেশি ইতিবাচক বিষয় বের করা আসলেই কঠিন। তিনটি দলের (বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড) ব্যাটিং ইউনিটের জন্যই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। যে কেউ তর্ক করতে পারে, আমাদের ব্যাটাররাই এখানে বেশি খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি প্রত্যাশিতই। এটি আমাদের ঘরের মাঠ। নিশ্চিত আমাদের ব্যাটাররা ওমান ও আরব আমিরাতের ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে দারুণ কিছু করতে পারবে।
প্রশ্ন: গত দুটি সিরিজে বাংলাদেশ দলের তিন ওপেনার সৌম্য-লিটন-নাঈম বেশ ভুগেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
প্রিন্স: আমরা দেখেছি, দুই সিরিজেই তিনটি ভিন্ন দলের ২১-২৪ জন দারুণ ব্যাটার দুই সিরিজেই রান তুলতে বেশ সংগ্রাম করেছে। সুতরাং, আমরা এই তিনজনের ওপর বেশি নির্দয় হতে চাই না। যদি আমাকে বলতেন, অন্য ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে রান করেছে, তাহলে হয়তো আমরা তিনজনের দিকে আঙুল তুলতে পারতাম। কিন্তু ঘটনা তো সেটি ছিল না।
প্রশ্ন: শুধু এই দুই সিরিজেই নয়, বাংলাদেশ টপ অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা দলের অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিটন-সৌম্য ছয় বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু এখনো তাঁদের দলে জায়গা পাওয়া কিংবা ব্যাটিং পজিশন নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয়। কবে তাঁরা সাকিব-তামিম-মুশফিকের মতো ধারাবাহিক পারফরমার হতে পারবেন?
প্রিন্স: সময় ও ধৈর্য। সব তরুণ ব্যাটারের প্রয়োজন সময় ও ধৈর্য। যারা (নির্বাচকেরা) তাদের ওপর আস্থা রাখছে, তাদেরও সময় দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো সমস্যার সমাধান রাতারাতি করা যায় না। বিশ্বের সেরা বোলারদের বিপক্ষে খেলছেন, এটা সহজ নয়। শক্তিশালী ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোও এখানে সহযোগিতা করে। আন্তর্জাতিক স্তর শেখার জায়গা নয়। ক্রিকেটারদের গড়ে তুলতে প্রতিটি দেশেই প্রতিযোগিতামূলক ঘরোয়া ক্রিকেট থাকা দরকার। আমাদের ক্রিকেটারদের অবশ্য ধারাবাহিক উন্নতির সুযোগ আছে। বিশ্বকাপের পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। মুমিনুল, শান্ত (নাজমুল), সাইফ, সাদমান, মেহেদী, ইবাদতের মতো ক্রিকেটারদের খুবই ভালো হতো যদি ইংল্যান্ড এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার লিগে তারা খেলতে পারত। আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য ক্রমাগত উন্নতির সুযোগ খুঁজতে হবে। শুধু ক্রিকেটীয় উন্নতি নয়, ব্যক্তিগত উন্নতিও। বিদেশের পরিবেশে বেশ কিছু সময় কাটাতে হবে এবং নিজের সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে হবে।
প্রশ্ন: আমরা দেখেছি নিল ম্যাকেঞ্জি লিটনকে নিয়ে বেশ কাজ করেছেন। লিটনও বলেছেন, ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে কাজ করে তাঁর বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন আবার লিটন ছন্দে ফেরার অপেক্ষায়। লিটন-সৌম্যর এই বিষয়গুলো কীভাবে দেখেন?
প্রিন্স: লিটন রানে নেই বলছেন, জিম্বাবুয়েতে টেস্টে তার সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছে, ৯৫ রান। সেটির ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেঞ্চুরিও করেছে। দুর্ভাগ্য, শেষ ওয়ানডেতে চোটে পড়ায় ওখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেলতে পারেনি। সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজও মিস করে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে এমন এক উইকেটে ফিরেছে, যেখানে কোনো দলের ব্যাটসম্যানই ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারেনি। সৌম্য কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিল।
প্রশ্ন: বলা হচ্ছে, ঘরের মাঠে শেষ দুই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাননি। উইকেটের সহায়তা পাওয়ায় বোলারদেরও সেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। আপনি কীভাবে দেখেন বিষয়টি?
প্রিন্স: সমালোচকেরা যেটা মনে করে, সেটি বলার অধিকার তাদের আছে। যে উইকেটে খেলে, খেলোয়াড়েরা কিন্তু সেটা তৈরি করে না। তাদের একটা উইকেট দেওয়া হয়েছে। তাদের কাজ হলো খেলা এবং সফল হওয়ার চেষ্টা করা। আমরা কি অধিনায়ক এবং তার দলকে কিছু কৃতিত্ব দিতে পারি?
প্রশ্ন: আমরা জানি যে পাওয়ার হিটিং টি-টোয়েন্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম ছক্কা মারা দল হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটাররা ঘরের মাঠে মন্থর উইকেটে খেলে অভ্যস্ত—পাওয়ার হিটিং দক্ষতায় পিছিয়ে থাকার পেছনে এটাই কি আসল কারণ?
প্রিন্স: অনেকগুলো কারণের মধ্যে পিচ একটি কারণ হতে পারে। কিন্তু আমি দেখেছি, ছয় মারার মতো সামর্থ্য আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালোভাবেই আছে, যেটি আপনাকে রোমাঞ্চিত করতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ অনেক দিন ছয়-সাত নম্বরে দুর্দান্ত ব্যাটার খুঁজছে, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। আফিফ-শামীম-সোহানকে এই পজিশনে থিতু করার এটাই কি সেরা সুযোগ?
প্রিন্স: এই অল্প সময়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থেকে আফিফ-শামীম-সোহানদের দেখে উৎসাহিত হয়েছি। তাদের সামর্থ্যে আমার আস্থা আছে। তবে আমি নমনীয়তায় বিশ্বাস করি, একটি বিষয়ে স্থির থাকতে চাই না। তাদের একটি নির্দিষ্ট পজিশনে আটকে রাখতে চাই না। তারা সবাই দলে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করার সামর্থ্য রাখে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলেনি। এবার নকআউট পর্ব পেরোতে কতটা আশাবাদী?
প্রিন্স: দল হিসেবে আমরা কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও অধিনায়ক রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) অধীনে দুর্দান্ত করছি। তারা (ডমিঙ্গো-মাহমুদউল্লাহ) দলে একধরনের বিশ্বাস ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু ক্রিকেট তো ক্রিকেট, আমরা যেন অতি আত্মবিশ্বাসী না হই। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। একই সঙ্গে সব প্রতিপক্ষকে সমীহ করতে হবে। এখনো আমাদের সামনে বাছাইপর্ব আছে। ম্যাচ ধরে ধরেই আমরা এগোব।
দিনের শুরুতেই উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন আহমেদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেই ফেরাতে পারতেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে। কিন্তু প্রথম স্লিপে উইন্ডিজ অধিনায়কের ক্যাচ ছাড়েন শাহাদাত হোসেন দিপু।
৫ ঘণ্টা আগেরাজিন সালেহের অধীনে সবশেষ মৌসুমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পূর্বাঞ্চল। এবার তাঁর অধীনে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএলে) প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের সুবাস পাচ্ছে সিলেট বিভাগ।
৫ ঘণ্টা আগেবিহারের ছোট্ট এক গ্রাম থেকে উঠে আসা ১৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশীকে ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে কিনে হইচই ফেলে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। জেদ্দায় আজ আইপিএলের মেগা নিলামের শেষ দিনে সবচেয়ে আলোচিত নাম এই বৈভব। আইপিএল নিলামে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটারের বিক্রি হওয়ার ঘটনা এটি। সেটিও আবার কোটি রুপিতে।
৫ ঘণ্টা আগেধারাভাষ্য কক্ষে আতাহার আলী খান বেশ অবাক কণ্ঠে বললেন, ‘বাংলাদেশকে সকালে ব্যাটিং না করতে দেখে বেশ অবাক হয়েছি।’ তাঁর মতো অবাক হয়েছেন বাংলাদেশের অনেক দর্শকই।
৬ ঘণ্টা আগে