নাজিম আল শমষের, ঢাকা
অলিম্পিক শেষে টোকিওতে এখন চলছে প্যারালিম্পিক। ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ অ্যাথলেটদের সবচেয়ে বড় আসর প্যারালিম্পিকে বাংলাদেশের কোনো অংশগ্রহণই নেই! সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি দেখা যায় না এ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার গত তিন আসরে।
২০০৪ প্যারালিম্পিকে মকসুদ ও ২০০৮ সালে অ্যাথলেট আবদুল কাদের সুমন অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেন প্যারালিম্পিকে। এরপর দুই ‘বৈধ-অবৈধ’ ফেডারেশনের অন্তর্দ্বন্দ্বের বলি হয়ে টানা তিন আসর ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ প্যারালিম্পিকে অংশগ্রহণ নেই বাংলাদেশের ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ অ্যাথলেটদের।
সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে ন্যাশনাল গেমস ফর ডিজঅ্যাবিলিটিজ (এনজিডি) নাম পাল্টে নতুন নামকরণ করা হয় ন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি (এনপিসি)। একটা সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনেই ২০০৪ ও ২০০৮ প্যারালিম্পিকে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১২ প্যারালিম্পিকের আগে বাংলাদেশ থেকে চিঠি পাঠানো হয় এনজিডি ও এনপিসি—দুই সংগঠন থেকেই। নিজেদের ‘বৈধ’ দাবি করে দুই সংগঠনের চিঠিতে দ্বিধায় থাকা আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটির (আইপিসি) পক্ষ থেকে দ্রুতই সমস্যা সমাধানের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিল জাতীয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। সমস্যা খতিয়ে দেখতে তখন একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বর্তমানে এনপিসির মহাসচিবের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানের দাবি, তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে তখন বাংলাদেশের সদস্যপদ বাতিল করে দেয় আইপিসি।
‘তখনকার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি-মহাসচিব যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে এতটাই মতের অমিল ছিল যে তখন কেউ কারও কথা মানতেন না। তাঁদের কারণে আইপিসির সঙ্গে বেশ বড় দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। দুই-তিন বছর তাঁরা কোনো যোগাযোগই রাখেননি। এটার ফল হিসেবে আমাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়’—আজকের পত্রিকাকে বলেছেন প্যারালিম্পিক কমিটির মহাসচিব মাকসুদুর রহমান।
সদস্যপদ ফিরে পেতে আগামী দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করতে হবে জাতীয় প্যারালিম্পিক কমিটিকে। আগামী ২২ ডিসেম্বর জার্মানির বোনে হতে যাওয়া বার্ষিক সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম জমা দিতে হবে বাংলাদেশকে। সব প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আবারও সদস্যপদ ফিরে পাবে বাংলাদেশ।
এরপর প্যারালিম্পিক কমিটির অধীনে আর্চারি, ব্যাডমিন্টন মতো ছয়টি প্যারা ফেডারেশন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন এনপিসি মহাসচিব, ‘আইপিসির আদলে একটি সংবিধান তৈরি করাতে বলা হয়েছিল। সেটা তৈরি হয়ে গেছে। আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব মাসুদ করিম বলেছেন, ‘এটি পুরোপুরি প্যারালিম্পিক কমিটির বিষয়। নির্বাচন হলেই তাদের সমস্যা মিটবে।’
দুই সংগঠনের দ্বন্দ্ব আর কর্মকর্তাদের মতের অমিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ বাতিল হওয়ায় আসল ক্ষতিটা হয়েছে কাদের, এ প্রশ্নে প্যারা ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক তারকা শাটলার এনায়েত উল্লাহ খান বলছিলেন, ‘অলিম্পিকে বাংলাদেশ পদকের ধারে-কাছেও নেই। তবে প্যারালিম্পিকে আমাদের কয়েকজন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় আছে, যারা পদক এনে দিতে পারে। আগের তিন আসরে খেললে এত দিনে বাংলাদেশ হয়তো একটা পদক পেয়েও যেত।’
ডোপ নিষেধাজ্ঞায় নিষিদ্ধ দেশ রাশিয়ার অ্যাথলেটরা এবার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটি (আরওসি) নাম নিয়ে। বাংলাদেশের অ্যাথলেটরাও এভাবে হয়তো প্যারালিম্পিকে সুযোগ পেতেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের খেলতে হতো দুই থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। কোভিড জটিলতায় এ শর্ত পূরণ করতে না পারায় এবারও দর্শকই হয়ে থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
অলিম্পিক শেষে টোকিওতে এখন চলছে প্যারালিম্পিক। ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ অ্যাথলেটদের সবচেয়ে বড় আসর প্যারালিম্পিকে বাংলাদেশের কোনো অংশগ্রহণই নেই! সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি দেখা যায় না এ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার গত তিন আসরে।
২০০৪ প্যারালিম্পিকে মকসুদ ও ২০০৮ সালে অ্যাথলেট আবদুল কাদের সুমন অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেন প্যারালিম্পিকে। এরপর দুই ‘বৈধ-অবৈধ’ ফেডারেশনের অন্তর্দ্বন্দ্বের বলি হয়ে টানা তিন আসর ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ প্যারালিম্পিকে অংশগ্রহণ নেই বাংলাদেশের ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ অ্যাথলেটদের।
সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে ন্যাশনাল গেমস ফর ডিজঅ্যাবিলিটিজ (এনজিডি) নাম পাল্টে নতুন নামকরণ করা হয় ন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি (এনপিসি)। একটা সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনেই ২০০৪ ও ২০০৮ প্যারালিম্পিকে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১২ প্যারালিম্পিকের আগে বাংলাদেশ থেকে চিঠি পাঠানো হয় এনজিডি ও এনপিসি—দুই সংগঠন থেকেই। নিজেদের ‘বৈধ’ দাবি করে দুই সংগঠনের চিঠিতে দ্বিধায় থাকা আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটির (আইপিসি) পক্ষ থেকে দ্রুতই সমস্যা সমাধানের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিল জাতীয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। সমস্যা খতিয়ে দেখতে তখন একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বর্তমানে এনপিসির মহাসচিবের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানের দাবি, তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে তখন বাংলাদেশের সদস্যপদ বাতিল করে দেয় আইপিসি।
‘তখনকার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি-মহাসচিব যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে এতটাই মতের অমিল ছিল যে তখন কেউ কারও কথা মানতেন না। তাঁদের কারণে আইপিসির সঙ্গে বেশ বড় দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। দুই-তিন বছর তাঁরা কোনো যোগাযোগই রাখেননি। এটার ফল হিসেবে আমাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়’—আজকের পত্রিকাকে বলেছেন প্যারালিম্পিক কমিটির মহাসচিব মাকসুদুর রহমান।
সদস্যপদ ফিরে পেতে আগামী দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করতে হবে জাতীয় প্যারালিম্পিক কমিটিকে। আগামী ২২ ডিসেম্বর জার্মানির বোনে হতে যাওয়া বার্ষিক সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম জমা দিতে হবে বাংলাদেশকে। সব প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আবারও সদস্যপদ ফিরে পাবে বাংলাদেশ।
এরপর প্যারালিম্পিক কমিটির অধীনে আর্চারি, ব্যাডমিন্টন মতো ছয়টি প্যারা ফেডারেশন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন এনপিসি মহাসচিব, ‘আইপিসির আদলে একটি সংবিধান তৈরি করাতে বলা হয়েছিল। সেটা তৈরি হয়ে গেছে। আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব মাসুদ করিম বলেছেন, ‘এটি পুরোপুরি প্যারালিম্পিক কমিটির বিষয়। নির্বাচন হলেই তাদের সমস্যা মিটবে।’
দুই সংগঠনের দ্বন্দ্ব আর কর্মকর্তাদের মতের অমিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ বাতিল হওয়ায় আসল ক্ষতিটা হয়েছে কাদের, এ প্রশ্নে প্যারা ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক তারকা শাটলার এনায়েত উল্লাহ খান বলছিলেন, ‘অলিম্পিকে বাংলাদেশ পদকের ধারে-কাছেও নেই। তবে প্যারালিম্পিকে আমাদের কয়েকজন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় আছে, যারা পদক এনে দিতে পারে। আগের তিন আসরে খেললে এত দিনে বাংলাদেশ হয়তো একটা পদক পেয়েও যেত।’
ডোপ নিষেধাজ্ঞায় নিষিদ্ধ দেশ রাশিয়ার অ্যাথলেটরা এবার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটি (আরওসি) নাম নিয়ে। বাংলাদেশের অ্যাথলেটরাও এভাবে হয়তো প্যারালিম্পিকে সুযোগ পেতেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের খেলতে হতো দুই থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। কোভিড জটিলতায় এ শর্ত পূরণ করতে না পারায় এবারও দর্শকই হয়ে থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’—সময় এখন সাবিনাদের জয়ধ্বনি করার। দেশের অন্যান্য খেলায় যখন হার আর হার, যখন হতাশার সাগরে ভাসছে ক্রিকেটও। তখন মেয়েদের ফুটবল ভেসেছে সাফল্যের উচ্ছ্বাসে।
২৮ মিনিট আগেকাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় আজ বাংলাদেশ নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে। নেপালের জন্য সেটা ছিল ‘প্রতিশোধের’ মিশন। রঙ্গশালায় শেষ হাসি হেসেছে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। নারী সাফের দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চায় বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বহু বাধা। কখনো দল নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় কারও বাগড়া, কখনো ড্রেসিংরুমে অশান্তির আগুন। মুখ বুঝেই সব সয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। শেষ পর্যন্ত গতকাল সাবিনারা ট্রফি হাতে নেওয়ার পরই বলে দিলেন গুডবাই। যদিও এই ইংলিশ কোচের সঙ্গে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম
২ ঘণ্টা আগেদুই বছর পর সেই কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আবারও নেপালকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতবারের মতো এবারও সাবিনা খাতুনদের বাংলাদেশ দলকে বরণ করা হবে ছাদখোলা বাসে।
৩ ঘণ্টা আগে