আবির আহসান রুদ্র
এআই চ্যাটবটের ব্যবহার দ্রুতই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। যেকোনো তথ্য জানতে এখন আর বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে ক্লান্ত হতে হয় না। নির্দিষ্ট বটে ঢুকে কমান্ড করলে মুহূর্তের মধ্য পাওয়া যাচ্ছে যেকোনো তথ্য। বর্তমানে বেশ কিছু এআই বট পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে জায়ান্ট হলো কোপাইলট, চ্যাটজিপিটি ও জেমিনি। ব্যবহার ও ফিচারের দিক বিবেচনায় এদের সবচেয়ে সেরাটি খুঁজে বের করা বেশ দুরূহ কাজ। কিন্তু এর মধ্যেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় শুরু হয়ে গেছে আলোচনা, এআই জগতে সেরা কে—কোপাইলট, চ্যাটজিপিটি নাকি জেমিনি?
কোপাইলট
মাইক্রোসফটের বিং, ওয়ান ড্রাইভ ও উইন্ডোজে সরাসরি কোপাইলটের সেবা পাওয়া যায়। এ ছাড়া মোবাইল অ্যাপ ও ব্রাউজ করে ব্যবহারের সুবিধাও আছে। অ্যাকাউন্ট না খুলে ব্যবহার করা গেলেও পুরো সেবা পেতে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। কোপাইলট সাধারণত বিংয়ের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। এআই থেকে পাওয়া সব তথ্যের সঙ্গে ওয়েবসাইটের লিংক সংযুক্ত করা থাকে, যাতে তথ্যগত বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। কোপাইলটে যে এআই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়, তা মূলত ওপেন এআইয়ের জিপিটি-৪ মডেল। তবে এর টুলগুলো বিভিন্ন দিক থেকে আলাদা। যেমন কোপাইলটের তিনটি চ্যাট সেটিং আউটপুট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সৃজনশীল, ভারসাম্যপূর্ণ ও কার্যকরী। মাইক্রোসফটের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হলে কোপাইলট তার খুবই পছন্দ হবে। এটি ওয়েবসাইট থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে আনার পাশাপাশি তথ্যের লিংকও সরবরাহ করে থাকে, যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
চ্যাটজিপিটি
জেনারেটিভ এআইয়ের জগতে চ্যাটজিপিটির নাম সবার ওপরেই থাকবে, এ আর নতুন কি। মূলত চ্যাটজিপিটির প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে এআইয়ের জগতে শুরু হয় বিপ্লব। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসেও চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা যায়। এর ফ্রি ভার্সনের সঙ্গে মাসে ২০ ডলারের বিনিময়ে নিবন্ধন করা ভার্সনের অনেক তফাত। ছবি জেনারেশন কিংবা ডকুমেন্ট স্ক্যানিংয়ের সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই নিবন্ধন করে নিতে হবে। নিবন্ধিত ভার্সনে বিভিন্ন গবেষণাপত্র যুক্ত করে প্রশ্ন করার সুবিধা রয়েছে। চ্যাটজিপিটি অন্যান্য এআই বট থেকে দ্রুত কাজ করে। তবে এটি কোপাইলটের মতো তথ্যের সঙ্গে লিংক সরবরাহ করে না। ফলে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে বেগ পেতে হয়। এতে সর্বাধুনিক এআই প্রযুক্তির সঙ্গে নিয়মিতভাবে নতুন ফিচার যুক্ত এবং আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাসিক নির্দিষ্ট অর্থ ব্যয় করে ব্যবহারের ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির চেয়ে ভালো বিকল্প নেই।
গুগলের জেমিনি
জেমিনি শুরুর দিকে গুগল বার্ড হিসেবে পরিচিত ছিল। ওয়েব ও অ্যাপ দুই মাধ্যমে জেমিনির সেবা পাওয়া যায়। অন্যদের মতো ফ্রি অথবা মাসিক ২০ ডলার খরচ করেও পাওয়া যাবে জেমিনির সেবা। অর্থ খরচ করলে গুগলের ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। মাসিক ফি প্রদান করলে পাওয়া যাবে নতুন ও স্মার্ট মডেলের সব সুবিধা। অনেক ক্ষেত্রে ফ্রি ভার্সনের সঙ্গে তেমন পার্থক্য না দেখা গেলেও কোডিং ও গণিতের ক্ষেত্রে সেটা ভালোভাবে টের পাওয়া যায়।
জেমিনির ইন্টারফেস অনেকটা চ্যাটজিপিটির মতোই। কোপাইলট ও মাইক্রোসফটের মতো গুগলের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করলে জেমিনি বেশ কার্যকর এআই টুল হিসেবে ভূমিকা রাখে। গুগল ডকস ও জিমেইলের ক্ষেত্রে বিষয়টি বোঝা যায়। চ্যাটজিপিটির মতো হলেও জেমিনি তুলনামূলকভাবে দক্ষ। তবে এর ভালো দিক হচ্ছে, এটি কোপাইলটের মতো তথ্যের উৎস জানিয়ে দেয়।
কোপাইলট, চ্যাটজিপিটি ও জেমিনি—তিনটি চ্যাটবটই ফ্রি ব্যবহার করা যায়। তবে ফ্রি ভার্সনে কোপাইলটের বেশি ফিচার পাওয়া যায়। অর্থ ব্যয় করলে চ্যাটজিপিটি মোটামুটি ভালো সেবা দেয়। গুগলের ভক্ত হলে চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন জেমিনি।
সূত্র: পপুলার সায়েন্স
এআই চ্যাটবটের ব্যবহার দ্রুতই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। যেকোনো তথ্য জানতে এখন আর বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে ক্লান্ত হতে হয় না। নির্দিষ্ট বটে ঢুকে কমান্ড করলে মুহূর্তের মধ্য পাওয়া যাচ্ছে যেকোনো তথ্য। বর্তমানে বেশ কিছু এআই বট পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে জায়ান্ট হলো কোপাইলট, চ্যাটজিপিটি ও জেমিনি। ব্যবহার ও ফিচারের দিক বিবেচনায় এদের সবচেয়ে সেরাটি খুঁজে বের করা বেশ দুরূহ কাজ। কিন্তু এর মধ্যেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় শুরু হয়ে গেছে আলোচনা, এআই জগতে সেরা কে—কোপাইলট, চ্যাটজিপিটি নাকি জেমিনি?
কোপাইলট
মাইক্রোসফটের বিং, ওয়ান ড্রাইভ ও উইন্ডোজে সরাসরি কোপাইলটের সেবা পাওয়া যায়। এ ছাড়া মোবাইল অ্যাপ ও ব্রাউজ করে ব্যবহারের সুবিধাও আছে। অ্যাকাউন্ট না খুলে ব্যবহার করা গেলেও পুরো সেবা পেতে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। কোপাইলট সাধারণত বিংয়ের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। এআই থেকে পাওয়া সব তথ্যের সঙ্গে ওয়েবসাইটের লিংক সংযুক্ত করা থাকে, যাতে তথ্যগত বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। কোপাইলটে যে এআই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়, তা মূলত ওপেন এআইয়ের জিপিটি-৪ মডেল। তবে এর টুলগুলো বিভিন্ন দিক থেকে আলাদা। যেমন কোপাইলটের তিনটি চ্যাট সেটিং আউটপুট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সৃজনশীল, ভারসাম্যপূর্ণ ও কার্যকরী। মাইক্রোসফটের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হলে কোপাইলট তার খুবই পছন্দ হবে। এটি ওয়েবসাইট থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে আনার পাশাপাশি তথ্যের লিংকও সরবরাহ করে থাকে, যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
চ্যাটজিপিটি
জেনারেটিভ এআইয়ের জগতে চ্যাটজিপিটির নাম সবার ওপরেই থাকবে, এ আর নতুন কি। মূলত চ্যাটজিপিটির প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে এআইয়ের জগতে শুরু হয় বিপ্লব। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসেও চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা যায়। এর ফ্রি ভার্সনের সঙ্গে মাসে ২০ ডলারের বিনিময়ে নিবন্ধন করা ভার্সনের অনেক তফাত। ছবি জেনারেশন কিংবা ডকুমেন্ট স্ক্যানিংয়ের সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই নিবন্ধন করে নিতে হবে। নিবন্ধিত ভার্সনে বিভিন্ন গবেষণাপত্র যুক্ত করে প্রশ্ন করার সুবিধা রয়েছে। চ্যাটজিপিটি অন্যান্য এআই বট থেকে দ্রুত কাজ করে। তবে এটি কোপাইলটের মতো তথ্যের সঙ্গে লিংক সরবরাহ করে না। ফলে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে বেগ পেতে হয়। এতে সর্বাধুনিক এআই প্রযুক্তির সঙ্গে নিয়মিতভাবে নতুন ফিচার যুক্ত এবং আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাসিক নির্দিষ্ট অর্থ ব্যয় করে ব্যবহারের ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির চেয়ে ভালো বিকল্প নেই।
গুগলের জেমিনি
জেমিনি শুরুর দিকে গুগল বার্ড হিসেবে পরিচিত ছিল। ওয়েব ও অ্যাপ দুই মাধ্যমে জেমিনির সেবা পাওয়া যায়। অন্যদের মতো ফ্রি অথবা মাসিক ২০ ডলার খরচ করেও পাওয়া যাবে জেমিনির সেবা। অর্থ খরচ করলে গুগলের ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। মাসিক ফি প্রদান করলে পাওয়া যাবে নতুন ও স্মার্ট মডেলের সব সুবিধা। অনেক ক্ষেত্রে ফ্রি ভার্সনের সঙ্গে তেমন পার্থক্য না দেখা গেলেও কোডিং ও গণিতের ক্ষেত্রে সেটা ভালোভাবে টের পাওয়া যায়।
জেমিনির ইন্টারফেস অনেকটা চ্যাটজিপিটির মতোই। কোপাইলট ও মাইক্রোসফটের মতো গুগলের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করলে জেমিনি বেশ কার্যকর এআই টুল হিসেবে ভূমিকা রাখে। গুগল ডকস ও জিমেইলের ক্ষেত্রে বিষয়টি বোঝা যায়। চ্যাটজিপিটির মতো হলেও জেমিনি তুলনামূলকভাবে দক্ষ। তবে এর ভালো দিক হচ্ছে, এটি কোপাইলটের মতো তথ্যের উৎস জানিয়ে দেয়।
কোপাইলট, চ্যাটজিপিটি ও জেমিনি—তিনটি চ্যাটবটই ফ্রি ব্যবহার করা যায়। তবে ফ্রি ভার্সনে কোপাইলটের বেশি ফিচার পাওয়া যায়। অর্থ ব্যয় করলে চ্যাটজিপিটি মোটামুটি ভালো সেবা দেয়। গুগলের ভক্ত হলে চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন জেমিনি।
সূত্র: পপুলার সায়েন্স
চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইয়িমিং। দেশটির ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই তালিকায় ৪৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ঝ্যাং। ২০২৩ সালের তুলনায় তা
১১ ঘণ্টা আগেগুগলের নতুন কোডগুলোর প্রায় এক–চতুর্থাংশের বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি। গত মঙ্গলবার কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এসব তথ্য জানায় সিইও সুন্দর পিচাই।
১৩ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সিস্টেমগুলোর জন্য ব্রডকম ও টিএসএমসি–এর সহযোগিতায় নিজস্ব চিপ তৈরি করছে ওপেনএআই। এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণের জন্য এনভিডিয়া ও এএমডি–এর চিপগুলোও ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেমেটা, টিকটক ও কোয়াইয় নামের চীনের শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে ব্রাজিলের ভোক্তা অধিকার গ্রুপ কালেকটিভ ডিফেন্স ইনস্টিটিউট। মামলার অভিযোগ বলা হয়, কোম্পানিগুলো অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মামলায় ৩ বিলিয়ন রেইস বা প্রায় ৫২৫ মি
১৬ ঘণ্টা আগে