মইনুল হাসান, ফ্রান্স
পৃথিবীতে খনিজ বিরল ধাতুর চাহিদা দিন দিন প্রায় গুণিতক হারে বাড়ছে; বিশেষ করে বিরল মৃত্তিকা ও প্ল্যাটিনাম গ্রুপের ধাতুগুলো চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম। ফলে এক কেজি রোডিয়ামের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বা দেড় কোটি টাকা। ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত এসব বহু মূল্যবান ধাতু প্রায় শেষ। নতুন কোনো উৎসের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
অথচ মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারে এসব ধাতুর বিকল্প আজও পাওয়া যায়নি বা উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। সাগর, মহাসাগরের তলদেশ ওলট-পালট করলে হয়তো কিছুটা মিলতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে বিশ্রী রকমের পরিবেশদূষণ ঘটবে।
মানুষের দৃষ্টি এখন মহাকাশে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ানো অযুত কোটি গ্রহাণুর দিকে। এসব গ্রহাণুর অনেকগুলোতে মজুত আছে বিপুল পরিমাণে বহু মূল্যবান ধাতু। আর তাই বেসরকারি উদ্যোগেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের বেশ কিছু স্টার্টআপ মহাকাশে ‘গ্রহাণু শিকার’-এর মহাপরিকল্পনা করেছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ, যুক্তরাজ্যের এস্ট্রয়েড মাইনিং করপোরেশন, জাপানের আই স্পেস ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাস্ট্রফর্জ। এ প্রতিষ্ঠান পৃথিবী থেকে ৩ কোটি কিলোমিটার বা ১ কোটি ৮৬ লাখ মাইল দূরের অপেক্ষাকৃত ছোট একটি গ্রহাণুকে নিশানা করেছে। তারা সেখানে নভোযান পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের এমন অভিযান হবে প্রথম বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত অভিযান।
মহাকাশে সম্পদ আহরণের দৌড়ে লুক্সেমবার্গ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান ও চীনও পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়। অথচ ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি অনুসারে কোনো জাতি এককভাবে মহাজাগতিক বস্তুর মালিকানা দাবি করতে পারবে না। মহাকাশের সব সম্পদ হবে বিশ্বমানবতার।
‘সাইকি-১৬’, আমাদের পৃথিবী থেকে ৪০ কোটি কিলোমিটার বা ২৫ কোটি মাইল দূরে ধাতব একটি গ্রহাণু। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে বহু গ্রহাণুর মধ্যে দানবাকৃতির ১০টি গ্রহাণুর এটি হচ্ছে একটি। ব্যাস প্রায় ২৩০ কিলোমিটার বা ১৪৩ মাইল। অন্যান্য সাধারণ গ্রহাণুর মতো এটি শুধু প্রস্তর, শিলা আর বরফে গঠিত নয়। পুরো গ্রহাণুর ৯০ শতাংশ ধাতব। জ্যোতিঃপদার্থবিদেরা অনেকটাই নিশ্চিত যে মহাকাশের এই প্লাটিনাম, নিকেল আর স্বর্ণের পর্বতের গ্রহাণুটিতে আরও রয়েছে বহু মূল্যবান ধাতুর বিশাল মজুত।
তাঁদের অনুমান সঠিক হলে, সাইকিতে সঞ্চিত মোট সম্পদ পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে ভাগ করে দিলে, প্রত্যেক মানুষের ভাগে পড়বে ১ হাজার ৪০০ কোটি ইউরো। এ বছর ৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রথমবারের মতো একটি অনুসন্ধানকারী নভোযান পাঠাতে যাচ্ছে গ্রহাণু সাইকির উদ্দেশে। সাইকির খুব কাছাকাছি কক্ষপথে পৌঁছাতে নভোযানটির সময় লেগে যাবে প্রায় চার বছর। আর ২১ মাস কক্ষপথে থেকে সাইকির বৈশিষ্ট্য, গঠন ইত্যাদি খুঁটিনাটি অনেক তথ্য-উপাত্ত, ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেবে মহাকাশযানটি।
সেই সব বিশ্লেষণ করে পৃথিবীতে বসেই বিজ্ঞানীরা এর গঠন, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাবেন। পরিমাপ করতে পারবেন সেখানকার মোট সম্পদের পরিমাণ। মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো মহামূল্যবান এসব গ্রহাণু থেকে সম্পদ আহরণের অসম্ভব কল্পনা করেছিলেন সেই বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ফরাসি কল্পবিজ্ঞান লেখক জুল ভার্ন (১৮২৮-১৯০৫)। তাঁর রচিত এবং ১৯০৮ সালে প্রকাশিত ‘উল্কাপিণ্ড শিকার’ গ্রন্থটিতে গল্পের ছলে খুব স্বচ্ছন্দে পাঠকদের সম্পদে ভরপুর উল্কাপিণ্ডের কথা বলেছেন। তখন তা ছিল নিছক কল্পকাহিনি। আজ তা বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে।
মহাকাশে গ্রহাণু গবেষণা এবং অভিযান নতুন মাত্রায় উন্নীত হতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে মহাকাশ থেকে বহু মালবাহী নভোযান বিভিন্ন গ্রহাণুতে যাওয়া-আসা করবে। পৃথিবীতে বয়ে আনবে বহু মূল্যবান ধাতু। মহাশূন্য মোটেই শূন্য নয়, অগণিত গ্রহাণুতে আছে অমূল্য সব সম্পদের সুবিশাল মজুত। একদিন হয়তো তা মানবকল্যাণে ব্যবহৃত হবে। তবে এই মুহূর্তে বিজ্ঞানীদের চোখ সম্পদের দিকে নয়, কেননা তাঁরা ভালোই জানেন যে জ্ঞানই হচ্ছে মহাসম্পদ।
পৃথিবীতে খনিজ বিরল ধাতুর চাহিদা দিন দিন প্রায় গুণিতক হারে বাড়ছে; বিশেষ করে বিরল মৃত্তিকা ও প্ল্যাটিনাম গ্রুপের ধাতুগুলো চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম। ফলে এক কেজি রোডিয়ামের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বা দেড় কোটি টাকা। ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত এসব বহু মূল্যবান ধাতু প্রায় শেষ। নতুন কোনো উৎসের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
অথচ মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারে এসব ধাতুর বিকল্প আজও পাওয়া যায়নি বা উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। সাগর, মহাসাগরের তলদেশ ওলট-পালট করলে হয়তো কিছুটা মিলতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে বিশ্রী রকমের পরিবেশদূষণ ঘটবে।
মানুষের দৃষ্টি এখন মহাকাশে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ানো অযুত কোটি গ্রহাণুর দিকে। এসব গ্রহাণুর অনেকগুলোতে মজুত আছে বিপুল পরিমাণে বহু মূল্যবান ধাতু। আর তাই বেসরকারি উদ্যোগেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের বেশ কিছু স্টার্টআপ মহাকাশে ‘গ্রহাণু শিকার’-এর মহাপরিকল্পনা করেছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ, যুক্তরাজ্যের এস্ট্রয়েড মাইনিং করপোরেশন, জাপানের আই স্পেস ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাস্ট্রফর্জ। এ প্রতিষ্ঠান পৃথিবী থেকে ৩ কোটি কিলোমিটার বা ১ কোটি ৮৬ লাখ মাইল দূরের অপেক্ষাকৃত ছোট একটি গ্রহাণুকে নিশানা করেছে। তারা সেখানে নভোযান পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের এমন অভিযান হবে প্রথম বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত অভিযান।
মহাকাশে সম্পদ আহরণের দৌড়ে লুক্সেমবার্গ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান ও চীনও পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়। অথচ ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি অনুসারে কোনো জাতি এককভাবে মহাজাগতিক বস্তুর মালিকানা দাবি করতে পারবে না। মহাকাশের সব সম্পদ হবে বিশ্বমানবতার।
‘সাইকি-১৬’, আমাদের পৃথিবী থেকে ৪০ কোটি কিলোমিটার বা ২৫ কোটি মাইল দূরে ধাতব একটি গ্রহাণু। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে বহু গ্রহাণুর মধ্যে দানবাকৃতির ১০টি গ্রহাণুর এটি হচ্ছে একটি। ব্যাস প্রায় ২৩০ কিলোমিটার বা ১৪৩ মাইল। অন্যান্য সাধারণ গ্রহাণুর মতো এটি শুধু প্রস্তর, শিলা আর বরফে গঠিত নয়। পুরো গ্রহাণুর ৯০ শতাংশ ধাতব। জ্যোতিঃপদার্থবিদেরা অনেকটাই নিশ্চিত যে মহাকাশের এই প্লাটিনাম, নিকেল আর স্বর্ণের পর্বতের গ্রহাণুটিতে আরও রয়েছে বহু মূল্যবান ধাতুর বিশাল মজুত।
তাঁদের অনুমান সঠিক হলে, সাইকিতে সঞ্চিত মোট সম্পদ পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে ভাগ করে দিলে, প্রত্যেক মানুষের ভাগে পড়বে ১ হাজার ৪০০ কোটি ইউরো। এ বছর ৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রথমবারের মতো একটি অনুসন্ধানকারী নভোযান পাঠাতে যাচ্ছে গ্রহাণু সাইকির উদ্দেশে। সাইকির খুব কাছাকাছি কক্ষপথে পৌঁছাতে নভোযানটির সময় লেগে যাবে প্রায় চার বছর। আর ২১ মাস কক্ষপথে থেকে সাইকির বৈশিষ্ট্য, গঠন ইত্যাদি খুঁটিনাটি অনেক তথ্য-উপাত্ত, ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেবে মহাকাশযানটি।
সেই সব বিশ্লেষণ করে পৃথিবীতে বসেই বিজ্ঞানীরা এর গঠন, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাবেন। পরিমাপ করতে পারবেন সেখানকার মোট সম্পদের পরিমাণ। মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো মহামূল্যবান এসব গ্রহাণু থেকে সম্পদ আহরণের অসম্ভব কল্পনা করেছিলেন সেই বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ফরাসি কল্পবিজ্ঞান লেখক জুল ভার্ন (১৮২৮-১৯০৫)। তাঁর রচিত এবং ১৯০৮ সালে প্রকাশিত ‘উল্কাপিণ্ড শিকার’ গ্রন্থটিতে গল্পের ছলে খুব স্বচ্ছন্দে পাঠকদের সম্পদে ভরপুর উল্কাপিণ্ডের কথা বলেছেন। তখন তা ছিল নিছক কল্পকাহিনি। আজ তা বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে।
মহাকাশে গ্রহাণু গবেষণা এবং অভিযান নতুন মাত্রায় উন্নীত হতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে মহাকাশ থেকে বহু মালবাহী নভোযান বিভিন্ন গ্রহাণুতে যাওয়া-আসা করবে। পৃথিবীতে বয়ে আনবে বহু মূল্যবান ধাতু। মহাশূন্য মোটেই শূন্য নয়, অগণিত গ্রহাণুতে আছে অমূল্য সব সম্পদের সুবিশাল মজুত। একদিন হয়তো তা মানবকল্যাণে ব্যবহৃত হবে। তবে এই মুহূর্তে বিজ্ঞানীদের চোখ সম্পদের দিকে নয়, কেননা তাঁরা ভালোই জানেন যে জ্ঞানই হচ্ছে মহাসম্পদ।
চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইয়িমিং। দেশটির ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই তালিকায় ৪৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ঝ্যাং। ২০২৩ সালের তুলনায় তা
১১ ঘণ্টা আগেগুগলের নতুন কোডগুলোর প্রায় এক–চতুর্থাংশের বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি। গত মঙ্গলবার কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এসব তথ্য জানায় সিইও সুন্দর পিচাই।
১৩ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সিস্টেমগুলোর জন্য ব্রডকম ও টিএসএমসি–এর সহযোগিতায় নিজস্ব চিপ তৈরি করছে ওপেনএআই। এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণের জন্য এনভিডিয়া ও এএমডি–এর চিপগুলোও ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেমেটা, টিকটক ও কোয়াইয় নামের চীনের শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে ব্রাজিলের ভোক্তা অধিকার গ্রুপ কালেকটিভ ডিফেন্স ইনস্টিটিউট। মামলার অভিযোগ বলা হয়, কোম্পানিগুলো অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মামলায় ৩ বিলিয়ন রেইস বা প্রায় ৫২৫ মি
১৬ ঘণ্টা আগে