অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড সার্কিট কোর্ট গতকাল বুধবার (৪ আগস্ট) ইন্টারনেট আর্কাইভের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। আদালত ইন্টারনেট আর্কাইভের বই ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পকে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে তাদের আপিল নাকচ করেছে। এই রায় ইন্টারনেট আর্কাইভের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এবং ডিজিটাল লাইব্রেরির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ইন্টারনেট আর্কাইভ আদালতে বিষয়টিকে সাধারণত লাইব্রেরিগুলো যেভাবে পাঠকদের বই ধার দেয় তার সঙ্গে তুলনা করে এটিকে ‘অনলাইনে বইয়ের নিয়ন্ত্রিত ধার দেওয়া’ বলে অভিহিত করে। তাদের দাবি, এই পদ্ধতি বইয়ের ‘ন্যায্য ব্যবহারের’ যুক্তি অনুসরণ করে। তবে সেই যুক্তিকে ‘অসমর্থনীয়’ বলে উল্লেখ করে আদালত।
২০২০ সালের মার্চে ইন্টারনেট আর্কাইভ ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি লাইব্রেরি’ বা এনইএল নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করে। সেসময় করোনা মহামারিতে লাইব্রেরি বন্ধের কারণে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী, গবেষক, এবং সাধারণ পাঠক বই পড়তে পারছিলেন না। ইন্টারনেট আর্কাইভ বলছে, তারা নিয়মিত মানুষ ও অন্যান্য লাইব্রেরিয়ানদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাড়িতে থাকা মানুষদের প্রয়োজনীয় বইগুলো পড়তে সাহায্য করছিলেন।
এনইএল–এ একটি ডিজিটাল বই ধার দেওয়ার শাখা রয়েছে, যা ‘ওপেন লাইব্রেরি’ নামে পরিচিত। এই প্রকল্পে ইন্টারনেট আর্কাইভ লাইব্রেরির বইগুলো কপিগুলোকে স্ক্যান করে এবং মানুষকে ডিজিটাল কপিগুলো ধার দেয়। ২০২০ সালে ইন্টারনেট আর্কাইভ একসঙ্গে কতজন একটি বই ধার নিতে পারবে তার সীমা তুলে নেয়। এরপরই ১২৭ টিরও বেশি বই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হাশেটে বুক গ্রুপ, হারপার কলিন্স, জন ওয়াইলি অ্যান্ড সন্স ও পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস মামলা করেছিল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত প্রকাশকদের পক্ষে রায় দিয়েছে। হাশেট বনাম ইন্টারনেট আর্কাইভ মামলায় প্রাথমিক রায়ের পরে পক্ষগুলো শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা করেছে। এসব শর্তাবলির বিস্তারিত প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এরপরও আদলতে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছিল ইন্টারনেট আর্কাইভ।
এক বিবৃতিতে ইন্টারনেট আর্কাইভের লাইব্রেরি সার্ভিসের পরিচালক ক্রিস ফ্রিল্যান্ড বলেন, ‘ইন্টারনেট আর্কাইভের ডিজিটাল ঋণদান সম্পর্কে আজকের রায়ে আমরা হতাশ। এই সুবিধা অন্যান্য স্থানেও পাওয়া যায়। আমরা আদালতের রায় পর্যালোচনা করছি এবং লাইব্রেরিগুলোর বই মালিকানা, ঋণদান এবং সংরক্ষণের অধিকার রক্ষায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
ইন্টারনেট আর্কাইভ আরও বেশ কিছু আইনি জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ ও সোনির মতো কিছু মিউজিক লেবেল একটি কপিরাইট লঙ্ঘন মামলা দায়ের করেছে ইন্টারনেট আর্কাইভের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনো আদালতে চলমান। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইন্টারনেট আর্কাইভকে ৪০ কোটি ডলার পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। এটি অলাভজনক সংস্থাটির অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
কপিরাইট আইনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে নতুন রায়টি দেয়া হল। গত দুই বছরে অনেক বড় এআই কোম্পানির বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়া এমন এক সময়ে এই রায় হয়েছে, যখন ইন্টারনেট আর্কাইভের ডিজিটাল সংরক্ষণে বিশাল গুরুত্ব স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। আর্কাইভের ওয়েবব্যাক মেশিন ওয়েবসাইটগুলোর কপি তালিকাভুক্ত করে। এটি সাংবাদিক, গবেষক, আইনজীবী এবং ইন্টারনেট ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী যে কারও জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল হয়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র: ওয়্যারড
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড সার্কিট কোর্ট গতকাল বুধবার (৪ আগস্ট) ইন্টারনেট আর্কাইভের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। আদালত ইন্টারনেট আর্কাইভের বই ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পকে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে তাদের আপিল নাকচ করেছে। এই রায় ইন্টারনেট আর্কাইভের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এবং ডিজিটাল লাইব্রেরির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ইন্টারনেট আর্কাইভ আদালতে বিষয়টিকে সাধারণত লাইব্রেরিগুলো যেভাবে পাঠকদের বই ধার দেয় তার সঙ্গে তুলনা করে এটিকে ‘অনলাইনে বইয়ের নিয়ন্ত্রিত ধার দেওয়া’ বলে অভিহিত করে। তাদের দাবি, এই পদ্ধতি বইয়ের ‘ন্যায্য ব্যবহারের’ যুক্তি অনুসরণ করে। তবে সেই যুক্তিকে ‘অসমর্থনীয়’ বলে উল্লেখ করে আদালত।
২০২০ সালের মার্চে ইন্টারনেট আর্কাইভ ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি লাইব্রেরি’ বা এনইএল নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করে। সেসময় করোনা মহামারিতে লাইব্রেরি বন্ধের কারণে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী, গবেষক, এবং সাধারণ পাঠক বই পড়তে পারছিলেন না। ইন্টারনেট আর্কাইভ বলছে, তারা নিয়মিত মানুষ ও অন্যান্য লাইব্রেরিয়ানদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাড়িতে থাকা মানুষদের প্রয়োজনীয় বইগুলো পড়তে সাহায্য করছিলেন।
এনইএল–এ একটি ডিজিটাল বই ধার দেওয়ার শাখা রয়েছে, যা ‘ওপেন লাইব্রেরি’ নামে পরিচিত। এই প্রকল্পে ইন্টারনেট আর্কাইভ লাইব্রেরির বইগুলো কপিগুলোকে স্ক্যান করে এবং মানুষকে ডিজিটাল কপিগুলো ধার দেয়। ২০২০ সালে ইন্টারনেট আর্কাইভ একসঙ্গে কতজন একটি বই ধার নিতে পারবে তার সীমা তুলে নেয়। এরপরই ১২৭ টিরও বেশি বই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হাশেটে বুক গ্রুপ, হারপার কলিন্স, জন ওয়াইলি অ্যান্ড সন্স ও পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস মামলা করেছিল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত প্রকাশকদের পক্ষে রায় দিয়েছে। হাশেট বনাম ইন্টারনেট আর্কাইভ মামলায় প্রাথমিক রায়ের পরে পক্ষগুলো শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা করেছে। এসব শর্তাবলির বিস্তারিত প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এরপরও আদলতে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছিল ইন্টারনেট আর্কাইভ।
এক বিবৃতিতে ইন্টারনেট আর্কাইভের লাইব্রেরি সার্ভিসের পরিচালক ক্রিস ফ্রিল্যান্ড বলেন, ‘ইন্টারনেট আর্কাইভের ডিজিটাল ঋণদান সম্পর্কে আজকের রায়ে আমরা হতাশ। এই সুবিধা অন্যান্য স্থানেও পাওয়া যায়। আমরা আদালতের রায় পর্যালোচনা করছি এবং লাইব্রেরিগুলোর বই মালিকানা, ঋণদান এবং সংরক্ষণের অধিকার রক্ষায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
ইন্টারনেট আর্কাইভ আরও বেশ কিছু আইনি জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ ও সোনির মতো কিছু মিউজিক লেবেল একটি কপিরাইট লঙ্ঘন মামলা দায়ের করেছে ইন্টারনেট আর্কাইভের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনো আদালতে চলমান। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইন্টারনেট আর্কাইভকে ৪০ কোটি ডলার পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। এটি অলাভজনক সংস্থাটির অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
কপিরাইট আইনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে নতুন রায়টি দেয়া হল। গত দুই বছরে অনেক বড় এআই কোম্পানির বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়া এমন এক সময়ে এই রায় হয়েছে, যখন ইন্টারনেট আর্কাইভের ডিজিটাল সংরক্ষণে বিশাল গুরুত্ব স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। আর্কাইভের ওয়েবব্যাক মেশিন ওয়েবসাইটগুলোর কপি তালিকাভুক্ত করে। এটি সাংবাদিক, গবেষক, আইনজীবী এবং ইন্টারনেট ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী যে কারও জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল হয়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র: ওয়্যারড
প্রযুক্তির জগতে উদ্ভাবনের জোয়ারে এসেছে একটি নতুন ধরনের ফোন নিয়ে এসেছে নাথিং কোম্পানি। ‘ফোন ২এ প্লাসের একটি বিশেষ সংস্করণ’ নিয়ে এসেছে নাথিং। এই সংস্করণে ‘গ্লো-ইন-দ্য ডার্ক’ ডিজাইন যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ফোনের স্ক্রিন বন্ধ থাকলেও অন্ধকার জ্বলজ্বল করবে এই ফোন। ফলে অন্ধকার ঘরে বা রাতের বেলা খুব সহজেই ফ
২ ঘণ্টা আগেমানুষের মতো সহজে মনের কথা বুঝতে পারে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুল। এ জন্য কাজ সম্পাদনের এসব টুলের সঙ্গে অন্যভাবে যোগাযোগ করতে হয়। তাই এআই মডেল ব্যবহারের সময় এই যোগাযোগের জন্য ‘প্রম্পট’ ব্যবহার করা হয়। চ্যাটবটের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য এই ইনপুট ব্যবহার করতে হয়। প্রম্পটিং হলো এআই-এর
৪ ঘণ্টা আগেচীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইয়িমিং। দেশটির ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই তালিকায় ৪৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ঝ্যাং। ২০২৩ সালের তুলনায় তা
১ দিন আগেগুগলের নতুন কোডগুলোর প্রায় এক–চতুর্থাংশের বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি। গত মঙ্গলবার কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এসব তথ্য জানায় সিইও সুন্দর পিচাই।
১ দিন আগে