নাহিদ ইসলাম
নতুন ব্যবসা শুরু হোক কিংবা পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং, আজকাল মেটা মার্কেটিংয়ের বিকল্প নেই। ব্যবসার অনলাইন পরিচিতি না থাকলে এখন অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। করোনা মহামারির পর আমাদের দেশে এফ-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কেবল ফেসবুক পেজ আর গ্রুপ দিয়ে অনেকে নিজের পণ্য ও সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এখন। মানুষের আস্থাও অর্জন করছে। এখন ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসেও যেকোনো পণ্য কেনাবেচা করা যায়। মেটা মার্কেটিং ভালো জানা থাকলে সহজে ফেসবুকে ব্যবসা শুরু করা যায়।
মেটার দুনিয়া কত বড়
অনলাইন পোর্টাল ‘স্ট্যাটিস্টা’ থেকে জানা যায়, এ বছরের মে মাস পর্যন্ত ফেসবুকের সক্রিয় ইউজার সংখ্যা ছিল ২৯০ কোটি। আর এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৫৬ লাখ। এ সংখ্যা বাংলাদেশকে পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফেসবুক ইনকরপোরেটেড (মেটা) ২০১২ সালে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে কিনে নেয়। এরপর ২০১৪ সালে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। একই বছর প্রতিষ্ঠানটি কেনে ওকুলাস ভিআর, ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে।
পৃথিবীতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান গুগল। তার পরেই প্রভাবশালী ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জগতে এই দুটি প্ল্যাটফর্মের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
৬ নভেম্বর ২০০৭ সালে ফেসবুক অ্যাডস চালু হয় এবং ইনস্টাগ্রামে অ্যাডস চালু হয় অক্টোবর, ২০১৫ সাল থেকে। বর্তমানে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ অর্থাৎ মেটার সব প্ল্যাটফর্মেই পেইড মার্কেটিং করা যায়। স্ট্যাটিস্টার তথ্যমতে, মেটা ২০২৩ সালে পৃথিবীতে বিজ্ঞাপনসেবা দিয়ে ১৩ হাজার ১৯৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করে। ২০২২ সালে তাদের আয় ছিল ১১ হাজার ৩৬৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরে আয় বেড়েছে ১৬ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর পেইড মার্কেটিং থেকে তাদের আয় ১৫ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কেবল আয় প্রবৃদ্ধির হার দেখেই বোঝা যায়, মেটা মার্কেটিং আজকের দিনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক।
মেটা মার্কেটিংয়ে চাকরির সুবিধা
মেটা মার্কেটিংয়ের চাকরির জন্য সশরীরে অফিসে না গেলেও চলে। এটি রিমোট স্কিল। নিজের ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো প্রতিষ্ঠানে মেটা মার্কেটার হিসেবে কাজ করা সম্ভব। গত পাঁচ বছরে আমাদের দেশের চাকরির বাজারে মেটা মার্কেটিয়ারের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখলেই তা বোঝা যায়।
যেহেতু মেটা মার্কেটিং একটি রিমোট স্কিল, তাই ফ্রিল্যান্সারদের মাঝেও অন্যান্য স্কিল থেকে এটি বেশি জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে মেটা মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে ভালো আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া ইউটিউবের মতো ফেসবুক পেজে ভিডিও শেয়ার করে এবং ফেসবুক কনটেন্ট পেজ মনিটাইজেশন করে ডলার আয় করা সম্ভব। তাই ভালো ক্যারিয়ার, নিজের ব্যবসা কিংবা পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করতে চাইলে মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে জানা জরুরি। মেটা মার্কেটিং একটি পরিবর্তনশীল দক্ষতা। প্রতিনিয়ত মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে, নানা রকম পরিবর্তন আসছে, আপডেট হচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে সব সময় আপডেট থাকার কোনো বিকল্প নেই।
মেটাতেই ভবিষ্যৎ
দেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার মেটা মার্কেটিং। ছোট কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ কিংবা এসএমই—সবাই এখন মেটা মার্কেটিং করছে। ছোট-বড় সব ব্যবসা মেটা অ্যাডস দিয়ে খুব সহজে পরিচিতি পেতে পারে। আর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তা দেখে নিশ্চিন্তে বলা যায়, নিকট ভবিষ্যতে দেশে মেটা মার্কেটিয়ারের চাহিদা বাড়তেই থাকবে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অভিজ্ঞরা ধারণা করছেন, আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে মফস্বলের মুদিদোকানেরও একটা অনলাইন পরিচিতি তৈরি হয়ে যাবে। দেশে যেহেতু অন্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারী সংখ্যায় বেশি, তাই বিকাশমান অনলাইন অর্থনীতিতে মেটা মার্কেটিং বিশাল একটি ভূমিকা পালন করবে।
তথ্যসূত্র: স্ট্যাটিস্টা
নতুন ব্যবসা শুরু হোক কিংবা পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং, আজকাল মেটা মার্কেটিংয়ের বিকল্প নেই। ব্যবসার অনলাইন পরিচিতি না থাকলে এখন অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। করোনা মহামারির পর আমাদের দেশে এফ-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কেবল ফেসবুক পেজ আর গ্রুপ দিয়ে অনেকে নিজের পণ্য ও সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এখন। মানুষের আস্থাও অর্জন করছে। এখন ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসেও যেকোনো পণ্য কেনাবেচা করা যায়। মেটা মার্কেটিং ভালো জানা থাকলে সহজে ফেসবুকে ব্যবসা শুরু করা যায়।
মেটার দুনিয়া কত বড়
অনলাইন পোর্টাল ‘স্ট্যাটিস্টা’ থেকে জানা যায়, এ বছরের মে মাস পর্যন্ত ফেসবুকের সক্রিয় ইউজার সংখ্যা ছিল ২৯০ কোটি। আর এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৫৬ লাখ। এ সংখ্যা বাংলাদেশকে পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফেসবুক ইনকরপোরেটেড (মেটা) ২০১২ সালে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে কিনে নেয়। এরপর ২০১৪ সালে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। একই বছর প্রতিষ্ঠানটি কেনে ওকুলাস ভিআর, ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে।
পৃথিবীতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান গুগল। তার পরেই প্রভাবশালী ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জগতে এই দুটি প্ল্যাটফর্মের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
৬ নভেম্বর ২০০৭ সালে ফেসবুক অ্যাডস চালু হয় এবং ইনস্টাগ্রামে অ্যাডস চালু হয় অক্টোবর, ২০১৫ সাল থেকে। বর্তমানে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ অর্থাৎ মেটার সব প্ল্যাটফর্মেই পেইড মার্কেটিং করা যায়। স্ট্যাটিস্টার তথ্যমতে, মেটা ২০২৩ সালে পৃথিবীতে বিজ্ঞাপনসেবা দিয়ে ১৩ হাজার ১৯৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করে। ২০২২ সালে তাদের আয় ছিল ১১ হাজার ৩৬৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরে আয় বেড়েছে ১৬ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর পেইড মার্কেটিং থেকে তাদের আয় ১৫ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কেবল আয় প্রবৃদ্ধির হার দেখেই বোঝা যায়, মেটা মার্কেটিং আজকের দিনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক।
মেটা মার্কেটিংয়ে চাকরির সুবিধা
মেটা মার্কেটিংয়ের চাকরির জন্য সশরীরে অফিসে না গেলেও চলে। এটি রিমোট স্কিল। নিজের ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো প্রতিষ্ঠানে মেটা মার্কেটার হিসেবে কাজ করা সম্ভব। গত পাঁচ বছরে আমাদের দেশের চাকরির বাজারে মেটা মার্কেটিয়ারের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখলেই তা বোঝা যায়।
যেহেতু মেটা মার্কেটিং একটি রিমোট স্কিল, তাই ফ্রিল্যান্সারদের মাঝেও অন্যান্য স্কিল থেকে এটি বেশি জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে মেটা মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে ভালো আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া ইউটিউবের মতো ফেসবুক পেজে ভিডিও শেয়ার করে এবং ফেসবুক কনটেন্ট পেজ মনিটাইজেশন করে ডলার আয় করা সম্ভব। তাই ভালো ক্যারিয়ার, নিজের ব্যবসা কিংবা পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করতে চাইলে মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে জানা জরুরি। মেটা মার্কেটিং একটি পরিবর্তনশীল দক্ষতা। প্রতিনিয়ত মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে, নানা রকম পরিবর্তন আসছে, আপডেট হচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে সব সময় আপডেট থাকার কোনো বিকল্প নেই।
মেটাতেই ভবিষ্যৎ
দেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার মেটা মার্কেটিং। ছোট কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ কিংবা এসএমই—সবাই এখন মেটা মার্কেটিং করছে। ছোট-বড় সব ব্যবসা মেটা অ্যাডস দিয়ে খুব সহজে পরিচিতি পেতে পারে। আর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তা দেখে নিশ্চিন্তে বলা যায়, নিকট ভবিষ্যতে দেশে মেটা মার্কেটিয়ারের চাহিদা বাড়তেই থাকবে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অভিজ্ঞরা ধারণা করছেন, আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে মফস্বলের মুদিদোকানেরও একটা অনলাইন পরিচিতি তৈরি হয়ে যাবে। দেশে যেহেতু অন্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারী সংখ্যায় বেশি, তাই বিকাশমান অনলাইন অর্থনীতিতে মেটা মার্কেটিং বিশাল একটি ভূমিকা পালন করবে।
তথ্যসূত্র: স্ট্যাটিস্টা
২০৩০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ৮ মিলিয়ন দক্ষ আইটি পেশাদার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আজ শনিবার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ: দ্য ইমার্জিং আইসিটি পাওয়ার হাউস’ শীর্ষক এক সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ...
১০ ঘণ্টা আগেচলতি বছরে স্মার্টফোন শিল্প অত্যন্ত উদ্ভাবনমুখী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডিভাইসগুলোতে উন্নত ক্যামেরা, বিশেষ এআই ফিচারের পাশাপাশি শক্তিশালী ও বড় আকারের ব্যাটারি দেখতে পাওয়া যাবে। ফ্ল্যাগশিপ ফোন থেকে বাজেট স্মার্টফোনেও এই ধরনের শক্তিশালী ব্যাটারি থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগেগরম খাবার খেতে গিয়ে জিভ পুড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কম বেশি সবারই রয়েছে। আবার ব্যস্ততার সময় ফুঁ দিয়ে খাবার বা পানীয় ঠান্ডা করাও একটি বিরক্তির বিষয়। তবে এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ‘নেকোজিতা ক্যাট ফুফু’ নামের ছোট একটি বিড়াল রোবট তৈরি করেছে জাপানের ইয়ুকাই ইঞ্জিনিয়ারিং স্টার্টআপ। কফি, স্যুপ বা অন্য কোনো গরম
১৯ ঘণ্টা আগেচলমান তদন্তের অংশ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি এক্স (সাবেক টুইটার)–এর কাছে অ্যাপটির অ্যালগরিদম সিস্টেমের কার্যকারিতা সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। বিশেষত, অ্যালগরিদমের মধ্যে সম্প্রতি যে কোনো পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চেয়েছে কমিশন।
১ দিন আগে