মইনুল হাসান, ফ্রান্স
১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুতনিক-১ দিয়ে মহাকাশে মহাযাত্রা রুশেরাই প্রথম শুরু করে। ২১ দিন পর ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে পৃথিবীর সঙ্গে স্পুতনিকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মোট ১ হাজার ৪৪০ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে কৃত্রিম উপগ্রহের যুগের সূচনা করেছিল মানুষের তৈরি ৮৬ দশমিক ৬ কিলোগ্রাম বা ১৮৪ পাউন্ডের এই যন্ত্র। ঠিক চার মাস পরে, ৪ জানুয়ারি পৃথিবীতে ফিরে আসার পথে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে পুড়ে মহাকাশেই বিলীন হয়ে যায় স্পুতনিক-১।
সে-ও প্রায় ৬৬ বছর আগের কথা। ইতিমধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে। এ বছরের ৪ মে ‘অরবিটিং নাউ’ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের মোট ৪০ দেশের প্রায় ৭ হাজার ৭০২টি সক্রিয় কৃত্রিম উপগ্রহ তালিকাভুক্ত করেছে। এগুলোর অধিকাংশই নিম্ন কক্ষপথে, অর্থাৎ ২০০ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার বা ১২৪ থেকে ১ হাজার ২০০ মাইল উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। সাধারণত একটি কৃত্রিম উপগ্রহ গড়ে ১৫ বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। এরপর তা অকেজো বা মৃত উপগ্রহে পরিণত হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মেয়াদোত্তীর্ণ মৃত উপগ্রহগুলোর ভাগ্যে কী ঘটে?
স্পুতনিক-১-এর মতোই নিম্ন কক্ষপথের কিছু কিছু উপগ্রহের যন্ত্রাংশ পৃথিবীতে ফিরে আসার পথে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতেই বাতাসের সংস্পর্শে উত্তপ্ত হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যেগুলো কক্ষপথে থেকে যায়, সেগুলোর কিছু অক্ষত থাকে। আবার কিছু চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে। সব সময় এমন ঘূর্ণমান বস্তুর সংখ্যা কোটির ঘর ছাড়িয়ে গেছে বহু আগে। এগুলো ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বা ১৭ হাজার ৪০০ মাইল, অর্থাৎ শব্দের গতির চেয়ে প্রায় ২৩ গুণ বেশি গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলছে। গতির এমন তীব্রতায় প্রতিটি ছুটন্ত বস্তু সত্যিকার অর্থে ভীষণ বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার বা ২২ হাজার মাইল উচ্চতায় ভূ-সমলয় কক্ষপথে থাকা অকেজো উপগ্রহগুলোকে সেখান থেকে আরও প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বা ১৮৬ মাইল দূরত্বে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই কক্ষপথের নাম দেওয়া হয়েছে মৃত কৃত্রিম উপগ্রহের ‘সমাধিক্ষেত্র’ বা ‘শ্মশান’।
এদিকে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ২০২৬ সালে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পরিভ্রমণরত ১১২ কিলোগ্রাম বা ২৪৭ পাউন্ড ওজনের ভেসপা নামের অকেজো কৃত্রিম উপগ্রহটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য সুইজারল্যান্ডের একটি স্টার্টআপ ক্লিয়ার স্পেসের সঙ্গে ১১ কোটি ইউরোর এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মহাশূন্যে অচল কৃত্রিম উপগ্রহ অপসারণের এমন জটিল মিশন এটাই হবে প্রথম।
১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুতনিক-১ দিয়ে মহাকাশে মহাযাত্রা রুশেরাই প্রথম শুরু করে। ২১ দিন পর ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে পৃথিবীর সঙ্গে স্পুতনিকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মোট ১ হাজার ৪৪০ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে কৃত্রিম উপগ্রহের যুগের সূচনা করেছিল মানুষের তৈরি ৮৬ দশমিক ৬ কিলোগ্রাম বা ১৮৪ পাউন্ডের এই যন্ত্র। ঠিক চার মাস পরে, ৪ জানুয়ারি পৃথিবীতে ফিরে আসার পথে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে পুড়ে মহাকাশেই বিলীন হয়ে যায় স্পুতনিক-১।
সে-ও প্রায় ৬৬ বছর আগের কথা। ইতিমধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে। এ বছরের ৪ মে ‘অরবিটিং নাউ’ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের মোট ৪০ দেশের প্রায় ৭ হাজার ৭০২টি সক্রিয় কৃত্রিম উপগ্রহ তালিকাভুক্ত করেছে। এগুলোর অধিকাংশই নিম্ন কক্ষপথে, অর্থাৎ ২০০ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার বা ১২৪ থেকে ১ হাজার ২০০ মাইল উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। সাধারণত একটি কৃত্রিম উপগ্রহ গড়ে ১৫ বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। এরপর তা অকেজো বা মৃত উপগ্রহে পরিণত হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মেয়াদোত্তীর্ণ মৃত উপগ্রহগুলোর ভাগ্যে কী ঘটে?
স্পুতনিক-১-এর মতোই নিম্ন কক্ষপথের কিছু কিছু উপগ্রহের যন্ত্রাংশ পৃথিবীতে ফিরে আসার পথে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতেই বাতাসের সংস্পর্শে উত্তপ্ত হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যেগুলো কক্ষপথে থেকে যায়, সেগুলোর কিছু অক্ষত থাকে। আবার কিছু চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে। সব সময় এমন ঘূর্ণমান বস্তুর সংখ্যা কোটির ঘর ছাড়িয়ে গেছে বহু আগে। এগুলো ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বা ১৭ হাজার ৪০০ মাইল, অর্থাৎ শব্দের গতির চেয়ে প্রায় ২৩ গুণ বেশি গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলছে। গতির এমন তীব্রতায় প্রতিটি ছুটন্ত বস্তু সত্যিকার অর্থে ভীষণ বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার বা ২২ হাজার মাইল উচ্চতায় ভূ-সমলয় কক্ষপথে থাকা অকেজো উপগ্রহগুলোকে সেখান থেকে আরও প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বা ১৮৬ মাইল দূরত্বে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই কক্ষপথের নাম দেওয়া হয়েছে মৃত কৃত্রিম উপগ্রহের ‘সমাধিক্ষেত্র’ বা ‘শ্মশান’।
এদিকে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ২০২৬ সালে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পরিভ্রমণরত ১১২ কিলোগ্রাম বা ২৪৭ পাউন্ড ওজনের ভেসপা নামের অকেজো কৃত্রিম উপগ্রহটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য সুইজারল্যান্ডের একটি স্টার্টআপ ক্লিয়ার স্পেসের সঙ্গে ১১ কোটি ইউরোর এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মহাশূন্যে অচল কৃত্রিম উপগ্রহ অপসারণের এমন জটিল মিশন এটাই হবে প্রথম।
ওপেনএআই-এর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যানথ্রোপিক–এ আরও ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি আমাজন। বড় প্রযুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (জেনএআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার কারণে ই-কমার্স জায়ান্টটি এই বিনিয়োগ করেছে। সং
১ ঘণ্টা আগেএক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
১৯ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
২০ ঘণ্টা আগে