চিন্তার মাধ্যমে মাউস নিয়ন্ত্রণ করছেন মস্তিষ্কে নিউরালিংকের চিপ বসানো প্রথম ব্যক্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২: ৪৯

মস্তিষ্কে চিপ (ব্রেইন চিপ) বসানো প্রথম মানব পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার মাউসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। এমনটাই জানিয়েছেন নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক টুইটে গত সোমবার এই ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গত জানুয়ারিতে মানুষের মস্তিষ্কে প্রথমবারের মতো চিপ স্থাপন করে নিউরালিংক। ইলন মাস্ক বলেন, ‘কোনো খারাপ প্রভাব ছাড়াই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শুধু চিন্তার মাধ্যমেই ওই ব্যক্তি মাউসের কারসর স্ক্রিনের চারপাশে নাড়াতে পারছেন।’ 

মাস্ক আরও বলেছেন, ‘এখন ওই ব্যক্তিকে দিয়ে চিন্তার মাধ্যমে যতটা সম্ভব মাউসের বোতামে ক্লিক করানোর চেষ্টা করছে নিউরালিংক।’ তবে মাস্ক বিষয়টি জানালেও নিউরালিংক এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার পর নিউরালিংক সফলভাবে প্রথম রোগীর মস্তিষ্কে গত জানুয়ারিতে একটি চিপ স্থাপন করে। রোবটের সাহায্যে এই চিপ বসানোর কাজ করা হয়। মানুষের মস্তিষ্কের এমন একটা অংশে এই চিপ বা ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) স্থাপন করা হয়েছে যেটি মানুষের চলাফেরার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। 

নিউরালিংক জানিয়েছে, কোম্পানিটির প্রাথমিক লক্ষ্য হলো—মানুষ নিজের চিন্তাভাবনা ব্যবহার কম্পিউটার কারসর বা কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। নিউরালিংক নিয়ে মাস্কের উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তিনি বলেছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের এই চিপ স্থূলতা, অটিজম, বিষণ্নতা ও সিজোফ্রেনিয়ার মতো চিকিৎসায় সাহায্য করবে। 

গত বছর নিউরালিংকের বাজারমূল্যে ছিল প্রায় ৫০০ কোটি ডলার। কোম্পানিটি নিরাপত্তা প্রোটোকল সংক্রান্ত তদন্তের সম্মুখীন হয়েছে। গত মাসে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, বিপজ্জনক পদার্থ নিয়ে চলাচলের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে কোম্পানিটিকে জরিমানা করা হয়েছে। 

নিউরালিংকের প্রথম চিপটিকে ‘টেলিপ্যাথি’ নামে আখ্যা দেওয়া হবে জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তিনি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান বানরের ওপর এই চিপ স্থাপনের পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু এই পরীক্ষায় কোনো বানর মারা যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত