মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
বাড়ির গ্যারেজে সাধারণত গাড়ি রাখা হয়। এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু গ্যারেজ খুললেই গাড়ির বদলে যদি দেখা মেলে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের! হ্যাঁ, পৃথিবীতে এমন এক শহর আছে, যেখানে প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনে বা গ্যারেজে রাখা থাকে এক বা একাধিক ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যামেরন এয়ার পার্ক নামের এক শহর ঠিক এমনটাই। এখানে প্রত্যেক বাসিন্দার একটি উড়োজাহাজ রয়েছে এবং তাঁরা সেটিতে কাজ কিংবা ব্যবসার জন্য যাতায়াত করেন। অবাক করা ঘটনা হলেও এটি বাস্তব।
বিশেষ শহর ক্যামেরন এয়ার পার্ক
ক্যামেরন এয়ার পার্ক হলো একটি ফ্লাই-ইন কমিউনিটি। সেখানে গাড়ির বদলে উড়োজাহাজই প্রধান যানবাহন। সেখানে রাস্তা, সাইনবোর্ড, এমনকি বাড়ির সামনে পার্ক করা উড়োজাহাজের দৃশ্য দেখে মনে হয়, আপনি কোনো বিমানবন্দরে আছেন। এটি এমন এক শহর, যেখানে খুব একটা গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না থাকলেও প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি উড়োজাহাজ রাখা সম্ভব।
যেভাবে উড়োজাহাজ পার্কিং হয়
ক্যামেরন পার্কের বাড়িগুলোর এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে অনেক বাড়ির সঙ্গে বিশাল হ্যাঙ্গার সংযুক্ত থাকে। এটি মূলত উড়োজাহাজের জন্য তৈরি একটি বিল্ডিং অথবা গ্যারেজের মতো; যেখানে উড়োজাহাজগুলো রাখা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করা হয়। এই বিশেষ হ্যাঙ্গারগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে উড়োজাহাজগুলো নিরাপদে থাকে এবং যেকোনো সময় প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায়।
রাস্তাঘাটের ডিজাইন
এই শহরের রাস্তার ডিজাইন অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। ক্যামেরন পার্কের রাস্তাগুলো খুব প্রশস্ত এবং রানওয়ের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এতে গাড়ি এবং উড়োজাহাজ—উভয়ের চলাচলে সুবিধা হয়। রাস্তায় যেসব সাইন রয়েছে, সেগুলো যেন উড়োজাহাজ চলাচলে কোনো বাধার সৃষ্টি না করে, তাই সেগুলো অনেক নিচু করে তৈরি হয়েছে। সাধারণত যেখানে স্টপ সাইনগুলো প্রায় ৫ ফুট উঁচু থাকে, সেখানে ক্যামেরন পার্কের সাইনগুলো মাটির কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে।
‘প্রপস, কপস অ্যান্ড রডার্স’ ইভেন্ট
প্রতিবছর ক্যামেরন পার্ক শহরে বিশেষ এক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বাসিন্দারা তাঁদের উড়োজাহাজ এবং ক্ল্যাসিক গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন। এই ইভেন্টে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার পাশাপাশি কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করেন। বিনোদনের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে আশির দশকের বিভিন্ন রক ব্যান্ড। এ ছাড়া রাস্তায় উড়োজাহাজ এবং গাড়ির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ক্যামেরন এয়ার পার্কের ইতিহাস
ক্যামেরন এয়ার পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৬৩ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন অনেক বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়ে ছিল, তখন দেশটির বিমান কর্তৃপক্ষ এয়ারফিল্ডগুলোকে আবাসিক জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। ক্যামেরন এয়ার পার্কও সেই সময় থেকে গড়ে উঠতে থাকে। এখানে মোট ১২৪টি বাড়ি রয়েছে। এখানে বিভিন্ন সড়ক এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উড়োজাহাজ সহজে চলাচল করতে পারে।
বিশ্বের অন্যান্য এয়ার পার্ক
ক্যামেরন এয়ার পার্কের মতো একাধিক এয়ার পার্ক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফ্লোরিডায় স্প্রুস ক্রিক নামের একটি এয়ার পার্ক রয়েছে। সেখানে বিমানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬০০ আর হ্যাঙ্গারের সংখ্যা ৭০০। স্প্রুস ক্রিককে তাই এককথায় ছোটখাটো বিমানবন্দর বললেও ভুল হবে না। সেখানে ১ হাজার ৩০০টি বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার মানুষ বসবাস করে।
আবাসিক এয়ার পার্কের সংখ্যা
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৪২৬টি আবাসিক এয়ার পার্ক রয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পেশাদার পাইলটরা বসবাস করেন। এসব এয়ার পার্কের উদ্দেশ্য হলো, উড়োজাহাজ চালাতে পছন্দ করেন এমন মানুষদের উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া।
এয়ার পার্কে বসবাসের অভিজ্ঞতা
এয়ার পার্কে বসবাসের বড় সুবিধা হলো, বাড়ির সামনে উড়োজাহাজ রেখে যে কেউ সরাসরি যেকোনো জায়গায় উড়াল দিতে পারেন। এখানে জীবনটা একদম নতুনভাবে অনুভব করা যায়। প্রতিদিন যেন একটা নতুন অ্যাডভেঞ্চার। যাঁদের ব্যবসা বা কাজে দ্রুত যাতায়াতের প্রয়োজন, তাঁদের জন্য এমন শহর যেন স্বপ্নের মতো।
ক্যামেরন পার্ক এক অভিনব শহর। এখানে উড়োজাহাজ এবং গাড়ির একত্রে চলাচল এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্ট ডিস্ট্রিক্ট ওয়েবসাইট
বাড়ির গ্যারেজে সাধারণত গাড়ি রাখা হয়। এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু গ্যারেজ খুললেই গাড়ির বদলে যদি দেখা মেলে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের! হ্যাঁ, পৃথিবীতে এমন এক শহর আছে, যেখানে প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনে বা গ্যারেজে রাখা থাকে এক বা একাধিক ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যামেরন এয়ার পার্ক নামের এক শহর ঠিক এমনটাই। এখানে প্রত্যেক বাসিন্দার একটি উড়োজাহাজ রয়েছে এবং তাঁরা সেটিতে কাজ কিংবা ব্যবসার জন্য যাতায়াত করেন। অবাক করা ঘটনা হলেও এটি বাস্তব।
বিশেষ শহর ক্যামেরন এয়ার পার্ক
ক্যামেরন এয়ার পার্ক হলো একটি ফ্লাই-ইন কমিউনিটি। সেখানে গাড়ির বদলে উড়োজাহাজই প্রধান যানবাহন। সেখানে রাস্তা, সাইনবোর্ড, এমনকি বাড়ির সামনে পার্ক করা উড়োজাহাজের দৃশ্য দেখে মনে হয়, আপনি কোনো বিমানবন্দরে আছেন। এটি এমন এক শহর, যেখানে খুব একটা গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না থাকলেও প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি উড়োজাহাজ রাখা সম্ভব।
যেভাবে উড়োজাহাজ পার্কিং হয়
ক্যামেরন পার্কের বাড়িগুলোর এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে অনেক বাড়ির সঙ্গে বিশাল হ্যাঙ্গার সংযুক্ত থাকে। এটি মূলত উড়োজাহাজের জন্য তৈরি একটি বিল্ডিং অথবা গ্যারেজের মতো; যেখানে উড়োজাহাজগুলো রাখা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করা হয়। এই বিশেষ হ্যাঙ্গারগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে উড়োজাহাজগুলো নিরাপদে থাকে এবং যেকোনো সময় প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায়।
রাস্তাঘাটের ডিজাইন
এই শহরের রাস্তার ডিজাইন অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। ক্যামেরন পার্কের রাস্তাগুলো খুব প্রশস্ত এবং রানওয়ের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এতে গাড়ি এবং উড়োজাহাজ—উভয়ের চলাচলে সুবিধা হয়। রাস্তায় যেসব সাইন রয়েছে, সেগুলো যেন উড়োজাহাজ চলাচলে কোনো বাধার সৃষ্টি না করে, তাই সেগুলো অনেক নিচু করে তৈরি হয়েছে। সাধারণত যেখানে স্টপ সাইনগুলো প্রায় ৫ ফুট উঁচু থাকে, সেখানে ক্যামেরন পার্কের সাইনগুলো মাটির কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে।
‘প্রপস, কপস অ্যান্ড রডার্স’ ইভেন্ট
প্রতিবছর ক্যামেরন পার্ক শহরে বিশেষ এক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বাসিন্দারা তাঁদের উড়োজাহাজ এবং ক্ল্যাসিক গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন। এই ইভেন্টে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার পাশাপাশি কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করেন। বিনোদনের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে আশির দশকের বিভিন্ন রক ব্যান্ড। এ ছাড়া রাস্তায় উড়োজাহাজ এবং গাড়ির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ক্যামেরন এয়ার পার্কের ইতিহাস
ক্যামেরন এয়ার পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৬৩ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন অনেক বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়ে ছিল, তখন দেশটির বিমান কর্তৃপক্ষ এয়ারফিল্ডগুলোকে আবাসিক জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। ক্যামেরন এয়ার পার্কও সেই সময় থেকে গড়ে উঠতে থাকে। এখানে মোট ১২৪টি বাড়ি রয়েছে। এখানে বিভিন্ন সড়ক এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উড়োজাহাজ সহজে চলাচল করতে পারে।
বিশ্বের অন্যান্য এয়ার পার্ক
ক্যামেরন এয়ার পার্কের মতো একাধিক এয়ার পার্ক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফ্লোরিডায় স্প্রুস ক্রিক নামের একটি এয়ার পার্ক রয়েছে। সেখানে বিমানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬০০ আর হ্যাঙ্গারের সংখ্যা ৭০০। স্প্রুস ক্রিককে তাই এককথায় ছোটখাটো বিমানবন্দর বললেও ভুল হবে না। সেখানে ১ হাজার ৩০০টি বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার মানুষ বসবাস করে।
আবাসিক এয়ার পার্কের সংখ্যা
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৪২৬টি আবাসিক এয়ার পার্ক রয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পেশাদার পাইলটরা বসবাস করেন। এসব এয়ার পার্কের উদ্দেশ্য হলো, উড়োজাহাজ চালাতে পছন্দ করেন এমন মানুষদের উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া।
এয়ার পার্কে বসবাসের অভিজ্ঞতা
এয়ার পার্কে বসবাসের বড় সুবিধা হলো, বাড়ির সামনে উড়োজাহাজ রেখে যে কেউ সরাসরি যেকোনো জায়গায় উড়াল দিতে পারেন। এখানে জীবনটা একদম নতুনভাবে অনুভব করা যায়। প্রতিদিন যেন একটা নতুন অ্যাডভেঞ্চার। যাঁদের ব্যবসা বা কাজে দ্রুত যাতায়াতের প্রয়োজন, তাঁদের জন্য এমন শহর যেন স্বপ্নের মতো।
ক্যামেরন পার্ক এক অভিনব শহর। এখানে উড়োজাহাজ এবং গাড়ির একত্রে চলাচল এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্ট ডিস্ট্রিক্ট ওয়েবসাইট
প্রযুক্তি খাতে নিজেদের অবস্থান আরও জোরালো করতে এবার ল্যাপটপ নিয়ে এল মটোরোলা। ভারতের বাজারের জন্য উন্মোচন করা হয়েছে তাদের প্রথম ল্যাপটপ মটো বুক ৬০। পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে এই ডিভাইস। একই সঙ্গে মটোরোলা চালু করেছে মটো প্যাড ৬০ প্রো ট্যাবলেট।
২ ঘণ্টা আগেমিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য রুখতে ‘ফুটনোটস’ নামের নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে টিকটক। ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) ‘কমিউনিটি নোটস’-এর মতোই কাজ করবে ফিচারটি।
৪ ঘণ্টা আগেদৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদে চলাফেরার পথ সহজ করতে এক নতুন ধরনের পরিধানযোগ্য ডিভাইস তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের চারপাশের প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে এবং চলার জন্য নিরাপদ পথের নির্দেশনা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেসরকার ইতিমধ্যে সাবমেরিন কেবল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
৭ ঘণ্টা আগে