দক্ষিণ কোরিয়ায় চিপ তৈরিতে বিনিয়োগ করবে স্যামসাং

প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৫: ৩২

দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহৎ চিপ তৈরির প্রকল্পে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং। ২০ বছরে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিনিয়োগের অর্থ দিয়ে মোট পাঁচটি চিপ তৈরির কারখানা নির্মাণ করা হবে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যামসাংয়ের বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি কোরিয়ার সরকারি দপ্তর বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করে। এসব তথ্যমতে, স্যামসাং প্রায় ৩০০ ট্রিলিয়ন কোরীয় ওন বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। বেসরকারি খাত থেকে সরকারের ৫৫০ ট্রিলিয়ন ওন বিনিয়োগ আকর্ষণের অংশ হিসেবে স্যামসাংয়ের এ ঘোষণা।

চিপ, ডিসপ্লে এবং ব্যাটারিসহ উন্নত প্রযুক্তির খাতগুলোর প্রতিযোগিতা বাড়াতে কর মওকুফ এবং ভর্তুকি সহায়তা বাড়িয়েছে কোরীয় সরকার। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশীয় চিপ খাতকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগে প্রভাবিত হয়েছে দেশটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অভ্যন্তরীণ চিপ কারখানা উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াও এখন সেই পথেই হাঁটছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের কারখানায় ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির চিপ উৎপাদন করার পরিকল্পনা হাতে নেয় তাইওয়ান ভিত্তিক সেমিকনডাক্টর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টিএসএমসি। প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় উৎপাদন করা হবে এই চিপ। কারখানাটি এখনো নির্মাণাধীন।

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে অনুষ্ঠিত এক প্রেস কনফারেন্সে মরিস চ্যাং বলেন, টিএসএমসির হাতে এখন একটি পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত হয়নি। তবে এতটুক আমরা প্রায় নিশ্চিত করেছি যে, অ্যারিজোনায় আমরা দুই ধাপে চিপ উৎপাদন করব। প্রথম ধাপে ৫ ন্যানোমিটার এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির চিপ উৎপাদন করবে।

৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিকে টিএসএমসি বলছে ‘এন-৩ ’। টিএসএমসি এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এন-৩ প্রযুক্তির লজিক আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি ঘনত্ব অর্জন করেছে। একই শক্তি খরচে আগের এন–৫–এর চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি গতি পাওয়া যাবে নতুন এই প্রযুক্তিতে। এ ছাড়া আগের গতিই পাওয়া যাবে ৩০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচে। 

বিশ্ব বাজারে উন্নত চিপের প্রায় ৫০ শতাংশই উৎপাদন করে টিএসএমসি। চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে অ্যারিজোনায় টিএসএমসির কারখানাসহ পরিকল্পনায় থাকা আরেকটি কারখানা বাইডেন প্রশাসনের ‘মেড ইন আমেরিকা’ কৌশলেরই অংশ। টিএসএমসি জাপানে নিজেদের আরেকটি কারখানা স্থাপন করছে। জার্মানিতেও কারখানা তৈরির জন্য সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে টিএসএমসি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত