নতুন দিনে ফ্রিল্যান্সারদের প্রত্যাশা

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮: ০৮
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১০: ৫০

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অন্যান্য পেশার মানুষের মতো ফ্রিল্যান্সাররাও আর্থিকসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনেকের আয়ের পথ প্রায় বন্ধ। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া কাজ আবার ফিরবে কি না, তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। তারপরও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁরা আশার আলো দেখছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ মনে করছেন, ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন রেখে সারা দেশে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়েগুলোকে দেশে আনতে হবে। তাঁরা বলছেন, দেশের ভেতরে লাইসেন্স কিংবা রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রকে আরও সুবিধাজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
এসব বিষয় জানার জন্য আমরা কথা বলেছিলাম দুজন ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে।

তানজিম শাহ কবিরডলার বিনিময়ের সঠিক হার নিশ্চিত করতে হবে    
তানজিম শাহ কবির,সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠাতা, কোয়ান্টাফোর্স ল্যাবস।

বাংলাদেশের সাইবার আইন পরিমার্জন করা: বর্তমান ডিজিটাল যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের সাইবার আইন পরিমার্জন করা জরুরি; যাতে সাইবার অপরাধ দমন, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

স্ট্রিপ এবং পেপ্যাল সংযোগ: ফ্রিল্যান্সার এবং  ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে স্ট্রিপ ও পেপ্যালের মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে দেশে আনতে হবে। এতে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ হবে।

ডলার বিনিময়ের সঠিক হার নিশ্চিত করা: ডলার বিনিময় হারের সঠিকতা নিশ্চিত করতে হবে। এতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে। 

সরকারি ওয়েবসাইটে বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালু করা: সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। এতে তারা আয় করতে পারবে। হল অব ফেমে জায়গা পেতে পারে এমন ব্যবস্থা নেওয়া। এতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার হবে। 

আমাজন এবং ই-বের কার্যক্রম চালু করা: দেশে আমাজন এবং ই-বের মতো আন্তর্জাতিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম চালু করতে হবে। এতে দেশীয় পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির সুযোগ বাড়বে।

স্টারলিংক আনার ক্ষেত্র তৈরি করা: বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনার প্রয়োজনীয় আইন ও নিয়মকানুন তৈরি করতে হবে। এতে সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর উদ্যোগ পুনরায় চালু করা: তরুণ প্রজন্মকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তোলার জন্য বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর উদ্যোগ পুনরায় চালু করতে হবে। তারা দেশের রেমিট্যান্স এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারবে।

সাইবার সিকিউরিটি ও প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত সেমিনার আয়োজন করা: শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার সিকিউরিটি এবং প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। এতে তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

 আশরাফুজ্জামান পলাশইন্টারনেটকে মৌলিক সেবা হিসেবে নিতে হবে
আশরাফুজ্জামান পলাশ, ফ্রিল্যান্সার, বেড়া, পাবনা।

আপওয়ার্কে এ পর্যন্ত আশরাফুজ্জামান পলাশ ৭০৬টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন। আপওয়ার্ক থেকে তাঁর মোট আয় প্রায় দুই লাখ ডলার। সেখানে তিনি টপ রেটেড প্লাস ব্যাজধারী ফ্রিল্যান্সার। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তাঁর চাওয়া, ইন্টারনেটকে মৌলিক সেবা হিসেবে রেখে এর গতি বাড়ানো ও সহজলভ্য করা।

  • ডেটা প্যাকেজে কোনো ভ্যালিডিটি রাখা যাবে না।
  • পেপ্যাল, উইস, স্ট্রিপের মতো পেমেন্ট গেটওয়ে আনতে হবে।
  • স্টারলিংক ইন্টারনেট ও আমাজন চালু করতে হবে দেশে।
  • আইসিটি খাত শুল্কমুক্ত রাখতে হবে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত।
  • রেমিট্যান্স আনার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের যথোপযুক্ত সম্মান ও সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। 
  • ব্যাংকে রেমিট্যান্স আনতে হয়রানি বন্ধ করে সেবা সহজলভ্য করতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত