সিসি ক্যামেরা

নওরোজ চৌধুরী
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২২, ০৬: ৩১
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১০: ২৬

চল্লিশের দশকে জার্মানিতে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার শুরু হলেও বাংলাদেশে ২০১৩ সালের দিকে এর ব্যবহার শুরু হয়। এখন প্রায় সারা দেশে এটির ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ব্যবহার বাড়ার পেছনে নিরাপত্তা, প্রমাণ, প্রহরীর কাজ, মনিটরিং, হিসাব গরমিল কমানোসহ আরও অনেক কারণ আছে। প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি তার যত্ন ও তার খুঁটিনাটি জানাও দরকার।

এই সময়ে বাজারে যেসব সিসি ক্যামেরা পাওয়া যায়, সেগুলো অনেক শক্তিশালী এবং ব্যবহার বেশ সহজ। প্রতিটি মানুষের হাতে মোবাইল ফোন থাকায় সিসি টিভি ক্যামেরা এখন মোবাইল ফোন থেকে সহজেই ব্যবহার করা যায়। অনেক দূরে বসে হাতের মোবাইল দিয়ে চাইলেই বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বা নজরদারির বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। আর তার জন্য চাই আইপি-সুবিধাযুক্ত সিসি টিভি ক্যামেরা। বর্তমানে এমন সিসি টিভি ক্যামেরাও

পাওয়া যায় যেগুলোর মাধ্যমে আপনি চাইলে দূর থেকে ক্যামেরার সামনে থাকা মানুষটিকে দেখে দেখে কথাও বলতে পারবেন।

ভালো সিসি টিভি ক্যামেরাগুলোর সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি থাকে। তারপরও প্রায়ই দেখা যায় ক্যামেরার সঙ্গে থাকা অ্যাডাপ্টরটি নষ্ট হলে সিসি টিভি ক্যামেরা অচল হয়ে যায়। ক্যামেরার আরেকটি মূল জিনিস ভিডিও বেলুন, যা ভিডিও স্থানান্তরের কাজ করে। এটি নষ্ট হতে পারে বা কখনো লুজ হলে ক্যামেরা সঠিকভাবে কাজ করে না। ভিডিও কেব্‌ল বা বিদ্যুৎ কেব্‌লের গোলযোগের জন্যও ক্যামেরা নষ্ট হতে পারে।

সিসি টিভি ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে ডিভিআর বা এনভিআরের বিভিন্ন কোয়ালিটি বাজারে আছে। সে ক্ষেত্রে বিক্রেতার সঙ্গে আলাপ করে ভালো মানের ক্যামেরা কেনা উচিত। যেখানে লাগাবেন সেখানে বৃষ্টি বা পানি পড়লে ওয়াটার প্রুফ বুলেট ক্যামেরা ব্যবহার করা ভালো। ক্যামেরাগুলো স্থির থাকবে নাকি এদিক-সেদিক ঘুরবে তা-ও বিবেচনা করতে হবে। ফুটেজ সংরক্ষণ করতে চাইলে বিবেচনা করতে হবে আপনার ক্যামেরার সংখ্যা এবং কত দিন ডেটা সংরক্ষণ করতে চান তার হিসাব। ফুটেজের পরিমাণের ওপর নির্ভর করবে আপনার কত পরিমাপের হার্ডডিস্ক প্রয়োজন।

দরদাম
একটি মিডরেঞ্জ সিসি টিভি ক্যামেরা কেনা যাবে ১০০০–২৫০০ টাকার মধ্যে এবং  এন্টারপ্রাইজ গ্রেড ক্যামেরার দাম পড়বে ২০০০–৫০০০০ টাকা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত