দেশের গণপরিবহন খাতের মানোন্নয়নে কাজ করছে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী উদ্যোগ ‘যাত্রী’। এটির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম আজিজ আরমান। নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস অনূর্ধ্ব-৩০-এর তালিকায়। তিনি দেশের গণপরিবহন খাতকে ডিজিটালাইজ করতে মেধা, নিষ্ঠা আর পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে কাজ করে যেতে চান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন অলকানন্দা রায়।
যাত্রীর যাত্রা শুরুর গল্পটা শুনতে চাই।
যাত্রীর অফিশিয়াল যাত্রা শুরু ২০১৯ সালে। আমি তখন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আমার আরও দুজন সহপ্রতিষ্ঠাতা আছেন। তাঁরাও একটি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যাত্রীর পরিকল্পনা ২০১৮ সালের দিকে, যখন আমরা নিজেরা বাসে চলাফেরা করতে গিয়ে যাত্রীদের নানা রকম সমস্যা ও অসুবিধা দেখেছি এবং নিজেরাও নানান ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছি। তা ছাড়া আমাদের একজন সহপ্রতিষ্ঠাতার পরিবহনের ব্যবসা আছে প্রায় ২৪ বছর ধরে। তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আমাদের ভীষণ কাজে লেগেছে। এই ব্যবসার খুঁটিনাটি অনেক কিছুই জেনেছি। পাশাপাশি জানতে পেরেছি, প্রতিদিনের টিকিট বিক্রির হিসাবে গরমিলের কারণে এবং হিসাবের স্বচ্ছতা না থাকায় বাসমালিকেরা যথাযথ লাভবান হতে পারছেন না। তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
যেহেতু আমি প্রযুক্তিগত কাজের সঙ্গে আগে থেকে জড়িত ছিলাম এবং আমার সহপ্রতিষ্ঠাতাদের কনজ্যুমারস সেলস ও লজিস্টিকস কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল, তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গণপরিবহন খাতের এই সমস্যাগুলো দূর করার পরিকল্পনা থেকেই যাত্রীর প্রতিষ্ঠা ও পথচলা শুরু হয়। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয়ও আমাদের তাড়িত করত। যেমন বাসমালিক ও কর্মচারীদের নানান ঝামেলার পাশাপাশি যে বিষয়টি প্রকট হয়ে দেখা দেয়, সেটি হলো দেশের গণপরিবহন খাতে প্রযুক্তিহীনতা। তখন মনে হতে থাকে, এ ক্ষেত্র নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যাত্রীর উদ্ভাবনের পেছনে এসব কারণেরও ভূমিকা ছিল।
যাত্রীর মূল স্বপ্নটা কী ছিল?
প্রতিটি উদ্যোগ বা উদ্যোক্তারই একটা লক্ষ্য থাকে—বড় কোনো সমস্যার সমাধান করা। সেই ইচ্ছা থেকেই দেখেছি, গণপরিবহনে যে সমস্যা বা ঝামেলাগুলো বেশ প্রকট এবং তা বহু মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে আছে। যেহেতু বহু মানুষের যাপনে এই সমস্যা রোজ রোজ বড় হচ্ছে, তাই এই সমস্যাগুলোর সমাধান করার অনুপ্রেরণা থেকেই যাত্রীর স্বপ্ন দেখা শুরু।
যাত্রী ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত এবং তাদের ফিডব্যাক কেমন?
এরই মধ্যে আমাদের সিস্টেম ব্যবহার করে ১০০ মিলিয়নের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন, গণপরিবহন খাতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আমাদের সিস্টেম সরবরাহের পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে ব্যবহারের জন্য আরও দুটো সার্ভিস রয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় যাতায়াতের জন্য আমাদের রয়েছে রেন্ট-এ-কার সার্ভিস এবং ঘরে বসে বাসের টিকিট কাটার জন্য রয়েছে অনলাইন বাস টিকিটিং সুবিধা। এ ছাড়া গণপরিবহনে ই-টিকিটিং সার্ভিস গ্রাহক হিসেবে চার হাজারের বেশি বাস আমাদের সেবার আওতাধীন।
যাত্রীর প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো কীভাবে পরিচালিত হয়?
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাসমালিক ও অপারেটরদের একটি নেটওয়ার্কের আওতায় এনে প্রতিটি বাসকে এর সঙ্গে যুক্ত করে প্রতিদিনের যাবতীয় কাজের তথ্য দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিশ্চিত করা হয় নিরবচ্ছিন্ন বাস অপারেশন। ফলে ব্যবহারকারীরাও সঠিক ভাড়ায় ঝামেলা ছাড়াই ভ্রমণের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন। এ ছাড়া আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বেস্ট প্রাইসে রেন্টাল সেবা নিয়ে মানুষ দেশের যেকোনো প্রান্তে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারছে। পাশাপাশি, ঘরে বসে অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার সুযোগ তো রয়েছেই।
কীভাবে এত বাস একই প্ল্যাটফর্মে এনেছেন?
গণপরিবহনে ই-টিকিটিং কার্যক্রম প্রকল্পের একমাত্র ই-টিকিটিং পার্টনার যাত্রী। এ ছাড়া রাজধানীতে চলমান বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমেও ই-টিকিটিং পার্টনার হিসেবে কাজ করছে যাত্রী। এসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ও যাত্রীর সফল অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা এবং ইতিবাচক ভূমিকার ফলে যেসব বাস অপারেটর এই সার্ভিসের আওতায় নেই, তারাও এই সার্ভিস নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অনেক দিন ধরে এটা নিয়ে কাজ করার সুবাদে বাংলাদেশের গণপরিবহনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার নিজস্ব একটা দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চয় তৈরি হয়েছে। সেটা জানতে চাই।
পেছনের ১০টি বছর যদি দেখি, তাহলে দেখা যাবে গণপরিবহনে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসগুলো কীভাবে যুক্ত হবে বা কীভাবে চলবে, তা নিয়ে বিস্তর ভাবনা ও আলোচনা তুঙ্গে ছিল। এখন প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন গাড়ি যুক্ত হচ্ছে, নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসছেন বড় বড় সংস্থা ও পরিবহনের মালিকেরা। বহির্বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার প্রতিদিন বাড়ছে। বাংলাদেশের পরিবহনে খুব শিগগির হয়তো আমরা দেখব বৈদ্যুতিক গাড়ি যুক্ত হচ্ছে। গণপরিবহনব্যবস্থা যাঁরা দেখছেন রোজ বা এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাও নানাভাবে এ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। আশা করাই যায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পরিবহন ও গণপরিবহনে দারুণ সুদিন আসছে।
যাত্রীর কাজ করতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে কখনো?
শুরুর দিকে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন আমাদের হতে হয়েছে। যেহেতু এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার এই খাতে একদমই নতুন, কিছু বাধা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। আমাদের সার্ভিস একদম সময়োপযোগী ছিল এবং পরিবহন খাতে এর অন্তর্ভুক্তি নতুনত্ব নিয়ে আসে। ফলে কিছু বাধা অতিক্রম করেই আমাদের এত দূর আসা। আমরা সাধারণত প্রযুক্তিগত সেবা দিয়ে থাকি পরিবহনগুলোকে। এই প্রযুক্তিগত সেবা দিতে গিয়ে আমাদের কখনো কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি।
যাত্রী নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী এবং আপনাদের প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কতজন কর্মরত?
আপাতত যাত্রীতে ১৭৮ জন কর্মরত আছেন। শহরের পাশাপাশি শহরতলিতে যাত্রীসেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করা এবং গণপরিবহন খাতকে প্রযুক্তিনির্ভর করার যে লক্ষ্য নিয়ে পথচলা শুরু, সেই কার্যক্রমকে আরও উন্নত ও গতিশীল করা আমাদের লক্ষ্য।
দেশের গণপরিবহন খাতের মানোন্নয়নে কাজ করছে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী উদ্যোগ ‘যাত্রী’। এটির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম আজিজ আরমান। নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস অনূর্ধ্ব-৩০-এর তালিকায়। তিনি দেশের গণপরিবহন খাতকে ডিজিটালাইজ করতে মেধা, নিষ্ঠা আর পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে কাজ করে যেতে চান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন অলকানন্দা রায়।
যাত্রীর যাত্রা শুরুর গল্পটা শুনতে চাই।
যাত্রীর অফিশিয়াল যাত্রা শুরু ২০১৯ সালে। আমি তখন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আমার আরও দুজন সহপ্রতিষ্ঠাতা আছেন। তাঁরাও একটি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যাত্রীর পরিকল্পনা ২০১৮ সালের দিকে, যখন আমরা নিজেরা বাসে চলাফেরা করতে গিয়ে যাত্রীদের নানা রকম সমস্যা ও অসুবিধা দেখেছি এবং নিজেরাও নানান ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছি। তা ছাড়া আমাদের একজন সহপ্রতিষ্ঠাতার পরিবহনের ব্যবসা আছে প্রায় ২৪ বছর ধরে। তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আমাদের ভীষণ কাজে লেগেছে। এই ব্যবসার খুঁটিনাটি অনেক কিছুই জেনেছি। পাশাপাশি জানতে পেরেছি, প্রতিদিনের টিকিট বিক্রির হিসাবে গরমিলের কারণে এবং হিসাবের স্বচ্ছতা না থাকায় বাসমালিকেরা যথাযথ লাভবান হতে পারছেন না। তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
যেহেতু আমি প্রযুক্তিগত কাজের সঙ্গে আগে থেকে জড়িত ছিলাম এবং আমার সহপ্রতিষ্ঠাতাদের কনজ্যুমারস সেলস ও লজিস্টিকস কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল, তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গণপরিবহন খাতের এই সমস্যাগুলো দূর করার পরিকল্পনা থেকেই যাত্রীর প্রতিষ্ঠা ও পথচলা শুরু হয়। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয়ও আমাদের তাড়িত করত। যেমন বাসমালিক ও কর্মচারীদের নানান ঝামেলার পাশাপাশি যে বিষয়টি প্রকট হয়ে দেখা দেয়, সেটি হলো দেশের গণপরিবহন খাতে প্রযুক্তিহীনতা। তখন মনে হতে থাকে, এ ক্ষেত্র নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যাত্রীর উদ্ভাবনের পেছনে এসব কারণেরও ভূমিকা ছিল।
যাত্রীর মূল স্বপ্নটা কী ছিল?
প্রতিটি উদ্যোগ বা উদ্যোক্তারই একটা লক্ষ্য থাকে—বড় কোনো সমস্যার সমাধান করা। সেই ইচ্ছা থেকেই দেখেছি, গণপরিবহনে যে সমস্যা বা ঝামেলাগুলো বেশ প্রকট এবং তা বহু মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে আছে। যেহেতু বহু মানুষের যাপনে এই সমস্যা রোজ রোজ বড় হচ্ছে, তাই এই সমস্যাগুলোর সমাধান করার অনুপ্রেরণা থেকেই যাত্রীর স্বপ্ন দেখা শুরু।
যাত্রী ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত এবং তাদের ফিডব্যাক কেমন?
এরই মধ্যে আমাদের সিস্টেম ব্যবহার করে ১০০ মিলিয়নের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন, গণপরিবহন খাতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আমাদের সিস্টেম সরবরাহের পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে ব্যবহারের জন্য আরও দুটো সার্ভিস রয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় যাতায়াতের জন্য আমাদের রয়েছে রেন্ট-এ-কার সার্ভিস এবং ঘরে বসে বাসের টিকিট কাটার জন্য রয়েছে অনলাইন বাস টিকিটিং সুবিধা। এ ছাড়া গণপরিবহনে ই-টিকিটিং সার্ভিস গ্রাহক হিসেবে চার হাজারের বেশি বাস আমাদের সেবার আওতাধীন।
যাত্রীর প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো কীভাবে পরিচালিত হয়?
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাসমালিক ও অপারেটরদের একটি নেটওয়ার্কের আওতায় এনে প্রতিটি বাসকে এর সঙ্গে যুক্ত করে প্রতিদিনের যাবতীয় কাজের তথ্য দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিশ্চিত করা হয় নিরবচ্ছিন্ন বাস অপারেশন। ফলে ব্যবহারকারীরাও সঠিক ভাড়ায় ঝামেলা ছাড়াই ভ্রমণের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন। এ ছাড়া আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বেস্ট প্রাইসে রেন্টাল সেবা নিয়ে মানুষ দেশের যেকোনো প্রান্তে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারছে। পাশাপাশি, ঘরে বসে অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার সুযোগ তো রয়েছেই।
কীভাবে এত বাস একই প্ল্যাটফর্মে এনেছেন?
গণপরিবহনে ই-টিকিটিং কার্যক্রম প্রকল্পের একমাত্র ই-টিকিটিং পার্টনার যাত্রী। এ ছাড়া রাজধানীতে চলমান বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমেও ই-টিকিটিং পার্টনার হিসেবে কাজ করছে যাত্রী। এসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ও যাত্রীর সফল অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা এবং ইতিবাচক ভূমিকার ফলে যেসব বাস অপারেটর এই সার্ভিসের আওতায় নেই, তারাও এই সার্ভিস নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অনেক দিন ধরে এটা নিয়ে কাজ করার সুবাদে বাংলাদেশের গণপরিবহনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার নিজস্ব একটা দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চয় তৈরি হয়েছে। সেটা জানতে চাই।
পেছনের ১০টি বছর যদি দেখি, তাহলে দেখা যাবে গণপরিবহনে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসগুলো কীভাবে যুক্ত হবে বা কীভাবে চলবে, তা নিয়ে বিস্তর ভাবনা ও আলোচনা তুঙ্গে ছিল। এখন প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন গাড়ি যুক্ত হচ্ছে, নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসছেন বড় বড় সংস্থা ও পরিবহনের মালিকেরা। বহির্বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার প্রতিদিন বাড়ছে। বাংলাদেশের পরিবহনে খুব শিগগির হয়তো আমরা দেখব বৈদ্যুতিক গাড়ি যুক্ত হচ্ছে। গণপরিবহনব্যবস্থা যাঁরা দেখছেন রোজ বা এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাও নানাভাবে এ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। আশা করাই যায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের পরিবহন ও গণপরিবহনে দারুণ সুদিন আসছে।
যাত্রীর কাজ করতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে কখনো?
শুরুর দিকে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন আমাদের হতে হয়েছে। যেহেতু এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার এই খাতে একদমই নতুন, কিছু বাধা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। আমাদের সার্ভিস একদম সময়োপযোগী ছিল এবং পরিবহন খাতে এর অন্তর্ভুক্তি নতুনত্ব নিয়ে আসে। ফলে কিছু বাধা অতিক্রম করেই আমাদের এত দূর আসা। আমরা সাধারণত প্রযুক্তিগত সেবা দিয়ে থাকি পরিবহনগুলোকে। এই প্রযুক্তিগত সেবা দিতে গিয়ে আমাদের কখনো কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি।
যাত্রী নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী এবং আপনাদের প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কতজন কর্মরত?
আপাতত যাত্রীতে ১৭৮ জন কর্মরত আছেন। শহরের পাশাপাশি শহরতলিতে যাত্রীসেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করা এবং গণপরিবহন খাতকে প্রযুক্তিনির্ভর করার যে লক্ষ্য নিয়ে পথচলা শুরু, সেই কার্যক্রমকে আরও উন্নত ও গতিশীল করা আমাদের লক্ষ্য।
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
২৯ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
১ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
৩ ঘণ্টা আগে