প্রযুক্তি ডেস্ক
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি ভাইরাসের কারণে আমাদের ডিভাইসগুলো সব সময়ই বড় নিরাপত্তা হুমকিতে থাকে। যারা ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাসের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাঁরা হয়তো কিছুটা রেহাই পান।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিভাইসের তথ্য চুরি কিংবা ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে ভাইরাস বানানো এবং ছড়ানো হয়। তবে পৃথিবীর সর্বপ্রথম ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছিল সফটওয়্যার চুরি ঠেকাতে!
কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা অজ্ঞাতে নিজেই নিজের অনুলিপি তৈরি করতে পারে। কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্নভাবে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের ক্ষতি করতে পারে।
ভাইরাসটি তৈরি করেন ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের দুই ভাই—বাসিত ফারুক আলভি এবং আমজাদ ফারুক আলভি। তাঁরা ভাইরাসটির নাম দেন ‘ব্রেইন’। ভাইরাসটি মূলত ফ্লপি ডিস্কের বুট সেক্টরকে সংক্রমিত করত।
টাইম ম্যাগাজিনকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, নিজেদের বানানো মেডিকেল সফটওয়্যারের একটি কপি সুরক্ষা করার জন্য এই ভাইরাসটি বানানো হয়। ভাইরাসটির কারণে ফ্লপি ডিস্ক অবৈধভাবে অনুলিপি করা সম্ভব ছিল না। ভাইরাসে একটি বার্তাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কোনো ডিস্ক সংক্রমিত হওয়া মাত্রই নিম্নলিখিত বার্তাটি প্রদর্শন করত—
“Welcome to the Dungeon © 1986 Basit & Amjads (pvt) . BRAIN COMPUTER SERVICES 730 NIZAM
BLOCK ALLAMA IQBAL TOWN LAHORE-PAKISTAN PHONE: 430791,443248, 280530. Beware of this VIRUS.... Contact us for vaccination...”
এটির বাংলায় ভাষান্তর করলে দাঁড়ায়—
‘অন্ধকূপে স্বাগতম (কপিরাইট চিহ্ন)
১৯৮৬ বাসিত এবং আমজাদ (প্রাঃ) লিমিটেড।
ব্রেইন কম্পিউটার পরিষেবা
৭৩০ নিজাম ব্লক আল্লামা ইকবাল টাউন
লাহোর-পাকিস্তান: ৯১৩৪, ৪৪৩২৪৮, ২৮০৫৩০
এই ভাইরাস থেকে সাবধান। প্রতিষেধকের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন...’
প্রোগ্রামটি মূলত আইবিএম পিসির জন্য একটি হার্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম ট্র্যাক করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। কারণ মানুষ ওই সফটওয়্যার ডিস্কের অবৈধ কপি তৈরি করে বিতরণ করছিল। এই ট্র্যাকিং প্রোগ্রামটি ডিস্কের অবৈধ অনুলিপি বন্ধ করা এবং ডিস্ক ট্র্যাক করার কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রোগ্রামটি কখনো কখনো অ্যাপল ফ্লপিতে শেষ পাঁচ কিলোবাইটে সংরক্ষিত থাকত। এতে ডিস্কে অন্য কিছু আর সংরক্ষণ করা সম্ভব হতো না।
ওই সময়ে ফ্লপি ডিস্কের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে ব্রেন ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম হয়েছিল।
ভাইরাসটি অবমুক্ত করার পর যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে দুই ভাইয়ের ফোন নম্বরে প্রচুর কল আসতে থাকে। মেশিন ভাইরাসমুক্ত করার আবেদন করতে বলেন তাঁরা। এত ফোন কল পেয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন দুই ভাই। ক্ষুব্ধ লোকজনকে তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করেন।
পরে আরেক ভাই শহীদ ফারুক আলভির সঙ্গে ব্রেইন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে ব্রেইন নেট ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেন বাসিত ফারুক আলভি এবং আমজাদ ফারুক আলভি। ব্যবসাটি মূলত পাকিস্তানেই ছিল।
২০১১ সালে, অর্থাৎ ব্রেন ভাইরাস অবমুক্ত করার ২৫ বছর পর, তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এফ–সিকিউর-এর মিকো হিপ্পোনেন একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। সেটির জন্য আমজাদের সাক্ষাৎকার নিতে পাকিস্তানে যান মিকো।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি ভাইরাসের কারণে আমাদের ডিভাইসগুলো সব সময়ই বড় নিরাপত্তা হুমকিতে থাকে। যারা ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাসের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাঁরা হয়তো কিছুটা রেহাই পান।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিভাইসের তথ্য চুরি কিংবা ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে ভাইরাস বানানো এবং ছড়ানো হয়। তবে পৃথিবীর সর্বপ্রথম ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছিল সফটওয়্যার চুরি ঠেকাতে!
কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা অজ্ঞাতে নিজেই নিজের অনুলিপি তৈরি করতে পারে। কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্নভাবে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের ক্ষতি করতে পারে।
ভাইরাসটি তৈরি করেন ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের দুই ভাই—বাসিত ফারুক আলভি এবং আমজাদ ফারুক আলভি। তাঁরা ভাইরাসটির নাম দেন ‘ব্রেইন’। ভাইরাসটি মূলত ফ্লপি ডিস্কের বুট সেক্টরকে সংক্রমিত করত।
টাইম ম্যাগাজিনকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, নিজেদের বানানো মেডিকেল সফটওয়্যারের একটি কপি সুরক্ষা করার জন্য এই ভাইরাসটি বানানো হয়। ভাইরাসটির কারণে ফ্লপি ডিস্ক অবৈধভাবে অনুলিপি করা সম্ভব ছিল না। ভাইরাসে একটি বার্তাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কোনো ডিস্ক সংক্রমিত হওয়া মাত্রই নিম্নলিখিত বার্তাটি প্রদর্শন করত—
“Welcome to the Dungeon © 1986 Basit & Amjads (pvt) . BRAIN COMPUTER SERVICES 730 NIZAM
BLOCK ALLAMA IQBAL TOWN LAHORE-PAKISTAN PHONE: 430791,443248, 280530. Beware of this VIRUS.... Contact us for vaccination...”
এটির বাংলায় ভাষান্তর করলে দাঁড়ায়—
‘অন্ধকূপে স্বাগতম (কপিরাইট চিহ্ন)
১৯৮৬ বাসিত এবং আমজাদ (প্রাঃ) লিমিটেড।
ব্রেইন কম্পিউটার পরিষেবা
৭৩০ নিজাম ব্লক আল্লামা ইকবাল টাউন
লাহোর-পাকিস্তান: ৯১৩৪, ৪৪৩২৪৮, ২৮০৫৩০
এই ভাইরাস থেকে সাবধান। প্রতিষেধকের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন...’
প্রোগ্রামটি মূলত আইবিএম পিসির জন্য একটি হার্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম ট্র্যাক করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। কারণ মানুষ ওই সফটওয়্যার ডিস্কের অবৈধ কপি তৈরি করে বিতরণ করছিল। এই ট্র্যাকিং প্রোগ্রামটি ডিস্কের অবৈধ অনুলিপি বন্ধ করা এবং ডিস্ক ট্র্যাক করার কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রোগ্রামটি কখনো কখনো অ্যাপল ফ্লপিতে শেষ পাঁচ কিলোবাইটে সংরক্ষিত থাকত। এতে ডিস্কে অন্য কিছু আর সংরক্ষণ করা সম্ভব হতো না।
ওই সময়ে ফ্লপি ডিস্কের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে ব্রেন ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম হয়েছিল।
ভাইরাসটি অবমুক্ত করার পর যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে দুই ভাইয়ের ফোন নম্বরে প্রচুর কল আসতে থাকে। মেশিন ভাইরাসমুক্ত করার আবেদন করতে বলেন তাঁরা। এত ফোন কল পেয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন দুই ভাই। ক্ষুব্ধ লোকজনকে তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করেন।
পরে আরেক ভাই শহীদ ফারুক আলভির সঙ্গে ব্রেইন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে ব্রেইন নেট ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেন বাসিত ফারুক আলভি এবং আমজাদ ফারুক আলভি। ব্যবসাটি মূলত পাকিস্তানেই ছিল।
২০১১ সালে, অর্থাৎ ব্রেন ভাইরাস অবমুক্ত করার ২৫ বছর পর, তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এফ–সিকিউর-এর মিকো হিপ্পোনেন একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। সেটির জন্য আমজাদের সাক্ষাৎকার নিতে পাকিস্তানে যান মিকো।
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
১০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
১১ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
১৩ ঘণ্টা আগে