অনলাইন ডেস্ক
গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করার বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসির একটি ফেডারেল আদালতে অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এডি কিউ জানান, আপতত নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির কোনো পরিকল্পনা অ্যাপলের নেই।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরেছেন এডি কিউ। নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো—
১. খরচ: অ্যাপল জানিয়েছে, সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে ‘বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার’ খরচ হবে এবং এটি ‘অনেক বছর’ সময় নিবে। এর ফলে কোম্পানির অন্যান্য ব্যবসায়িক দিকগুলো থেকে বিনিয়োগ এবং কর্মী কমে যাবে। এসব ব্যবসা কোম্পানির জন্য বেশ লাভজনক।
২. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: সার্চ ব্যবসা বর্তমানে ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল’ এবং ‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হয়ে উঠেছে। বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কারণে। বর্তমানে এআই চ্যাটবটগুলো বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দ্রুত দেয়। তাই সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য খোঁজার পরিবর্তে এসব চ্যাটবটকে জিজ্ঞেস করে। তাই ভবিষ্যতে সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার কমে যাওয়ার আশঙ্কা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করা অ্যাপলের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৩. গোপনীয়তা ও বিজ্ঞাপন ব্যবসা: অ্যাপল সব সময়ই ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেকেই এই কোম্পানির কেনার জন্য আগ্রহী হয়। অ্যাপল জানায়, একটি সফল সার্চ ইঞ্জিন চালু করতে হলে তারা ‘টার্গেটেড বা লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপন’ বিক্রি করতে হবে, যা কোম্পানির ‘মৌলিক ব্যবসা’ নয় এবং এটি তাদের ‘দীর্ঘকালীন গোপনীয়তা প্রতিশ্রুতি’ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
৪. অপারেশনাল অবকাঠামোর অভাব: সার্চ ইঞ্জিন ব্যবসা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ‘বিশেষায়িত কর্মী’ এবং ‘অপারেশনাল অবকাঠামো’ নেই অ্যাপলের।
তাই সার্চ ইঞ্জিনের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অ্যাপলের সফলতা পাওয়া বেশ কঠিন।
গুগল এবং অ্যাপলের মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি নিয়ে তদন্ত চলার সময় অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এডি কিউ এই বিবৃতি দিলেন। মার্কিন আদালত বলছে এই চুক্তি অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে অ্যাপলের সাফারি ব্রাউজারে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখা হয় গুগলকে। আদালত আরও বলছে, এই চুক্তির ফলে গুগলের সার্চ ব্যবসার প্রতি একক আধিপত্য সৃষ্টি হচ্ছে, যা মার্কিন আইন অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কিউ জানান, ২০২২ সালে গুগল অ্যাপলকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। তিনি বলেন, এই চুক্তি যদি বাতিল হলে ‘অ্যাপল তার ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।’
তথ্যসূত্র: ম্যাকরিউমার
গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করার বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসির একটি ফেডারেল আদালতে অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এডি কিউ জানান, আপতত নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির কোনো পরিকল্পনা অ্যাপলের নেই।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরেছেন এডি কিউ। নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো—
১. খরচ: অ্যাপল জানিয়েছে, সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে ‘বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার’ খরচ হবে এবং এটি ‘অনেক বছর’ সময় নিবে। এর ফলে কোম্পানির অন্যান্য ব্যবসায়িক দিকগুলো থেকে বিনিয়োগ এবং কর্মী কমে যাবে। এসব ব্যবসা কোম্পানির জন্য বেশ লাভজনক।
২. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: সার্চ ব্যবসা বর্তমানে ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল’ এবং ‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হয়ে উঠেছে। বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কারণে। বর্তমানে এআই চ্যাটবটগুলো বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দ্রুত দেয়। তাই সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য খোঁজার পরিবর্তে এসব চ্যাটবটকে জিজ্ঞেস করে। তাই ভবিষ্যতে সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার কমে যাওয়ার আশঙ্কা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করা অ্যাপলের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৩. গোপনীয়তা ও বিজ্ঞাপন ব্যবসা: অ্যাপল সব সময়ই ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেকেই এই কোম্পানির কেনার জন্য আগ্রহী হয়। অ্যাপল জানায়, একটি সফল সার্চ ইঞ্জিন চালু করতে হলে তারা ‘টার্গেটেড বা লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপন’ বিক্রি করতে হবে, যা কোম্পানির ‘মৌলিক ব্যবসা’ নয় এবং এটি তাদের ‘দীর্ঘকালীন গোপনীয়তা প্রতিশ্রুতি’ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
৪. অপারেশনাল অবকাঠামোর অভাব: সার্চ ইঞ্জিন ব্যবসা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ‘বিশেষায়িত কর্মী’ এবং ‘অপারেশনাল অবকাঠামো’ নেই অ্যাপলের।
তাই সার্চ ইঞ্জিনের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অ্যাপলের সফলতা পাওয়া বেশ কঠিন।
গুগল এবং অ্যাপলের মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি নিয়ে তদন্ত চলার সময় অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এডি কিউ এই বিবৃতি দিলেন। মার্কিন আদালত বলছে এই চুক্তি অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে অ্যাপলের সাফারি ব্রাউজারে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখা হয় গুগলকে। আদালত আরও বলছে, এই চুক্তির ফলে গুগলের সার্চ ব্যবসার প্রতি একক আধিপত্য সৃষ্টি হচ্ছে, যা মার্কিন আইন অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কিউ জানান, ২০২২ সালে গুগল অ্যাপলকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। তিনি বলেন, এই চুক্তি যদি বাতিল হলে ‘অ্যাপল তার ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।’
তথ্যসূত্র: ম্যাকরিউমার
২০২৫ সালের শুরুতে বেশ কিছু শক্তিশালী পণ্য উন্মোচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। নতুন ম্যাকবুক এয়ার থেকে শুরু করে সাশ্রয়ীমূল্যের আইফোন সিরিজও বাজারে নিয়ে আসতে হতে পারে।
১০ মিনিট আগেযুক্তরাজ্যে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হতে চলা নতুন ইন্টারনেট আইনের জন্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে প্রতি বছর ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড ফি আরোপ করা হবে। দেশটির যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অফকম বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।
১ ঘণ্টা আগেভিয়েতনামে নতুন ইন্টারনেট আইন কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। আইনটি ‘ডিক্রি ১৪৭’ নামে পরিচিত। নতুন আইন অনুযায়ী, ফেসবুক এবং টিকটকসহ সকল প্রযুক্তি কোম্পানিকে ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাই করতে হবে এবং তাদের তথ্য সরকারকে সরবরাহ করতে হবে। গত বুধবার থেকে আইনটি কার্যকর হয়। আইনটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক
২১ ঘণ্টা আগেমানুষের আবেগ বুঝতে পারা কোনো সহজ বিষয় নয়। তবে ভবিষ্যতের রোবটগুলো শুধু আপনার ত্বক স্পর্শ করেই আপনার আবেগশনাক্ত করতে পারবে। এমনই চমকপ্রদ জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। শারীরবৃত্তীয় সংকেত, বিশেষত ঘাম ও ত্বকের পরিবাহিতা বিশ্লেষণ করে রোবটগুলো মানুষের আবেগ বুঝতে পারবে।
১ দিন আগে