অনলাইন ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ, শেয়ার এবং প্রক্রিয়াধীন করলেও এসব তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের খুব সীমিত স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য ব্যবস্থাপনা নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এফটিসি। বিশেষ করে যখন এ তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
প্রতিবেদন তৈরিতে মেটার প্ল্যাটফরমগুলো, বাইটড্যান্সের টিকটক, আমাজনের গেমিং প্ল্যাটফরম টুইচ এবং অন্যান্য কোম্পানির ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বিশ্লেষণ করেছে এফটিসি। বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ নীতিগুলোতে ‘দুঃখজনকভাবে অপর্যাপ্ত’ বলে মন্তব্য করেছে তারা।
এফটিসির প্রতিবেদনে ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার), স্ন্যাপচ্যাট, ডিসকর্ড ও রেডিটও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে এদের ফলাফলগুলো প্রকাশ করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে ডিসকর্ড বলেছে, প্রতিবেদনে খুব ভিন্ন ব্যবসায়িক মডেলগুলো একসঙ্গে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। যখন এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল, সেই সময় তাদের বিজ্ঞাপনসেবা ছিল না।
এক্সের মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিবেদনটি ২০২০ সালের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। সে সময় সাইটটি টুইটার নামে পরিচিত ছিল এবং এক্স এখন তা থেকে আরও উন্নত। ব্যবহারকারীর তথ্যের গোপনীয়তা গুরুত্বসহকারে নিয়ে থাকে এক্স। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফরমের সঙ্গে কী তথ্য শেয়ার করছে এবং তথ্যগুলো কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা জানিয়ে দেয়। ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ সীমিত করার সুযোগও দেয় এক্স।
অন্যান্য কোম্পানি এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
এফটিসি বলেছে, অনলাইন বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ট্র্যাকিং প্রযুক্তি এবং দালালদের কাছ থেকে তথ্য কিনে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো।
এফটিসির চেয়ারম্যান লিনা খান বলেছেন, এই নজরদারি চর্চাগুলো কোম্পানির জন্য লাভজনক হলেও মানুষের গোপনীয়তা বিঘ্ন করতে পারে এবং স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এর মাধ্যমে পরিচয় চুরি থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীদের নজরদারির মতো বিপদের মুখে ফেলতে পারে।’
শিশু–কিশোরদের মতো তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য ডেটা গোপনীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাব মোকাবিলার জন্য গত জুলাইয়ে সিনেটে পাস হওয়া বিলগুলো বিবেচনা করছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। এদিকে মেটা সম্প্রতি কিশোরদের জন্য অ্যাকাউন্ট চালু করেছে, যা উন্নত প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন্তর্ভুক্ত করে।
বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের উদীয়মান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিগুলোর জন্য তথ্যের উৎস খুঁজতে ব্যস্ত। তথ্য সরবরাহের চুক্তিগুলো প্রায়শই প্রকাশ করা হয় না এবং ব্যবহারকারীদের কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই প্রায়ই ব্যক্তিগত কনটেন্ট ব্যবহার করে।
এফটিসি জানিয়েছে, বেশির ভাগ কোম্পানি ব্যবহারকারীদের বয়স ও লিঙ্গের তথ্য সংগ্রহ করে বা অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে অনুমান করে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীরা তাদের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হন, তার তথ্যও সংগ্রহ করে। কিছু কোম্পানি ব্যবহারকারীদের আয়, শিক্ষা এবং পরিবারিক অবস্থান সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলো তাদের সেবা ব্যবহার না করা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্যও সংগ্রহ করে এবং কিছু কোম্পানি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের সব পদ্ধতি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়নি।
বিজ্ঞাপনশিল্পের গ্রুপগুলো বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটির সমালোচনা করে বলেন, গ্রাহকেরা বিজ্ঞাপন-সমর্থিত পরিষেবার মূল্য বুঝতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ, শেয়ার এবং প্রক্রিয়াধীন করলেও এসব তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের খুব সীমিত স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য ব্যবস্থাপনা নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এফটিসি। বিশেষ করে যখন এ তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
প্রতিবেদন তৈরিতে মেটার প্ল্যাটফরমগুলো, বাইটড্যান্সের টিকটক, আমাজনের গেমিং প্ল্যাটফরম টুইচ এবং অন্যান্য কোম্পানির ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বিশ্লেষণ করেছে এফটিসি। বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ নীতিগুলোতে ‘দুঃখজনকভাবে অপর্যাপ্ত’ বলে মন্তব্য করেছে তারা।
এফটিসির প্রতিবেদনে ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার), স্ন্যাপচ্যাট, ডিসকর্ড ও রেডিটও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে এদের ফলাফলগুলো প্রকাশ করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে ডিসকর্ড বলেছে, প্রতিবেদনে খুব ভিন্ন ব্যবসায়িক মডেলগুলো একসঙ্গে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। যখন এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল, সেই সময় তাদের বিজ্ঞাপনসেবা ছিল না।
এক্সের মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিবেদনটি ২০২০ সালের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। সে সময় সাইটটি টুইটার নামে পরিচিত ছিল এবং এক্স এখন তা থেকে আরও উন্নত। ব্যবহারকারীর তথ্যের গোপনীয়তা গুরুত্বসহকারে নিয়ে থাকে এক্স। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফরমের সঙ্গে কী তথ্য শেয়ার করছে এবং তথ্যগুলো কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা জানিয়ে দেয়। ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ সীমিত করার সুযোগও দেয় এক্স।
অন্যান্য কোম্পানি এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
এফটিসি বলেছে, অনলাইন বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ট্র্যাকিং প্রযুক্তি এবং দালালদের কাছ থেকে তথ্য কিনে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো।
এফটিসির চেয়ারম্যান লিনা খান বলেছেন, এই নজরদারি চর্চাগুলো কোম্পানির জন্য লাভজনক হলেও মানুষের গোপনীয়তা বিঘ্ন করতে পারে এবং স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এর মাধ্যমে পরিচয় চুরি থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীদের নজরদারির মতো বিপদের মুখে ফেলতে পারে।’
শিশু–কিশোরদের মতো তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য ডেটা গোপনীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাব মোকাবিলার জন্য গত জুলাইয়ে সিনেটে পাস হওয়া বিলগুলো বিবেচনা করছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। এদিকে মেটা সম্প্রতি কিশোরদের জন্য অ্যাকাউন্ট চালু করেছে, যা উন্নত প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন্তর্ভুক্ত করে।
বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো তাদের উদীয়মান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিগুলোর জন্য তথ্যের উৎস খুঁজতে ব্যস্ত। তথ্য সরবরাহের চুক্তিগুলো প্রায়শই প্রকাশ করা হয় না এবং ব্যবহারকারীদের কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই প্রায়ই ব্যক্তিগত কনটেন্ট ব্যবহার করে।
এফটিসি জানিয়েছে, বেশির ভাগ কোম্পানি ব্যবহারকারীদের বয়স ও লিঙ্গের তথ্য সংগ্রহ করে বা অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে অনুমান করে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীরা তাদের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হন, তার তথ্যও সংগ্রহ করে। কিছু কোম্পানি ব্যবহারকারীদের আয়, শিক্ষা এবং পরিবারিক অবস্থান সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলো তাদের সেবা ব্যবহার না করা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্যও সংগ্রহ করে এবং কিছু কোম্পানি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের সব পদ্ধতি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়নি।
বিজ্ঞাপনশিল্পের গ্রুপগুলো বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটির সমালোচনা করে বলেন, গ্রাহকেরা বিজ্ঞাপন-সমর্থিত পরিষেবার মূল্য বুঝতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
১৯ ঘণ্টা আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
২১ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
১ দিন আগেইলন মাস্কের মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স–এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিয়ে করছে মেটার থ্রেডস। ফিচারটি এআই ব্যবহার করে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেবে।
১ দিন আগে