প্রযুক্তি ডেস্ক
ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে আমাদের ব্যবহারের সব ডিভাইস আকারে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবে এমন সব কাজ করতে পারি, যেগুলো অ্যানালগ সময়ের ‘শক্তিশালী’ কম্পিউটারেও করা যেত না!
বহনযোগ্য হওয়ায় এখন বেশির ভাগ মানুষ ডেস্কটপ কম্পিউটারের বদলে ল্যাপটপ ব্যবহার করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বর্তমানে আমরা যেমন কম্পিউটার দেখি তা সময়ের সঙ্গে ব্যাপক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে এই রূপে এসেছে। পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের ওজন ছিল ৩০ টন! এ ছাড়া কম্পিউটারটির আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট। অর্থাৎ প্রায় একটি ঘরের সমান।
তবে প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ইনিয়াকের কাজ শুরুর আগে, বৈদ্যুতিক নয়, পানি–চালিত কম্পিউটার তৈরি করেছিল রাশিয়া! পানির প্রবাহ ও আয়তনের সামান্য পরিবর্তন হিসাব করে সমাধান করা যেত গাণিতিক সমস্যার।
রাশিয়ার বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির লুকিয়ানভ ১৯৩৬ সালে এই কম্পিউটার তৈরি করেন। এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার যা পারশিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধান করতে পারত।
কম্পিউটারটিতে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট হিসেবে ছিল পরস্পর সংযুক্ত পানিভর্তি কাচের টিউব এবং পাম্প। টিউবে পানির স্তর সমাধান (আউটপুট) নির্দেশ করত। ট্যাপ এবং প্লাগগুলো সমীকরণের চলক অনুযায়ী সামঞ্জস্য বজায় রাখত। ভূতত্ত্ব, রকেট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ধাতুবিদ্যার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কম্পিউটারের ব্যবহার ছিল।
লুকিয়ানভের ইন্টিগ্রেটরগুলোর প্রথম দিকের সংস্করণগুলো পরীক্ষামূলক ছিল। ইন্টিগ্রেটরগুলো ছিল টিন এবং কাচের টিউব দিয়ে তৈরি, প্রতিটি ইন্টিগ্রেটর একটিমাত্র সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা যেত। ১৯৩০-এর দশকে পারশিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধানের জন্য এটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একমাত্র কম্পিউটার ছিল।
১৯৪১ সালে মডুলার ডিজাইনের একটি হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর তৈরি করেছিলেন লুকিয়ানভ, যার মাধ্যমে একের অধিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করা যেত। পরবর্তীতে দ্বি-মাত্রিক এবং ত্রি-মাত্রিক হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর ডিজাইন করা হয়েছিল। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৫ সালে রাশিয়ার নিশেটম্যাশ (NIISCHETMASH) ইনস্টিটিউটে স্ট্যান্ডার্ড ইউনিফায়েড ইউনিটের আকারে একটি ইন্টিগ্রেটর তৈরি করা হয়।
গণনা এবং বিশ্লেষণাত্মক মেশিনের কারখানা রিয়াজান প্ল্যান্টে ১৯৫৫ সালে ইন্টিগ্রেটরগুলো ব্যাপক আকারে উৎপাদন শুরু করা হয়। ইন্টিগ্রেটরগুলো চেকোস্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া এবং চীনে সরবরাহ করা হয়েছিল।
১৯৪০–এর দশকে তুর্কমিনিস্তানের কারাকুম খালের নকশা করতে এই ওয়াটার ইন্টিগ্রেটর ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ১৯৭০–এর দশকে বৈকাল আমুর রেললাইন ডিজাইনেও এই কম্পিউটারের সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। সার্বিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে রাশিয়ার পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত এই ব্রডগেজ রেললাইনের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ৩২৪ কিলোমিটার।
বড় কোনো অবকাঠামোর নকশা করার জন্য ১৯৮০–এর দশক পর্যন্ত পানি–চালিত এই অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহার করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভূতত্ত্ব, খনি খনন, ধাতুবিদ্যা, রকেট তৈরি এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাতে এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হতো।
মস্কোর পলিটেকনিক মিউজিয়ামে এ ধরনের দুটি হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর এখনো সংরক্ষিত আছে।
ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে আমাদের ব্যবহারের সব ডিভাইস আকারে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবে এমন সব কাজ করতে পারি, যেগুলো অ্যানালগ সময়ের ‘শক্তিশালী’ কম্পিউটারেও করা যেত না!
বহনযোগ্য হওয়ায় এখন বেশির ভাগ মানুষ ডেস্কটপ কম্পিউটারের বদলে ল্যাপটপ ব্যবহার করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বর্তমানে আমরা যেমন কম্পিউটার দেখি তা সময়ের সঙ্গে ব্যাপক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে এই রূপে এসেছে। পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের ওজন ছিল ৩০ টন! এ ছাড়া কম্পিউটারটির আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট। অর্থাৎ প্রায় একটি ঘরের সমান।
তবে প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ইনিয়াকের কাজ শুরুর আগে, বৈদ্যুতিক নয়, পানি–চালিত কম্পিউটার তৈরি করেছিল রাশিয়া! পানির প্রবাহ ও আয়তনের সামান্য পরিবর্তন হিসাব করে সমাধান করা যেত গাণিতিক সমস্যার।
রাশিয়ার বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির লুকিয়ানভ ১৯৩৬ সালে এই কম্পিউটার তৈরি করেন। এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার যা পারশিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধান করতে পারত।
কম্পিউটারটিতে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট হিসেবে ছিল পরস্পর সংযুক্ত পানিভর্তি কাচের টিউব এবং পাম্প। টিউবে পানির স্তর সমাধান (আউটপুট) নির্দেশ করত। ট্যাপ এবং প্লাগগুলো সমীকরণের চলক অনুযায়ী সামঞ্জস্য বজায় রাখত। ভূতত্ত্ব, রকেট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ধাতুবিদ্যার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কম্পিউটারের ব্যবহার ছিল।
লুকিয়ানভের ইন্টিগ্রেটরগুলোর প্রথম দিকের সংস্করণগুলো পরীক্ষামূলক ছিল। ইন্টিগ্রেটরগুলো ছিল টিন এবং কাচের টিউব দিয়ে তৈরি, প্রতিটি ইন্টিগ্রেটর একটিমাত্র সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা যেত। ১৯৩০-এর দশকে পারশিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধানের জন্য এটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একমাত্র কম্পিউটার ছিল।
১৯৪১ সালে মডুলার ডিজাইনের একটি হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর তৈরি করেছিলেন লুকিয়ানভ, যার মাধ্যমে একের অধিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করা যেত। পরবর্তীতে দ্বি-মাত্রিক এবং ত্রি-মাত্রিক হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর ডিজাইন করা হয়েছিল। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৫ সালে রাশিয়ার নিশেটম্যাশ (NIISCHETMASH) ইনস্টিটিউটে স্ট্যান্ডার্ড ইউনিফায়েড ইউনিটের আকারে একটি ইন্টিগ্রেটর তৈরি করা হয়।
গণনা এবং বিশ্লেষণাত্মক মেশিনের কারখানা রিয়াজান প্ল্যান্টে ১৯৫৫ সালে ইন্টিগ্রেটরগুলো ব্যাপক আকারে উৎপাদন শুরু করা হয়। ইন্টিগ্রেটরগুলো চেকোস্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া এবং চীনে সরবরাহ করা হয়েছিল।
১৯৪০–এর দশকে তুর্কমিনিস্তানের কারাকুম খালের নকশা করতে এই ওয়াটার ইন্টিগ্রেটর ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ১৯৭০–এর দশকে বৈকাল আমুর রেললাইন ডিজাইনেও এই কম্পিউটারের সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। সার্বিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে রাশিয়ার পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত এই ব্রডগেজ রেললাইনের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ৩২৪ কিলোমিটার।
বড় কোনো অবকাঠামোর নকশা করার জন্য ১৯৮০–এর দশক পর্যন্ত পানি–চালিত এই অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহার করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভূতত্ত্ব, খনি খনন, ধাতুবিদ্যা, রকেট তৈরি এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাতে এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হতো।
মস্কোর পলিটেকনিক মিউজিয়ামে এ ধরনের দুটি হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর এখনো সংরক্ষিত আছে।
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
৭ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
৯ ঘণ্টা আগে