কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা। এতে নতুন করে পাঁচ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের বাড়িঘর।
বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করেছে নীলফামারীতে তিস্তার পানি। আজ শনিবার বেলা ৩টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে ১২টার দিকে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪ টি) গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদী শুকিয়ে অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় সংকটে পড়েছে দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প। সেচের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে ১৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের সেচসুবিধা থেকে বঞ্চিত নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার লাখো কৃষক। দ্ব
ভারতের সিকিম রাজ্যে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার তোড়ে ভেসে গিয়েছেন অন্তত ৮২ জন। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার তোড়ে অন্তত ১৪টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে প্রায় ৩ হাজার পর্যটককে অন্যান্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
নীলফামারীতে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সব কটি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
ভারতের গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ এবং অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারণে গতিপথ বদলে গিয়ে তিস্তা নদী ব্যাপক ভাঙনপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের পাশাপাশি টেকসই পরিবেশবান্ধব উপায়ে ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রংপুরের কাউনিয়ায় উজানের ঢল আর টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতীরবর্তী আমন ও সবজিখেত তলিয়ে গেছে। এদিকে ভোর থেকে নদীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় পানিবন্দী হওয়ার আতঙ্কে চরাঞ্চলের অনেকেই গবাদিপশু উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন...
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার ১৫টি চরের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে নীলফামারীর তিস্তাপাড়ে আবারো বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ৪৪টি জল কপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছেন ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ...
নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আজ বুধবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে পানির প্রবাহ কিছুটা কমে গিয়ে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এ মৌসুমে ডালিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয়বার বিপৎসীমা অতিক্র
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ধু ধু বালুচর এলাকা এখন পানিতে টইটম্বুর। এদিকে উজানের পানি নিয়ন্ত্রণে ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়া তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে
কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর গত কিছুদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এ ছাড়া উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির উচ্চতা বাড়ছে। এতে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় দ
লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আবারও ভয়াবহ বন্যার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপরে ও তিস্তা নদী ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব
উজানের ঢলে দুপুরের পর থেকে হু হু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্য নদ-নদীগুলোরও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে কাউনিয়া, গংগাচড়া ও পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে বইছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ও পুকুর খননের কোটি টাকার বালু লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন প্রকল্পে এ বালু দিয়েই কাজ করছেন কিছু অসাধু ঠিকাদার।