আজ অগ্রহায়ণের শেষ দিন। হেমন্তকে বিদায় জানিয়ে কাল সোমবার আনুষ্ঠানিক আগমন ঘটবে শীতকালের। তবে শীতকালের প্রথম মাস পৌষ আসার বেশ আগেই এবার শীত চলে এসেছে। যদিও সূর্যের কিছুটা তেজ বাড়ায় রাজধানীতে দুদিন ধরে ঠান্ডার অনুভূতি একটু কম। তবে উল্টো চিত্র দেশের উত্তরাঞ্চলে। সেখানে শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করেছে।
সময় ঘুরে এসেছে হেমন্ত। ঋতুর সঙ্গে বদলে গেছে আবহাওয়া। ফলে বদল আনতে হবে ত্বকের যত্নেও। কিছু সাধারণ অভ্যাস আছে, যেগুলো ঋতুর মেজাজ বুঝে ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। তাই বদলে যাওয়া আবহাওয়ায় নিস্তেজ বা শুষ্ক ত্বকের জন্য নিদে হবে আলাদা যত্ন।
হেমন্ত চলছে। শীত সমাগত। দুপুরের পর সূর্যের তেজ এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। শহরের বাইরে পাওয়া যাচ্ছে শীতের আভাস। ঢাকার বাইরের জনপদে সন্ধ্যার দিকে খানিকটা মোটা পোশাক পরা শুরু হয়েছে শরতের শেষ থেকে। আর হেমন্তের শুরুতে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শীতের ট্রেন্ডি পোশাকের বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করেছে।
বগুড়া শহরের অদূরেই গাবতলী উপজেলা। এই উপজেলারই সুন্দর একটি ইউনিয়নের নাম নেপালতলী। সেই গ্রামে আছে চোখজুড়ানো বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। হেমন্ত শেষে ঋতুতে এখন শীতের আমেজ। পৌষের প্রথম সপ্তাহ চলছে। মৃদু হিমেল হাওয়ায় এখনো মাঠে ফসল তুলতে ব্যস্ত কৃষক।
শীত এলে অনেকের মনই ফুরফুরে হয়ে ওঠে। একে তো গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার হওয়ার দিন ফুরোয়, অন্যদিকে রংবেরঙের ফ্যাশনেবল পোশাক পরারও ফুরসত মেলে। তাই শীতের জন্য অনেকে তুলে রাখেন অনেক ধরনের টপস, প্যান্ট, কটি, শর্ট ব্লাউজ। তবে মুশকিলটা হয় যখন খুব শীত পড়ে না, আবার বিকেল হলেই শীত শীত অনুভব হয়।
হেমন্তের ভোরে মৃদু কুয়াশা ভেদ করে পাকা ধানের মাঠে ছুটে যান ধান কৃষি শ্রমিকেরা। কাস্তে হাতে নিয়ে মুষ্টি করে কাটেন পাকা ধান। মাথায় বয়ে নিয়ে তা তুলে দিচ্ছেন কৃষকের ঘরে ঘরে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের এমন কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ধান কৃষি শ্রমিকেরা।
শরৎ শেষে এল হেমন্ত। হেমন্তের ‘প্রাণ’ নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। সোনালি ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বাড়ির উঠোন ভরে উঠছে নতুন ধানে। চারদিকে ধানের ম-ম গন্ধ। এমন আনন্দ আর উৎসবে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে পিঠা-পুলির নানা আয়োজন।
শরৎ ঋতুকে বিদায় দিয়ে শুরু হয়েছে হেমন্ত। দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। দিনভর গরম থাকলেও বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। ফসলের খেতসহ ঘাসে শিশির এঁকে দিচ্ছে শীতের চিহ্ন। শান্ত-নীরব প্রকৃতি। শীতের আগমনে নদী-নালা ও খাল-বিলে কমতে শুরু করেছে পানি। এক সপ্তাহ ধরে সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আ
শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। প্রকৃতি হালকা কুয়াশার চাদর বিছাতে শুরু করেছে। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে, সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা
হেমন্তের শুরুতে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। এ সময় গাছিরা রস আহরণের জন্য খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেন। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর গাছিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাস্তায়, জমিতে কিংবা পুকুরে, মাঠে-ঘাটে খেজুরের গাছের আশপাশে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে।
প্রকৃতিতে এখন বিরাজ করছে হেমন্ত। কার্তিক-অগ্রহায়ণ, এ দুই মাস একান্তই হেমন্তের। এ সময় বাংলার আকাশে, বাতাসে, বৃক্ষ চরাচরে ছড়িয়ে পড়ে হেমন্তের সুন্দর রূপবিভা। দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠে নির্মল হাওয়ার মৃদু তরঙ্গে নেচে ওঠে সোনালি ধানখেত। পাকা ধানের সোনালি রং দেখে কৃষকের তনু-মনে জেগে ওঠে...