ইশতিয়াক হাসান
কত ধরনের জাদুঘরের কথাই তো শুনেছেন। কিন্তু ভেঙে যাওয়া সম্পর্ককে কেন্দ্র করে কোনো জাদুঘর তৈরি হতে পারে, সেটা নিশ্চয় আশা করবেন না। এমনই এক জাদুঘর আছে ক্রোয়েশিয়ায়। ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক সযতনে সংরক্ষণ করা হয় সেখানে।
পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ মিউজিয়াম অব ব্রোকেন রিলেশনশিপে পাঠান তাঁদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের নানা স্মৃতিচিহ্ন। এর মধ্যে অনেকের নামও জানা নেই জাদুঘর কর্তৃপক্ষের। জাদুঘরে শোভা পাওয়া প্রতিটি নিদর্শনের সঙ্গে থাকে এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়ও।
এই জাদুঘর গড়ে উঠেছে ওলিনকা ভিস্তিকা ও ড্রাজেন গ্রাবিসিকের হাত ধরে। ২০ বছর আগে যখন সম্পর্ক ভেঙে যায়, তখন নিজেদের জিনিসপত্র আলাদা করার সময় আসে। এর মধ্যে ছিল টেলিভিশন, কম্পিউটার, ছুটিতে কোথাও বেড়াতে গিয়ে কেনা নানা স্মারক। আর ছিল একটি খেলনা খরগোশ।
এ দুই ক্রোয়েশিয়ান যখন প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন, দুজনের কেউ বাড়ি ফিরলে সেখানে থাকা অপরজন খরগোশটিতে বাতাস ভরে এটা ছুড়ে দিতেন। বাড়ির চারপাশে ঘুরতে থাকা খরগোশটি যেন স্বাগত জানাত ঘরে যে প্রবেশ করেছে তাকে। কোথাও বেড়াতে গেলে এটাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হতো আর এর সঙ্গে ছবি তুলতেন দুজনে। ভিস্তিকা স্মৃতিচারণা করেন, ‘দুজনের কাছে একসঙ্গে এটি রাখার সুযোগ ছিল না।’
প্রিয় জিনিসটা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। এর বদলে দুর্দান্ত এক বুদ্ধি খেলে গেল তাঁদের মাথায়। এমন একটি জায়গা থাকলে কেমন হয়, যেখানে পৃথিবীর ভেঙে যাওয়া সম্পর্কগুলোর সব নিদর্শন স্থান পাবে?
ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেব শহরের পুরোনো অংশে একসময়কার একটি প্রাসাদে গড়ে ওঠা দ্য মিউজিয়াম অব ব্রোকেন রিলেশনসিপ শহরটির অন্যতম পর্যটক আকর্ষী স্থাপনা। পৃথিবীর নানা প্রান্তের হৃদয়ভাঙা প্রেমিক-প্রেমিকাদের সম্পর্কের নানা নিদর্শনে ভরপুর জাদুঘরটি। কত ধরনের স্মারক যে আছে এই জাদুঘরে। যেমন—এক জোড়া সাদা কাপড়ের জুতো, যার সঙ্গে একটি নোটে লেখা, ‘তার ফ্যাশন সচেতনতা আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছিল।’
আবার সেখানে গেলে হয়তো পাবেন প্যারাসুটের একটি অংশ, যেটি এমন এক নারী পাঠিয়েছেন, যাঁর প্রেমিক স্কাই ডাইভিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় মারা যান।
২০০৬ সালে অস্থায়ী একটি প্রকল্প হিসেবে জাগরেব সেলন নামের একটি শিল্প উৎসবে প্রথমবারের মতো গ্রাবিসিক ও ভিস্তিকা চালু করেন জাদুঘরটি। প্রথম প্রদর্শনীতে পরিচিত ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে তাঁদের ভাঙা সম্পর্কের নানা স্মারক সংগ্রহ করে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রদর্শনী শেষে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ই-মেইল ও ফোন পেতে থাকেন অন্যান্য শহরেও এর প্রদর্শনী করার জন্য। ফলাফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আর্ট গ্যালারি ও তুরস্কের শপিং মলে প্রদর্শনীর আয়োজন করেন তাঁরা। সেখানে আরও বেশ কিছু নিদর্শন যোগ হয় তাঁদের সংগ্রহে। তারপর মেক্সিকো সিটিতে যখন নিজেদের সংগ্রহ উপস্থাপন করেন, সেখানে অন্তত কয়েক শ স্মারক ও গল্প পান।
২০১০ সালে গ্রাবিসিক ও ভিস্তিকা জাদুঘরের স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করেন, সেটি জাগরেবের বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের বিখ্যাত ভেন্যু সিটি হলের কাছেই। তারপর থেকেই বড় হতে থাকে এর পরিসর। জাদুঘরের সংগ্রহের সংখ্যা এখন ছাড়িয়ে গেছে ৪ হাজার। চারলোট্টি ফুয়েন্তেস, যিনি জাদুঘরের সংগ্রহগুলোর দেখভাল করেন ও বাইরে অস্থায়ী প্রদর্শনীর আয়োজন করেন, তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন স্মৃতিচিহ্ন পান তারা মেইলে।
ফুয়েন্তেস জানান, তাঁদের কাছে নানা অদ্ভুত ধরনের জিনিসই আসে। যেমন একজন পাঠিয়েছেন ৩৭ বছরের পুরোনো একটি বিয়ের কেক। ফ্রিজে এটা সংরক্ষণ করছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। ‘ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কত কী করে মানুষ, ভেবে অবাক হই।’ বলেন ফুয়েন্তেস।
গ্রাবিসিক, ভিস্তিকা আর ফুয়েন্তেস জানান, অনেক দূরের এলাকা থেকেও আসে স্মারক। যেমন বেলজিয়াম থেকে পেয়েছেন একটি বাইসাইকেল, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কিছু খেলনা আসবাব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে বাস্কেটবল খেলার এক জোড়া মোজা।
গ্রাবিসিক বলেন, তাঁদের পাওয়া জিনিসগুলো কখনো কোনো দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নির্দেশ করে। ফিলিপাইনে যখন অস্থায়ী একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে, তখন এমন কিছু নিদর্শন পান, যেগুলো অভিবাসনের কারণে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার স্মারক। ‘লাখ লাখ ফিলিপিনো বিদেশে চাকরি করেন,’ বলেন গ্রাবিসিক, ‘কাজেই বড় একটি সম্ভাবনা আপনার প্রিয় মানুষটি হয়তো কানাডা, আরব আমিরাত কিংবা অন্য কোনোখানে চলে গেছেন কাজে। ফলাফল হিসেবে সেটা ভেঙে গেছে।’
‘আমি নিশ্চিত, ইউক্রেনে কোনো প্রদর্শনীর আয়োজন করলে যুদ্ধের কারণে বিচ্ছেদের কিছু গল্প পাব আমরা।’ মন্তব্য গ্রাবিসিকের।
কিছু কিছু উপকরণের সঙ্গে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন কোনো কোনো নিদর্শন আসে ধর্মীয় বিশ্বাস হারানো কিংবা কোনো শিশুর মৃত্যু ঘিরে। ‘আমরা সব সময় জাদুঘরের নামটি উন্মুক্ত রেখেছি, মিউজিয়াম অব ব্রোকেন রিলেশনশিপ, এখানে ভালোবাসার কথা উল্লেখ করা হয়নি,’ বলেন ভিস্তিকা, ‘শুধু ভালোবাসা নয়, সব সম্পর্কই আবেগময়।’
কত রকম জিনিস যে আসে জাদুঘরে। স্লোভেনিয়ার এক নারী দিয়েছিলেন বাগানের সজ্জার জন্য ব্যবহার করা ছোট্ট একটা কল্পকথার প্রাণীর মূর্তি। ডিভোর্সের দিন প্রাক্তন স্বামীর গাড়ির দিকে এটি ছুড়ে মেরেছিলেন তিনি।
মজার ঘটনা, জাদুঘরের কোনো কিছু ফেরত দেওয়ার নিয়ম নেই। যেমন যিনি এটি দিয়েছেন তাঁর যদি প্রাক্তনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায় তাহলেও।
ইউরোপ ভ্রমণে গেলে ক্রোয়েশিয়ার আশ্চর্য এই জাদুঘরে একটি চক্কর দিতেই পারেন। ও আরেকটি কথা, মার্কিন মুল্লুকের লস অ্যাঞ্জেলেসেও কিন্তু ২০১৭ সালে একটি শাখা খোলা হয়েছে ভাঙা সম্পর্কের স্মারকের এই জাদুঘরের। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণেও আপনার সুযোগ থাকছে জাদুঘরের নানা নিদর্শন দেখার। আর যদি পুরোনো কোনো ভাঙা সম্পর্কের স্মারক আপনার নিজের কাছে থাকে, তবে সেটার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলার চেয়ে জাদুঘরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়াই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ব্রোকেন শিপস ডট কম, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট
কত ধরনের জাদুঘরের কথাই তো শুনেছেন। কিন্তু ভেঙে যাওয়া সম্পর্ককে কেন্দ্র করে কোনো জাদুঘর তৈরি হতে পারে, সেটা নিশ্চয় আশা করবেন না। এমনই এক জাদুঘর আছে ক্রোয়েশিয়ায়। ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক সযতনে সংরক্ষণ করা হয় সেখানে।
পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ মিউজিয়াম অব ব্রোকেন রিলেশনশিপে পাঠান তাঁদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের নানা স্মৃতিচিহ্ন। এর মধ্যে অনেকের নামও জানা নেই জাদুঘর কর্তৃপক্ষের। জাদুঘরে শোভা পাওয়া প্রতিটি নিদর্শনের সঙ্গে থাকে এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়ও।
এই জাদুঘর গড়ে উঠেছে ওলিনকা ভিস্তিকা ও ড্রাজেন গ্রাবিসিকের হাত ধরে। ২০ বছর আগে যখন সম্পর্ক ভেঙে যায়, তখন নিজেদের জিনিসপত্র আলাদা করার সময় আসে। এর মধ্যে ছিল টেলিভিশন, কম্পিউটার, ছুটিতে কোথাও বেড়াতে গিয়ে কেনা নানা স্মারক। আর ছিল একটি খেলনা খরগোশ।
এ দুই ক্রোয়েশিয়ান যখন প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন, দুজনের কেউ বাড়ি ফিরলে সেখানে থাকা অপরজন খরগোশটিতে বাতাস ভরে এটা ছুড়ে দিতেন। বাড়ির চারপাশে ঘুরতে থাকা খরগোশটি যেন স্বাগত জানাত ঘরে যে প্রবেশ করেছে তাকে। কোথাও বেড়াতে গেলে এটাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হতো আর এর সঙ্গে ছবি তুলতেন দুজনে। ভিস্তিকা স্মৃতিচারণা করেন, ‘দুজনের কাছে একসঙ্গে এটি রাখার সুযোগ ছিল না।’
প্রিয় জিনিসটা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। এর বদলে দুর্দান্ত এক বুদ্ধি খেলে গেল তাঁদের মাথায়। এমন একটি জায়গা থাকলে কেমন হয়, যেখানে পৃথিবীর ভেঙে যাওয়া সম্পর্কগুলোর সব নিদর্শন স্থান পাবে?
ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেব শহরের পুরোনো অংশে একসময়কার একটি প্রাসাদে গড়ে ওঠা দ্য মিউজিয়াম অব ব্রোকেন রিলেশনসিপ শহরটির অন্যতম পর্যটক আকর্ষী স্থাপনা। পৃথিবীর নানা প্রান্তের হৃদয়ভাঙা প্রেমিক-প্রেমিকাদের সম্পর্কের নানা নিদর্শনে ভরপুর জাদুঘরটি। কত ধরনের স্মারক যে আছে এই জাদুঘরে। যেমন—এক জোড়া সাদা কাপড়ের জুতো, যার সঙ্গে একটি নোটে লেখা, ‘তার ফ্যাশন সচেতনতা আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছিল।’
আবার সেখানে গেলে হয়তো পাবেন প্যারাসুটের একটি অংশ, যেটি এমন এক নারী পাঠিয়েছেন, যাঁর প্রেমিক স্কাই ডাইভিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় মারা যান।
২০০৬ সালে অস্থায়ী একটি প্রকল্প হিসেবে জাগরেব সেলন নামের একটি শিল্প উৎসবে প্রথমবারের মতো গ্রাবিসিক ও ভিস্তিকা চালু করেন জাদুঘরটি। প্রথম প্রদর্শনীতে পরিচিত ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে তাঁদের ভাঙা সম্পর্কের নানা স্মারক সংগ্রহ করে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রদর্শনী শেষে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ই-মেইল ও ফোন পেতে থাকেন অন্যান্য শহরেও এর প্রদর্শনী করার জন্য। ফলাফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আর্ট গ্যালারি ও তুরস্কের শপিং মলে প্রদর্শনীর আয়োজন করেন তাঁরা। সেখানে আরও বেশ কিছু নিদর্শন যোগ হয় তাঁদের সংগ্রহে। তারপর মেক্সিকো সিটিতে যখন নিজেদের সংগ্রহ উপস্থাপন করেন, সেখানে অন্তত কয়েক শ স্মারক ও গল্প পান।
২০১০ সালে গ্রাবিসিক ও ভিস্তিকা জাদুঘরের স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করেন, সেটি জাগরেবের বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের বিখ্যাত ভেন্যু সিটি হলের কাছেই। তারপর থেকেই বড় হতে থাকে এর পরিসর। জাদুঘরের সংগ্রহের সংখ্যা এখন ছাড়িয়ে গেছে ৪ হাজার। চারলোট্টি ফুয়েন্তেস, যিনি জাদুঘরের সংগ্রহগুলোর দেখভাল করেন ও বাইরে অস্থায়ী প্রদর্শনীর আয়োজন করেন, তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন স্মৃতিচিহ্ন পান তারা মেইলে।
ফুয়েন্তেস জানান, তাঁদের কাছে নানা অদ্ভুত ধরনের জিনিসই আসে। যেমন একজন পাঠিয়েছেন ৩৭ বছরের পুরোনো একটি বিয়ের কেক। ফ্রিজে এটা সংরক্ষণ করছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। ‘ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কত কী করে মানুষ, ভেবে অবাক হই।’ বলেন ফুয়েন্তেস।
গ্রাবিসিক, ভিস্তিকা আর ফুয়েন্তেস জানান, অনেক দূরের এলাকা থেকেও আসে স্মারক। যেমন বেলজিয়াম থেকে পেয়েছেন একটি বাইসাইকেল, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কিছু খেলনা আসবাব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে বাস্কেটবল খেলার এক জোড়া মোজা।
গ্রাবিসিক বলেন, তাঁদের পাওয়া জিনিসগুলো কখনো কোনো দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নির্দেশ করে। ফিলিপাইনে যখন অস্থায়ী একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে, তখন এমন কিছু নিদর্শন পান, যেগুলো অভিবাসনের কারণে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার স্মারক। ‘লাখ লাখ ফিলিপিনো বিদেশে চাকরি করেন,’ বলেন গ্রাবিসিক, ‘কাজেই বড় একটি সম্ভাবনা আপনার প্রিয় মানুষটি হয়তো কানাডা, আরব আমিরাত কিংবা অন্য কোনোখানে চলে গেছেন কাজে। ফলাফল হিসেবে সেটা ভেঙে গেছে।’
‘আমি নিশ্চিত, ইউক্রেনে কোনো প্রদর্শনীর আয়োজন করলে যুদ্ধের কারণে বিচ্ছেদের কিছু গল্প পাব আমরা।’ মন্তব্য গ্রাবিসিকের।
কিছু কিছু উপকরণের সঙ্গে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন কোনো কোনো নিদর্শন আসে ধর্মীয় বিশ্বাস হারানো কিংবা কোনো শিশুর মৃত্যু ঘিরে। ‘আমরা সব সময় জাদুঘরের নামটি উন্মুক্ত রেখেছি, মিউজিয়াম অব ব্রোকেন রিলেশনশিপ, এখানে ভালোবাসার কথা উল্লেখ করা হয়নি,’ বলেন ভিস্তিকা, ‘শুধু ভালোবাসা নয়, সব সম্পর্কই আবেগময়।’
কত রকম জিনিস যে আসে জাদুঘরে। স্লোভেনিয়ার এক নারী দিয়েছিলেন বাগানের সজ্জার জন্য ব্যবহার করা ছোট্ট একটা কল্পকথার প্রাণীর মূর্তি। ডিভোর্সের দিন প্রাক্তন স্বামীর গাড়ির দিকে এটি ছুড়ে মেরেছিলেন তিনি।
মজার ঘটনা, জাদুঘরের কোনো কিছু ফেরত দেওয়ার নিয়ম নেই। যেমন যিনি এটি দিয়েছেন তাঁর যদি প্রাক্তনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায় তাহলেও।
ইউরোপ ভ্রমণে গেলে ক্রোয়েশিয়ার আশ্চর্য এই জাদুঘরে একটি চক্কর দিতেই পারেন। ও আরেকটি কথা, মার্কিন মুল্লুকের লস অ্যাঞ্জেলেসেও কিন্তু ২০১৭ সালে একটি শাখা খোলা হয়েছে ভাঙা সম্পর্কের স্মারকের এই জাদুঘরের। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণেও আপনার সুযোগ থাকছে জাদুঘরের নানা নিদর্শন দেখার। আর যদি পুরোনো কোনো ভাঙা সম্পর্কের স্মারক আপনার নিজের কাছে থাকে, তবে সেটার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলার চেয়ে জাদুঘরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়াই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ব্রোকেন শিপস ডট কম, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে