গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
শব্দদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান ওপরের দিকেই আছে। ওপরের দিকে বলতে ৫, ১০, ১৫ এমন বাজে অবস্থায় নয়। একদম চূড়ায় অবস্থান করছে, মানে নাম্বার ওয়ান। সব বাঘা বাঘা দেশকে বা দেশের শহরকে টপকে চূড়ায় ওঠা চারটিখানি কথা নয়। আমরা গর্ব করে বলতেই পারি যে আমার ঢাকা শীর্ষে। কিসে শীর্ষে, তা না-ই বললাম। শীর্ষ মানেই সম্মান। আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে আমেরিকা। তাদের পাত্তা না দেওয়ার এটাও একটা কারণ। আমাদের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি আমেরিকা। তাই তাদের আরও বেকায়দায় ফেলতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করব আমরা। ওরা অচ্ছুত।
শব্দদূষণের বিভিন্ন কারণ আছে। শব্দূষণের কারণগুলো চিহ্নিত করে তা বাতলে দেয় জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচি। এ ছাড়া আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয় যে দেশে, মানে আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থাও এ বিষয়ে কাজ করে। যে কারণে শব্দদূষণ হয়, তার মধ্যে গাড়ির উচ্চ শব্দ উল্লেখযোগ্য। আরও নানান উচ্চ শব্দের কারণে হয়। এই উচ্চ শব্দের মধ্যে চিৎকার আছে কি না—এটা নিয়ে মতিন সাহেব চিন্তিত। নানাজনকে জিজ্ঞেস করছেন তিনি। সবাই তাঁকে জানাচ্ছেন, জোরে চিৎকার করলে শব্দদূষণ তো হবেই। কিন্তু তার প্রশ্ন ভোটাধিকারের জন্য, ডাকাত থেকে রক্ষার জন্য চিৎকার করলে কি দূষণ হবে? এটা যদি হয় গণতন্ত্রের জন্য চিৎকার, তাহলে কি দূষণ হবে? বিরাট এক প্রশ্ন মাথায় নিয়ে গত রাত থেকে ঘুম হচ্ছে না মতিন সাহেবের। গণতন্ত্র রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ‘চিৎকার’ দেবেন, নাকি শব্দদূষণ হবে ভেবে চুপ থাকবেন?
১০ জুন, শনিবার সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা ঢাকায় বসে সিসিটিভির মাধ্যমে সব কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। কোনো ভোটার যদি ভোট দিতে না পারেন, তাহলে আপনারা চিৎকার দেবেন। আমরা কেন্দ্র (ঢাকা) থেকে ব্যবস্থা নেব।’
শনিবার সিইসির এহেন বক্তব্যের পর ‘চিৎকার’ শব্দটা রীতিমতো সেলিব্রিটি হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিৎকারে সয়লাব। অনেকে তো আনন্দে আত্মহারা হয়ে রাত থেকে চিৎকার করছে। কেউ বলছে, ‘তাইলে প্রচুর চিক্কুর চেঁচামেচি করতে হইব নির্বাচনের সময়? কেউ বলছে, আমার ভোট আমি দেওয়ার নিনজা টেকনিক এই ‘চিৎকার’। কেউ কেউ তো আমার ভোট গেল কই বলে রাত থেকে চেঁচামেচি শুরু করেছে।
মতিন সাহেবের কথা কি মনে আছে? নাকি চিৎকার করতে করতে তা বেমালুম ভুলে গেছেন। মতিন এখনো ঘুমাতে পারছেন না। তার মাথায় আরও অনেক প্রশ্ন ঘুরছে তো ঘুরছেই। বুথের চিৎকার কি সিইসির কান পর্যন্ত যাবে? যদি আমার ভোট আমি দেব—এটাই ইসির চাওয়া হয়, তাহলে বুথে গিয়ে ভোট দিতে না পারার আশঙ্কা করছেন কেন? প্রতিটি কেন্দ্রে তে ইসির অধীনস্থ জনবলই থাকে। তাঁদের সেভাবে নির্দেশ দিলেই তো হয়। মানে মতিন সাহেবের মনে বড় প্রশ্ন, সিইসির মনে ভোট দিতে না পারার আশঙ্কা কেন? সিইসির মনে যদি এই আশঙ্কা থাকে, তাহলে ভোটারের মনে কী হতে পারে? সরকারি দলের বাইরে যারা নির্বাচনে যেতে চায় বা যায়, তাদের মনে কী চিন্তা হবে?
এসব ছাইপাঁশ চিন্তা করতে করতে মতিন সাহেব ফেসবুকে উঁকি দিয়ে দেখলেন সহমত ভাইয়েরাও চিৎকার করছে। এটা আনন্দের চিৎকার। অবশ্য সহমত ভাইয়েরা ভালো থাকলে যেমন চিৎকার করেন, ঠিক তেমনি না খেয়ে থাকলে, লোডশেডিং হলে, দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে তারা বাজার না করতে পারলেও আনন্দে চিৎকার করেন। তো এখন কিসের জন্য চিৎকার করছে? ভোট দিতে তো তাদের বাধা হওয়ার কথা না, কারণ ওনারা তো অন্যদের ভোট দিতে সহায়তা করেন। কষ্ট করে সিল বা ইভিএমে টিপ দেওয়া লাঘব করেন। এমন মহানুভবতার খবর গণমাধ্যমে অনেক এসেছে। তবে কেন চিৎকার?
আচ্ছা অবশেষে চিৎকারের কারণ জানা গেল। চীনের একটি কয়লাবোঝাই জাহাজ মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। এটা নিয়ে যত চিৎকার। তাদের মতে, সব সমস্যার সমাধান হলো। আমেরিকাকে আমাদের কোনো দরকার নাই। এখনই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে ফেলো। কেউ কেউ বলছেন, কয়েক দিন শুধু একটু দেখালাম, শেষ মাইর তো দিল কয়লা এনে। এবার বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে কে কথা বলবে? ২০০১-০৬-এর চিত্র বোঝানো হলো বলে অনেক সহমত ভাই চিৎকার করছেন। আমেরিকা ধীরে ধীরে চাপে পড়ছে আর তা আমরাই নাকি ফালাচ্ছি এটা নিয়ে আছে বিরাট চিৎকার।
অনেকে আবার ওমান থেকে কয়লা কবে আসবে তা নিয়ে টিপ্পনী কাটছেন। আসুন আগে একটু জেনে নিই, মোংলায় যে কয়লা এসেছে, তা দিয়ে কত দিন চালানো যাবে? রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে সাড়ে ২৬ হাজার টন কয়লা। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অর্থায়নে নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আংশিক সক্ষমতায় চললে এ কয়লা দিয়ে সাড়ে সাত দিন চালানো যাবে। আর ইউনিটটি পূর্ণ সক্ষমতায় চালালে চলবে সাড়ে চার দিনেরও কম। শনিবার আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদককে এমনটাই জানিয়েছেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা।
আবারও ‘চিৎকারে’ ফিরে আসা যাক, সিইসির এই নিনজা টেকনিক কাজে লাগালে কি কাজ হবে, নাকি কাজে লাগানোর সুযোগই হবে না। আমার ভোট আমি দেব, না পারলে চিৎকার দেব—এই স্লোগান নিয়ে কি এখন আগাতে হবে, নাকি কেন্দ্রে গিয়ে চিৎকার না দিয়ে পরিবেশ তৈরির জন্য চিৎকার দেব ভাববার বিষয়। যদি ভোটের আগে আপনার ভোট দেওয়ার পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহস করে চিৎকার দেন, তাহলে কেন্দ্রে গিয়ে আর চিৎকার দিতে হবে না। আর কেন্দ্রে গিয়ে চিৎকার করলে কি সিইসির কান পর্যন্ত পৌঁছাবে—প্রশ্ন মতিন সাহেবের।
তবে আমি আশাবাদী মানুষ। আমি সব সময় ভালো আশায় থাকি। আশা করি এই চিৎকারের দরকার হবে না, তার আগে পরিবেশ তৈরি করবে ইসি। আর জনগণের চিৎকার শাসকের কানে পৌঁছাবে বলেও আশা করি।
চিৎকার করুন এবং আশায় বাঁচুন...
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
শব্দদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান ওপরের দিকেই আছে। ওপরের দিকে বলতে ৫, ১০, ১৫ এমন বাজে অবস্থায় নয়। একদম চূড়ায় অবস্থান করছে, মানে নাম্বার ওয়ান। সব বাঘা বাঘা দেশকে বা দেশের শহরকে টপকে চূড়ায় ওঠা চারটিখানি কথা নয়। আমরা গর্ব করে বলতেই পারি যে আমার ঢাকা শীর্ষে। কিসে শীর্ষে, তা না-ই বললাম। শীর্ষ মানেই সম্মান। আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে আমেরিকা। তাদের পাত্তা না দেওয়ার এটাও একটা কারণ। আমাদের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি আমেরিকা। তাই তাদের আরও বেকায়দায় ফেলতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করব আমরা। ওরা অচ্ছুত।
শব্দদূষণের বিভিন্ন কারণ আছে। শব্দূষণের কারণগুলো চিহ্নিত করে তা বাতলে দেয় জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচি। এ ছাড়া আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয় যে দেশে, মানে আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থাও এ বিষয়ে কাজ করে। যে কারণে শব্দদূষণ হয়, তার মধ্যে গাড়ির উচ্চ শব্দ উল্লেখযোগ্য। আরও নানান উচ্চ শব্দের কারণে হয়। এই উচ্চ শব্দের মধ্যে চিৎকার আছে কি না—এটা নিয়ে মতিন সাহেব চিন্তিত। নানাজনকে জিজ্ঞেস করছেন তিনি। সবাই তাঁকে জানাচ্ছেন, জোরে চিৎকার করলে শব্দদূষণ তো হবেই। কিন্তু তার প্রশ্ন ভোটাধিকারের জন্য, ডাকাত থেকে রক্ষার জন্য চিৎকার করলে কি দূষণ হবে? এটা যদি হয় গণতন্ত্রের জন্য চিৎকার, তাহলে কি দূষণ হবে? বিরাট এক প্রশ্ন মাথায় নিয়ে গত রাত থেকে ঘুম হচ্ছে না মতিন সাহেবের। গণতন্ত্র রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ‘চিৎকার’ দেবেন, নাকি শব্দদূষণ হবে ভেবে চুপ থাকবেন?
১০ জুন, শনিবার সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা ঢাকায় বসে সিসিটিভির মাধ্যমে সব কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। কোনো ভোটার যদি ভোট দিতে না পারেন, তাহলে আপনারা চিৎকার দেবেন। আমরা কেন্দ্র (ঢাকা) থেকে ব্যবস্থা নেব।’
শনিবার সিইসির এহেন বক্তব্যের পর ‘চিৎকার’ শব্দটা রীতিমতো সেলিব্রিটি হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিৎকারে সয়লাব। অনেকে তো আনন্দে আত্মহারা হয়ে রাত থেকে চিৎকার করছে। কেউ বলছে, ‘তাইলে প্রচুর চিক্কুর চেঁচামেচি করতে হইব নির্বাচনের সময়? কেউ বলছে, আমার ভোট আমি দেওয়ার নিনজা টেকনিক এই ‘চিৎকার’। কেউ কেউ তো আমার ভোট গেল কই বলে রাত থেকে চেঁচামেচি শুরু করেছে।
মতিন সাহেবের কথা কি মনে আছে? নাকি চিৎকার করতে করতে তা বেমালুম ভুলে গেছেন। মতিন এখনো ঘুমাতে পারছেন না। তার মাথায় আরও অনেক প্রশ্ন ঘুরছে তো ঘুরছেই। বুথের চিৎকার কি সিইসির কান পর্যন্ত যাবে? যদি আমার ভোট আমি দেব—এটাই ইসির চাওয়া হয়, তাহলে বুথে গিয়ে ভোট দিতে না পারার আশঙ্কা করছেন কেন? প্রতিটি কেন্দ্রে তে ইসির অধীনস্থ জনবলই থাকে। তাঁদের সেভাবে নির্দেশ দিলেই তো হয়। মানে মতিন সাহেবের মনে বড় প্রশ্ন, সিইসির মনে ভোট দিতে না পারার আশঙ্কা কেন? সিইসির মনে যদি এই আশঙ্কা থাকে, তাহলে ভোটারের মনে কী হতে পারে? সরকারি দলের বাইরে যারা নির্বাচনে যেতে চায় বা যায়, তাদের মনে কী চিন্তা হবে?
এসব ছাইপাঁশ চিন্তা করতে করতে মতিন সাহেব ফেসবুকে উঁকি দিয়ে দেখলেন সহমত ভাইয়েরাও চিৎকার করছে। এটা আনন্দের চিৎকার। অবশ্য সহমত ভাইয়েরা ভালো থাকলে যেমন চিৎকার করেন, ঠিক তেমনি না খেয়ে থাকলে, লোডশেডিং হলে, দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে তারা বাজার না করতে পারলেও আনন্দে চিৎকার করেন। তো এখন কিসের জন্য চিৎকার করছে? ভোট দিতে তো তাদের বাধা হওয়ার কথা না, কারণ ওনারা তো অন্যদের ভোট দিতে সহায়তা করেন। কষ্ট করে সিল বা ইভিএমে টিপ দেওয়া লাঘব করেন। এমন মহানুভবতার খবর গণমাধ্যমে অনেক এসেছে। তবে কেন চিৎকার?
আচ্ছা অবশেষে চিৎকারের কারণ জানা গেল। চীনের একটি কয়লাবোঝাই জাহাজ মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। এটা নিয়ে যত চিৎকার। তাদের মতে, সব সমস্যার সমাধান হলো। আমেরিকাকে আমাদের কোনো দরকার নাই। এখনই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে ফেলো। কেউ কেউ বলছেন, কয়েক দিন শুধু একটু দেখালাম, শেষ মাইর তো দিল কয়লা এনে। এবার বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে কে কথা বলবে? ২০০১-০৬-এর চিত্র বোঝানো হলো বলে অনেক সহমত ভাই চিৎকার করছেন। আমেরিকা ধীরে ধীরে চাপে পড়ছে আর তা আমরাই নাকি ফালাচ্ছি এটা নিয়ে আছে বিরাট চিৎকার।
অনেকে আবার ওমান থেকে কয়লা কবে আসবে তা নিয়ে টিপ্পনী কাটছেন। আসুন আগে একটু জেনে নিই, মোংলায় যে কয়লা এসেছে, তা দিয়ে কত দিন চালানো যাবে? রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে সাড়ে ২৬ হাজার টন কয়লা। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অর্থায়নে নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আংশিক সক্ষমতায় চললে এ কয়লা দিয়ে সাড়ে সাত দিন চালানো যাবে। আর ইউনিটটি পূর্ণ সক্ষমতায় চালালে চলবে সাড়ে চার দিনেরও কম। শনিবার আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদককে এমনটাই জানিয়েছেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা।
আবারও ‘চিৎকারে’ ফিরে আসা যাক, সিইসির এই নিনজা টেকনিক কাজে লাগালে কি কাজ হবে, নাকি কাজে লাগানোর সুযোগই হবে না। আমার ভোট আমি দেব, না পারলে চিৎকার দেব—এই স্লোগান নিয়ে কি এখন আগাতে হবে, নাকি কেন্দ্রে গিয়ে চিৎকার না দিয়ে পরিবেশ তৈরির জন্য চিৎকার দেব ভাববার বিষয়। যদি ভোটের আগে আপনার ভোট দেওয়ার পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহস করে চিৎকার দেন, তাহলে কেন্দ্রে গিয়ে আর চিৎকার দিতে হবে না। আর কেন্দ্রে গিয়ে চিৎকার করলে কি সিইসির কান পর্যন্ত পৌঁছাবে—প্রশ্ন মতিন সাহেবের।
তবে আমি আশাবাদী মানুষ। আমি সব সময় ভালো আশায় থাকি। আশা করি এই চিৎকারের দরকার হবে না, তার আগে পরিবেশ তৈরি করবে ইসি। আর জনগণের চিৎকার শাসকের কানে পৌঁছাবে বলেও আশা করি।
চিৎকার করুন এবং আশায় বাঁচুন...
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে