অর্ণব সান্যাল
টিপ নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। এই তো কিছুদিন আগে অন্য এক টিপ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেল শ্রীলঙ্কার প্রতিবেশী এই দেশে। এবার আবার এল আরেক টিপ। দুটোতেই আঙুলের ব্যবহার আছে বটে! সমস্যাটা আসলে আমাদের আঙুলেরই কি না, তাও কিন্তু স্পষ্ট হচ্ছে না। মধ্যিখানে চায়ের কাপ বা ভাতের থালা হাতে অন্তঃসারশূন্য আলাপচারিতায় টানা যাচ্ছে না ফিনিশিং লাইন।
হ্যাঁ, আপনারা বলতেই পারেন—এত উপসংহারে পৌঁছানোর তাড়া কিসের? চলছে, চলুক না! তা অবশ্য চলতেই পারে। তবে ইস্যু অনেক তো, একটা একটা করে শেষ করতে না পারলে মনোযোগ ধরে রাখাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুরই একটা শেষ থাকা উচিত, ঠিক কিনা?
এবার আঙুলের টিপ নিয়ে বেঁধেছে গোল। ইদানীং কেউ কেউ বলে দিচ্ছেন, ‘আঙুল আপনার, টিপ আমার’। আমার কথা হলো, ভালোই তো বিষয়টা! আমার আঙুলের কষ্টটাও যাদের অসহ্য লাগছে, তারা কি আমার সুহৃদ নয়? এভাবে যদি আঙুলের একটু বিশ্রাম হয়, মন্দ কী! কিন্তু এক বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তি ঝামেলা বাধিয়ে দিলেন। তাঁর কথায়, এ প্রক্রিয়ায় নাকি আমার আঙুল একপর্যায়ে প্রয়োজনীয় কর্মক্ষমতা হারিয়ে বসতে পারে!
তা কীভাবে? এটা তো শঙ্কার। আগেই বলে রাখি, আমার এই বন্ধুস্থানীয় সুহৃদ বিভ্রান্ত করার জন্য খ্যাত, তাই তাঁর ছদ্মনাম ‘বিভ্রান্ত নন্দ’! নন্দ মশাইয়ের আশঙ্কা, এভাবে আমাদের আঙুলের কাজ অন্যে করে দিতে থাকলে একসময় আঙুলগুলো অলস হয়ে যেতে পারে। আর এই কর্মহীনতার কারণে আঙুলে হতে পারে ডায়াবেটিস। আর সেই ডায়াবেটিস থেকে আঙুল কর্মক্ষমতা হারাতে পারে!
বলে রাখা ভালো, আমি এসব কথাকে ‘গাঁজাখুরি’ আখ্যা দিয়েছি তৎক্ষণাৎ। কিন্তু ‘বিভ্রান্ত নন্দ’ মানতে নারাজ। তার যুক্তি হলো, যে দেশে একজনের আঙুলের টিপ অন্যে দিয়ে দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলে পুরো প্রক্রিয়াটিকে ‘সুষ্ঠু’ বলে অভিহিত করে, সে দেশে সব অসম্ভব বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ফলে আঙুলে ডায়াবেটিস হতেই পারে। এবং তা থেকে আঙুল অচল হয়েও যেতে পারে।
অন্তর্জালে জাল ফেলে জানা গেল, ‘ট্রিগার ফিঙ্গার’ বলে একটা শারীরিক সমস্যা আছে দুনিয়ায়। ওতে নাকি আঙুল নাড়ানো কঠিন হয়ে যায়। শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে এমনটা হয় অনেক সময়। বিভ্রান্ত নন্দের ধারণা, পুরো শরীরের বদলে যদি শুধু আঙুলে ডায়াবেটিস আক্রমণ করে, তবে ট্রিগার ফিঙ্গার হওয়ার ‘সম্ভাবনা’ খুব বেশি। কারণ আক্রমণের লক্ষ্য তখন শুধু আঙুল হবে এবং প্রভাবও হবে মারাত্মক। এবং এরপর তা সারা শরীরে ছড়িয়েও পড়তে পারে। আর যখন ডায়াবেটিস মাথায় উঠে যাবে, ঠিক তখনই কেল্লা ফতে!
প্রতিবাদ করেছিলাম, বুঝলেন? আমি আঙুলের বিশ্রামেই মনোযোগ ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। তাই বারবার বলছিলাম, ‘এগুলো হয় না, এসব গুলতানি।’ কিন্তু নন্দবাবু সেসব প্রতিবাদ এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিলেন। বেশি বিশ্রাম নিলে কী হয়, তা বোঝাতে শোনাতে শুরু করলেন গোপাল ভাঁড়ের গল্প। গোপাল নাকি একদিন এক মিষ্টির দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় স্ট্যাচু হয়ে গিয়েছিল। থরে থরে সাজানো মিষ্টি দেখে নিজের জিভ সামলাতে না পেরে নিজের পকেট হাতড়ে কিছু না পেয়ে অন্য পথ ধরল গোপাল। দোকানে বসে ছিল ময়রার ছেলে। আর তার বাবা দোকানের পেছনে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। ময়রার বিশ্রামে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই গোপাল টপাটপ মিষ্টি খেতে শুরু করে দেয়। এতে ময়রার ছেলে শুরু করে হম্বিতম্বি, চেষ্টা করে খাওয়া থামানোর। বলে ওঠে, ‘কে রে তুই? বলা নেই, কওয়া নেই, দিব্যি মিষ্টি খেয়ে চলেছিস? কী নাম তোর?’ তাতে গোপালের জবাব, ‘আমার নাম মাছি।’ ছেলে তখন চেঁচিয়ে ময়রাকে জানায়, ‘বাবা, মাছি মিষ্টি খাচ্ছে।’ বাবা বলল, ‘আরে খেতে দে। ও আর কত মিষ্টি খাবে, রোজই তো খাচ্ছে।’ আর এতেই ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে পেট পুরে মিষ্টি খেয়ে বাড়ির পথ ধরে গোপাল।
অধৈর্য আমি বলে উঠলাম, তো?
বিভ্রান্ত নন্দ বললেন, ‘আঙুলকে বেশি বিশ্রাম দিলে তোমার টিপ মাছিতেই দিয়ে দেবে সব। মিষ্টিও যাবে, মিষ্টির রসও যাবে। এমনকি মিষ্টি রাখার পাত্রও হারিয়ে যেতে পারে। অধিক শোকে রাত-দিনের তফাতও ভুলে যেতে পারো।’
রাতের কথা শোনার পর শঙ্কিত চিত্তে অন্য কিছু মনে পড়ে যাওয়ায় আমি বলে উঠি, তবে উপায়?
উত্তরে জানা গেল, উপায় একটাই। ‘টিপ’ দেওয়ার ক্ষমতা নিজের আঙুলে তুলে নিতে হবে। আঙুলকে বোঝাতে হবে যে তার ‘টিপ’ দেওয়ার ক্ষমতা কতটা! আঙুলকে মানসিকভাবে শক্ত করে তুলতে হবে এবং মূলমন্ত্র করতে হবে একটি স্লোগান। জোরসে বলতে হবে, ‘আমার টিপ আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব!’
আচ্ছা, এই উপায়ে আপনারা কি একমত? গ্রিক দার্শনিক ডায়োজিনিস নাকি একদা বলেছিলেন, একজন জ্ঞানী ও একজন মূর্খ ব্যক্তির মধ্যে মাত্র এক আঙুলের পার্থক্য থাকে। এবার তবে চলুন বুঝে নেওয়া যাক, কে আঙুলের কোন দিকে আছি!
টিপ নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। এই তো কিছুদিন আগে অন্য এক টিপ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেল শ্রীলঙ্কার প্রতিবেশী এই দেশে। এবার আবার এল আরেক টিপ। দুটোতেই আঙুলের ব্যবহার আছে বটে! সমস্যাটা আসলে আমাদের আঙুলেরই কি না, তাও কিন্তু স্পষ্ট হচ্ছে না। মধ্যিখানে চায়ের কাপ বা ভাতের থালা হাতে অন্তঃসারশূন্য আলাপচারিতায় টানা যাচ্ছে না ফিনিশিং লাইন।
হ্যাঁ, আপনারা বলতেই পারেন—এত উপসংহারে পৌঁছানোর তাড়া কিসের? চলছে, চলুক না! তা অবশ্য চলতেই পারে। তবে ইস্যু অনেক তো, একটা একটা করে শেষ করতে না পারলে মনোযোগ ধরে রাখাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুরই একটা শেষ থাকা উচিত, ঠিক কিনা?
এবার আঙুলের টিপ নিয়ে বেঁধেছে গোল। ইদানীং কেউ কেউ বলে দিচ্ছেন, ‘আঙুল আপনার, টিপ আমার’। আমার কথা হলো, ভালোই তো বিষয়টা! আমার আঙুলের কষ্টটাও যাদের অসহ্য লাগছে, তারা কি আমার সুহৃদ নয়? এভাবে যদি আঙুলের একটু বিশ্রাম হয়, মন্দ কী! কিন্তু এক বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তি ঝামেলা বাধিয়ে দিলেন। তাঁর কথায়, এ প্রক্রিয়ায় নাকি আমার আঙুল একপর্যায়ে প্রয়োজনীয় কর্মক্ষমতা হারিয়ে বসতে পারে!
তা কীভাবে? এটা তো শঙ্কার। আগেই বলে রাখি, আমার এই বন্ধুস্থানীয় সুহৃদ বিভ্রান্ত করার জন্য খ্যাত, তাই তাঁর ছদ্মনাম ‘বিভ্রান্ত নন্দ’! নন্দ মশাইয়ের আশঙ্কা, এভাবে আমাদের আঙুলের কাজ অন্যে করে দিতে থাকলে একসময় আঙুলগুলো অলস হয়ে যেতে পারে। আর এই কর্মহীনতার কারণে আঙুলে হতে পারে ডায়াবেটিস। আর সেই ডায়াবেটিস থেকে আঙুল কর্মক্ষমতা হারাতে পারে!
বলে রাখা ভালো, আমি এসব কথাকে ‘গাঁজাখুরি’ আখ্যা দিয়েছি তৎক্ষণাৎ। কিন্তু ‘বিভ্রান্ত নন্দ’ মানতে নারাজ। তার যুক্তি হলো, যে দেশে একজনের আঙুলের টিপ অন্যে দিয়ে দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলে পুরো প্রক্রিয়াটিকে ‘সুষ্ঠু’ বলে অভিহিত করে, সে দেশে সব অসম্ভব বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ফলে আঙুলে ডায়াবেটিস হতেই পারে। এবং তা থেকে আঙুল অচল হয়েও যেতে পারে।
অন্তর্জালে জাল ফেলে জানা গেল, ‘ট্রিগার ফিঙ্গার’ বলে একটা শারীরিক সমস্যা আছে দুনিয়ায়। ওতে নাকি আঙুল নাড়ানো কঠিন হয়ে যায়। শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে এমনটা হয় অনেক সময়। বিভ্রান্ত নন্দের ধারণা, পুরো শরীরের বদলে যদি শুধু আঙুলে ডায়াবেটিস আক্রমণ করে, তবে ট্রিগার ফিঙ্গার হওয়ার ‘সম্ভাবনা’ খুব বেশি। কারণ আক্রমণের লক্ষ্য তখন শুধু আঙুল হবে এবং প্রভাবও হবে মারাত্মক। এবং এরপর তা সারা শরীরে ছড়িয়েও পড়তে পারে। আর যখন ডায়াবেটিস মাথায় উঠে যাবে, ঠিক তখনই কেল্লা ফতে!
প্রতিবাদ করেছিলাম, বুঝলেন? আমি আঙুলের বিশ্রামেই মনোযোগ ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। তাই বারবার বলছিলাম, ‘এগুলো হয় না, এসব গুলতানি।’ কিন্তু নন্দবাবু সেসব প্রতিবাদ এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিলেন। বেশি বিশ্রাম নিলে কী হয়, তা বোঝাতে শোনাতে শুরু করলেন গোপাল ভাঁড়ের গল্প। গোপাল নাকি একদিন এক মিষ্টির দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় স্ট্যাচু হয়ে গিয়েছিল। থরে থরে সাজানো মিষ্টি দেখে নিজের জিভ সামলাতে না পেরে নিজের পকেট হাতড়ে কিছু না পেয়ে অন্য পথ ধরল গোপাল। দোকানে বসে ছিল ময়রার ছেলে। আর তার বাবা দোকানের পেছনে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। ময়রার বিশ্রামে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই গোপাল টপাটপ মিষ্টি খেতে শুরু করে দেয়। এতে ময়রার ছেলে শুরু করে হম্বিতম্বি, চেষ্টা করে খাওয়া থামানোর। বলে ওঠে, ‘কে রে তুই? বলা নেই, কওয়া নেই, দিব্যি মিষ্টি খেয়ে চলেছিস? কী নাম তোর?’ তাতে গোপালের জবাব, ‘আমার নাম মাছি।’ ছেলে তখন চেঁচিয়ে ময়রাকে জানায়, ‘বাবা, মাছি মিষ্টি খাচ্ছে।’ বাবা বলল, ‘আরে খেতে দে। ও আর কত মিষ্টি খাবে, রোজই তো খাচ্ছে।’ আর এতেই ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে পেট পুরে মিষ্টি খেয়ে বাড়ির পথ ধরে গোপাল।
অধৈর্য আমি বলে উঠলাম, তো?
বিভ্রান্ত নন্দ বললেন, ‘আঙুলকে বেশি বিশ্রাম দিলে তোমার টিপ মাছিতেই দিয়ে দেবে সব। মিষ্টিও যাবে, মিষ্টির রসও যাবে। এমনকি মিষ্টি রাখার পাত্রও হারিয়ে যেতে পারে। অধিক শোকে রাত-দিনের তফাতও ভুলে যেতে পারো।’
রাতের কথা শোনার পর শঙ্কিত চিত্তে অন্য কিছু মনে পড়ে যাওয়ায় আমি বলে উঠি, তবে উপায়?
উত্তরে জানা গেল, উপায় একটাই। ‘টিপ’ দেওয়ার ক্ষমতা নিজের আঙুলে তুলে নিতে হবে। আঙুলকে বোঝাতে হবে যে তার ‘টিপ’ দেওয়ার ক্ষমতা কতটা! আঙুলকে মানসিকভাবে শক্ত করে তুলতে হবে এবং মূলমন্ত্র করতে হবে একটি স্লোগান। জোরসে বলতে হবে, ‘আমার টিপ আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব!’
আচ্ছা, এই উপায়ে আপনারা কি একমত? গ্রিক দার্শনিক ডায়োজিনিস নাকি একদা বলেছিলেন, একজন জ্ঞানী ও একজন মূর্খ ব্যক্তির মধ্যে মাত্র এক আঙুলের পার্থক্য থাকে। এবার তবে চলুন বুঝে নেওয়া যাক, কে আঙুলের কোন দিকে আছি!
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে