অর্ণব সান্যাল
তেলের দামে আগে থেকেই সর্ষে ফুল দেখার ব্যবস্থা ছিল। দুই ধরনের তেলেই—খাওয়ার এবং চলার। এবার ডিমের দামেও উল্লম্ফন দেখা দিল। কিন্তু ডিমের দাম বাড়লে ‘অন্যান্য দেশের তুলনায়’ অত্যধিক ভালো থাকা বাংলাদেশিদের যে কীরূপ উপকার, তা কি আপনারা জানেন?
দেখুন, প্রত্যেকটি বিষয়েরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। তেলেরও যেমন ছিল, ডিমেরও আছে। এবার এসব নিয়েই আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাব। নিজেকে ইতিবাচক রাখতে হলে এমন আলোচনার গভীরে আমাদের যেতেই হবে। কোনো এক মনীষী হয়তো কোনো এক সময় বলেছিলেন, ‘মন ভালো তো সব ভালো’। নেতিবাচক অবস্থায় মন ভালো রাখা তাত্ত্বিকভাবে বেশ কঠিন। তাই আমাদের প্রথমে ইতিবাচকতার সড়কে হাঁটার অভ্যাস গড়ে, তারপর মন ভালো রাখার মহাসড়কে দৌড়াতে হবেই! নইলে যে আমাদের শারীরিক মূর্তির ভাব-ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহ উঠে যাবে।
সে জন্য আমাদেরই সম্মিলিত প্রয়াসে নিজেদের ‘চিয়ার আপ’ করতে হবে। আর এই চিয়ার আপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইতিবাচকতার চর্চা বাঞ্ছনীয়। এসব করতে গিয়ে যুক্তিতে মুক্তি না পাওয়ার মতো করে মানসিকভাবে টালমাটাল হলেও ক্ষতি আর কতটুকু? কে না জানে, পাগলের সুখ মনে মনে…!
যাক গে। আসল কথায় আসা যাক। কিছুদিন আগেই জ্বালানি তেলের দামে বড় বড় বেলুন বেঁধে তাকে আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের এহেন পদোন্নতিতে নাকি আবার সয়াবিন গাল ফুলিয়েছে। তাই সয়াবিন তেলের রাগ ভাঙাতে দ্রুতই বেলুনে গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে তাকেও ঊর্ধ্বাকাশে পাঠিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
দামের বিষয়ে দুই প্রকারের তেলের এভাবে ঊর্ধ্বাকাশে গমনের কারণেও বাংলাদেশিদের অনেক লাভ হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। কারণ উচ্চমূল্যের কারণে সব ধরনের তেলই এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং এতে বাঙালিরা নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করা তেল বুঝেশুনে খরচ করা শুরু করেছে। অনেক তেল বিশেষ-অজ্ঞ মনে করেন, এ দেশের লোকজন আগে সহজলভ্যতার কারণে যেখানে-সেখানে তেল প্রয়োগ করতেন। লাগলেও, না লাগলেও। এখন ট্রেন্ড অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষেরা ফেসবুকে অবশ্যই তেলবিরোধী কথা লিখে সরবে নিজেদের সংযম প্রদর্শন করবে এবং উল্টো পিঠে নীরবে ‘যেখানে দরকার সেখানে তৈলমর্দন’ ও একই সঙ্গে তেল মজুতের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। এতে করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তেল বিদেশেও রপ্তানি করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তেল বিশেষ-অজ্ঞরা।
ঠিক একইভাবে সুবিধা আছে ডিমের মূল্যবৃদ্ধিতেও। তেল দেওয়া যেমন এ দেশের মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, তেমনই পছন্দ হোক বা না হোক যে কাউকে সুযোগ বুঝে ‘ডিম দেওয়াও’ আমাদের প্রধানতম শখ! এ দেশে চাকরিক্ষেত্রে যেমন একে-অন্যকে ডিম দেওয়ার চর্চা আছে, তেমনি আছে ব্যবসাতে, আছে স্বীকারোক্তি আদায় থেকে শুরু করে নানা কিছুতে। কিন্তু ডিমের দাম নিন্দুকদের মতে ‘রেকর্ড’ গড়ায়, এখন কাউকে ইচ্ছে হলেই ডিম দেওয়া যাবে না। কারণ, ডিম দেওয়া এখন অন্যান্য দেশের তুলনায় ‘কম’ মূল্যস্ফীতির এই বাজারে বেশ ব্যয়বহুল। আর অন্যকে ডিম দেওয়ার চেয়ে উল্টো পথে মুখে পুরে ফেলা যে বেশি পুষ্টিকর এখন, তা দিব্যি ‘জামাকাপড়’ পরে হাহাহিহি করা দেশবাসীদের কে না বোঝে!
এ ব্যাপারে ‘যুক্তিতে মুক্তি মেলে না’ মতবাদে সীমাহীন আস্থা রাখা অবুঝ দেশবাসীর একাংশ মনে করছেন—এভাবে ডিম দেওয়া কমতে থাকলে কমে যেতে পারে হানাহানি ও বিদ্বেষ। নিঃশেষিত পকেটের অনিঃশেষ হাহাকারে সাধারণের মধ্যে আর কাউকে ডিম দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কথায় তো আছে ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’। এই একই প্রবাদ চাচি ও ভাতিজা-ভাতিজিদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। এতে করে পরস্পরের প্রতি হিংসা কমে যেতে পারে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় যেসব অঞ্চল ‘বেস্ট’, সেসবে হিংসা-হানাহানি কম থাকাই উচিত। এ কারণেই হয়তো সৎ উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবেই ডিমের দামের পালে উজানের হাওয়া লেগেছে! যদিও এসব বক্তব্যের সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কেউ কেউ আবার বলছেন, অন্যকে ডিম দেওয়া কমিয়ে দিতে পারলেই এ দেশের মানুষের ডিম খাওয়ার গড় হার বেড়ে যেতে পারে। গড়ে অন্তত একটি ডিম তখন মানুষ হয়তো খেতেই পারবে। জানা যায়, একটা ডিম খেলে ১৪৩ ক্যালোরি পরিমাণ ‘এনার্জি’ পাওয়া যায়। এই বাড়তি এনার্জি পেলে টিসিবির বা যেকোনো কিছুর লাইনে দাঁড়ালেও কারও আর ক্লান্তিবোধ হবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডিম যত বেশি ভাজা হয়, এর পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হয়। তাই ভোগ করতে হবে সেদ্ধ ডিম, উপভোগ করতে হবে এর উত্তাপ!
তবে ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো। ডিম পাড়ার ওপর সমিতির পক্ষ থেকে বহুমুখী কর আরোপের হুমকিও দিয়েছে বামুকস। সেই সঙ্গে এ দেশের মানুষকেও ‘মুরগি সম্প্রদায়ভুক্ত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আশা করি, এই নাতিদীর্ঘ ইতিবাচক আলোচনায় একটি ‘পজিটিভ ভাইব’ আপনাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সেই ইতিবাচক মনোভাবকে মাথায় নিয়ে নিতে হবে। একবার ‘ইতিবাচকতা’ মাথায় উঠে গেলেই কেল্লা ফতে, গোত্রভুক্ত হয়ে যাবেন। এর পর সেই কেল্লার দরজায় দাঁড়িয়ে ‘কুক্কুরু কু’ আওয়াজ দিলেও কোনো সমস্যা নাই!
সুতরাং, চলুন শুরু করা যাক ডিম বাঁচানোর পথে গুটি গুটি পায়ে হামাগুড়ি। সকলের প্রতি রইল শুভ কামনা।
তেলের দামে আগে থেকেই সর্ষে ফুল দেখার ব্যবস্থা ছিল। দুই ধরনের তেলেই—খাওয়ার এবং চলার। এবার ডিমের দামেও উল্লম্ফন দেখা দিল। কিন্তু ডিমের দাম বাড়লে ‘অন্যান্য দেশের তুলনায়’ অত্যধিক ভালো থাকা বাংলাদেশিদের যে কীরূপ উপকার, তা কি আপনারা জানেন?
দেখুন, প্রত্যেকটি বিষয়েরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। তেলেরও যেমন ছিল, ডিমেরও আছে। এবার এসব নিয়েই আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাব। নিজেকে ইতিবাচক রাখতে হলে এমন আলোচনার গভীরে আমাদের যেতেই হবে। কোনো এক মনীষী হয়তো কোনো এক সময় বলেছিলেন, ‘মন ভালো তো সব ভালো’। নেতিবাচক অবস্থায় মন ভালো রাখা তাত্ত্বিকভাবে বেশ কঠিন। তাই আমাদের প্রথমে ইতিবাচকতার সড়কে হাঁটার অভ্যাস গড়ে, তারপর মন ভালো রাখার মহাসড়কে দৌড়াতে হবেই! নইলে যে আমাদের শারীরিক মূর্তির ভাব-ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহ উঠে যাবে।
সে জন্য আমাদেরই সম্মিলিত প্রয়াসে নিজেদের ‘চিয়ার আপ’ করতে হবে। আর এই চিয়ার আপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইতিবাচকতার চর্চা বাঞ্ছনীয়। এসব করতে গিয়ে যুক্তিতে মুক্তি না পাওয়ার মতো করে মানসিকভাবে টালমাটাল হলেও ক্ষতি আর কতটুকু? কে না জানে, পাগলের সুখ মনে মনে…!
যাক গে। আসল কথায় আসা যাক। কিছুদিন আগেই জ্বালানি তেলের দামে বড় বড় বেলুন বেঁধে তাকে আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের এহেন পদোন্নতিতে নাকি আবার সয়াবিন গাল ফুলিয়েছে। তাই সয়াবিন তেলের রাগ ভাঙাতে দ্রুতই বেলুনে গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে তাকেও ঊর্ধ্বাকাশে পাঠিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
দামের বিষয়ে দুই প্রকারের তেলের এভাবে ঊর্ধ্বাকাশে গমনের কারণেও বাংলাদেশিদের অনেক লাভ হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। কারণ উচ্চমূল্যের কারণে সব ধরনের তেলই এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং এতে বাঙালিরা নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করা তেল বুঝেশুনে খরচ করা শুরু করেছে। অনেক তেল বিশেষ-অজ্ঞ মনে করেন, এ দেশের লোকজন আগে সহজলভ্যতার কারণে যেখানে-সেখানে তেল প্রয়োগ করতেন। লাগলেও, না লাগলেও। এখন ট্রেন্ড অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষেরা ফেসবুকে অবশ্যই তেলবিরোধী কথা লিখে সরবে নিজেদের সংযম প্রদর্শন করবে এবং উল্টো পিঠে নীরবে ‘যেখানে দরকার সেখানে তৈলমর্দন’ ও একই সঙ্গে তেল মজুতের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। এতে করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তেল বিদেশেও রপ্তানি করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তেল বিশেষ-অজ্ঞরা।
ঠিক একইভাবে সুবিধা আছে ডিমের মূল্যবৃদ্ধিতেও। তেল দেওয়া যেমন এ দেশের মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, তেমনই পছন্দ হোক বা না হোক যে কাউকে সুযোগ বুঝে ‘ডিম দেওয়াও’ আমাদের প্রধানতম শখ! এ দেশে চাকরিক্ষেত্রে যেমন একে-অন্যকে ডিম দেওয়ার চর্চা আছে, তেমনি আছে ব্যবসাতে, আছে স্বীকারোক্তি আদায় থেকে শুরু করে নানা কিছুতে। কিন্তু ডিমের দাম নিন্দুকদের মতে ‘রেকর্ড’ গড়ায়, এখন কাউকে ইচ্ছে হলেই ডিম দেওয়া যাবে না। কারণ, ডিম দেওয়া এখন অন্যান্য দেশের তুলনায় ‘কম’ মূল্যস্ফীতির এই বাজারে বেশ ব্যয়বহুল। আর অন্যকে ডিম দেওয়ার চেয়ে উল্টো পথে মুখে পুরে ফেলা যে বেশি পুষ্টিকর এখন, তা দিব্যি ‘জামাকাপড়’ পরে হাহাহিহি করা দেশবাসীদের কে না বোঝে!
এ ব্যাপারে ‘যুক্তিতে মুক্তি মেলে না’ মতবাদে সীমাহীন আস্থা রাখা অবুঝ দেশবাসীর একাংশ মনে করছেন—এভাবে ডিম দেওয়া কমতে থাকলে কমে যেতে পারে হানাহানি ও বিদ্বেষ। নিঃশেষিত পকেটের অনিঃশেষ হাহাকারে সাধারণের মধ্যে আর কাউকে ডিম দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কথায় তো আছে ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’। এই একই প্রবাদ চাচি ও ভাতিজা-ভাতিজিদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। এতে করে পরস্পরের প্রতি হিংসা কমে যেতে পারে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় যেসব অঞ্চল ‘বেস্ট’, সেসবে হিংসা-হানাহানি কম থাকাই উচিত। এ কারণেই হয়তো সৎ উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবেই ডিমের দামের পালে উজানের হাওয়া লেগেছে! যদিও এসব বক্তব্যের সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কেউ কেউ আবার বলছেন, অন্যকে ডিম দেওয়া কমিয়ে দিতে পারলেই এ দেশের মানুষের ডিম খাওয়ার গড় হার বেড়ে যেতে পারে। গড়ে অন্তত একটি ডিম তখন মানুষ হয়তো খেতেই পারবে। জানা যায়, একটা ডিম খেলে ১৪৩ ক্যালোরি পরিমাণ ‘এনার্জি’ পাওয়া যায়। এই বাড়তি এনার্জি পেলে টিসিবির বা যেকোনো কিছুর লাইনে দাঁড়ালেও কারও আর ক্লান্তিবোধ হবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডিম যত বেশি ভাজা হয়, এর পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হয়। তাই ভোগ করতে হবে সেদ্ধ ডিম, উপভোগ করতে হবে এর উত্তাপ!
তবে ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো। ডিম পাড়ার ওপর সমিতির পক্ষ থেকে বহুমুখী কর আরোপের হুমকিও দিয়েছে বামুকস। সেই সঙ্গে এ দেশের মানুষকেও ‘মুরগি সম্প্রদায়ভুক্ত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আশা করি, এই নাতিদীর্ঘ ইতিবাচক আলোচনায় একটি ‘পজিটিভ ভাইব’ আপনাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সেই ইতিবাচক মনোভাবকে মাথায় নিয়ে নিতে হবে। একবার ‘ইতিবাচকতা’ মাথায় উঠে গেলেই কেল্লা ফতে, গোত্রভুক্ত হয়ে যাবেন। এর পর সেই কেল্লার দরজায় দাঁড়িয়ে ‘কুক্কুরু কু’ আওয়াজ দিলেও কোনো সমস্যা নাই!
সুতরাং, চলুন শুরু করা যাক ডিম বাঁচানোর পথে গুটি গুটি পায়ে হামাগুড়ি। সকলের প্রতি রইল শুভ কামনা।
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে