অর্ণব সান্যাল
কলা খেতে কে না চায়! পাকা হলে খোসা ছাড়িয়ে তদনগদ মুখে পুরে দেওয়া যায়। আর কাঁচা হলেও সমস্যা নেই খুব একটা। ওই একটু প্রক্রিয়াজাত করে খেতে হবে আর কি! কিন্তু চড়-থাপ্পড় মারার পর কেউ যদি আপনাকে জোর করে কলা খাওয়াতে চায়, তবে?
অনেকটা গরু মেরে জুতা দানের মতো বিষয়টা। দুনিয়াটাই তো ওই প্রক্রিয়াতে চলছে। সুতরাং প্রিয় মাতৃভূমিই বা ব্যতিক্রম থাকবে কেন? তাই মার খাওয়ানোর পর অন্য কিছু খাওয়ানোর ব্যাপারে এ অঞ্চলেও আগ্রহ বাড়ছে। এবং তা ক্রমবর্ধমান। এই যেমন নাটোরে যা হলো। এমন যদি দেশের নানা আনাচে-কানাচে ঘটতে শুরু করে, তাহলে কী হবে, সেটি কিন্তু ভেবে দেখার সময় এসেছে।
নাটোরে কী হয়েছে, তার নাতিদীর্ঘ বর্ণনা দেওয়া যাক। বেশি দীর্ঘ হবে না বিবরণ, সর্বোচ্চ সাগর কলার মতো হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ডামাডোলে গত বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজারে নাটকীয় এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ওই দিন সকালে জামনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুসের নির্বাচনী প্রচারে বাগাতিপাড়ায় যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনসহ কয়েকজন। এ সময় জামনগর বাজারে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক শাহ আলমের প্রচার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর দুই কর্মী মাহাবুর রহমান ও আহম্মদ আলী। তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে কয়েকজন মাহাবুর রহমানকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ধরে আনেন। এর পর সভাপতি তাঁকে থাপ্পড় মেরে হাতে থাকা কলা জোর করে মাহাবুবের মুখে গুঁজে দেন। সেই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করতেও বাধ্য করা হয় তাঁকে।
বুঝুন অবস্থা। মারও খেতে হবে, আবার কলাও গিলতে হবে। তেলের সঙ্গে কোলেস্টরল ফ্রিয়ের মতো আবার নিজের মার্কা বাদ দিয়ে অন্যের মার্কার লিফলেট বিলি করতে হবে। বেশ নাটকীয় ব্যাপার-স্যাপার। এর সঙ্গে ওই ‘দানবীর’ ও ‘দয়াশীল’ ব্যক্তি যদি হালি কয়েক কলা দিয়েও দিতেন, তবে মন্দ হতো না। ষোলোকলা পূর্ণ হতো একেবারে।
কলা বেশ উপকারী খাদ্য। তা নিয়ে সংশয় নেই। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, কলায় আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাংগানিজ, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন ও ফ্যাট। আবার কলা নাকি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও আধার। অর্থাৎ, কলা খাইয়ে ওই ‘ভদ্রলোক’ শারীরিক ক্ষতি করেননি। যদিও ভুক্তভোগী অভিযোগ করতে পারেন এই বলে যে, কলার আগে তো থাপ্পড় ছিল। আর মাথার পেছনে হাত দিয়ে জোর করে কলা মুখে গুঁজে দিলে সেই স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যায় না। হতে পারে। তবে এভাবে হাত চালিয়ে কজনই-বা কলা খাওয়ায়!
এখন কেউ যদি কলা খেতে চান, তবে নাটোর চলে যেতেই পারেন। কারণ, এমন ফ্রিতে কলা কি আর যেখানে-সেখানে মেলে? সমস্যা হলো, প্রথমে ওই সুনির্দিষ্ট মার্কার আপাতবিরোধী আচরণ করতে হবে। তখনই মুখের ভেতরে জোর করে গুঁজে দেওয়া হবে কলা। এর আগের একটু ‘আদর’ (মতান্তরে মারধর) একটু নাহয় সহ্য করলেনই। ফ্রি কলা খাবেন, অথচ কলার খোসা ছাড়াবেন না—তা কি হয়? সুতরাং সুবিধা পেতে চাইলে, অসুবিধা একটু মাথা পেতে নিতেই হবে।
সুখের কথা হলো, দেশে এখন বাড়ছে সাগর কলার আবাদ। পঞ্চগড় থেকে এমন খবর মাস কয়েক আগেই পাওয়া গেছে। সেই কলা রংপুর বিভাগ পেরিয়ে নাটোর আসতেই আর কয় দিন! হয়তো সেই অধ্যাপকের কলার বাগান আছে। নইলে কি আর কেউ এভাবে কলা বিলিয়ে দেয়!
সে যাকগে। আসল কথা হলো, ওভাবে জোর করে কলা আমাদের অনেকেই খাওয়ায়। কিন্তু তার বাহ্যিক রূপ সব সময় কলার মতো অবিকল হয় না। নানা রূপে অমন কলা ফিরে ফিরে আসে মোদের জীবনে। আমরা কলা দেখে যাই, খেয়ে যাই। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে আর কাঁচকলা দেখাতে পারি না।
তাই কলা খেয়েও আমাদের পেট-মন কিছুই ভরে না। আমরা বারবার বুদ্ধু বনে যাই। আর দিন শেষে রাগ ওঠে এই ভেবে যে, ‘সে আমাকে জোর করে কলা খাওয়াল কেন?’ যদিও কলা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের হম্বিতম্বি দেখে ফের চুপসে যাই।
তখন ভাবি, কলাই তো খাইয়েছে, অন্য কিছু তো নয়। কলা থেকে যদি মন্দ কিছু না হয়, তবে কলাই ভালো!
কলা খেতে কে না চায়! পাকা হলে খোসা ছাড়িয়ে তদনগদ মুখে পুরে দেওয়া যায়। আর কাঁচা হলেও সমস্যা নেই খুব একটা। ওই একটু প্রক্রিয়াজাত করে খেতে হবে আর কি! কিন্তু চড়-থাপ্পড় মারার পর কেউ যদি আপনাকে জোর করে কলা খাওয়াতে চায়, তবে?
অনেকটা গরু মেরে জুতা দানের মতো বিষয়টা। দুনিয়াটাই তো ওই প্রক্রিয়াতে চলছে। সুতরাং প্রিয় মাতৃভূমিই বা ব্যতিক্রম থাকবে কেন? তাই মার খাওয়ানোর পর অন্য কিছু খাওয়ানোর ব্যাপারে এ অঞ্চলেও আগ্রহ বাড়ছে। এবং তা ক্রমবর্ধমান। এই যেমন নাটোরে যা হলো। এমন যদি দেশের নানা আনাচে-কানাচে ঘটতে শুরু করে, তাহলে কী হবে, সেটি কিন্তু ভেবে দেখার সময় এসেছে।
নাটোরে কী হয়েছে, তার নাতিদীর্ঘ বর্ণনা দেওয়া যাক। বেশি দীর্ঘ হবে না বিবরণ, সর্বোচ্চ সাগর কলার মতো হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ডামাডোলে গত বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজারে নাটকীয় এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ওই দিন সকালে জামনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুসের নির্বাচনী প্রচারে বাগাতিপাড়ায় যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনসহ কয়েকজন। এ সময় জামনগর বাজারে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক শাহ আলমের প্রচার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর দুই কর্মী মাহাবুর রহমান ও আহম্মদ আলী। তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে কয়েকজন মাহাবুর রহমানকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ধরে আনেন। এর পর সভাপতি তাঁকে থাপ্পড় মেরে হাতে থাকা কলা জোর করে মাহাবুবের মুখে গুঁজে দেন। সেই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করতেও বাধ্য করা হয় তাঁকে।
বুঝুন অবস্থা। মারও খেতে হবে, আবার কলাও গিলতে হবে। তেলের সঙ্গে কোলেস্টরল ফ্রিয়ের মতো আবার নিজের মার্কা বাদ দিয়ে অন্যের মার্কার লিফলেট বিলি করতে হবে। বেশ নাটকীয় ব্যাপার-স্যাপার। এর সঙ্গে ওই ‘দানবীর’ ও ‘দয়াশীল’ ব্যক্তি যদি হালি কয়েক কলা দিয়েও দিতেন, তবে মন্দ হতো না। ষোলোকলা পূর্ণ হতো একেবারে।
কলা বেশ উপকারী খাদ্য। তা নিয়ে সংশয় নেই। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, কলায় আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাংগানিজ, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন ও ফ্যাট। আবার কলা নাকি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও আধার। অর্থাৎ, কলা খাইয়ে ওই ‘ভদ্রলোক’ শারীরিক ক্ষতি করেননি। যদিও ভুক্তভোগী অভিযোগ করতে পারেন এই বলে যে, কলার আগে তো থাপ্পড় ছিল। আর মাথার পেছনে হাত দিয়ে জোর করে কলা মুখে গুঁজে দিলে সেই স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যায় না। হতে পারে। তবে এভাবে হাত চালিয়ে কজনই-বা কলা খাওয়ায়!
এখন কেউ যদি কলা খেতে চান, তবে নাটোর চলে যেতেই পারেন। কারণ, এমন ফ্রিতে কলা কি আর যেখানে-সেখানে মেলে? সমস্যা হলো, প্রথমে ওই সুনির্দিষ্ট মার্কার আপাতবিরোধী আচরণ করতে হবে। তখনই মুখের ভেতরে জোর করে গুঁজে দেওয়া হবে কলা। এর আগের একটু ‘আদর’ (মতান্তরে মারধর) একটু নাহয় সহ্য করলেনই। ফ্রি কলা খাবেন, অথচ কলার খোসা ছাড়াবেন না—তা কি হয়? সুতরাং সুবিধা পেতে চাইলে, অসুবিধা একটু মাথা পেতে নিতেই হবে।
সুখের কথা হলো, দেশে এখন বাড়ছে সাগর কলার আবাদ। পঞ্চগড় থেকে এমন খবর মাস কয়েক আগেই পাওয়া গেছে। সেই কলা রংপুর বিভাগ পেরিয়ে নাটোর আসতেই আর কয় দিন! হয়তো সেই অধ্যাপকের কলার বাগান আছে। নইলে কি আর কেউ এভাবে কলা বিলিয়ে দেয়!
সে যাকগে। আসল কথা হলো, ওভাবে জোর করে কলা আমাদের অনেকেই খাওয়ায়। কিন্তু তার বাহ্যিক রূপ সব সময় কলার মতো অবিকল হয় না। নানা রূপে অমন কলা ফিরে ফিরে আসে মোদের জীবনে। আমরা কলা দেখে যাই, খেয়ে যাই। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে আর কাঁচকলা দেখাতে পারি না।
তাই কলা খেয়েও আমাদের পেট-মন কিছুই ভরে না। আমরা বারবার বুদ্ধু বনে যাই। আর দিন শেষে রাগ ওঠে এই ভেবে যে, ‘সে আমাকে জোর করে কলা খাওয়াল কেন?’ যদিও কলা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের হম্বিতম্বি দেখে ফের চুপসে যাই।
তখন ভাবি, কলাই তো খাইয়েছে, অন্য কিছু তো নয়। কলা থেকে যদি মন্দ কিছু না হয়, তবে কলাই ভালো!
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে