ইমরান খান
সমাবর্তন সভায় দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে দুকথা বলার সুযোগ পেয়েছেন সদ্য স্নাতক টেলু। বক্তব্যের শুরুতেই অবনত মস্তকে বললেন, আজ কোন গৌরব-গরিমা নয়; কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার মতো বহু টেলুর গ্র্যাজুয়েট হয়ে ওঠার পেছনের নায়ক ইন্টারনেট, গুগল, উইকিপিডিয়া, মাইক্রোসফট অফিস ও কাট-কপি-পেস্টের প্রতি।
এই বক্তব্যে কয়েকজন মুখ টিপে হাসলেও অনেকের স্মৃতিই টাইম মেশিনে চলে যায় অ্যাসাইনমেন্ট জমার আগের রাতগুলোতে। আহা! কি বিন্দাসই না ছিল সেই সব দিনগুলি। বিকেলে-সন্ধ্যায় জমিয়ে আড্ডা, চুটিয়ে প্রেম সেরে এসে মাঝরাতে আসল কাজে হাত। সকালের আলো ফোটার পরে প্রিন্ট করে শেষ সময়ের এক মিনিট আগে জমা। আহ! শান্তি।
টেলুর এই কৃতজ্ঞতামূলক বক্তব্য উপস্থিত অনেকের মনেই জাগিয়ে দেয় অকৃতজ্ঞ মানসিকতার প্রতিচ্ছবি। শিক্ষার্থী জীবন পার করে শিক্ষক জীবনেও গবেষণা, আর্টিকেলে কপি সংস্কৃতিকে শিল্পে পরিণত করেও কখনো এভাবে কৃতজ্ঞতা জানানো যায়নি বলে লজ্জাও লাগছিল। তবে সব লজ্জা গিয়ে ঠেকল দুচারজনের ওপরে। এর মধ্যে গবেষণায় কপি করার ১৪ বছর পর এসে ‘প্লেইজারিজমের’ স্বীকৃতি নিতে অনিচ্ছুক এক মাঝবয়সী অধ্যাপকও রয়েছেন। তাঁর দিকে একযোগে তাকিয়ে অবশেষে সবার লজ্জামুক্তি হলো। লজ্জা রেখেই বা কী হবে? এই কাজ যে করেনি, সে তো হয় মিথ্যেবাদী, নয় দেবতা! সকলের মনে এই তুষ্টি নিয়ে সেদিনের মতো সভা সমাপ্তি হলো।
সভা শেষে দেখা গেল টেলুর বক্তব্য থেকে ৩৩ সেকেন্ডের ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল। এই ভাইরাল ভিডিও দেখে মনে মনে কৃতজ্ঞতা জানানোর মোটিভেশন নিলেন অসংখ্য ফেসবুক বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। অন্যের লেখা মেরে দেওয়া, নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার লোভ সামলানোর প্রতিজ্ঞা করতে না পারলেও সবাই মিলে খুঁজে বের করলেন পরমাত্মীয় ‘কাট-কপি-পেস্ট’ এর জনককে। জানা গেল, এই মহামতির নাম ল্যারি টেসলার।
এত ভাবনার মধ্যে সবার মনে গভীর শ্রদ্ধা উথলে উঠল ল্যারি টেসলার প্রতি। তবে একজনের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গেল ২০২০-এর ১৭ ফেব্রুয়ারি করোনার থাবায় মারা গেছেন এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী। এমন পরিস্থিতিতে সর্বসম্মতিতে সবার ফেসবুক পোস্ট—‘তোমাকে ভুললেও তোমার সৃষ্টিকে ভুলব না প্রিয় ভাই ল্যারি টেসলার’।
সমাবর্তন সভায় দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে দুকথা বলার সুযোগ পেয়েছেন সদ্য স্নাতক টেলু। বক্তব্যের শুরুতেই অবনত মস্তকে বললেন, আজ কোন গৌরব-গরিমা নয়; কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার মতো বহু টেলুর গ্র্যাজুয়েট হয়ে ওঠার পেছনের নায়ক ইন্টারনেট, গুগল, উইকিপিডিয়া, মাইক্রোসফট অফিস ও কাট-কপি-পেস্টের প্রতি।
এই বক্তব্যে কয়েকজন মুখ টিপে হাসলেও অনেকের স্মৃতিই টাইম মেশিনে চলে যায় অ্যাসাইনমেন্ট জমার আগের রাতগুলোতে। আহা! কি বিন্দাসই না ছিল সেই সব দিনগুলি। বিকেলে-সন্ধ্যায় জমিয়ে আড্ডা, চুটিয়ে প্রেম সেরে এসে মাঝরাতে আসল কাজে হাত। সকালের আলো ফোটার পরে প্রিন্ট করে শেষ সময়ের এক মিনিট আগে জমা। আহ! শান্তি।
টেলুর এই কৃতজ্ঞতামূলক বক্তব্য উপস্থিত অনেকের মনেই জাগিয়ে দেয় অকৃতজ্ঞ মানসিকতার প্রতিচ্ছবি। শিক্ষার্থী জীবন পার করে শিক্ষক জীবনেও গবেষণা, আর্টিকেলে কপি সংস্কৃতিকে শিল্পে পরিণত করেও কখনো এভাবে কৃতজ্ঞতা জানানো যায়নি বলে লজ্জাও লাগছিল। তবে সব লজ্জা গিয়ে ঠেকল দুচারজনের ওপরে। এর মধ্যে গবেষণায় কপি করার ১৪ বছর পর এসে ‘প্লেইজারিজমের’ স্বীকৃতি নিতে অনিচ্ছুক এক মাঝবয়সী অধ্যাপকও রয়েছেন। তাঁর দিকে একযোগে তাকিয়ে অবশেষে সবার লজ্জামুক্তি হলো। লজ্জা রেখেই বা কী হবে? এই কাজ যে করেনি, সে তো হয় মিথ্যেবাদী, নয় দেবতা! সকলের মনে এই তুষ্টি নিয়ে সেদিনের মতো সভা সমাপ্তি হলো।
সভা শেষে দেখা গেল টেলুর বক্তব্য থেকে ৩৩ সেকেন্ডের ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল। এই ভাইরাল ভিডিও দেখে মনে মনে কৃতজ্ঞতা জানানোর মোটিভেশন নিলেন অসংখ্য ফেসবুক বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। অন্যের লেখা মেরে দেওয়া, নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার লোভ সামলানোর প্রতিজ্ঞা করতে না পারলেও সবাই মিলে খুঁজে বের করলেন পরমাত্মীয় ‘কাট-কপি-পেস্ট’ এর জনককে। জানা গেল, এই মহামতির নাম ল্যারি টেসলার।
এত ভাবনার মধ্যে সবার মনে গভীর শ্রদ্ধা উথলে উঠল ল্যারি টেসলার প্রতি। তবে একজনের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গেল ২০২০-এর ১৭ ফেব্রুয়ারি করোনার থাবায় মারা গেছেন এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী। এমন পরিস্থিতিতে সর্বসম্মতিতে সবার ফেসবুক পোস্ট—‘তোমাকে ভুললেও তোমার সৃষ্টিকে ভুলব না প্রিয় ভাই ল্যারি টেসলার’।
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে