অনলাইন ডেস্ক
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সময় জেগে থাকাটাই বেশ আশ্চর্যজনক ব্যাপার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি এ বিষয়টিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কীভাবে? চিকিৎসকেরা তাঁর মস্তিষ্ক থেকে টিউমার অপসারণের সময় গিটার বাজাচ্ছিলেন তিনি।
ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামি মিলার স্কুল অব মেডিসিনের সিলভেস্টার কমপ্রিহেনসিভ ক্যানসার সেন্টারের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের সময় রোগী ক্রিস্টিয়ান নোলেনকে গিটার বাজাতে অনুরোধ করেন। এর একটি বড় কারণ, এতে অস্ত্রোপচারটি কতটা সফল হচ্ছে বুঝতে পারাটা সহজ হয় তাঁদের জন্য। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে।
দক্ষ গিটার বাদক নোলেনের মস্তিষ্কে টিউমারের কারণে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। বাম হাত নাড়ানোয় জড়তা এর অন্যতম।
‘শরীরের বাম পাশ বিশেষ কর বাম হাতে সমস্যা দেখা দেয়।’ জুমে ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেন সিলভেস্টারের মস্তিষ্কে টিউমার বিভাগের প্রধান রিকার্ডো কমোটার, ‘নোলেন লক্ষ্য করেন এটা তাঁর গিটার বাজানোকে প্রভাবিত করছে।’
নোলেনের রোগ নির্ণয় এবং টিউমারের ধরন নির্ধারণের জন্য অস্ত্রোপচার জরুরি ছিল। কারণ হিসেবে কমোটার জানান, প্রতিটি টিউমারের ভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তেমনি এটি দ্রুত অপসারণ জরুরি।
টিউমারটি শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পরে অস্ত্রোপচারটি করা হয়। তারিখটা ছিল গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর। নোলেন অবাক হয়ে গেলেন, যখন চিকিৎসকেরা জিজ্ঞাসা করলেন তিনি অস্ত্রোপচারের সময় জেগে থাকতে এবং গিটার বাজাতে ইচ্ছুক কিনা!
‘যখন একটি টিউমার মস্তিষ্কের একটি জটিল অংশের কিংবা এর কাছাকাছি জায়গায় থাকে, এমন অংশে যা ভাষা বলার, বোঝার বা নড়াচড়া করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে, আমরা রোগীকে ক্রমাগত নিরীক্ষণ করার জন্য জাগিয়ে রেখে অস্ত্রোপচার করতে চাই। এতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় অস্ত্রোপচারের কারণে সমস্যা হচ্ছে কিনা তা বোঝা যায়।’ বলেন কমোটার।
চিকিৎসকেরা জানান রোগী ঘুমিয়ে থাকলে তাঁদের পক্ষে রোগীর মতামত পাওয়া সম্ভব হয় না।
‘অস্ত্রোপচার অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠার কারণ, আপনি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা জড়িত একটি টিউমার অপসারণ করে না জেনেই বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারেন।’ বলেন কমোটার
নোলেনের জীবনযাত্রার গিটার বাজানোর গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকায় কমোটার বুঝতে পারেন অস্ত্রোপচারের সময় এটি বাজানোটা তাঁর কর্মক্ষমতা সম্পর্কে এবং টিউমারের প্রভাব বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হবে।
নোলেনকে যখন প্রস্তাবটি দেওয়া হয় শুরুতে এটাকে ঠিক বাস্তব সম্মত মনে হয়নি তাঁর কাছে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত রাজি হন।
অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন যারা তাঁরা দল নোলেনকে শুরুর জন্য ঘুম পাড়িয়ে দেন। তবে দুই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের গুরুত্বপূর্ণ এক অংশে তিনি জেগে ওঠেন। একবার তিনি কী ঘটছে তার দিকে মনোযোগী হয়ে গেলে, চিকিৎসকেরা নোলেনকে একটি গিটার দেন এবং বাজাতে বলেন।
‘জেগে ওঠার পর চারপাশে সবকিছু দেখে রীতিমতো অভিভূত হয়ে পড়ি। স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে বসে যেতে চাই।’ ফক্স নিউজকে পাঠানো ই-মেইলে নোলেন স্মরণ করেন।
তবে সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক-কর্মীদের একজন নোলেনকে বসতে বাধা দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করে একটি হাত রাখেন তাঁর শরীরে। নোলেন জানান, এরপর কী ঘটছে তা মনে করতে মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগে।
‘আমাকে কেবল শ্বাস নিতে এবং শান্ত থাকতে হয়।’ বলেন তিনি।
অস্ত্রোপচারের সময়, নোলেন তাঁর অনুশীলন করা কিছু গান সুন্দরভাবে বাজানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। গত শতকের আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় কিছু রক গান বাজান তিনি।
সার্জনরা টিউমার অপসারণ করার সঙ্গে সঙ্গে গিটার বাজাতে থাকা নোলেনের হাতের কার্যকারিতা ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সৌভাগ্যবশত তাঁরা পুরো টিউমারটি অপসারণ করতে সক্ষম হন এবং নোলেনের হাত মোটেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
‘এটি বিস্ময়কর একটি ব্যাপার।’ অস্ত্রোপচারের সময় বলেন নোলেন।
তবে অস্ত্রোপচারের সময় একজন রোগী গিটার বাজানো প্রতিদিনের ঘটনা নয়। তবে কমোটার ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেন যে তিনি এবং বিশেষ নিউরোসার্জিক্যাল দল সপ্তাহে কয়েকবার এ ধরনের ‘জাগ্রত’ বা জাগিয়ে রাখা অবস্থায় অস্ত্রোপচার করেন। বছরে শ দুয়েক বার এমন অস্ত্রোপচার হয়।
ডাক্তাররাও রোগীদের আশ্বস্ত করেন যে তারা কোনো ব্যথা অনুভব করবেন না এবং সম্ভবত পুরো পদ্ধতিটি মনেও থাকবে না তাঁদের। আর খুব আরামদায়ক হবে এটি। ‘যা আমাদের বিশ্বমানের নিউরো-অ্যানেসথেসিয়া দলের চমৎকার কাজের ফলাফল।’ বলেন কমোটার।
নোলেনের অস্ত্রোপচার মসৃণভাবে হয়েছিল এবং পুরো টিউমারটি অপসারণ সম্ভব হয়।
কমোটার বলেন ‘ক্রিস্টিয়ান অস্ত্রোপচারের পরের দিন বাড়ি চলে যান। তিনি জানান জীবনযাত্রা আগের চেয়েও সহজ হয়ে গেছে। তাই আমি মনে করি তাঁর সুস্থতা অসাধারণ একটি ঘটনা।’
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সময় জেগে থাকাটাই বেশ আশ্চর্যজনক ব্যাপার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি এ বিষয়টিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কীভাবে? চিকিৎসকেরা তাঁর মস্তিষ্ক থেকে টিউমার অপসারণের সময় গিটার বাজাচ্ছিলেন তিনি।
ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামি মিলার স্কুল অব মেডিসিনের সিলভেস্টার কমপ্রিহেনসিভ ক্যানসার সেন্টারের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের সময় রোগী ক্রিস্টিয়ান নোলেনকে গিটার বাজাতে অনুরোধ করেন। এর একটি বড় কারণ, এতে অস্ত্রোপচারটি কতটা সফল হচ্ছে বুঝতে পারাটা সহজ হয় তাঁদের জন্য। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে।
দক্ষ গিটার বাদক নোলেনের মস্তিষ্কে টিউমারের কারণে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। বাম হাত নাড়ানোয় জড়তা এর অন্যতম।
‘শরীরের বাম পাশ বিশেষ কর বাম হাতে সমস্যা দেখা দেয়।’ জুমে ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেন সিলভেস্টারের মস্তিষ্কে টিউমার বিভাগের প্রধান রিকার্ডো কমোটার, ‘নোলেন লক্ষ্য করেন এটা তাঁর গিটার বাজানোকে প্রভাবিত করছে।’
নোলেনের রোগ নির্ণয় এবং টিউমারের ধরন নির্ধারণের জন্য অস্ত্রোপচার জরুরি ছিল। কারণ হিসেবে কমোটার জানান, প্রতিটি টিউমারের ভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তেমনি এটি দ্রুত অপসারণ জরুরি।
টিউমারটি শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পরে অস্ত্রোপচারটি করা হয়। তারিখটা ছিল গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর। নোলেন অবাক হয়ে গেলেন, যখন চিকিৎসকেরা জিজ্ঞাসা করলেন তিনি অস্ত্রোপচারের সময় জেগে থাকতে এবং গিটার বাজাতে ইচ্ছুক কিনা!
‘যখন একটি টিউমার মস্তিষ্কের একটি জটিল অংশের কিংবা এর কাছাকাছি জায়গায় থাকে, এমন অংশে যা ভাষা বলার, বোঝার বা নড়াচড়া করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে, আমরা রোগীকে ক্রমাগত নিরীক্ষণ করার জন্য জাগিয়ে রেখে অস্ত্রোপচার করতে চাই। এতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় অস্ত্রোপচারের কারণে সমস্যা হচ্ছে কিনা তা বোঝা যায়।’ বলেন কমোটার।
চিকিৎসকেরা জানান রোগী ঘুমিয়ে থাকলে তাঁদের পক্ষে রোগীর মতামত পাওয়া সম্ভব হয় না।
‘অস্ত্রোপচার অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠার কারণ, আপনি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা জড়িত একটি টিউমার অপসারণ করে না জেনেই বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারেন।’ বলেন কমোটার
নোলেনের জীবনযাত্রার গিটার বাজানোর গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকায় কমোটার বুঝতে পারেন অস্ত্রোপচারের সময় এটি বাজানোটা তাঁর কর্মক্ষমতা সম্পর্কে এবং টিউমারের প্রভাব বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হবে।
নোলেনকে যখন প্রস্তাবটি দেওয়া হয় শুরুতে এটাকে ঠিক বাস্তব সম্মত মনে হয়নি তাঁর কাছে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত রাজি হন।
অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন যারা তাঁরা দল নোলেনকে শুরুর জন্য ঘুম পাড়িয়ে দেন। তবে দুই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের গুরুত্বপূর্ণ এক অংশে তিনি জেগে ওঠেন। একবার তিনি কী ঘটছে তার দিকে মনোযোগী হয়ে গেলে, চিকিৎসকেরা নোলেনকে একটি গিটার দেন এবং বাজাতে বলেন।
‘জেগে ওঠার পর চারপাশে সবকিছু দেখে রীতিমতো অভিভূত হয়ে পড়ি। স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে বসে যেতে চাই।’ ফক্স নিউজকে পাঠানো ই-মেইলে নোলেন স্মরণ করেন।
তবে সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক-কর্মীদের একজন নোলেনকে বসতে বাধা দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করে একটি হাত রাখেন তাঁর শরীরে। নোলেন জানান, এরপর কী ঘটছে তা মনে করতে মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগে।
‘আমাকে কেবল শ্বাস নিতে এবং শান্ত থাকতে হয়।’ বলেন তিনি।
অস্ত্রোপচারের সময়, নোলেন তাঁর অনুশীলন করা কিছু গান সুন্দরভাবে বাজানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। গত শতকের আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় কিছু রক গান বাজান তিনি।
সার্জনরা টিউমার অপসারণ করার সঙ্গে সঙ্গে গিটার বাজাতে থাকা নোলেনের হাতের কার্যকারিতা ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সৌভাগ্যবশত তাঁরা পুরো টিউমারটি অপসারণ করতে সক্ষম হন এবং নোলেনের হাত মোটেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
‘এটি বিস্ময়কর একটি ব্যাপার।’ অস্ত্রোপচারের সময় বলেন নোলেন।
তবে অস্ত্রোপচারের সময় একজন রোগী গিটার বাজানো প্রতিদিনের ঘটনা নয়। তবে কমোটার ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেন যে তিনি এবং বিশেষ নিউরোসার্জিক্যাল দল সপ্তাহে কয়েকবার এ ধরনের ‘জাগ্রত’ বা জাগিয়ে রাখা অবস্থায় অস্ত্রোপচার করেন। বছরে শ দুয়েক বার এমন অস্ত্রোপচার হয়।
ডাক্তাররাও রোগীদের আশ্বস্ত করেন যে তারা কোনো ব্যথা অনুভব করবেন না এবং সম্ভবত পুরো পদ্ধতিটি মনেও থাকবে না তাঁদের। আর খুব আরামদায়ক হবে এটি। ‘যা আমাদের বিশ্বমানের নিউরো-অ্যানেসথেসিয়া দলের চমৎকার কাজের ফলাফল।’ বলেন কমোটার।
নোলেনের অস্ত্রোপচার মসৃণভাবে হয়েছিল এবং পুরো টিউমারটি অপসারণ সম্ভব হয়।
কমোটার বলেন ‘ক্রিস্টিয়ান অস্ত্রোপচারের পরের দিন বাড়ি চলে যান। তিনি জানান জীবনযাত্রা আগের চেয়েও সহজ হয়ে গেছে। তাই আমি মনে করি তাঁর সুস্থতা অসাধারণ একটি ঘটনা।’
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে