ইউরোপীয়দের নিউজিল্যান্ড খুঁজে পাওয়ার দিন আজ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ১৫
Thumbnail image

১৩ ডিসেম্বর ১৬৪২। প্রথম কোনো ইউরোপীয় অভিযাত্রী হিসেবে এদিন নিউজিল্যান্ডের খোঁজ পান ডাচ অভিযাত্রী আবেল তাসমান। দুপুরের দিকে উঁচু, বড় একটি জমি দেখতে পান তিনি। এটি পাপারোয়া পর্বতমালার চূড়া বলে ধারণা করা হয়। 

আগস্টে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজের (বর্তমান ইন্দোনেশিয়া) বাটাভিয়া (বর্তমান জাকার্তা) থেকে যাত্রা শুরু করেন তাসমান। তাঁর এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল চিলির দিকে একটি সামুদ্রিক পথের খোঁজ করা। যাতে এই পথ ব্যবহার করে স্প্যানিশ জাহাজ আক্রমণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া গ্রেট সাউদার্ন কন্টিনেন্ট নামে অস্ট্রেলিয়া ও কেপ হর্নের মধ্যে একটি মহাদেশ আছে বলে বিশ্বাস করা হতো। এই এলাকার সম্পদ আহরণও সমুদ্র অভিযানের একটি উদ্দেশ্য ছিল। ডাচরা অস্ট্রেলিয়ার উত্তর ও পশ্চিম উপকূল এবং এর দক্ষিণ উপকূলের কিছু অংশে অভিযান চালালেও পূর্ব দিকে এই ভূমি কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা তখনো ছিল অজানা। 

তাসমান হিনসকেক এবং জিহান নামে দুটি জাহাজে ১১০ জন সঙ্গী নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ২৪ নভেম্বর তাসমানিয়াকে (পরে এই নাম পায় জায়গাটি) দেখেন। ডাচ ইস্ট ইন্ডিজের গভর্নর জেনারেলের নামানুসারে এর নামকরণ করেন ফন দিম্যানস ল্যান্ড। এরপর তিনি সাগরপথে পূর্ব দিকে যাত্রা করেন। 

এই অভিযাত্রী দলের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক গিলম্যানস। বলা হয় প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে নিউজিল্যান্ডের ছবি আঁকেন তিনি। তাসমানের জাহাজ দুটি উত্তর দিকে ঘুরে ফেয়ারওয়েল স্পিটের (এখনকার গোল্ডেন বে) পাশ দিয়ে যাত্রা করে। এই এলাকায় ১৮ ডিসেম্বর নোঙর ফেলেন জাহাজের। এখানেই মাওরিদের সঙ্গে ডাচদের বড় একটি সংঘর্ষ হয়। 

পরে ১৭৬৯ সালে ক্যাপ্টেন জেমস কুক নিউজিল্যান্ডে অভিযান চালান। তবে ইউরোপীয়দের এই অভিযানে আরেকটি বিষয় চাপা পড়ে যায়। সেটি হলো নিউজিল্যান্ড আবিষ্কারের মূল কৃতিত্ব আসলে মাওরিদের। পলিনেশিয়ান এসব মানুষ ১২৫০ থেকে ১৩০০ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ডে বসতি গাড়েন বলে ধারণা করা হয়। 

সূত্র: বিবিসি আর্থ, এনজেড হিস্ট্রি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত