জাহীদ রেজা নূর
আজ আমরা আর রাজনীতির দিকে যাব না। যাব গোয়েন্দা কাহিনির দিকে। গোয়েন্দা কাহিনির ভক্তের সংখ্যা কম নয়। আমি নিজেই শার্লক হোমস, এরক্যুল পুয়ারো, বোমকেশ, ফেলুদা পেলে ঝাঁপিয়ে পড়ি সে বইয়ের ওপর। রহস্য উদ্ঘাটনের পরও ফের পড়ি। আনন্দ লাগে।
রুশ রসিকের দল এই গোয়েন্দাদেরও রসিকতা থেকে ছাড় দেয় না। শুধু গোয়েন্দা নয়, বিভিন্ন ধ্রুপদি বইয়ের ধ্রুপদি চরিত্র নিয়েও ওরা হুল্লোড় করে।
এবার শার্লক হোমসকে নিয়ে কিছু রসিকতা, অবধারিতভাবে মিস্টার ওয়াটসন প্রায় সবগুলোতেই হাজির:
১
—ওয়াটসন, আমি নিশ্চিত, সকাল বেলায় আপনি খুব ব্যস্ত হয়ে দৌড়ে চলে এসেছেন। আরও বুঝতে পারছি, আপনি চকরাবকরা একটা আন্ডারওয়্যার পরেছেন।
—কীভাবে তা বুঝতে পারলেন হোমস?
—খুব সহজে। অতি ব্যস্ততায় আন্ডারওয়্যারের ওপর আপনি প্যান্টটা পরে আসতে ভুলে গেছেন।
২.
‘হোমস, আপনি এতটাই মেধাবী যে, লন্ডন শহরের সব অপরাধীকে ধরে জেলে পোরার ক্ষমতা আপনার আছে।
হোমস: পাগল নাকি? সবগুলোকে জেলে পুরলে আমার পাইপের জন্য আফিম জোগাবে কে?
৩.
ওয়াটসন জিজ্ঞেস করছে শার্লক হোমসকে, ‘কিছুতেই বুঝতে পারছি না, লর্ডের স্টিলের আলমারি থেকে অর্থ আর গয়না চুরি করার পর চোর কেন লর্ডের স্ত্রীকেও চুরি করে নিয়ে গেল?
হোমস: উত্তরটা খুব সহজ, ওয়াটসন। লর্ড যেন চোরকে না খোঁজেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্য।
৪.
হোমস: ওয়াটসন তাড়াতাড়ি উঠুন। আমাদের যেতে হবে। আপনার মুখ তো বালিশের চেয়েও সাদা হয়ে আছে!
ওয়াটসন: তার মানে? আমার মুখে তবে কী হয়েছে?
হোমস: আপনার মুখে কিছু হয়নি ওয়াটসন। বালিশের ওয়্যারটা ধুতে দেওয়ার সময় হয়েছে।
৫.
বেকার স্ট্রিটে বসে সকালবেলায় খবরের কাগজ পড়ছিলেন ওয়াটসন। কাগজ পড়তে পড়তেই তিনি হোমসকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আশ্চর্য, হোমস! জর্জিয়ায় এত মানুষ ফ্লাইং সসার দেখছে কী করে? পৃথিবীর আর কোথাও তো এত ফ্লাইং সসার দেখা যায় না!’
‘এর উত্তর খুব সহজ, ওয়াটসন! ফসল উঠেছে গোলায়, তা দিয়ে নতুন মদ বানানো হয়েছে...ফ্লাইং সসারই তো দেখবে তারা!’
৬.
ব্যারিমোরকে ডেকে হোমস জিজ্ঞেস করছেন, ‘ব্যারিমোর, এই সাদা টক দইটাকে দেখে কি আপনার মনে হচ্ছে না, এটায় কোনো গন্ডগোল আছে? গন্ধটাও কেমন অচেনা!’
‘ঠিক বলেছেন স্যার। শুধু গন্ধ কেন, টক দইয়ের নামটাও অচেনা!’
‘কী নাম?’
‘মেয়োনেজ, স্যার।’
৭.
মিস্টার স্মিথকে শার্লক হোমস জিজ্ঞেস করছেন, ‘আপনিই তো মিস্টার স্মিথ?’
‘দুর্দান্ত! কী করে আপনি আমার নামটা জানলেন? এ জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন?’
‘চুটকির শুরুতেই বলা আছে, আমি মিস্টার স্মিথকে কিছু জিজ্ঞেস করছি!’
৮.
বাইরে মারপিট, কোলাহলের শব্দ শুনে ওয়াটসন হোমসকে বলছেন, ‘হোমস, বাইরে কিছু একটা গোলমাল হচ্ছে। চলুন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে আসি।’
‘চুপচাপ বসে থাকুন, ওয়াটসন। আগামীকালের খবরের কাগজে এই মারপিটের সব খবরই পেয়ে যাবেন।’
৯.
‘বলুন তো হোমস! এই কোটিপতি রাশানরা কেন নিজের দেশে না থেকে এখানে, এই লন্ডনে এসে থাকে?’
‘উত্তরটা খুব সহজ ওয়াটসন! রাশানরা খুবই বুদ্ধিমান মানুষ। তারা জানে, যেখানে চুরি করা হয়, সেখানে থাকতে হয় না।’
১০.
‘ওয়াটসন, বাস্কারভিলের কুকুরের মাংস কেমন ছিল খেতে?’
‘আমি বাস্কারভিলের কুকুরের মাংস খাইনি, হোমস!’
‘মিসেস হাডসন তো বলছেন, আপনি খেয়েছেন।’
‘হোমস, আপনি আমাকে বিশ্বাস না করে মিসেস হাডসনকে বিশ্বাস করছেন কেন?’
‘করছি, কারণ আমাদের জন্য বাবুর্চির কাজটা মিসেস হাডসনই করে থাকেন, আপনি নন।’
১১.
‘হোমস, বলুন তো, কোন দল এবার রাশিয়ার নির্বাচনে জিতবে?’
‘ওয়াটসন, আবার আপনি আমাকে অপমান করছেন!’
একটা ফাও
বেকার স্ট্রিটে এলেন ওয়াটসন। বসলেন আরাম কেদারায়। হোমস তাঁকে দেখে বললেন, ‘ওয়াটসন, আপনার মতো এত ভদ্র একজন মানুষ কেন পার্কলেইন পাড়ায় গিয়ে মারামারিতে জড়ালেন?’
বিস্মিত ওয়াটসন বললেন, ‘এ খবরও আপনি জানেন? কী করে জানলেন?’
‘খুব সহজে। আপনার কপালে আমার জুতোর দাগ দেখতে পাচ্ছি!’
আজ আমরা আর রাজনীতির দিকে যাব না। যাব গোয়েন্দা কাহিনির দিকে। গোয়েন্দা কাহিনির ভক্তের সংখ্যা কম নয়। আমি নিজেই শার্লক হোমস, এরক্যুল পুয়ারো, বোমকেশ, ফেলুদা পেলে ঝাঁপিয়ে পড়ি সে বইয়ের ওপর। রহস্য উদ্ঘাটনের পরও ফের পড়ি। আনন্দ লাগে।
রুশ রসিকের দল এই গোয়েন্দাদেরও রসিকতা থেকে ছাড় দেয় না। শুধু গোয়েন্দা নয়, বিভিন্ন ধ্রুপদি বইয়ের ধ্রুপদি চরিত্র নিয়েও ওরা হুল্লোড় করে।
এবার শার্লক হোমসকে নিয়ে কিছু রসিকতা, অবধারিতভাবে মিস্টার ওয়াটসন প্রায় সবগুলোতেই হাজির:
১
—ওয়াটসন, আমি নিশ্চিত, সকাল বেলায় আপনি খুব ব্যস্ত হয়ে দৌড়ে চলে এসেছেন। আরও বুঝতে পারছি, আপনি চকরাবকরা একটা আন্ডারওয়্যার পরেছেন।
—কীভাবে তা বুঝতে পারলেন হোমস?
—খুব সহজে। অতি ব্যস্ততায় আন্ডারওয়্যারের ওপর আপনি প্যান্টটা পরে আসতে ভুলে গেছেন।
২.
‘হোমস, আপনি এতটাই মেধাবী যে, লন্ডন শহরের সব অপরাধীকে ধরে জেলে পোরার ক্ষমতা আপনার আছে।
হোমস: পাগল নাকি? সবগুলোকে জেলে পুরলে আমার পাইপের জন্য আফিম জোগাবে কে?
৩.
ওয়াটসন জিজ্ঞেস করছে শার্লক হোমসকে, ‘কিছুতেই বুঝতে পারছি না, লর্ডের স্টিলের আলমারি থেকে অর্থ আর গয়না চুরি করার পর চোর কেন লর্ডের স্ত্রীকেও চুরি করে নিয়ে গেল?
হোমস: উত্তরটা খুব সহজ, ওয়াটসন। লর্ড যেন চোরকে না খোঁজেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্য।
৪.
হোমস: ওয়াটসন তাড়াতাড়ি উঠুন। আমাদের যেতে হবে। আপনার মুখ তো বালিশের চেয়েও সাদা হয়ে আছে!
ওয়াটসন: তার মানে? আমার মুখে তবে কী হয়েছে?
হোমস: আপনার মুখে কিছু হয়নি ওয়াটসন। বালিশের ওয়্যারটা ধুতে দেওয়ার সময় হয়েছে।
৫.
বেকার স্ট্রিটে বসে সকালবেলায় খবরের কাগজ পড়ছিলেন ওয়াটসন। কাগজ পড়তে পড়তেই তিনি হোমসকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আশ্চর্য, হোমস! জর্জিয়ায় এত মানুষ ফ্লাইং সসার দেখছে কী করে? পৃথিবীর আর কোথাও তো এত ফ্লাইং সসার দেখা যায় না!’
‘এর উত্তর খুব সহজ, ওয়াটসন! ফসল উঠেছে গোলায়, তা দিয়ে নতুন মদ বানানো হয়েছে...ফ্লাইং সসারই তো দেখবে তারা!’
৬.
ব্যারিমোরকে ডেকে হোমস জিজ্ঞেস করছেন, ‘ব্যারিমোর, এই সাদা টক দইটাকে দেখে কি আপনার মনে হচ্ছে না, এটায় কোনো গন্ডগোল আছে? গন্ধটাও কেমন অচেনা!’
‘ঠিক বলেছেন স্যার। শুধু গন্ধ কেন, টক দইয়ের নামটাও অচেনা!’
‘কী নাম?’
‘মেয়োনেজ, স্যার।’
৭.
মিস্টার স্মিথকে শার্লক হোমস জিজ্ঞেস করছেন, ‘আপনিই তো মিস্টার স্মিথ?’
‘দুর্দান্ত! কী করে আপনি আমার নামটা জানলেন? এ জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন?’
‘চুটকির শুরুতেই বলা আছে, আমি মিস্টার স্মিথকে কিছু জিজ্ঞেস করছি!’
৮.
বাইরে মারপিট, কোলাহলের শব্দ শুনে ওয়াটসন হোমসকে বলছেন, ‘হোমস, বাইরে কিছু একটা গোলমাল হচ্ছে। চলুন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে আসি।’
‘চুপচাপ বসে থাকুন, ওয়াটসন। আগামীকালের খবরের কাগজে এই মারপিটের সব খবরই পেয়ে যাবেন।’
৯.
‘বলুন তো হোমস! এই কোটিপতি রাশানরা কেন নিজের দেশে না থেকে এখানে, এই লন্ডনে এসে থাকে?’
‘উত্তরটা খুব সহজ ওয়াটসন! রাশানরা খুবই বুদ্ধিমান মানুষ। তারা জানে, যেখানে চুরি করা হয়, সেখানে থাকতে হয় না।’
১০.
‘ওয়াটসন, বাস্কারভিলের কুকুরের মাংস কেমন ছিল খেতে?’
‘আমি বাস্কারভিলের কুকুরের মাংস খাইনি, হোমস!’
‘মিসেস হাডসন তো বলছেন, আপনি খেয়েছেন।’
‘হোমস, আপনি আমাকে বিশ্বাস না করে মিসেস হাডসনকে বিশ্বাস করছেন কেন?’
‘করছি, কারণ আমাদের জন্য বাবুর্চির কাজটা মিসেস হাডসনই করে থাকেন, আপনি নন।’
১১.
‘হোমস, বলুন তো, কোন দল এবার রাশিয়ার নির্বাচনে জিতবে?’
‘ওয়াটসন, আবার আপনি আমাকে অপমান করছেন!’
একটা ফাও
বেকার স্ট্রিটে এলেন ওয়াটসন। বসলেন আরাম কেদারায়। হোমস তাঁকে দেখে বললেন, ‘ওয়াটসন, আপনার মতো এত ভদ্র একজন মানুষ কেন পার্কলেইন পাড়ায় গিয়ে মারামারিতে জড়ালেন?’
বিস্মিত ওয়াটসন বললেন, ‘এ খবরও আপনি জানেন? কী করে জানলেন?’
‘খুব সহজে। আপনার কপালে আমার জুতোর দাগ দেখতে পাচ্ছি!’
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে