অর্ণব সান্যাল
ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন। এ তো অনেকেরই জানা। কিন্তু জানেন কি, কলম্বাস গণতন্ত্র খুঁজতেও অভিযানে নামতে চেয়েছিলেন? আসুন তবে, সেই গল্প (সত্যিই গালগপ্পো) জানা যাক।
বলা হয়ে থাকে, ক্রিস্টোফার কলম্বাস নাকি ‘ভুল’ করে আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন। আমেরিকায় নামার পর তিনি নাকি ওই অঞ্চলকে বিশেষ করে ভারত, চীন বা জাপান ভেবেছিলেন। আর এভাবেই ‘তালগোলে’ আমেরিকা আবিষ্কার করে পশ্চিমা ইতিহাসের পাতায় দীর্ঘকাল নায়ক হয়ে ছিলেন কলম্বাস।
যদিও এখন নিন্দুকেরা কলম্বাসের নামে নানা কথা বলে। অনেকেই বলেন, তিনি নাকি ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতেই জাহাজ নিয়ে আটলান্টিকে ভেসেছিলেন। নিছক নতুন নতুন অঞ্চল আবিষ্কার তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল না। আবার সমালোচকদের কারও কারও মতে, নাবিক হিসেবে তেমন কোনো দক্ষতা নাকি কলম্বাসের ছিল না! রাজপরিবারের আনুকূল্যই তাঁর নায়ক হয়ে ওঠার পাথেয়।
যদিও রাজপরিবারের আনুকূল্য নিয়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে দ্বিমত আছে। আরে ভাই ও বোনেরা, রাজপরিবারের আনুকূল্য না পেলে কি জীবন ধনধান্য পুষ্পভরা হয়ে উঠতে পারে কখনো? অন্যরা নিলে দোষ নেই, আর বেচারা কলম্বাস আনুকূল্য নিলেই দোষ? এটি আসলে হিংসা, হিংসা!
সে যাক গে। কলম্বাসের গণতন্ত্র খোঁজার অভিযান প্রসঙ্গে আসা যাক। এই তথ্য আমাকে স্বপ্নে নিশ্চিত করেছে একটি ‘গুপন’ সূত্র। ওই যে সূত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-বিষয়ক নানা তথ্য রুটি-কলার বিনিময়ে সরবরাহ করত আর কি! ওই সূত্র জানিয়েছে, এক আধিভৌতিক ঘুমকেন্দ্রিক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে তিনি নাকি কলম্বাসের গণতন্ত্র খোঁজার অভিযান সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ‘ঘুমকেন্দ্রিক প্রতিবন্ধকতা’ অর্থ হলো, আধো ঘুম আধো জাগরণে ছিলেন। আর ঠিক সেই সময়টায় এক উজ্জ্বল পুরুষ পুরো জাহাজ নিয়ে তাঁর কল্পনার রাজ্যে হানা দেয়! এরপরই শুরু হয় অস্বাভাবিক সব আলোচনা।
সূত্রটি বলেছে, কলম্বাস নাকি পঞ্চম অভিযানে বের হতে চেয়েছিলেন। ইতিহাস বলছে, কলম্বাস নাকি মোট চারবার অভিযানে গিয়েছিলেন। পঞ্চম অভিযানের কথা শুনে তাই ওই ‘গুপন’ সূত্রকে রুটি-কলা খাওয়ানোর আশ্বাস দিতেই হলো। আরে ‘অনুপ্রেরণা’ না দিলে কি এই দুনিয়ায় কোনো কাজ হয়? তবে তিনি এবার চতুর হয়েছেন ঢের। আগে টং দোকানে অর্ডার দিতে বললেন। দিলাম। কী আর করা! জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে কত-কী করতে হয়!
রুটি-কলা খেতে খেতে জানা গেল সেই মূল্যবান তথ্য। কলম্বাস জানিয়েছেন, তিনি নাকি গণতন্ত্র খুঁজতে তৎকালীন বঙ্গদেশ, এখনকার বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। কলম্বাস লোকের মুখে কান দিয়ে শুনেছিলেন এ অঞ্চলে গণতান্ত্রিক শাসনের বিস্তারের কথা। এরপর সেই কান চিলে নিয়ে যায়। আর তাতেই তাঁর মন নেচে উঠেছিল অজানা আবিষ্কারের আনন্দে। রাজরাজড়াদের কাছ থেকে তহবিল জোগাড় করতে এ নিয়ে নাকি বেশ তদবিরও করেছিলেন। প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন তখনো ছিল, তবে কিছুটা ভিন্ন রূপে। কলম্বাস বলেছেন, তিনি রাজপরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, গণতন্ত্র খায় নাকি মাথায় দেয়—সেটি আবিষ্কার করাই হবে তাঁর মূল লক্ষ্য।
কিন্তু বিধি বাম। রাজপরিবার নাকি তখন কলম্বাসকে ধমক দিয়ে বলেছিল, খাওয়া ও মাথায় দেওয়ার জিনিস অনেক আছে। গণতন্ত্র দরকার নেই। কোনো কোনো নিন্দুক ও বিরোধীপক্ষের লোক নাকি টিপ্পনী কেটেও বলেছিল, ‘ভারতই পাইলা না, আর বঙ্গদেশ!’
গুপন সূত্রটি রুটি-কলায় শেষ কামড় দিতে দিতে জানাল, আর তাতেই নাকি কলম্বাসের বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে এসেছিল। শেষ বয়সে এমন অপমান তিনি আর সহ্য করতে পারেননি। তবে গণতন্ত্র খুঁজতে বঙ্গে যাওয়ার জন্য যে ‘প্রজেক্ট প্ল্যানিং’ তিনি করেছিলেন, সেটি দিয়েছিলেন আমেরিকার একজনকে। আর তারই ফল নাকি আমেরিকায় ফলেছিল কয়েক শ বছর পর, গণতন্ত্র এসেছিল!
এসব গালগপ্পো শুনতে শুনতেই শেষ হয়ে গেল কলা। গুপন সূত্র এর পর চাইল মালাই দেওয়া চা। আমি শুধালাম, ‘নতুন তথ্য আর কিছু দেয়নি কলম্বাস?’ জবাব এল, সকাল হতেই নাকি কলম্বাস পাল তুলে চলে গেছেন জাহাজ নিয়ে।
নেক্সট টাইম ভালো তথ্য দিলে চা খাওয়ানোর আশ্বাস দিয়ে আমিও ধরলাম বাড়ির পথ। মোর স্বপ্নের বারোটা বাজার সময়ও তখন হয়ে এসেছে যে। আশ্চর্য বিষয় হলো, গুপন সূত্র চায়ের আশ্বাস মেনেও নিল। এ দেশে ‘মিথ্যা’ আশ্বাস ও গালগপ্পো যে কত দামি, তা আবার এই অধমের বোধগম্য হলো!
সবার ওপরে আশ্বাসে বিশ্বাস, তাহার উপরে নাই।
ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন। এ তো অনেকেরই জানা। কিন্তু জানেন কি, কলম্বাস গণতন্ত্র খুঁজতেও অভিযানে নামতে চেয়েছিলেন? আসুন তবে, সেই গল্প (সত্যিই গালগপ্পো) জানা যাক।
বলা হয়ে থাকে, ক্রিস্টোফার কলম্বাস নাকি ‘ভুল’ করে আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন। আমেরিকায় নামার পর তিনি নাকি ওই অঞ্চলকে বিশেষ করে ভারত, চীন বা জাপান ভেবেছিলেন। আর এভাবেই ‘তালগোলে’ আমেরিকা আবিষ্কার করে পশ্চিমা ইতিহাসের পাতায় দীর্ঘকাল নায়ক হয়ে ছিলেন কলম্বাস।
যদিও এখন নিন্দুকেরা কলম্বাসের নামে নানা কথা বলে। অনেকেই বলেন, তিনি নাকি ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতেই জাহাজ নিয়ে আটলান্টিকে ভেসেছিলেন। নিছক নতুন নতুন অঞ্চল আবিষ্কার তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল না। আবার সমালোচকদের কারও কারও মতে, নাবিক হিসেবে তেমন কোনো দক্ষতা নাকি কলম্বাসের ছিল না! রাজপরিবারের আনুকূল্যই তাঁর নায়ক হয়ে ওঠার পাথেয়।
যদিও রাজপরিবারের আনুকূল্য নিয়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে দ্বিমত আছে। আরে ভাই ও বোনেরা, রাজপরিবারের আনুকূল্য না পেলে কি জীবন ধনধান্য পুষ্পভরা হয়ে উঠতে পারে কখনো? অন্যরা নিলে দোষ নেই, আর বেচারা কলম্বাস আনুকূল্য নিলেই দোষ? এটি আসলে হিংসা, হিংসা!
সে যাক গে। কলম্বাসের গণতন্ত্র খোঁজার অভিযান প্রসঙ্গে আসা যাক। এই তথ্য আমাকে স্বপ্নে নিশ্চিত করেছে একটি ‘গুপন’ সূত্র। ওই যে সূত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-বিষয়ক নানা তথ্য রুটি-কলার বিনিময়ে সরবরাহ করত আর কি! ওই সূত্র জানিয়েছে, এক আধিভৌতিক ঘুমকেন্দ্রিক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে তিনি নাকি কলম্বাসের গণতন্ত্র খোঁজার অভিযান সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ‘ঘুমকেন্দ্রিক প্রতিবন্ধকতা’ অর্থ হলো, আধো ঘুম আধো জাগরণে ছিলেন। আর ঠিক সেই সময়টায় এক উজ্জ্বল পুরুষ পুরো জাহাজ নিয়ে তাঁর কল্পনার রাজ্যে হানা দেয়! এরপরই শুরু হয় অস্বাভাবিক সব আলোচনা।
সূত্রটি বলেছে, কলম্বাস নাকি পঞ্চম অভিযানে বের হতে চেয়েছিলেন। ইতিহাস বলছে, কলম্বাস নাকি মোট চারবার অভিযানে গিয়েছিলেন। পঞ্চম অভিযানের কথা শুনে তাই ওই ‘গুপন’ সূত্রকে রুটি-কলা খাওয়ানোর আশ্বাস দিতেই হলো। আরে ‘অনুপ্রেরণা’ না দিলে কি এই দুনিয়ায় কোনো কাজ হয়? তবে তিনি এবার চতুর হয়েছেন ঢের। আগে টং দোকানে অর্ডার দিতে বললেন। দিলাম। কী আর করা! জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে কত-কী করতে হয়!
রুটি-কলা খেতে খেতে জানা গেল সেই মূল্যবান তথ্য। কলম্বাস জানিয়েছেন, তিনি নাকি গণতন্ত্র খুঁজতে তৎকালীন বঙ্গদেশ, এখনকার বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। কলম্বাস লোকের মুখে কান দিয়ে শুনেছিলেন এ অঞ্চলে গণতান্ত্রিক শাসনের বিস্তারের কথা। এরপর সেই কান চিলে নিয়ে যায়। আর তাতেই তাঁর মন নেচে উঠেছিল অজানা আবিষ্কারের আনন্দে। রাজরাজড়াদের কাছ থেকে তহবিল জোগাড় করতে এ নিয়ে নাকি বেশ তদবিরও করেছিলেন। প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন তখনো ছিল, তবে কিছুটা ভিন্ন রূপে। কলম্বাস বলেছেন, তিনি রাজপরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, গণতন্ত্র খায় নাকি মাথায় দেয়—সেটি আবিষ্কার করাই হবে তাঁর মূল লক্ষ্য।
কিন্তু বিধি বাম। রাজপরিবার নাকি তখন কলম্বাসকে ধমক দিয়ে বলেছিল, খাওয়া ও মাথায় দেওয়ার জিনিস অনেক আছে। গণতন্ত্র দরকার নেই। কোনো কোনো নিন্দুক ও বিরোধীপক্ষের লোক নাকি টিপ্পনী কেটেও বলেছিল, ‘ভারতই পাইলা না, আর বঙ্গদেশ!’
গুপন সূত্রটি রুটি-কলায় শেষ কামড় দিতে দিতে জানাল, আর তাতেই নাকি কলম্বাসের বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে এসেছিল। শেষ বয়সে এমন অপমান তিনি আর সহ্য করতে পারেননি। তবে গণতন্ত্র খুঁজতে বঙ্গে যাওয়ার জন্য যে ‘প্রজেক্ট প্ল্যানিং’ তিনি করেছিলেন, সেটি দিয়েছিলেন আমেরিকার একজনকে। আর তারই ফল নাকি আমেরিকায় ফলেছিল কয়েক শ বছর পর, গণতন্ত্র এসেছিল!
এসব গালগপ্পো শুনতে শুনতেই শেষ হয়ে গেল কলা। গুপন সূত্র এর পর চাইল মালাই দেওয়া চা। আমি শুধালাম, ‘নতুন তথ্য আর কিছু দেয়নি কলম্বাস?’ জবাব এল, সকাল হতেই নাকি কলম্বাস পাল তুলে চলে গেছেন জাহাজ নিয়ে।
নেক্সট টাইম ভালো তথ্য দিলে চা খাওয়ানোর আশ্বাস দিয়ে আমিও ধরলাম বাড়ির পথ। মোর স্বপ্নের বারোটা বাজার সময়ও তখন হয়ে এসেছে যে। আশ্চর্য বিষয় হলো, গুপন সূত্র চায়ের আশ্বাস মেনেও নিল। এ দেশে ‘মিথ্যা’ আশ্বাস ও গালগপ্পো যে কত দামি, তা আবার এই অধমের বোধগম্য হলো!
সবার ওপরে আশ্বাসে বিশ্বাস, তাহার উপরে নাই।
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে