গোলাম ওয়াদুদ
শুভ সংবাদ বাতাসের আগে যায়। না, শুধু কোরবানির ঈদ নয়, লকডাউনও শিথিল হয়েছে। সরকার আজ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে না। ঈদুল আজহা উদ্যাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এত দিনের আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। এই সময় সবাইকে মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
আগামী ২১ জুলাই উদ্যাপিত হবে ঈদুল আজহা। আর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আবার আরোপ হবে কঠোর বিধিনিষেধ। এই ঘোষণায় চিন্তায় পড়ে গেছেন অনেকে। অনেকেই ভাবছেন—বাড়ি তো যাব, কিন্তু আসব কীভাবে। গেলে ঈদের পরের দিন আসব, একটু দু–চার দিন থেকে না এলে কেমন হয়। আর কোরবানির ঈদে মাংস তো আর একদিনে শেষ করা যাবে না। এই সব চিন্তায় যাদের মাথায় তালগোল পাকিয়ে গেছে, তাঁদের জন্য আছে সহজ সমাধান—
বিয়ারিং গাড়ি: শৈশব নিয়ে হা হুতাশ করে তো অনেক দিন কাটালেন। এবার শৈশবকে বুকে টেনে নিন। মনে রাখুন—বিধিনিষেধের আওতার মধ্যে এই গাড়ির নাম নেই। তাই বিনা বাধায় আপনি এই গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে পারবেন। বিয়ারিং গাড়ি যেহেতু একটি সামাজিক গাড়ি, তাই অন্তত দুজন আসতে হবে। ইচ্ছে করলে আরও দু–একজনকেও সঙ্গে নিতে পারেন। তবে একা নৈব চ নৈব চ। কারণ, বিয়ারিং গাড়ি ‘একলা চলো’ নীতি মানে না। মানলে, গাড়িতে চড়ে অনন্তকাল বসেই থাকতে হবে। সুতরাং ফুসলিয়ে একজন বন্ধুকে রাজি করান, যে আপনার বসে থাকার সময়ে পেছন থেকে ধাক্কা দেবে। এটি সহযোগিতা ও সহানুভূতির মূল্যবোধকেও জাগিয়ে তুলতে পারে, যা এই করোনাকালে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যা হোক একটি বিয়ারিং গাড়িতে করে পালাক্রমে পরস্পরকে ঠেলা–ধাক্কা দিয়ে ঢাকায় বা চট্টগ্রাম শুধু নয়, পৃথিবীর যেখানেই আপনার কর্মক্ষেত্র হোক, সেখানে নির্বিঘ্নে ফিরতে পারবেন। যারা উত্তরবঙ্গে থেকে আসবেন তাঁদের জন্য এই যানবাহন খুব কাজে দেবে, যেহেতু কোনো ‘পানিপথ’ নেই।
সাঁতার কেটে: বলা হয়েছে লঞ্চ-স্টিমার চলবে না। কিন্তু সাঁতার কাটতে তো মানা নেই। এ জন্য আপনাকে একটি টেকসই লুঙ্গি বা অনুরূপ ঢিলেঢালা, কিন্তু বিশ্বস্ত পোশাক ব্যবহার করতে হবে। যখন সাঁতার কাটতে কাটতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন, তখন লুঙ্গিটি বাতাসে ফুলিয়ে পানিতে ভেসে ভেসে থাকবেন। এভাবে আপনি বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় আসতে পারবেন।
টারজান পদ্ধতি: এ জন্য কিছুটা প্রশিক্ষণ লাগবে। শুরুতেই হাত, পা ইত্যাদিকে সচল করতে একটু ব্যায়াম করে নিন। ঘরের পালা বা বিম ধরে ঝুলে থাকুন যতক্ষণ পারেন। পারলে ঈদের খাবার–দাবারও সারুন ঝুলন্ত অবস্থায়। ডাইনিং টেবিলের বদলে গাছের মগডালে বসে দুপুর বা রাত—অন্তত এক বেলার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন নিজের ভেতরের সত্তাটি বেরিয়ে এসেছে। নিজেকে ‘আত্মশক্তি’ জেগে উঠেছে। এবার পুরো প্রক্রিয়াকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে, বাজারে গিয়ে টারজানের পোশাক কিনুন। বাড়ি গিয়ে সবচেয়ে দুষ্ট বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটান। তারা যা যা করে, তাই করুন নির্দ্বিধায়। ভয় পাবেন না, ঘাবড়ে যাবেন না। খেয়াল করুন সেই শিশুটিকে, যার ছায়া মাড়াতে আগে আপনি ভয় পেতেন। মনে রাখুন, তার ভেতরেই রয়েছে আপনার শিক্ষক হওয়ার সব গুন। দেখুন সে কীভাবে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দ্রুত চলে যাচ্ছে। হ্যাঁ, এটিই আপনার শহরে ফেরার টারজান পদ্ধতি।
বন্ধুর সাইকেল: অন্য যানবাহনের মতো সাইকেলকে তেমন গুরুত্ব দেয় না পুলিশ ও সেনাবাহিনী। দেখা গেল ট্রাক থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল—সব যানবাহন আটকানো হচ্ছে। অথচ পাশ দিয়ে ফুশ করে চলে যাচ্ছে সাইকেল। আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই সুনজর ছাড়াও সাইকেলে আছে আধ্যাত্মিকতাও—‘জীবন একটা দুই চাকার সাইকেল’। আর যেহেতু জীবনের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ হচ্ছে শহর, গ্রাম, করোনা, চেকপোস্ট ইত্যাদি, তাই সাইকেলে চড়ে নিঃসন্দেহে শহরের পথে দেওয়া যাবে সহজ পাড়ি। তবে এ ক্ষেত্রে নিজের নয়, বন্ধুর সাইকেল নিয়ে রওনা হোন। এতে করে পথের ক্লান্তি মেটাতে বন্ধুও যোগ দিতে পারে আপনার সঙ্গে। সঙ্গ পাবেন, সঙ্গে চালকও। আর নিতান্তই বন্ধুকে না পাওয়া গেলেও ক্ষতি নেই। সাইকেলটি তো পেলেন। পুরো পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে বন্ধুর কাছ থেকে এই সাইকেল হরণ আপনাকে বিশেষ উৎসাহ জোগাবে।
শুভ সংবাদ বাতাসের আগে যায়। না, শুধু কোরবানির ঈদ নয়, লকডাউনও শিথিল হয়েছে। সরকার আজ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে না। ঈদুল আজহা উদ্যাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এত দিনের আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। এই সময় সবাইকে মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
আগামী ২১ জুলাই উদ্যাপিত হবে ঈদুল আজহা। আর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আবার আরোপ হবে কঠোর বিধিনিষেধ। এই ঘোষণায় চিন্তায় পড়ে গেছেন অনেকে। অনেকেই ভাবছেন—বাড়ি তো যাব, কিন্তু আসব কীভাবে। গেলে ঈদের পরের দিন আসব, একটু দু–চার দিন থেকে না এলে কেমন হয়। আর কোরবানির ঈদে মাংস তো আর একদিনে শেষ করা যাবে না। এই সব চিন্তায় যাদের মাথায় তালগোল পাকিয়ে গেছে, তাঁদের জন্য আছে সহজ সমাধান—
বিয়ারিং গাড়ি: শৈশব নিয়ে হা হুতাশ করে তো অনেক দিন কাটালেন। এবার শৈশবকে বুকে টেনে নিন। মনে রাখুন—বিধিনিষেধের আওতার মধ্যে এই গাড়ির নাম নেই। তাই বিনা বাধায় আপনি এই গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে পারবেন। বিয়ারিং গাড়ি যেহেতু একটি সামাজিক গাড়ি, তাই অন্তত দুজন আসতে হবে। ইচ্ছে করলে আরও দু–একজনকেও সঙ্গে নিতে পারেন। তবে একা নৈব চ নৈব চ। কারণ, বিয়ারিং গাড়ি ‘একলা চলো’ নীতি মানে না। মানলে, গাড়িতে চড়ে অনন্তকাল বসেই থাকতে হবে। সুতরাং ফুসলিয়ে একজন বন্ধুকে রাজি করান, যে আপনার বসে থাকার সময়ে পেছন থেকে ধাক্কা দেবে। এটি সহযোগিতা ও সহানুভূতির মূল্যবোধকেও জাগিয়ে তুলতে পারে, যা এই করোনাকালে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যা হোক একটি বিয়ারিং গাড়িতে করে পালাক্রমে পরস্পরকে ঠেলা–ধাক্কা দিয়ে ঢাকায় বা চট্টগ্রাম শুধু নয়, পৃথিবীর যেখানেই আপনার কর্মক্ষেত্র হোক, সেখানে নির্বিঘ্নে ফিরতে পারবেন। যারা উত্তরবঙ্গে থেকে আসবেন তাঁদের জন্য এই যানবাহন খুব কাজে দেবে, যেহেতু কোনো ‘পানিপথ’ নেই।
সাঁতার কেটে: বলা হয়েছে লঞ্চ-স্টিমার চলবে না। কিন্তু সাঁতার কাটতে তো মানা নেই। এ জন্য আপনাকে একটি টেকসই লুঙ্গি বা অনুরূপ ঢিলেঢালা, কিন্তু বিশ্বস্ত পোশাক ব্যবহার করতে হবে। যখন সাঁতার কাটতে কাটতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন, তখন লুঙ্গিটি বাতাসে ফুলিয়ে পানিতে ভেসে ভেসে থাকবেন। এভাবে আপনি বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় আসতে পারবেন।
টারজান পদ্ধতি: এ জন্য কিছুটা প্রশিক্ষণ লাগবে। শুরুতেই হাত, পা ইত্যাদিকে সচল করতে একটু ব্যায়াম করে নিন। ঘরের পালা বা বিম ধরে ঝুলে থাকুন যতক্ষণ পারেন। পারলে ঈদের খাবার–দাবারও সারুন ঝুলন্ত অবস্থায়। ডাইনিং টেবিলের বদলে গাছের মগডালে বসে দুপুর বা রাত—অন্তত এক বেলার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন নিজের ভেতরের সত্তাটি বেরিয়ে এসেছে। নিজেকে ‘আত্মশক্তি’ জেগে উঠেছে। এবার পুরো প্রক্রিয়াকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে, বাজারে গিয়ে টারজানের পোশাক কিনুন। বাড়ি গিয়ে সবচেয়ে দুষ্ট বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটান। তারা যা যা করে, তাই করুন নির্দ্বিধায়। ভয় পাবেন না, ঘাবড়ে যাবেন না। খেয়াল করুন সেই শিশুটিকে, যার ছায়া মাড়াতে আগে আপনি ভয় পেতেন। মনে রাখুন, তার ভেতরেই রয়েছে আপনার শিক্ষক হওয়ার সব গুন। দেখুন সে কীভাবে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দ্রুত চলে যাচ্ছে। হ্যাঁ, এটিই আপনার শহরে ফেরার টারজান পদ্ধতি।
বন্ধুর সাইকেল: অন্য যানবাহনের মতো সাইকেলকে তেমন গুরুত্ব দেয় না পুলিশ ও সেনাবাহিনী। দেখা গেল ট্রাক থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল—সব যানবাহন আটকানো হচ্ছে। অথচ পাশ দিয়ে ফুশ করে চলে যাচ্ছে সাইকেল। আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই সুনজর ছাড়াও সাইকেলে আছে আধ্যাত্মিকতাও—‘জীবন একটা দুই চাকার সাইকেল’। আর যেহেতু জীবনের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ হচ্ছে শহর, গ্রাম, করোনা, চেকপোস্ট ইত্যাদি, তাই সাইকেলে চড়ে নিঃসন্দেহে শহরের পথে দেওয়া যাবে সহজ পাড়ি। তবে এ ক্ষেত্রে নিজের নয়, বন্ধুর সাইকেল নিয়ে রওনা হোন। এতে করে পথের ক্লান্তি মেটাতে বন্ধুও যোগ দিতে পারে আপনার সঙ্গে। সঙ্গ পাবেন, সঙ্গে চালকও। আর নিতান্তই বন্ধুকে না পাওয়া গেলেও ক্ষতি নেই। সাইকেলটি তো পেলেন। পুরো পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে বন্ধুর কাছ থেকে এই সাইকেল হরণ আপনাকে বিশেষ উৎসাহ জোগাবে।
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে