সুপ্রিয় সিকদার
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দূরপাল্লা ও মহানগরীতে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। ভাড়া বেড়েছে ২৭ শতাংশ। এদিকে মহানগরীতে প্রতি কিলোমিটারে বাস ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ১৫ পয়সা, যা আগে ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। ভাড়া বেড়েছে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
রোববার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নতুন এই ভাড়া সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
অর্থাৎ, এই বর্ধিত ভাড়া সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাসে দিতে হবে না। সে ক্ষেত্রে আগের ভাড়াই প্রযোজ্য হবে। তবে আমজনতা পড়েছেন বিপদে। তাঁরা জানেন না কীভাবে সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাস চিনবেন।
আমজনতার সুবিধাতেই এই প্রতিবেদন, যেভাবে চিনবেন সিএনজি চালিত বাস—
বাসের নিচে উঁকি দিয়ে সিলিন্ডার দেখবেন
বাসে ওঠার আগেই বাসের পেছনে চলে যান। নিচু হয়ে তাকিয়ে দেখুন সিএনজির সিলিন্ডার দেখা যায় কি-না। সে সিলিন্ডার হতে পারে, সাদা, কালো বা হলুদ রঙের।
গ্যাসের মিটার খোঁজার চেষ্টা করুন
চালকের ঘাড়ের ওপর দিয়ে উঁকি দিয়ে সিএনজি মিটার খুজার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস করুন গাড়ি যদি সিএনজিতে চলে, তবে সিলিন্ডারে থাকা গ্যাসের পরিমাণ জানার জন্য, তাতে একটি মিটার থাকবেই। এটি থাকে চালকের আসনের ঠিক সামনের দিকে। হতে পারে সেটা অ্যানালগ বা ডিজিটাল, তাত কিছু যায় আসে না। মন খারাপের কিছু নেই। আপনার দরকার কম ভাড়ায় গন্তব্যে যাওয়া।
সঙ্গে মই রাখুন, চেনাজানায় সুবিধা হবে
অনেক চতুর বাস চালক, হেলপার পরিস্থিত মোকাবিলায় বাসের ছাদেও সিলিন্ডার স্থাপন করতে পারেন। সে জন্য সচেতন নাগরিক এবং একজন মিতব্যায়ী মানুষ হিসেবে আপনার উচিত বাসা থেকে মই নিয়ে বের হওয়া। মই থাকলে সহজেই আপনি বাসের ছাদে গ্যাস সিলিন্ডার আছে কি, নেই তা জানতে পারবেন।
পছন্দের বাহনকে ফলো করুন
শুধু ফেসবুক, আর টুইটারে ফলো করেই কি দিন গুজরান করবেন? একবার পকেটের কথা ভাবুন। মোবাইল কোম্পানির ডেটা প্যাকেজ কেনাতেই যেখানে টান পড়ছে, তাতে যদি আবার বাসের বাড়তি ভাড়া ভাগ বসায়, তবে মধুর সব ফলোয়িং তো গোল্লায় যাবে। তাই সময় থাকতে কিছু অর্থকরী ফলো করুন। যেহেতু সিএনজিচালিত যানবাহন এই বাড়তি ভাড়ার আওতার বাইরে, সেহেতু সেগুলো খুঁজে বের করার পদক্ষেপ হিসেবে নিত্য চড়তে হয় এমন বাস বা বাহনের জ্বালানির উৎসটি চিনে নিন। টানা কয়েক দিন ফলো করুন। সিএনজিচালিত গাড়ি কোথাও না কোথাও থেকে গ্যাস নেবেই। আর সিএনজি স্টেশনগুলোতে সাধারণত বড় করে লেখা থাকে ‘সিএনজি ফিলিং স্টেশন’।
ঘাপটি মারা পদ্ধতি
ধারে-কাছে যে ‘সিএনজি ফিলিং স্টেশন’ আছে, সেখানে ঘাপটি মেরে থাকুন। এ জন্য প্রয়োজন হবে ধৈর্যের। পরীক্ষার খাতায় ‘ধৈর্য মহৎ গুণ’ বাক্যটি হাজারবার লিখেও যদি আস্থায় নিতে নাও পারেন, তবুও ধৈর্য ধরুন। এ জন্য কিছুটা সোডুকু খেলতে পারেন, খেলতে পারেন শব্দজট কিংবা ৫২ তাস নিয়ে ‘প্যাশেন্স’। এত কিছু না পারলে নিদেনপক্ষে দাবা খেলুন। যদি এসব খেলতে খেলতে কোনো কিছু আপনার হাতে না ভাঙে, তবেই বুঝবেন, আপনি যথেষ্ট ধৈর্যশীল হয়ে উঠেছেন। এবার সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আপনার ঘাপটি মারার পালা। কোনো গাড়িকে গ্যাস নিতে দেখলেই...
বাসের পেছনে সাইলেন্সারও চেক করতে পারেন
সাধারণত তেলে চলা বাসগুলোর পেছনে কালো ধোঁয়ার দাগ থাকে। ঠিকমতো ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন বা সার্ভিসিং না করার দরুন এমন হয়। তবে সিএনজিচালিত বাসগুলোর পেছন অংশে কোনো কালো দাগ থাকে না। শীতকাল চলে এসেছে। এ সময়ে কোনো সিএনজিচালিত হলে সাদা ধোঁয়াও বের হওয়ার সম্ভাবনা আছে। চোখ রাখুন।
স্টিকার আছে কি-না
সিএনজিচালিত গাড়িগুলো সিলিন্ডার বহন করে, যা অনেকটা বিপজ্জনক। যেকোনো দুর্ঘটনায় সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে। সতর্কতার জন্য গাড়ির সামনে-পেছনে ‘সিএনজিচালিত’ স্টিকার লাগানো হয়।
বাসে উঠে সিটের নিচে উঁকি দিন এক পলকে
শেষ, তবুও গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন কোথাও প্রমাণ পেলেন না যে, এটা সিএনজিচালিত বাস। হাল ছাড়বেন না; মানসিক শক্তি নিয়ে উঠে পড়ুন বাসে। সিটে বসার আগেই নিচু হয়ে সিটের নিচটা পরখ করে নিন। পাইলেও পাইতে পারেন অমূল্য রতন...
এগুলোর কোনোটিতেও যদি পজিটিভ ফলাফল পান, তাহলে বুঝে নেবেন আপনিই সেই ভাগ্যবান বিজয়ী, যে সিএনজিচালিত বাসে উঠেছেন। এবার চটপট বাসের হেল্পারকে ডাকুন আর দিয়ে দিন আগের (সঠিক) ভাড়া!
ভুলেও যদি হেলপার বাড়তি (নতুন) ভাড়া চায়, তাহলে...!
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দূরপাল্লা ও মহানগরীতে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। ভাড়া বেড়েছে ২৭ শতাংশ। এদিকে মহানগরীতে প্রতি কিলোমিটারে বাস ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ১৫ পয়সা, যা আগে ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। ভাড়া বেড়েছে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
রোববার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নতুন এই ভাড়া সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
অর্থাৎ, এই বর্ধিত ভাড়া সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাসে দিতে হবে না। সে ক্ষেত্রে আগের ভাড়াই প্রযোজ্য হবে। তবে আমজনতা পড়েছেন বিপদে। তাঁরা জানেন না কীভাবে সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাস চিনবেন।
আমজনতার সুবিধাতেই এই প্রতিবেদন, যেভাবে চিনবেন সিএনজি চালিত বাস—
বাসের নিচে উঁকি দিয়ে সিলিন্ডার দেখবেন
বাসে ওঠার আগেই বাসের পেছনে চলে যান। নিচু হয়ে তাকিয়ে দেখুন সিএনজির সিলিন্ডার দেখা যায় কি-না। সে সিলিন্ডার হতে পারে, সাদা, কালো বা হলুদ রঙের।
গ্যাসের মিটার খোঁজার চেষ্টা করুন
চালকের ঘাড়ের ওপর দিয়ে উঁকি দিয়ে সিএনজি মিটার খুজার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস করুন গাড়ি যদি সিএনজিতে চলে, তবে সিলিন্ডারে থাকা গ্যাসের পরিমাণ জানার জন্য, তাতে একটি মিটার থাকবেই। এটি থাকে চালকের আসনের ঠিক সামনের দিকে। হতে পারে সেটা অ্যানালগ বা ডিজিটাল, তাত কিছু যায় আসে না। মন খারাপের কিছু নেই। আপনার দরকার কম ভাড়ায় গন্তব্যে যাওয়া।
সঙ্গে মই রাখুন, চেনাজানায় সুবিধা হবে
অনেক চতুর বাস চালক, হেলপার পরিস্থিত মোকাবিলায় বাসের ছাদেও সিলিন্ডার স্থাপন করতে পারেন। সে জন্য সচেতন নাগরিক এবং একজন মিতব্যায়ী মানুষ হিসেবে আপনার উচিত বাসা থেকে মই নিয়ে বের হওয়া। মই থাকলে সহজেই আপনি বাসের ছাদে গ্যাস সিলিন্ডার আছে কি, নেই তা জানতে পারবেন।
পছন্দের বাহনকে ফলো করুন
শুধু ফেসবুক, আর টুইটারে ফলো করেই কি দিন গুজরান করবেন? একবার পকেটের কথা ভাবুন। মোবাইল কোম্পানির ডেটা প্যাকেজ কেনাতেই যেখানে টান পড়ছে, তাতে যদি আবার বাসের বাড়তি ভাড়া ভাগ বসায়, তবে মধুর সব ফলোয়িং তো গোল্লায় যাবে। তাই সময় থাকতে কিছু অর্থকরী ফলো করুন। যেহেতু সিএনজিচালিত যানবাহন এই বাড়তি ভাড়ার আওতার বাইরে, সেহেতু সেগুলো খুঁজে বের করার পদক্ষেপ হিসেবে নিত্য চড়তে হয় এমন বাস বা বাহনের জ্বালানির উৎসটি চিনে নিন। টানা কয়েক দিন ফলো করুন। সিএনজিচালিত গাড়ি কোথাও না কোথাও থেকে গ্যাস নেবেই। আর সিএনজি স্টেশনগুলোতে সাধারণত বড় করে লেখা থাকে ‘সিএনজি ফিলিং স্টেশন’।
ঘাপটি মারা পদ্ধতি
ধারে-কাছে যে ‘সিএনজি ফিলিং স্টেশন’ আছে, সেখানে ঘাপটি মেরে থাকুন। এ জন্য প্রয়োজন হবে ধৈর্যের। পরীক্ষার খাতায় ‘ধৈর্য মহৎ গুণ’ বাক্যটি হাজারবার লিখেও যদি আস্থায় নিতে নাও পারেন, তবুও ধৈর্য ধরুন। এ জন্য কিছুটা সোডুকু খেলতে পারেন, খেলতে পারেন শব্দজট কিংবা ৫২ তাস নিয়ে ‘প্যাশেন্স’। এত কিছু না পারলে নিদেনপক্ষে দাবা খেলুন। যদি এসব খেলতে খেলতে কোনো কিছু আপনার হাতে না ভাঙে, তবেই বুঝবেন, আপনি যথেষ্ট ধৈর্যশীল হয়ে উঠেছেন। এবার সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আপনার ঘাপটি মারার পালা। কোনো গাড়িকে গ্যাস নিতে দেখলেই...
বাসের পেছনে সাইলেন্সারও চেক করতে পারেন
সাধারণত তেলে চলা বাসগুলোর পেছনে কালো ধোঁয়ার দাগ থাকে। ঠিকমতো ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন বা সার্ভিসিং না করার দরুন এমন হয়। তবে সিএনজিচালিত বাসগুলোর পেছন অংশে কোনো কালো দাগ থাকে না। শীতকাল চলে এসেছে। এ সময়ে কোনো সিএনজিচালিত হলে সাদা ধোঁয়াও বের হওয়ার সম্ভাবনা আছে। চোখ রাখুন।
স্টিকার আছে কি-না
সিএনজিচালিত গাড়িগুলো সিলিন্ডার বহন করে, যা অনেকটা বিপজ্জনক। যেকোনো দুর্ঘটনায় সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে। সতর্কতার জন্য গাড়ির সামনে-পেছনে ‘সিএনজিচালিত’ স্টিকার লাগানো হয়।
বাসে উঠে সিটের নিচে উঁকি দিন এক পলকে
শেষ, তবুও গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন কোথাও প্রমাণ পেলেন না যে, এটা সিএনজিচালিত বাস। হাল ছাড়বেন না; মানসিক শক্তি নিয়ে উঠে পড়ুন বাসে। সিটে বসার আগেই নিচু হয়ে সিটের নিচটা পরখ করে নিন। পাইলেও পাইতে পারেন অমূল্য রতন...
এগুলোর কোনোটিতেও যদি পজিটিভ ফলাফল পান, তাহলে বুঝে নেবেন আপনিই সেই ভাগ্যবান বিজয়ী, যে সিএনজিচালিত বাসে উঠেছেন। এবার চটপট বাসের হেল্পারকে ডাকুন আর দিয়ে দিন আগের (সঠিক) ভাড়া!
ভুলেও যদি হেলপার বাড়তি (নতুন) ভাড়া চায়, তাহলে...!
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে