অনলাইন ডেস্ক
আমাদের এই বিশ্বে প্রতি বছর ৭০ লাখ মেট্রিক টন চকলেট খাওয়া হয়। চকলেট ভালোবাসেন এমন অনেকেরও হয়তো বিষয়টি জানা ছিল না! আজ ৭ জুলাই বিশ্ব চকলেট দিবসে থাকছে চকলেট নিয়ে মজার সব তথ্য।
চকলেট প্রথম আবিষ্কৃত হয় কখন
লাতিন আমেরিকায় বুনো কোকো গাছ জন্মাত বহু আগে থেকেই। খ্রিষ্টপূর্ব ১৯০০ সালের দিকেও মেক্সিকোতে চকলেট ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটি পরিচিত ছিল কাকাওয়া নামে।
এক সময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার হতো ‘চকলেট’
চকলেট তৈরি হয় কোকো বীজ থেকে। মায়ানদের সময় কোকো বীজ ব্যবহার করা হতো মুদ্রা হিসেবে। সোনার গুঁড়ার চেয়েও বেশি মূল্যবান বলে মনে করা হতো তখন একে। কোকো বা কোকোয়া বীজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে, কোকো গাছের চাষ সীমাবদ্ধ ছিল।
চকলেট সব সময় শক্ত ও মিষ্টি ছিল না
১৮৪৭ সাল পর্যন্ত চকলেট একটু তিতকুটে স্বাদের তরল হিসেবে পান করা হতো। ব্রিটিশ চকলেট কোম্পানি ফ্রাই অ্যান্ড সন্স কোকো মাখন, চিনি এবং তরল চকলেট একত্রিত করার পরে একটু শক্ত ধরনের ‘চকলেট খাওয়ার’ ধারণাটার চল শুরু করে। এটি মসৃণ নয়, বরং একটু দানাদার ছিল। তবে এ ধরনের চকলেট এখনো অনেকের পছন্দ।
মিল্ক চকলেট যেভাবে এল
মিল্ক চকলেট তৈরির একটি আদর্শ রেসিপি দাঁড় করাতে সময় লাগে আট বছর। ড্যানিয়েল পিটার নামের এক সুইস চকলেট প্রস্তুতকারক এবং উদ্যোক্তা মিল্ক চকলেটের জন্য একটি কার্যকর রেসিপি তৈরি করতে দীর্ঘ আট বছর ব্যয় করেন। ১৮৭৫ সালের আগে পর্যন্ত তিনি বুঝতে পারেননি কনডেন্সড মিল্ক অর্থাৎ ঘন দুধই তাঁর সমস্যার সমাধান । আমাদের ভাগ্য ভালো ড্যানিয়েল হাল ছেড়ে দেননি।
কোকো আসে যেখান থেকে
পৃথিবীর মোট কোকো বীজের ৭০ শতাংশ আসে আফ্রিকার চারটি দেশ থেকে। সবচেয়ে বেশি কোকো বীজ উৎপাদিত হয় আইভরি কোস্ট এবং ঘানায়। তারপর নাইজেরিয়া এবং ক্যামেরুনে।
কোকো বীজ থেকে চকলেট
কেবল এক পাউন্ড চকলেট তৈরি করতে লাগে ৪০০টি কোকো বীজ। একটি কোকো গাছ থেকে বছরে দুই থেকে তিন পাউন্ড চকলেট তৈরি করা সম্ভব হয়। আর কোকো বীজ খোসা থেকে বের করতে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না। অর্থাৎ খোসা ছাড়ায় মানুষই। আশা করি বুঝতে পারছেন ভালো মানের চকলেটের দাম কেন এত চড়া!
সাদা চকলেট প্রকৃতপক্ষে চকলেটই না
সাদা চকলেটকে প্রকৃতপক্ষে চকলেট হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। কারণ এতে কঠিন বা তরল কোনো কোকো থাকে না। এই মজাদার জিনিসটি তৈরি করা হয় কোকো বাটার, ভ্যানিলা এবং চিনি মিশিয়ে।
ভুল থেকে সৃষ্টি জনপ্রিয় এক চকলেটের
চকলেট চিপ কুকিজের সৃষ্টি এক দুর্ঘটনায়। ১৯৩৮ সালে রুথ ওয়েকফিল্ড নামের এক নারী ভেবেছিলেন যে তার কুকি বাটার চকলেটের খণ্ডগুলি যোগ করলে চকলেট কুকিজ হবে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। আর এতেই তৈরি হয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কুকি। এটি তৈরির প্রণালি তিনি বিক্রি করেন নেসলে টোল হাউসের কাছে, আমৃত্যু বিনা পয়সায় চকলেট পাওয়ার চুক্তিতে।
সূত্র: সিম্পলি চকলেট ডট কম, গ্যাস্ট্রো ট্রাভেলগ
আমাদের এই বিশ্বে প্রতি বছর ৭০ লাখ মেট্রিক টন চকলেট খাওয়া হয়। চকলেট ভালোবাসেন এমন অনেকেরও হয়তো বিষয়টি জানা ছিল না! আজ ৭ জুলাই বিশ্ব চকলেট দিবসে থাকছে চকলেট নিয়ে মজার সব তথ্য।
চকলেট প্রথম আবিষ্কৃত হয় কখন
লাতিন আমেরিকায় বুনো কোকো গাছ জন্মাত বহু আগে থেকেই। খ্রিষ্টপূর্ব ১৯০০ সালের দিকেও মেক্সিকোতে চকলেট ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটি পরিচিত ছিল কাকাওয়া নামে।
এক সময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার হতো ‘চকলেট’
চকলেট তৈরি হয় কোকো বীজ থেকে। মায়ানদের সময় কোকো বীজ ব্যবহার করা হতো মুদ্রা হিসেবে। সোনার গুঁড়ার চেয়েও বেশি মূল্যবান বলে মনে করা হতো তখন একে। কোকো বা কোকোয়া বীজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে, কোকো গাছের চাষ সীমাবদ্ধ ছিল।
চকলেট সব সময় শক্ত ও মিষ্টি ছিল না
১৮৪৭ সাল পর্যন্ত চকলেট একটু তিতকুটে স্বাদের তরল হিসেবে পান করা হতো। ব্রিটিশ চকলেট কোম্পানি ফ্রাই অ্যান্ড সন্স কোকো মাখন, চিনি এবং তরল চকলেট একত্রিত করার পরে একটু শক্ত ধরনের ‘চকলেট খাওয়ার’ ধারণাটার চল শুরু করে। এটি মসৃণ নয়, বরং একটু দানাদার ছিল। তবে এ ধরনের চকলেট এখনো অনেকের পছন্দ।
মিল্ক চকলেট যেভাবে এল
মিল্ক চকলেট তৈরির একটি আদর্শ রেসিপি দাঁড় করাতে সময় লাগে আট বছর। ড্যানিয়েল পিটার নামের এক সুইস চকলেট প্রস্তুতকারক এবং উদ্যোক্তা মিল্ক চকলেটের জন্য একটি কার্যকর রেসিপি তৈরি করতে দীর্ঘ আট বছর ব্যয় করেন। ১৮৭৫ সালের আগে পর্যন্ত তিনি বুঝতে পারেননি কনডেন্সড মিল্ক অর্থাৎ ঘন দুধই তাঁর সমস্যার সমাধান । আমাদের ভাগ্য ভালো ড্যানিয়েল হাল ছেড়ে দেননি।
কোকো আসে যেখান থেকে
পৃথিবীর মোট কোকো বীজের ৭০ শতাংশ আসে আফ্রিকার চারটি দেশ থেকে। সবচেয়ে বেশি কোকো বীজ উৎপাদিত হয় আইভরি কোস্ট এবং ঘানায়। তারপর নাইজেরিয়া এবং ক্যামেরুনে।
কোকো বীজ থেকে চকলেট
কেবল এক পাউন্ড চকলেট তৈরি করতে লাগে ৪০০টি কোকো বীজ। একটি কোকো গাছ থেকে বছরে দুই থেকে তিন পাউন্ড চকলেট তৈরি করা সম্ভব হয়। আর কোকো বীজ খোসা থেকে বের করতে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না। অর্থাৎ খোসা ছাড়ায় মানুষই। আশা করি বুঝতে পারছেন ভালো মানের চকলেটের দাম কেন এত চড়া!
সাদা চকলেট প্রকৃতপক্ষে চকলেটই না
সাদা চকলেটকে প্রকৃতপক্ষে চকলেট হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। কারণ এতে কঠিন বা তরল কোনো কোকো থাকে না। এই মজাদার জিনিসটি তৈরি করা হয় কোকো বাটার, ভ্যানিলা এবং চিনি মিশিয়ে।
ভুল থেকে সৃষ্টি জনপ্রিয় এক চকলেটের
চকলেট চিপ কুকিজের সৃষ্টি এক দুর্ঘটনায়। ১৯৩৮ সালে রুথ ওয়েকফিল্ড নামের এক নারী ভেবেছিলেন যে তার কুকি বাটার চকলেটের খণ্ডগুলি যোগ করলে চকলেট কুকিজ হবে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। আর এতেই তৈরি হয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কুকি। এটি তৈরির প্রণালি তিনি বিক্রি করেন নেসলে টোল হাউসের কাছে, আমৃত্যু বিনা পয়সায় চকলেট পাওয়ার চুক্তিতে।
সূত্র: সিম্পলি চকলেট ডট কম, গ্যাস্ট্রো ট্রাভেলগ
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে