জাহাঙ্গীর আলম
এলাকায় আমাদের মফস্বলের হাইস্কুলটির বেশ নামডাক ছিল। মাঝেমধ্যেই আসতেন হোমরা–চোমরা অতিথি। মহাসমারোহে অতিথিকে বরণের আয়োজন করতেন হেড স্যার। তাতে কালেভদ্রে কিছু বরাদ্দ মিলত।
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সেই অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজটির গুরুদায়িত্ব গিয়ে পড়ত স্কুলের জ্যেষ্ঠতম আপু ও বড়ভাইদের ওপর। রাত–দিন খেটে আয়োজন করতেন তাঁরা। সাত দিন আগে থেকে ক্লাস কামাই দিয়ে চলত রিহার্সেল।
সেই দিনটিতে আমরা বিস্ময় ও কিঞ্চিৎ কৌতুকের দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখতাম—পড়া করতে না পারার কারণে নিত্যি মার খাওয়া আপুটি কী সপ্রতিভভাবে গলগল করে কঠিন কঠিন বিশেষণযুক্ত জটিল সব বাক্য উদ্গীরণ করছেন! আর মঞ্চের এক কোনায় হেড স্যার কী উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে তাঁর উচ্ছন্নে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের মুখের দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছেন। ডিসেম্বরের শীতেও তিনি দরদর করে ঘামছেন। আর উপবিষ্ট নবনির্বাচিত স্কুল কমিটির হর্তাকর্তারা মাথা ঝুঁকে, নতুন কালি করা বাটা স্যান্ডেল ঠুকে তাঁদের দিকে ছুড়ে দেওয়া প্রশংসাবাক্য মুচকি হেসে গিলছেন। সে দৃশ্য দেখে অবশ্য হেড স্যারের ঘামে ভেজা সদ্য পাটভাঙা ফিনফিনে সফেদ পাঞ্জাবি নিমেষে যেন কড়কড়ে রোদে শুকানো মাড় দেওয়া ধুতির মতো জ্বলজ্বল করতে শুরু করত।
হঠাৎ একদিন আমরাও বড় ভাই, বড় বোন হয়ে গেলাম। নতুন কমিটির জন্য মানপত্র পড়ার দায়িত্ব এসে পড়ল ঘাড়ে। যথারীতি জ্যেষ্ঠদের দেখানো পথেই এগোলাম। একবারও না আটকে বাংলা রিডিং পড়তে পারা আমরা কজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের পিছে পিছে দল বেঁধে ছুটলাম কেরানি স্যারের রুমে। আমরা জানতাম না তাঁর কাজ শুধু সাচিবিক। কারণ তিনি মাঝেমধ্যেই আমাদের বাংলা ব্যাকরণের ক্লাস নিতেন। চমৎকার পড়াতেন।
আমাদের ক্যাপ্টেন মানপত্রের কথা বলতেই কেরানি স্যার জংধরা লোহার আলমারির ডালা খুলে ছাল–চামড়া উঠে যাওয়া একটা ফাইল টেনে বের করে রাখলেন তাঁর শতবর্ষী শাল কাঠের টেবিলে। এরপর সেটি খুলে আমাদের হাতে ধরিয়ে দিলেন ত্যানা–ত্যানা হয়ে যাওয়া জীর্ণ একটা কাগজ। বুঝলাম, এটাই যে অরিজিনাল কপি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তখনো আমাদের গ্রামের বাজার তো দূরের কথা, উপজেলা সদরেও সাইবার ক্যাফে আসেনি। ঝাড়া দিলে খসে পড়ার অবস্থায় থাকা মানপত্রের সেই অরিজিনাল কপিটি নিয়ে আমরা ছুটলাম উপজেলা সদরে। সেখানে নতুন বসেছে একটি ‘কম্পিউটারের দোকান’। আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর এল আমাদের পালা। হাফ হাতা শার্ট আর ঢোলা একখানা প্যান্ট ইন করে পরা, কোমরে ছাল ওঠা বেল্ট আর পায়ে বাটা স্যান্ডেল পরা এক তরুণ ছোঁ মেরে নিলেন আমাদের কাগজটি। আর একটু হলে ছিঁড়েই যেত। কি-বোর্ডের দিকে না তাকিয়েই তিনি হুবহু মানপত্রটি লিখতে শুরু করলেন। আমরা বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলাম শেষ অবধি। পনেরো মিনিটে তিনি দুই পৃষ্ঠার মানপত্রটি লিখে আমাদের হাতে অরিজিনাল কপিটি ফেরত দিলেন। একটু পরেই দেখলাম একটি সাদা বাক্স থেকে বেরিয়ে এল একটি রঙিন কাগজ। উনি নিজে উঠে গিয়ে সেটি এনে উল্টে রেখে দিলেন তাঁর টেবিলের ওপর। ধমকের স্বরে বললেন, ৫০ টাকা। আমাদের ক্যাপ্টেন ঘাবড়ে গিয়ে শশব্যস্ত হয়ে পকেটে হাত ঢুকিয়ে বের করে আনল ১০০ টাকার একটি নোট। ওটি আমাদের জন্য মানপত্র প্রিন্ট বাবদ বরাদ্দ ছিল। টাকাটা হাতে দিতেই ভদ্রলোক পেছনের পকেট থেকে রেক্সিনের আধছেঁড়া মানিব্যাগ বের করলেন। টাকাটা যত্ন করে একপাশে রেখে অন্য পাশ থেকে খুচরা পাঁচটি ১০ টাকার নোট ফেরত দিলেন।
এসব পরিপাটি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সেই রঙিন কাগজটি তুলে দিলেন ক্যাপ্টেনের হাতে। আমরা দ্রুত বেরিয়ে এলাম। বাইরে এসে আর তর সইল না। কাড়াকাড়ি পড়ে গেল কাগজটি দেখতে। ক্যাপ্টেন একে একে দেখাল। দেখলাম কাগজটা এখনো গরম। চারদিকে ফুল–লতাপাতার নকশা আঁকা মাঝখানে তিন রঙে বইয়ের মতো অক্ষরে লেখা মানপত্র।
এরপর টানা তিন দিন আমরা রিহার্সেল দিলাম। কারণ, সেসব শব্দ আমরা জীবনে ওই দুই বছর পরপর এক দিন ছাড়া আর কখনো শুনি না। তাই সহজে মুখে আসে না। জিহ্বা জড়িয়ে যায়। তবে সেটি যে অত্যন্ত সম্মানিত এবং ক্ষমতাবান মানুষের প্রশস্তিমূলক স্তূতিবাক্য, তা ভালোমতোই বুঝতাম।
এরপর এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ছেলেরা যেনতেন, মেয়েরা যারপরনাই সেজেগুজে এল। অনেকে বাড়াবাড়িও করে ফেলল। তাতে বরং শ্যামল সরল মুখটা ভচকে গেল। এ নিয়ে আমাদের আর খোঁচাখুঁচি করার ফুরসত কই? ওদিকে মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন নতুন স্কুল কমিটির বিশাল বপু সভাপতি, চতুর সেক্রেটারি, কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এবং মহামান্য অতিথি।
দুই বছর অন্তর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেও এই বপুটি নিয়ে গত পাঁচ বছরে আমাদের স্মৃতিতে কোনো বৈচিত্র্য নেই। এ এক বিস্ময়! বপুর সঙ্গে এই পদের সম্পর্ক কী? দর্শক সারিতে পেছনে বসে থাকা বিজ্ঞানের বদ ছেলেটিকে বিড়বিড় করে এ–ও বলতে শুনেছি—অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকলে পেট পদমর্যাদার সমানুপাতিক। তখন এই কথার মানে বুঝিনি।
এই কর্মটি নিজেরা করতে গিয়ে বুঝলাম কীসে কী হয়। কীভাবে আলমারিতে ঘাপটি মেরে থাকে একটি জ্যালজ্যালে কাগজ। এরপর উপজেলার বাজারে ‘কম্পিউটারের দোকানে’ দক্ষ হাতে টাইপের পর একটি সাদা বাক্স থেকে ফুল–পাতা নকশা করা এক রঙিন কাগজে ছাপা হয়ে বেরিয়ে আসে এক তেলতেলে মানপত্র।
সেসব দুর্বোধ্য ভাষার মানপত্র হয়তো এখনো পড়া হয় আমাদের মফস্বলের সেই আধা সরকারি হাইস্কুলে। কিন্তু তেমন কর্মযজ্ঞ নিশ্চয় আর নেই। বড় হয়ে জানতে পারছি, মানপত্র সবখানেই পড়া হয়। কিন্তু আজকাল সেগুলো আর দুর্বোধ্য নয়, একেকটা রগরগে ছড়া!
এলাকায় আমাদের মফস্বলের হাইস্কুলটির বেশ নামডাক ছিল। মাঝেমধ্যেই আসতেন হোমরা–চোমরা অতিথি। মহাসমারোহে অতিথিকে বরণের আয়োজন করতেন হেড স্যার। তাতে কালেভদ্রে কিছু বরাদ্দ মিলত।
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সেই অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজটির গুরুদায়িত্ব গিয়ে পড়ত স্কুলের জ্যেষ্ঠতম আপু ও বড়ভাইদের ওপর। রাত–দিন খেটে আয়োজন করতেন তাঁরা। সাত দিন আগে থেকে ক্লাস কামাই দিয়ে চলত রিহার্সেল।
সেই দিনটিতে আমরা বিস্ময় ও কিঞ্চিৎ কৌতুকের দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখতাম—পড়া করতে না পারার কারণে নিত্যি মার খাওয়া আপুটি কী সপ্রতিভভাবে গলগল করে কঠিন কঠিন বিশেষণযুক্ত জটিল সব বাক্য উদ্গীরণ করছেন! আর মঞ্চের এক কোনায় হেড স্যার কী উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে তাঁর উচ্ছন্নে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের মুখের দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছেন। ডিসেম্বরের শীতেও তিনি দরদর করে ঘামছেন। আর উপবিষ্ট নবনির্বাচিত স্কুল কমিটির হর্তাকর্তারা মাথা ঝুঁকে, নতুন কালি করা বাটা স্যান্ডেল ঠুকে তাঁদের দিকে ছুড়ে দেওয়া প্রশংসাবাক্য মুচকি হেসে গিলছেন। সে দৃশ্য দেখে অবশ্য হেড স্যারের ঘামে ভেজা সদ্য পাটভাঙা ফিনফিনে সফেদ পাঞ্জাবি নিমেষে যেন কড়কড়ে রোদে শুকানো মাড় দেওয়া ধুতির মতো জ্বলজ্বল করতে শুরু করত।
হঠাৎ একদিন আমরাও বড় ভাই, বড় বোন হয়ে গেলাম। নতুন কমিটির জন্য মানপত্র পড়ার দায়িত্ব এসে পড়ল ঘাড়ে। যথারীতি জ্যেষ্ঠদের দেখানো পথেই এগোলাম। একবারও না আটকে বাংলা রিডিং পড়তে পারা আমরা কজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের পিছে পিছে দল বেঁধে ছুটলাম কেরানি স্যারের রুমে। আমরা জানতাম না তাঁর কাজ শুধু সাচিবিক। কারণ তিনি মাঝেমধ্যেই আমাদের বাংলা ব্যাকরণের ক্লাস নিতেন। চমৎকার পড়াতেন।
আমাদের ক্যাপ্টেন মানপত্রের কথা বলতেই কেরানি স্যার জংধরা লোহার আলমারির ডালা খুলে ছাল–চামড়া উঠে যাওয়া একটা ফাইল টেনে বের করে রাখলেন তাঁর শতবর্ষী শাল কাঠের টেবিলে। এরপর সেটি খুলে আমাদের হাতে ধরিয়ে দিলেন ত্যানা–ত্যানা হয়ে যাওয়া জীর্ণ একটা কাগজ। বুঝলাম, এটাই যে অরিজিনাল কপি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তখনো আমাদের গ্রামের বাজার তো দূরের কথা, উপজেলা সদরেও সাইবার ক্যাফে আসেনি। ঝাড়া দিলে খসে পড়ার অবস্থায় থাকা মানপত্রের সেই অরিজিনাল কপিটি নিয়ে আমরা ছুটলাম উপজেলা সদরে। সেখানে নতুন বসেছে একটি ‘কম্পিউটারের দোকান’। আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর এল আমাদের পালা। হাফ হাতা শার্ট আর ঢোলা একখানা প্যান্ট ইন করে পরা, কোমরে ছাল ওঠা বেল্ট আর পায়ে বাটা স্যান্ডেল পরা এক তরুণ ছোঁ মেরে নিলেন আমাদের কাগজটি। আর একটু হলে ছিঁড়েই যেত। কি-বোর্ডের দিকে না তাকিয়েই তিনি হুবহু মানপত্রটি লিখতে শুরু করলেন। আমরা বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলাম শেষ অবধি। পনেরো মিনিটে তিনি দুই পৃষ্ঠার মানপত্রটি লিখে আমাদের হাতে অরিজিনাল কপিটি ফেরত দিলেন। একটু পরেই দেখলাম একটি সাদা বাক্স থেকে বেরিয়ে এল একটি রঙিন কাগজ। উনি নিজে উঠে গিয়ে সেটি এনে উল্টে রেখে দিলেন তাঁর টেবিলের ওপর। ধমকের স্বরে বললেন, ৫০ টাকা। আমাদের ক্যাপ্টেন ঘাবড়ে গিয়ে শশব্যস্ত হয়ে পকেটে হাত ঢুকিয়ে বের করে আনল ১০০ টাকার একটি নোট। ওটি আমাদের জন্য মানপত্র প্রিন্ট বাবদ বরাদ্দ ছিল। টাকাটা হাতে দিতেই ভদ্রলোক পেছনের পকেট থেকে রেক্সিনের আধছেঁড়া মানিব্যাগ বের করলেন। টাকাটা যত্ন করে একপাশে রেখে অন্য পাশ থেকে খুচরা পাঁচটি ১০ টাকার নোট ফেরত দিলেন।
এসব পরিপাটি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সেই রঙিন কাগজটি তুলে দিলেন ক্যাপ্টেনের হাতে। আমরা দ্রুত বেরিয়ে এলাম। বাইরে এসে আর তর সইল না। কাড়াকাড়ি পড়ে গেল কাগজটি দেখতে। ক্যাপ্টেন একে একে দেখাল। দেখলাম কাগজটা এখনো গরম। চারদিকে ফুল–লতাপাতার নকশা আঁকা মাঝখানে তিন রঙে বইয়ের মতো অক্ষরে লেখা মানপত্র।
এরপর টানা তিন দিন আমরা রিহার্সেল দিলাম। কারণ, সেসব শব্দ আমরা জীবনে ওই দুই বছর পরপর এক দিন ছাড়া আর কখনো শুনি না। তাই সহজে মুখে আসে না। জিহ্বা জড়িয়ে যায়। তবে সেটি যে অত্যন্ত সম্মানিত এবং ক্ষমতাবান মানুষের প্রশস্তিমূলক স্তূতিবাক্য, তা ভালোমতোই বুঝতাম।
এরপর এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ছেলেরা যেনতেন, মেয়েরা যারপরনাই সেজেগুজে এল। অনেকে বাড়াবাড়িও করে ফেলল। তাতে বরং শ্যামল সরল মুখটা ভচকে গেল। এ নিয়ে আমাদের আর খোঁচাখুঁচি করার ফুরসত কই? ওদিকে মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন নতুন স্কুল কমিটির বিশাল বপু সভাপতি, চতুর সেক্রেটারি, কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এবং মহামান্য অতিথি।
দুই বছর অন্তর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেও এই বপুটি নিয়ে গত পাঁচ বছরে আমাদের স্মৃতিতে কোনো বৈচিত্র্য নেই। এ এক বিস্ময়! বপুর সঙ্গে এই পদের সম্পর্ক কী? দর্শক সারিতে পেছনে বসে থাকা বিজ্ঞানের বদ ছেলেটিকে বিড়বিড় করে এ–ও বলতে শুনেছি—অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকলে পেট পদমর্যাদার সমানুপাতিক। তখন এই কথার মানে বুঝিনি।
এই কর্মটি নিজেরা করতে গিয়ে বুঝলাম কীসে কী হয়। কীভাবে আলমারিতে ঘাপটি মেরে থাকে একটি জ্যালজ্যালে কাগজ। এরপর উপজেলার বাজারে ‘কম্পিউটারের দোকানে’ দক্ষ হাতে টাইপের পর একটি সাদা বাক্স থেকে ফুল–পাতা নকশা করা এক রঙিন কাগজে ছাপা হয়ে বেরিয়ে আসে এক তেলতেলে মানপত্র।
সেসব দুর্বোধ্য ভাষার মানপত্র হয়তো এখনো পড়া হয় আমাদের মফস্বলের সেই আধা সরকারি হাইস্কুলে। কিন্তু তেমন কর্মযজ্ঞ নিশ্চয় আর নেই। বড় হয়ে জানতে পারছি, মানপত্র সবখানেই পড়া হয়। কিন্তু আজকাল সেগুলো আর দুর্বোধ্য নয়, একেকটা রগরগে ছড়া!
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে