ইশতিয়াক হাসান
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের রাজধানী মেলবোর্নের এক সড়কের পাশে হোটেল ইস্টলিংকের অবস্থান। এ হোটেলে কখনোই থাকার জন্য একটি কামরা পাওয়া সম্ভব হবে না আপনার পক্ষে। কারণ দেখে একটি হোটেলের মতো মনে হলেও এটি আসলে কোনো হোটেলই নয়।
হোটেল ইস্টলিংক আদপে একটি ভাস্কর্য। স্থানীয় শিল্পী কলাম মর্টনের নকশা করা হোটেল ইস্টলিংকের উদ্বোধন হয় ২০০৭ সালে। কিন্তু ১৬ বছর পরও এটি এই পথে যাতায়াত করা গাড়ির আরোহীদের বিভ্রান্ত করে।
হোটেল ইস্টলিংক অবশ্য খুব বড় কোনো কাঠামো নয়। উচ্চতা ২০ মিটার বা ৬৫ ফুটের মতো, চওড়ায় ১২ মিটার বা ৩৯ ফুট। তবে এর পাশ দিয়ে যখন দ্রুতগতিতে কোনো গাড়ি বা মোটরসাইকেল যায় এর চালক বা যাত্রীদের বোঝার সাধ্য নেই এটি সত্যিকারের কোনো হোটেল নয়। আরও বেশি বিভ্রান্তি ছড়ায় রাতে। কারণ তখন হোটেলের কামরা বলে যে জিনিসগুলোকে মনে হয় সেখানকার কোনো কোনোটিতে বাতিও জ্বলতে দেখা যায়। এটা দেখে যে কারও মনে হবে ভেতরে মানুষ আছেন। চলতি পথে এক নজর দেখা এই হোটেলে মুগ্ধ কেউ কেউ পরে ইন্টারনেটে এখানকার একটি কামরার বুকিং দিতে গিয়েই বোকা বনে গেছেন।
কারণ হোটেলটি ইস্টলিংকে কোনো রুমই নেই। এমনকি এতে প্রবেশেরও সুযোগ নেই। এটি শোভাবর্ধনকারী একটি ভাস্কর্য ছাড়া আর কিছু নয়।
‘গাড়ির আরোহীদের কাছে একে একটি হোটেল বলেই মনে হবে। তবে সময়ের সঙ্গে থিম পার্ক কিংবা ফিল্মের সেট থেকে চলে আসা একটা কিছু বলে একে বিবেচনা করবেন মানুষ।’ নির্মাণ শেষে বলেছিলেন শিল্পী কলাম মর্টন। কিন্তু মজার ঘটনা দেড় যুগেরও বেশি পেরিয়ে গেলেও রাস্তাটা পেরোনো গাড়ির আরোহীদের বিভ্রান্ত করে মর্টনের ভাস্কর্য।
প্রথম দেখায় বড় লাল সাইনে ‘হোটেল’ লেখা আয়তাকার দালানটিকে সাধারণই মনে হবে আপনার। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন দেখে যা মনে হচ্ছে এটি আসলে তা নয়। তা ছাড়া খোলা একটি মাঠের মধ্যে একাকী দাঁড়িয়ে আছে কাঠামোটি। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়বে আপনার মনে। একপর্যায়ে বুঝতে পাবেন এক শিল্পীর করা নকশায় দৃষ্টিবিভ্রমের শিকার হয়েছেন।
আশ্চর্য এই ভাস্কর্যের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মেলবোর্নের ডানডেনংয়ের পাশের ইস্টলিংক টোল রোডে। ইস্টলিংক আর্ট স্কালপচার পার্কের অংশ হিসেবে ইস্পাত, কংক্রিট ও কাচ দিয়ে তৈরি করা হয় এটি। নির্মাণে খরচ হয় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ডলার (এখনকার হিসেবে ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা)।
হোটেল ইস্টলিংক ফ্যান সাইট সূত্র জানা যায়, প্রচুর সংখ্যায় মানুষ হোটেলটির রুম ভাড়া, রুম খালি আছে কিনা কিংবা পার্কিংয়ের কী অবস্থা জানতে যোগাযোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাঙ্ক ব্যান্ড ভায়োলেন্ট ফেমসের ২০১৯ সালের অ্যালবাম হোটেল লাস্ট রিসোর্ট অ্যালবামের কভারে স্থান পায় হোটেলটি।
ট্রিপ এডভাইজরে একজন এর রিভিও করেছেন এভাবে, একে প্যারালাল ইউনিভার্সের কিছু একটা বলে মনে হয়। নকল হোটেলে বেড পাওয়ার চেষ্টা করবেন না কখনো। হোটেল ইস্টলিংক অতিথি গ্রহণ করে না, সত্যি বলতে কখনো কেউ থাকেইনি এখানে।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, ডেইলি মেইল, আর্ট সিলেক্ট ডট কম
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের রাজধানী মেলবোর্নের এক সড়কের পাশে হোটেল ইস্টলিংকের অবস্থান। এ হোটেলে কখনোই থাকার জন্য একটি কামরা পাওয়া সম্ভব হবে না আপনার পক্ষে। কারণ দেখে একটি হোটেলের মতো মনে হলেও এটি আসলে কোনো হোটেলই নয়।
হোটেল ইস্টলিংক আদপে একটি ভাস্কর্য। স্থানীয় শিল্পী কলাম মর্টনের নকশা করা হোটেল ইস্টলিংকের উদ্বোধন হয় ২০০৭ সালে। কিন্তু ১৬ বছর পরও এটি এই পথে যাতায়াত করা গাড়ির আরোহীদের বিভ্রান্ত করে।
হোটেল ইস্টলিংক অবশ্য খুব বড় কোনো কাঠামো নয়। উচ্চতা ২০ মিটার বা ৬৫ ফুটের মতো, চওড়ায় ১২ মিটার বা ৩৯ ফুট। তবে এর পাশ দিয়ে যখন দ্রুতগতিতে কোনো গাড়ি বা মোটরসাইকেল যায় এর চালক বা যাত্রীদের বোঝার সাধ্য নেই এটি সত্যিকারের কোনো হোটেল নয়। আরও বেশি বিভ্রান্তি ছড়ায় রাতে। কারণ তখন হোটেলের কামরা বলে যে জিনিসগুলোকে মনে হয় সেখানকার কোনো কোনোটিতে বাতিও জ্বলতে দেখা যায়। এটা দেখে যে কারও মনে হবে ভেতরে মানুষ আছেন। চলতি পথে এক নজর দেখা এই হোটেলে মুগ্ধ কেউ কেউ পরে ইন্টারনেটে এখানকার একটি কামরার বুকিং দিতে গিয়েই বোকা বনে গেছেন।
কারণ হোটেলটি ইস্টলিংকে কোনো রুমই নেই। এমনকি এতে প্রবেশেরও সুযোগ নেই। এটি শোভাবর্ধনকারী একটি ভাস্কর্য ছাড়া আর কিছু নয়।
‘গাড়ির আরোহীদের কাছে একে একটি হোটেল বলেই মনে হবে। তবে সময়ের সঙ্গে থিম পার্ক কিংবা ফিল্মের সেট থেকে চলে আসা একটা কিছু বলে একে বিবেচনা করবেন মানুষ।’ নির্মাণ শেষে বলেছিলেন শিল্পী কলাম মর্টন। কিন্তু মজার ঘটনা দেড় যুগেরও বেশি পেরিয়ে গেলেও রাস্তাটা পেরোনো গাড়ির আরোহীদের বিভ্রান্ত করে মর্টনের ভাস্কর্য।
প্রথম দেখায় বড় লাল সাইনে ‘হোটেল’ লেখা আয়তাকার দালানটিকে সাধারণই মনে হবে আপনার। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন দেখে যা মনে হচ্ছে এটি আসলে তা নয়। তা ছাড়া খোলা একটি মাঠের মধ্যে একাকী দাঁড়িয়ে আছে কাঠামোটি। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়বে আপনার মনে। একপর্যায়ে বুঝতে পাবেন এক শিল্পীর করা নকশায় দৃষ্টিবিভ্রমের শিকার হয়েছেন।
আশ্চর্য এই ভাস্কর্যের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মেলবোর্নের ডানডেনংয়ের পাশের ইস্টলিংক টোল রোডে। ইস্টলিংক আর্ট স্কালপচার পার্কের অংশ হিসেবে ইস্পাত, কংক্রিট ও কাচ দিয়ে তৈরি করা হয় এটি। নির্মাণে খরচ হয় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ডলার (এখনকার হিসেবে ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা)।
হোটেল ইস্টলিংক ফ্যান সাইট সূত্র জানা যায়, প্রচুর সংখ্যায় মানুষ হোটেলটির রুম ভাড়া, রুম খালি আছে কিনা কিংবা পার্কিংয়ের কী অবস্থা জানতে যোগাযোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাঙ্ক ব্যান্ড ভায়োলেন্ট ফেমসের ২০১৯ সালের অ্যালবাম হোটেল লাস্ট রিসোর্ট অ্যালবামের কভারে স্থান পায় হোটেলটি।
ট্রিপ এডভাইজরে একজন এর রিভিও করেছেন এভাবে, একে প্যারালাল ইউনিভার্সের কিছু একটা বলে মনে হয়। নকল হোটেলে বেড পাওয়ার চেষ্টা করবেন না কখনো। হোটেল ইস্টলিংক অতিথি গ্রহণ করে না, সত্যি বলতে কখনো কেউ থাকেইনি এখানে।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, ডেইলি মেইল, আর্ট সিলেক্ট ডট কম
রাজনীতি তো বটেই, একের পর এক উদ্ভট কথা আর কাণ্ডের জন্যও আলোচনায় থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার (২ এপ্রিল) বিশ্বজুড়ে শতাধিক দেশের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। এরপর থেকেই এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুরুগম্ভীর আলোচনা, বিশ্লেষণ চলছে। আবার সামাজিক মাধ্যমে চলছে
৮ দিন আগেচলচ্চিত্রের প্রতি উন্মাদনা যুগ যুগ ধরে। প্রিয় নায়কের, পছন্দের চলচ্চিত্রের পোস্টার ও কার্ড সংগ্রহে রাখার বাতিক অনেকেরই। এমনই একজন সংগ্রাহক যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ডুইট ক্লিভল্যান্ড। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জমিয়েছেন চলচ্চিত্রের পোস্টার ও লবি কার্ড। এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর সংগ্র
১৬ মার্চ ২০২৫অনেক ব্যস্ত মানুষের জন্য বিছানায় শুয়ে ১০ দিন নেটফ্লিক্স দেখার ধারণাটি খুবই আকর্ষণীয় হতে পারে। তবে, এখন শুয়ে থেকেই ৪ হাজার ১০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৪ টাকা) উপার্জন করা সম্ভব। এ জন্য একটি গবেষণায় জন্য অংশগ্রহণকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
১৬ মার্চ ২০২৫দাতব্য তহবিল সংগ্রহে অভিনব এক নিলামের আয়োজন করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশেষ নম্বরের যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন প্লেট আর মোবাইল নম্বর তোলা হবে নিলামে। এসব নম্বরকে বলা হচ্ছে ‘মোস্ট নোবল নাম্বার’।
১২ মার্চ ২০২৫