ফিচার ডেস্ক
এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের প্রভাব পড়ে পুরো বিশ্বের ওপর। তেমনই একজন মানুষ হলেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের বিল গেটসের সঙ্গে বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালে বিচ্ছেদ হয় মেলিন্ডার। গত জুনে টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের বর্তমান কাজ নিয়ে কথা বলেছেন মেলিন্ডা গেটস।
বিবাহবিচ্ছেদের অনেক আগে থেকে বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস আলাদা থাকতে শুরু করেন। অবশেষে ২০২১ সালের আগস্টে মেলিন্ডার ৫৭তম জন্মদিনের দুই সপ্তাহ আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিবাহবিচ্ছেদের। তাঁদের এই বিচ্ছেদের প্রভাব পড়েছিল বিশ্বের অনেক মানুষের ওপর। এর মূল কারণ তাঁদের দাতব্য সংস্থা। বিবাহবিচ্ছেদের কারণে দুজনের প্রতিষ্ঠা করা বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। কারণ, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের কল্যাণ জড়িত।
২০০০ সালে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সচেতন, শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবান বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে জন্ম বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের। বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই ফাউন্ডেশন প্রায় ৫৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি একান্ত ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, তাঁকে বারবার তাঁদের সন্তানদের কথা ভাবতে হয়েছে। আর সমান্তরালভাবে ভেবেছেন প্রতিষ্ঠানের কথা। বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের আগে নিজের, সন্তান ও ফাউন্ডেশন—তিনটি বিষয় নিয়ে বারবার ভেবেছেন মেলিন্ডা। টাইম ম্যাগাজিনকে মেলিন্ডা জানান, সন্তানদের দেখাশোনা করার পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পুরো বিষয়টি তিনি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমি সবকিছু সামাল দিয়েই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে পেরেছিলাম।’
টাইমকে মেলিন্ডা বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, বাহ্! আমি ৬০ বছর বয়সী। আমি নিজেকে মানুষের সঙ্গে ঘিরে রাখি এবং এখনো ঘুরে বেড়াই। আমি এখনো পুরোপুরি শিখছি। কারণ, পৃথিবী চলমান, পৃথিবী পরিবর্তন হচ্ছে।’ বিবাহবিচ্ছেদকে ‘ভয়াবহ’ ও ‘ভয়ংকর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মেলিন্ডা। তবে তারপরও এটি ‘চমৎকার হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি এখন সাধারণের মতো থাকি। ছোট দোকানে যেতে পারি। আমি ওষুধের দোকানে যাই, রেস্তোরাঁয় বসতে পারি এবং আমি এসব দারুণভাবে উপভোগ করছি।’
বিবাহবিচ্ছেদের কোনো প্রভাব ফাউন্ডেশনের ওপর পড়বে না বলে নিশ্চিত করেছিল বিল-মেলিন্ডা দম্পতি। তবে বিচ্ছেদের পর বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন মেলিন্ডা। এই ফাউন্ডেশন থেকে বের হওয়ার পর তিনি বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি নারীর অধিকার এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে একটি উদ্যোগের জন্য বিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের ঘোষণা করেছেন মেলিন্ডা। আর তা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
২৯ বছর বয়স পর্যন্ত মেলিন্ডা পরিচিত ছিলেন মেলিন্ডা আন ফ্রাঞ্চ নামে। তিনি ডালাসে অল-গার্লস ক্যাথলিক স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি তাঁর শিক্ষার অংশ হিসেবে জেল ও হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের স্কুলে শিক্ষকতা করতেন মেলিন্ডা। সেই সব অভিজ্ঞতা তাঁকে বাস্তব জীবনে অনেক উপকৃত করেছে বলে মনে করেন তিনি। হাইস্কুলে গ্রেডিং সিস্টেম পরিবর্তন করার জন্য প্রচারণা চালান মেলিন্ডা। কেন শুধু ভিক্টোরিয়ান শিক্ষার্থী হয়ে ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে? তাঁর মতে, সবারই সুযোগ থাকা উচিত। তাই নিজে একজন ভিক্টোরিয়ান শিক্ষার্থী হয়েও গ্রেডিং সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য লড়েছিলেন।
মেলিন্ডা এখন নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, মিডিয়া—সব ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নিজের কাজকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। টাইমস আপ লিগ্যাল ডিফেন্স ফান্ড এবং ন্যাশনাল ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সসহ নারী অধিকার এবং অন্যান্য নিম্ন প্রতিনিধিত্বশীল গোষ্ঠীর অধিকার এগিয়ে নিতে কাজ করে এমন ১৬টি সংস্থাকে তিনি ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। এ ছাড়া ১২ জনকে ২০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছেন, যাঁরা পূর্ব আফ্রিকায় কম খরচে শিশুযত্ন কেন্দ্র চালান।
এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের প্রভাব পড়ে পুরো বিশ্বের ওপর। তেমনই একজন মানুষ হলেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের বিল গেটসের সঙ্গে বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালে বিচ্ছেদ হয় মেলিন্ডার। গত জুনে টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের বর্তমান কাজ নিয়ে কথা বলেছেন মেলিন্ডা গেটস।
বিবাহবিচ্ছেদের অনেক আগে থেকে বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস আলাদা থাকতে শুরু করেন। অবশেষে ২০২১ সালের আগস্টে মেলিন্ডার ৫৭তম জন্মদিনের দুই সপ্তাহ আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিবাহবিচ্ছেদের। তাঁদের এই বিচ্ছেদের প্রভাব পড়েছিল বিশ্বের অনেক মানুষের ওপর। এর মূল কারণ তাঁদের দাতব্য সংস্থা। বিবাহবিচ্ছেদের কারণে দুজনের প্রতিষ্ঠা করা বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। কারণ, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের কল্যাণ জড়িত।
২০০০ সালে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সচেতন, শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবান বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে জন্ম বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের। বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই ফাউন্ডেশন প্রায় ৫৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি একান্ত ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, তাঁকে বারবার তাঁদের সন্তানদের কথা ভাবতে হয়েছে। আর সমান্তরালভাবে ভেবেছেন প্রতিষ্ঠানের কথা। বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের আগে নিজের, সন্তান ও ফাউন্ডেশন—তিনটি বিষয় নিয়ে বারবার ভেবেছেন মেলিন্ডা। টাইম ম্যাগাজিনকে মেলিন্ডা জানান, সন্তানদের দেখাশোনা করার পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পুরো বিষয়টি তিনি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমি সবকিছু সামাল দিয়েই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে পেরেছিলাম।’
টাইমকে মেলিন্ডা বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, বাহ্! আমি ৬০ বছর বয়সী। আমি নিজেকে মানুষের সঙ্গে ঘিরে রাখি এবং এখনো ঘুরে বেড়াই। আমি এখনো পুরোপুরি শিখছি। কারণ, পৃথিবী চলমান, পৃথিবী পরিবর্তন হচ্ছে।’ বিবাহবিচ্ছেদকে ‘ভয়াবহ’ ও ‘ভয়ংকর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মেলিন্ডা। তবে তারপরও এটি ‘চমৎকার হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি এখন সাধারণের মতো থাকি। ছোট দোকানে যেতে পারি। আমি ওষুধের দোকানে যাই, রেস্তোরাঁয় বসতে পারি এবং আমি এসব দারুণভাবে উপভোগ করছি।’
বিবাহবিচ্ছেদের কোনো প্রভাব ফাউন্ডেশনের ওপর পড়বে না বলে নিশ্চিত করেছিল বিল-মেলিন্ডা দম্পতি। তবে বিচ্ছেদের পর বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন মেলিন্ডা। এই ফাউন্ডেশন থেকে বের হওয়ার পর তিনি বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি নারীর অধিকার এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে একটি উদ্যোগের জন্য বিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের ঘোষণা করেছেন মেলিন্ডা। আর তা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
২৯ বছর বয়স পর্যন্ত মেলিন্ডা পরিচিত ছিলেন মেলিন্ডা আন ফ্রাঞ্চ নামে। তিনি ডালাসে অল-গার্লস ক্যাথলিক স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি তাঁর শিক্ষার অংশ হিসেবে জেল ও হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের স্কুলে শিক্ষকতা করতেন মেলিন্ডা। সেই সব অভিজ্ঞতা তাঁকে বাস্তব জীবনে অনেক উপকৃত করেছে বলে মনে করেন তিনি। হাইস্কুলে গ্রেডিং সিস্টেম পরিবর্তন করার জন্য প্রচারণা চালান মেলিন্ডা। কেন শুধু ভিক্টোরিয়ান শিক্ষার্থী হয়ে ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে? তাঁর মতে, সবারই সুযোগ থাকা উচিত। তাই নিজে একজন ভিক্টোরিয়ান শিক্ষার্থী হয়েও গ্রেডিং সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য লড়েছিলেন।
মেলিন্ডা এখন নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, মিডিয়া—সব ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নিজের কাজকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। টাইমস আপ লিগ্যাল ডিফেন্স ফান্ড এবং ন্যাশনাল ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সসহ নারী অধিকার এবং অন্যান্য নিম্ন প্রতিনিধিত্বশীল গোষ্ঠীর অধিকার এগিয়ে নিতে কাজ করে এমন ১৬টি সংস্থাকে তিনি ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। এ ছাড়া ১২ জনকে ২০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছেন, যাঁরা পূর্ব আফ্রিকায় কম খরচে শিশুযত্ন কেন্দ্র চালান।
‘আমি একজন শরণার্থী। আমার পরদাদাও শরণার্থী ছিলেন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখলদারত্বে ভিটেছাড়া হয়েছিলেন তিনি। গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে এক শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আমি সেখানেই জন্মেছি, কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা সেখানে আমাকে থাকতে দেয়নি। ২০০০ সালে আমাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় তারা। দুই বছর আমাদের মাথার ওপর
৬ দিন আগেআমার বয়স ৩২ বছর, গৃহিণী। আমি আগে শিক্ষকতা করতাম। হঠাৎ পারিবারিক চাপে সেই চাকরি ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমার শ্বশুরবাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। তারা চায় না আমি চাকরি করি। আমার ননদ একজন সমাজকর্মী।
৬ দিন আগেশিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ব্যবসাও করেন। এই সবকিছুর চাপ সামলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার আছিম কুটিরা গ্রামে তিনি তৈরি করেছেন কুটিরা জ্ঞানের আলো পাঠাগার। নিজের উপার্জনের কিছু অংশ পাঠাগারের পেছনে ব্যয় করেন তিনি।
৬ দিন আগেবাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে দেশে ২৪৮ কন্যা এবং ১৯৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার নারী ও কন্যার সংখ্যা ৮৩৬। তাঁদের মধ্যে শুধু মার্চ মাসে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ জন নারী ও কন্যা।
৬ দিন আগে