কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
ধূসর রঙের চেয়ারের ওপর একটি আইডি কার্ড রাখা। কার্ডটি একজন সাংবাদিকের। ২০২২ সালের ২৮ জুন এমনই একটি ছবি নিজের টুইটারে প্রকাশ করেন লিনা আবু আকলেহ। ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘বেড়ে উঠছি। প্রতিবছর প্যালেস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালে আমি শিরিনের সঙ্গে আসতাম। আজ তাঁর বসার জায়গাটি ফাঁকা।’
লিনাকে না চিনলেও সাংবাদিক শিরিনকে অনেকে চেনেন। ২০২২ সালের ১১ মে জেনিন ক্যাম্পে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান কভার করার সময় নিহত হন আল জাজিরার ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সংবাদদাতা শিরিন আবু আকলেহ। শিরিন ছিলেন লিনা আবু আকলেহের খালা। সংবাদ সংগ্রহের সময় তাঁর খালা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের কাছে তাঁর জবাব এবং সেই হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন করতে থাকেন তিনি। লিনা তাঁর খালা হত্যার বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কথা বলতে শুরু করেন। সেই বিষণ্ন ও নির্মম হত্যাকাণ্ড তাঁর মানসিক শক্তিকে নষ্ট করতে পারেনি।
লিনা এমন এক ভূখণ্ডে নিজের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে মৃত্যু এসে উপস্থিত হতে পারে চোখের নিমেষে। জেনিন ক্যাম্পে সেটা যেমন এসেছিল শিরিন আবু আকলেহর জীবনে। লিনা বলেন, ‘আমার খালা শিরিন যেখানে শেষ করেছেন, আমাদের ঠিক সেখানেই শুরু করতে হবে। আমাদের নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, যাতে আমরা যা বলছি বা যে তথ্য জানাচ্ছি, সেটা ন্যায়সংগত ও যথার্থ হয়।’
১১ মে ঘটনাস্থলে থাকা শিরিনের সহকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। শিরিনের নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ওঠে। ইসরায়েল জানায়, যে বন্দুকের গুলিতে শিরিন নিহত হয়েছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বুলেটটি হস্তান্তর না করলে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবে না। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায়। এই দোলাচলের মধ্যে লিনা তাঁর খালা নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তের জোর দাবি তোলেন পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি শুরু থেকেই লড়ে গেছেন খালার হত্যার বিচার ও জবাবদিহির পক্ষে জোর গলায় কথা বলে।
ইসরায়েলের কাছে জবাবদিহির দাবিতে তাঁর বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, আন্দোলনসহ বিভিন্ন আয়োজন তাঁর কর্মতৎপরতাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে এনেছে। লিনা কয়েক ডজন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এ পর্যন্ত। তিনি এফবিআই তদন্তের জন্য মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। ইসরায়েল শুরু থেকে বলে আসছে, শিরিন ভুলবশত ইসরায়েলি সৈন্যের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সেই হত্যাকাণ্ড ‘ইচ্ছাকৃত’ ছিল না। কিন্তু লিনা প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণের তদন্ত দাবি করেন।
লিনা আবু আকলেহ একজন ফিলিস্তিনি-আর্মেনিয়ান। জেরুজালেমে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি রাজনৈতিক গবেষণায় স্নাতক এবং আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন ও মানবাধিকার বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। এখন লিনা ফিলিস্তিনি মানবাধিকারকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি তাঁর খালার কাজগুলোকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্বের সামনে তুলে ধরছেন। ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ইনস্টিটিউট অব প্যালেস্টাইনে লেখা একটি প্রবন্ধে লিনা তাঁর খালার কাজের কথা তুলে ধরে লেখেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে তাঁর ভয়েস খুব মিস করেছি। তিনি তাঁর ক্যারিয়ারজুড়ে সব প্রধান ফিলিস্তিনি সংবাদ ইভেন্টে যুদ্ধ ও শান্তির মুখ ছিলেন। তিনি সাহসিকতার সঙ্গে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা, পশ্চিম তীরে, বিশেষ করে জেনিন শরণার্থীশিবিরে সামরিক আগ্রাসন, নির্বাচন (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), গাজার যুদ্ধ, ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন সংগ্রাম এবং অর্জনগুলোকে তুলে ধরেছেন। ইসরায়েলি ও পশ্চিমা মিডিয়ার নেতৃত্বে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণাকে মোকাবিলা করার জন্য তিনি ফিলিস্তিনি জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।’
শিরিনের কাজের সাক্ষী হয়ে বড় হয়েছেন লিনা। শিরিনকে দেখে তাঁর সাহস ও বিনয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি। লিনা লেখেন, ‘যখনই আমাকে জিজ্ঞাসা করা হতো, আমি বড় হয়ে কী হতে চেয়েছিলাম, আমি গর্ব করে উত্তর দিতাম, আমি শিরিনের মতো হতে চাই।’
লিনা আবু আকলেহ স্বজন হারানোর পর তাঁর পরিবারের অনুভূতির কথা বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছেন। লড়াইয়ের মাঠ ছাড়তে রাজি নন তিনি। তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য ‘টাইম ম্যাগাজিন’ ২০২২ সালের উঠতি ১০০ নেতার তালিকায় স্থান দেয় লিনা আবু আকলেহকে।
ধূসর রঙের চেয়ারের ওপর একটি আইডি কার্ড রাখা। কার্ডটি একজন সাংবাদিকের। ২০২২ সালের ২৮ জুন এমনই একটি ছবি নিজের টুইটারে প্রকাশ করেন লিনা আবু আকলেহ। ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘বেড়ে উঠছি। প্রতিবছর প্যালেস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালে আমি শিরিনের সঙ্গে আসতাম। আজ তাঁর বসার জায়গাটি ফাঁকা।’
লিনাকে না চিনলেও সাংবাদিক শিরিনকে অনেকে চেনেন। ২০২২ সালের ১১ মে জেনিন ক্যাম্পে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান কভার করার সময় নিহত হন আল জাজিরার ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সংবাদদাতা শিরিন আবু আকলেহ। শিরিন ছিলেন লিনা আবু আকলেহের খালা। সংবাদ সংগ্রহের সময় তাঁর খালা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের কাছে তাঁর জবাব এবং সেই হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন করতে থাকেন তিনি। লিনা তাঁর খালা হত্যার বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কথা বলতে শুরু করেন। সেই বিষণ্ন ও নির্মম হত্যাকাণ্ড তাঁর মানসিক শক্তিকে নষ্ট করতে পারেনি।
লিনা এমন এক ভূখণ্ডে নিজের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে মৃত্যু এসে উপস্থিত হতে পারে চোখের নিমেষে। জেনিন ক্যাম্পে সেটা যেমন এসেছিল শিরিন আবু আকলেহর জীবনে। লিনা বলেন, ‘আমার খালা শিরিন যেখানে শেষ করেছেন, আমাদের ঠিক সেখানেই শুরু করতে হবে। আমাদের নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, যাতে আমরা যা বলছি বা যে তথ্য জানাচ্ছি, সেটা ন্যায়সংগত ও যথার্থ হয়।’
১১ মে ঘটনাস্থলে থাকা শিরিনের সহকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। শিরিনের নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ওঠে। ইসরায়েল জানায়, যে বন্দুকের গুলিতে শিরিন নিহত হয়েছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বুলেটটি হস্তান্তর না করলে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবে না। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায়। এই দোলাচলের মধ্যে লিনা তাঁর খালা নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তের জোর দাবি তোলেন পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি শুরু থেকেই লড়ে গেছেন খালার হত্যার বিচার ও জবাবদিহির পক্ষে জোর গলায় কথা বলে।
ইসরায়েলের কাছে জবাবদিহির দাবিতে তাঁর বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, আন্দোলনসহ বিভিন্ন আয়োজন তাঁর কর্মতৎপরতাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে এনেছে। লিনা কয়েক ডজন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এ পর্যন্ত। তিনি এফবিআই তদন্তের জন্য মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। ইসরায়েল শুরু থেকে বলে আসছে, শিরিন ভুলবশত ইসরায়েলি সৈন্যের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সেই হত্যাকাণ্ড ‘ইচ্ছাকৃত’ ছিল না। কিন্তু লিনা প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণের তদন্ত দাবি করেন।
লিনা আবু আকলেহ একজন ফিলিস্তিনি-আর্মেনিয়ান। জেরুজালেমে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি রাজনৈতিক গবেষণায় স্নাতক এবং আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন ও মানবাধিকার বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। এখন লিনা ফিলিস্তিনি মানবাধিকারকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি তাঁর খালার কাজগুলোকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্বের সামনে তুলে ধরছেন। ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ইনস্টিটিউট অব প্যালেস্টাইনে লেখা একটি প্রবন্ধে লিনা তাঁর খালার কাজের কথা তুলে ধরে লেখেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে তাঁর ভয়েস খুব মিস করেছি। তিনি তাঁর ক্যারিয়ারজুড়ে সব প্রধান ফিলিস্তিনি সংবাদ ইভেন্টে যুদ্ধ ও শান্তির মুখ ছিলেন। তিনি সাহসিকতার সঙ্গে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা, পশ্চিম তীরে, বিশেষ করে জেনিন শরণার্থীশিবিরে সামরিক আগ্রাসন, নির্বাচন (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), গাজার যুদ্ধ, ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন সংগ্রাম এবং অর্জনগুলোকে তুলে ধরেছেন। ইসরায়েলি ও পশ্চিমা মিডিয়ার নেতৃত্বে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণাকে মোকাবিলা করার জন্য তিনি ফিলিস্তিনি জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।’
শিরিনের কাজের সাক্ষী হয়ে বড় হয়েছেন লিনা। শিরিনকে দেখে তাঁর সাহস ও বিনয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি। লিনা লেখেন, ‘যখনই আমাকে জিজ্ঞাসা করা হতো, আমি বড় হয়ে কী হতে চেয়েছিলাম, আমি গর্ব করে উত্তর দিতাম, আমি শিরিনের মতো হতে চাই।’
লিনা আবু আকলেহ স্বজন হারানোর পর তাঁর পরিবারের অনুভূতির কথা বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছেন। লড়াইয়ের মাঠ ছাড়তে রাজি নন তিনি। তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য ‘টাইম ম্যাগাজিন’ ২০২২ সালের উঠতি ১০০ নেতার তালিকায় স্থান দেয় লিনা আবু আকলেহকে।
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
১৩ ঘণ্টা আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
২ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
২ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
২ দিন আগে