সিরিয়ার নারী
কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
১৩ বছরের যে কিশোরীকে বন্দী করা হয়েছিল ১৬ বছর আগে, এখন তাঁর বয়স ২৯। আজও তিনি অবিবাহিত, কিন্তু একাধিক সন্তানের জননী। বাশারের আয়নাঘরে এমন অনেক নারীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
বাশারের আয়নাঘরের তালা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করার সময় অনেকেই বোঝার চেষ্টা করছিল, আসলে হচ্ছেটা কী। তাদের চোখমুখে প্রশ্ন—পরিবার-পরিজন নেই, কোথায় যাব? কারাগারগুলোর সামনে মানুষের ভিড়। প্রশ্ন একটাই, স্বজনেরা কোথায়? এই ‘কোথায়’ প্রশ্নটি গভীর মানবিক সংকটে ফেলে দিয়েছে সিরিয়াকে। এ সংকটে দেশকে রেখে ৮ ডিসেম্বর পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
জাতিসংঘের ধারণা অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় ৩ লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে; যাদের বেশির ভাগই পুরুষ। ফলে হাজার হাজার নারী এবং পরিবার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। ২০১১ সালের বিদ্রোহের আগে থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সিরিয়ান সমাজে নারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে।
রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে এই নারীদের কারও জীবন কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে, বছরের পর বছর।
বাশারের পতনের পর অনেক সিরিয়ান খুঁজতে বের হয়েছে নিখোঁজ স্বজনদের। গোপন কারাগারগুলো থেকে বন্দীদের মুক্তি শুরু হওয়ার পর, অনেক পরিবারের সদস্যদের মনে জেগে উঠেছে নতুন আশা। হারানো স্বজনেরা বুঝি বেঁচে আছে! এই আশায় ভর করে তারা হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছে নিখোঁজ স্বজনদের।
অনলাইনে বিবিসিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা ভিডিও ফুটেজে ভেসে বেড়াচ্ছে মানুষের কষ্ট আর আশার কথা। বিবিসির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও সাদা হিজাবে মোড়া এক বয়স্ক নারী পরিবারের সঙ্গে গাড়িতে করে বেরিয়েছেন স্বজনের খোঁজে। ক্যামেরার সামনে আকুল হয়ে তিনি বলছিলেন, ‘ধন্যবাদ ওপরওয়ালা, ধন্যবাদ! অত্যাচারীর পতন হয়েছে!’ বুক চাপড়ে বলছেন, ‘আমার ভাই, আমার সন্তান, সবাই সবাই...।’ আর কিছু বলতে পারেননি তিনি। এই নারীর দাবি, তাঁর স্বজনেরা বেঁচে নেই। নিশ্চিতভাবে মারা গেছে অন্ধকার জেলে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কুখ্যাত সায়াদনা কারাগারের সামনে ভিড়। প্রিয়জনদের যদি কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়! সে বন্দিশালায় বন্দী ছিলেন নাম না-জানা এক নারীর ভাই। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ২০১৪ সালে তিনি শেষবার ভাইকে দেখতে এসেছিলেন। জেল থেকে বলা হয়েছিল, তোমার ভাই দেশদ্রোহী। সে মারা গেছে। তুমি আর এখানে এসো না। ১০ বছর পর আবারও বোন সেই বন্দিশালার সামনে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস, ভাই মারা যায়নি। ৮ তারিখ থেকে সেখানে বসে আছেন তিনি ভাইয়ের আশায়।
ফাইয়াজ নাদাফ নামের ১২ বছরের এক কিশোরী জানায়, তার বাবাকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন সে ছিল ২ বছরের শিশু। সে বিশ্বাস করে, তার বাবা বেঁচে আছে। তিনি সুস্থভাবেই ফিরে আসবেন তাদের কাছে। পাশ থেকে তার ভাই বলে ওঠে, ‘আমি চাই বাবা সুস্থভাবে ফিরে আসুক। আমি তাঁকে অনেক মিস করি। আমি তাঁর কণ্ঠস্বর শুনিনি।’ ফাইয়াজের দাদি জানান, তাঁর ছেলেকে ২০১১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি জানান, সায়াদনা বন্দিশালার এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে বেঁচে আছেন। তাঁকে জেলের দ্বিতীয় তলার চার নম্বর কক্ষে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে না। তবু ভালো থাকুক সিরিয়া।
১৩ বছরের যে কিশোরীকে বন্দী করা হয়েছিল ১৬ বছর আগে, এখন তাঁর বয়স ২৯। আজও তিনি অবিবাহিত, কিন্তু একাধিক সন্তানের জননী। বাশারের আয়নাঘরে এমন অনেক নারীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
বাশারের আয়নাঘরের তালা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করার সময় অনেকেই বোঝার চেষ্টা করছিল, আসলে হচ্ছেটা কী। তাদের চোখমুখে প্রশ্ন—পরিবার-পরিজন নেই, কোথায় যাব? কারাগারগুলোর সামনে মানুষের ভিড়। প্রশ্ন একটাই, স্বজনেরা কোথায়? এই ‘কোথায়’ প্রশ্নটি গভীর মানবিক সংকটে ফেলে দিয়েছে সিরিয়াকে। এ সংকটে দেশকে রেখে ৮ ডিসেম্বর পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
জাতিসংঘের ধারণা অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় ৩ লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে; যাদের বেশির ভাগই পুরুষ। ফলে হাজার হাজার নারী এবং পরিবার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। ২০১১ সালের বিদ্রোহের আগে থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সিরিয়ান সমাজে নারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে।
রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে এই নারীদের কারও জীবন কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে, বছরের পর বছর।
বাশারের পতনের পর অনেক সিরিয়ান খুঁজতে বের হয়েছে নিখোঁজ স্বজনদের। গোপন কারাগারগুলো থেকে বন্দীদের মুক্তি শুরু হওয়ার পর, অনেক পরিবারের সদস্যদের মনে জেগে উঠেছে নতুন আশা। হারানো স্বজনেরা বুঝি বেঁচে আছে! এই আশায় ভর করে তারা হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছে নিখোঁজ স্বজনদের।
অনলাইনে বিবিসিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা ভিডিও ফুটেজে ভেসে বেড়াচ্ছে মানুষের কষ্ট আর আশার কথা। বিবিসির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও সাদা হিজাবে মোড়া এক বয়স্ক নারী পরিবারের সঙ্গে গাড়িতে করে বেরিয়েছেন স্বজনের খোঁজে। ক্যামেরার সামনে আকুল হয়ে তিনি বলছিলেন, ‘ধন্যবাদ ওপরওয়ালা, ধন্যবাদ! অত্যাচারীর পতন হয়েছে!’ বুক চাপড়ে বলছেন, ‘আমার ভাই, আমার সন্তান, সবাই সবাই...।’ আর কিছু বলতে পারেননি তিনি। এই নারীর দাবি, তাঁর স্বজনেরা বেঁচে নেই। নিশ্চিতভাবে মারা গেছে অন্ধকার জেলে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কুখ্যাত সায়াদনা কারাগারের সামনে ভিড়। প্রিয়জনদের যদি কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়! সে বন্দিশালায় বন্দী ছিলেন নাম না-জানা এক নারীর ভাই। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ২০১৪ সালে তিনি শেষবার ভাইকে দেখতে এসেছিলেন। জেল থেকে বলা হয়েছিল, তোমার ভাই দেশদ্রোহী। সে মারা গেছে। তুমি আর এখানে এসো না। ১০ বছর পর আবারও বোন সেই বন্দিশালার সামনে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস, ভাই মারা যায়নি। ৮ তারিখ থেকে সেখানে বসে আছেন তিনি ভাইয়ের আশায়।
ফাইয়াজ নাদাফ নামের ১২ বছরের এক কিশোরী জানায়, তার বাবাকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন সে ছিল ২ বছরের শিশু। সে বিশ্বাস করে, তার বাবা বেঁচে আছে। তিনি সুস্থভাবেই ফিরে আসবেন তাদের কাছে। পাশ থেকে তার ভাই বলে ওঠে, ‘আমি চাই বাবা সুস্থভাবে ফিরে আসুক। আমি তাঁকে অনেক মিস করি। আমি তাঁর কণ্ঠস্বর শুনিনি।’ ফাইয়াজের দাদি জানান, তাঁর ছেলেকে ২০১১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি জানান, সায়াদনা বন্দিশালার এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে বেঁচে আছেন। তাঁকে জেলের দ্বিতীয় তলার চার নম্বর কক্ষে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে না। তবু ভালো থাকুক সিরিয়া।
গণ-অভ্যুত্থানের কাছে কোনো না কোনো দিন স্বৈরশাসককে মাথা নোয়াতে হয়। ৮ ডিসেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসে আরও এক স্বৈরশাসক পরাজিত হয় জনতার কাছে। এ জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে নাম না জানা হাজারো মানুষকে। আর নিখোঁজ মানুষেরা বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে, সে খবর জানে না কেউ। বাশার আল-আসাদের...
৪ দিন আগেসাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা খাতুন। পড়াশোনার পাশাপাশি পেশাদার ফুটবলার হয়েও নিজের দক্ষতার গুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বিজয়ী হয়েছেন ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলায়।
৪ দিন আগেরাঙামাটির কাপ্তাইয়ের সফল জননী হিসেবে জয়িতা নারীর সম্মাননা পেয়েছেন কাপ্তাই উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন এলাকার বাসিন্দা মাসাংফ্রু খিয়াং।
৪ দিন আগেদেশের নারীদের এগিয়ে নিতে বেশ কিছু আইন হয়েছে আমাদের। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীর অধিকার ও সুরক্ষার জন্য এখনো নির্দিষ্ট আইন অনুপস্থিত। এই ফাঁকগুলো নারীর জীবনমান উন্নয়ন ও সমানাধিকারের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীর সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এই ফাঁকগুলো পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
৪ দিন আগে