কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
ক্যামেরা চলছে। ভেসে উঠছে সারিবদ্ধ অসুস্থ ও মুমূর্ষু মানুষের মুখ। কেউ বসে আছেন, কেউ শুয়ে কাতরাচ্ছেন। কাট টু সারিবদ্ধ স্ট্রেচার। সেখানে দেখা যাচ্ছে নিথর কিছু শরীর—তাদের কেউ শিশু, কেউ তরুণ, কেউ মধ্যবয়স্ক আবার কেউ বৃদ্ধ।
এমনই একটি ভিডিও গত বছরের ৩০ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছিলেন সারা আল-সাক্কা। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমরা ধৈর্যের শেষ সীমানায় এসে পৌঁছেছি। রোগীদের জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না বলে আমরা চিকিৎসাকর্মীরা নিজেরা ক্লান্ত, আতঙ্কিত ও শক্তিহীন বোধ করছি। জায়গার অভাব, শয্যা ও ওষুধের স্বল্পতা।’ সবশেষে যুদ্ধবিরতির জন্য আকুতি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সিজ ফায়ার নাও।’ অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি করো।
ভিডিও ধারণকারী সারা আল-সাক্কা কোনো সাংবাদিক কিংবা প্রফেশনাল ভিডিওগ্রাফার নন। তিনি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় কর্মরত সে দেশের সনদপ্রাপ্ত প্রথম নারী সার্জন। সারা আল-সাক্কার ইনস্টাগ্রামে ছোট ছোট অনেক ভিডিও আছে।
সেগুলোতে ফুটে উঠেছে যুদ্ধের কারণে চিকিৎসাব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ার এক করুণ চিত্র। সেই ভিডিওগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে গাজার হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকদের দিনের পরদিন খেটে যাওয়া এবং বিপর্যস্ত মানসিক অবস্থার করুণ চিত্র।
ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনে বিমান হামলা শুরু করে, তখন গাজাবাসীকে উত্তর থেকে সরে দক্ষিণে যেতে বলা হয়েছিল, যাতে তারা নিরাপদ থাকে। কিন্তু সারা উত্তরেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি টানা ২৪ থেকে ৩৫ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর ভিডিওতে ফুটে উঠেছে হাসপাতালে মানুষের পানির কষ্টের চিত্র। ফুটে উঠেছে অন্ধকারে ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়ার দৃশ্য। তাঁর করা ভিডিওতে ধরা আছে ইসরায়েলি বাহিনীর আল-শিফা হাসপাতালে বোমা হামলা চালানোর সময়কার দৃশ্য। সারা ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা গর্ভবতী নারীদের সেবা দিয়েছেন। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করেছেন গাজার অবস্থা বর্ণনা করতে।
ফিলিস্তিনের অন্তর্ভুক্ত গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দা সারা আল-সাক্কা। তাঁর জন্ম ১৯৯২ সালে। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগে লেখাপড়া শেষ করেন। তারপর তিনি লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক হওয়ার কিছুদিন পরেই তিনি সরাসরি আল-শিফা হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ক্রমাগত পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে ইসরায়েল। যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর জঘন্য গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অসম যুদ্ধে এখন পর্যন্ত হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায় না।
এমন অবস্থাতেও সারা আল-সাক্কা তাঁর কাজ থেকে সরে যাননি। তিনি মূলত তাঁর ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে আল-শিফা হাসপাতালসহ গাজার বিভিন্ন সড়কের ভিডিও ধারণ করে সেখানে চলমান হামলা ও দুর্দশার কথা তুলে ধরেন পৃথিবীর সামনে। ফিল্টার আর মিথ্যাচারের ভিড়ে সারার করা ভিডিওগুলো ফিলিস্তিনের বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে যুদ্ধ শুরুর আগে ও যুদ্ধ চলাকালীন তাঁর প্রতিদিনের হাসপাতালের ভিডিও তাঁকে সর্বজনীন পরিচিতি দেয়। বিবিসি তাঁকে ২০২৩ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সারা আল-সাক্কার একটি ভিডিওতে একটি ফিলিস্তিনি মেয়েকে বিষণ্ন সুরে গান গাইতে দেখা যায়। গানের কথার প্রথম লাইন বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘তুমি জানতে চাইছ, কেন তাঁরা চলে গেলেন।...’ সেই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘এত প্রিয়জন হারানোর পরে, আমরা কেউ না কেঁদে এই গান গাইতে পারি না’।
ক্যামেরা চলছে। ভেসে উঠছে সারিবদ্ধ অসুস্থ ও মুমূর্ষু মানুষের মুখ। কেউ বসে আছেন, কেউ শুয়ে কাতরাচ্ছেন। কাট টু সারিবদ্ধ স্ট্রেচার। সেখানে দেখা যাচ্ছে নিথর কিছু শরীর—তাদের কেউ শিশু, কেউ তরুণ, কেউ মধ্যবয়স্ক আবার কেউ বৃদ্ধ।
এমনই একটি ভিডিও গত বছরের ৩০ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছিলেন সারা আল-সাক্কা। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমরা ধৈর্যের শেষ সীমানায় এসে পৌঁছেছি। রোগীদের জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না বলে আমরা চিকিৎসাকর্মীরা নিজেরা ক্লান্ত, আতঙ্কিত ও শক্তিহীন বোধ করছি। জায়গার অভাব, শয্যা ও ওষুধের স্বল্পতা।’ সবশেষে যুদ্ধবিরতির জন্য আকুতি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সিজ ফায়ার নাও।’ অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি করো।
ভিডিও ধারণকারী সারা আল-সাক্কা কোনো সাংবাদিক কিংবা প্রফেশনাল ভিডিওগ্রাফার নন। তিনি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় কর্মরত সে দেশের সনদপ্রাপ্ত প্রথম নারী সার্জন। সারা আল-সাক্কার ইনস্টাগ্রামে ছোট ছোট অনেক ভিডিও আছে।
সেগুলোতে ফুটে উঠেছে যুদ্ধের কারণে চিকিৎসাব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ার এক করুণ চিত্র। সেই ভিডিওগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে গাজার হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকদের দিনের পরদিন খেটে যাওয়া এবং বিপর্যস্ত মানসিক অবস্থার করুণ চিত্র।
ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনে বিমান হামলা শুরু করে, তখন গাজাবাসীকে উত্তর থেকে সরে দক্ষিণে যেতে বলা হয়েছিল, যাতে তারা নিরাপদ থাকে। কিন্তু সারা উত্তরেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি টানা ২৪ থেকে ৩৫ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর ভিডিওতে ফুটে উঠেছে হাসপাতালে মানুষের পানির কষ্টের চিত্র। ফুটে উঠেছে অন্ধকারে ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়ার দৃশ্য। তাঁর করা ভিডিওতে ধরা আছে ইসরায়েলি বাহিনীর আল-শিফা হাসপাতালে বোমা হামলা চালানোর সময়কার দৃশ্য। সারা ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা গর্ভবতী নারীদের সেবা দিয়েছেন। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করেছেন গাজার অবস্থা বর্ণনা করতে।
ফিলিস্তিনের অন্তর্ভুক্ত গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দা সারা আল-সাক্কা। তাঁর জন্ম ১৯৯২ সালে। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগে লেখাপড়া শেষ করেন। তারপর তিনি লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক হওয়ার কিছুদিন পরেই তিনি সরাসরি আল-শিফা হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ক্রমাগত পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে ইসরায়েল। যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর জঘন্য গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অসম যুদ্ধে এখন পর্যন্ত হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায় না।
এমন অবস্থাতেও সারা আল-সাক্কা তাঁর কাজ থেকে সরে যাননি। তিনি মূলত তাঁর ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে আল-শিফা হাসপাতালসহ গাজার বিভিন্ন সড়কের ভিডিও ধারণ করে সেখানে চলমান হামলা ও দুর্দশার কথা তুলে ধরেন পৃথিবীর সামনে। ফিল্টার আর মিথ্যাচারের ভিড়ে সারার করা ভিডিওগুলো ফিলিস্তিনের বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে যুদ্ধ শুরুর আগে ও যুদ্ধ চলাকালীন তাঁর প্রতিদিনের হাসপাতালের ভিডিও তাঁকে সর্বজনীন পরিচিতি দেয়। বিবিসি তাঁকে ২০২৩ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সারা আল-সাক্কার একটি ভিডিওতে একটি ফিলিস্তিনি মেয়েকে বিষণ্ন সুরে গান গাইতে দেখা যায়। গানের কথার প্রথম লাইন বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘তুমি জানতে চাইছ, কেন তাঁরা চলে গেলেন।...’ সেই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘এত প্রিয়জন হারানোর পরে, আমরা কেউ না কেঁদে এই গান গাইতে পারি না’।
চীন, রাশিয়া কিংবা ইউরোপের গণপরিবহনে পাঠকদের প্রায়ই মগ্ন দেখা যায়। জার্মানিতে রাস্তাঘাট ও পার্কে আছে ছোট ছোট লাইব্রেরি। সেখান থেকে যে কেউ বই নিয়ে পড়তে পারেন। জার্মানির এমন দৃশ্যের মনোজ্ঞ বর্ণনা নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন বাংলাদেশি যুবক মানো বিশ্বাস।
১ দিন আগেআমার এক কাজিনের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। একদিন কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় এক লোক তাঁকে ভয় দেখিয়ে বাসায় নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করেন। তারপর তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। ওই মেয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি এসে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এখন কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছেন...
১ দিন আগেগ্রামের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে সাজেদার মৎস্য চাষ প্রকল্প। ২০২২ সালে ২০ শতাংশের পুকুর দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে বর্গা নিয়ে আরও ৮০ শতাংশ জমির প্রকল্পে যুক্ত করেছেন। সাজেদার সঙ্গে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি—সবার শ্রমে তৈরি হয় এক একর আয়তনের প্রকল্প পুকুর। সেই পুকুরে মাছ...
১ দিন আগেপৃথিবীতে নারীদের এখনো পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী হিসেবে ধরা হয়। তবে নিজের দেশ ও জাতীয় সত্তা এগিয়ে নিয়ে যেতে যুগে যুগে নারীরা নিয়েছিল বিভিন্ন পদক্ষেপ। তাতে শুধু নারীরাই নয়, পুরো দেশ হয়েছে আলোকিত।
১ দিন আগে