যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। কথাটা যেন সত্যিকার অর্থে মিলে যায় সাবিনার ক্ষেত্রে। বলছি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুবারের সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের কথা।
তাহমিদ হাসান
সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা খাতুন। পড়াশোনার পাশাপাশি পেশাদার ফুটবলার হয়েও নিজের দক্ষতার গুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বিজয়ী হয়েছেন ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলায়।
সাতক্ষীরার পলাশপুরের মেয়ে সাবিনা খাতুন। মা-বাবার পাঁচ কন্যার মধ্যে তিনি চতুর্থ। কে জানত পাড়াগাঁয়ে বেড়ে ওঠা সাবিনাই হয়ে উঠবেন দেশের নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য গৌরবের প্রতীক! অনেক বন্ধুর পথ পেরিয়ে সাবিনার সফল নেতৃত্বে বারবার আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। স্বপ্নে বুক বাঁধছেন হাজারো ফুটবলপ্রেমী তরুণী। জৌলুশহীন গ্রামীণ জীবনের আর দশটা মেয়ের মতো গৎবাঁধা জীবন ছুড়ে ফেলে স্বপ্নের জন্য ছুটে চলা সাবিনার ঝুলিতে এখন দেশসেরা নারী ফুটবলার; এমনকি দেশসেরা নারী ক্রীড়াবিদের খেতাব।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শুরু করেন ফুটবল খেলা। আন্তস্কুল ও আন্তজেলা পর্যায়ে ভালো খেলার সুবাদে ডাক পান জাতীয় দলে। সাতক্ষীরা থেকে মাত্র ছয়জন জাতীয় দলে ডাক পেলেও টিকে যান শুধু সাবিনা। প্রথমে শখের বশে খেলা শুরু করলেও পরে পেশা হিসেবে ফুটবলকে বেছে নেন তিনি। মিডফিল্ডার হিসেবে যাত্রা শুরু করার পর এখন তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কের ভূমিকায়। ফুটবলার এবং অধিনায়ক হিসেবে তিনি অর্জন করে যাচ্ছেন একের পর এক সাফল্য।
দেশীয় ফুটবলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাবিনার অনেক অর্জন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়; যিনি বিদেশের কোনো ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়ে ইতিহাস গড়েন। সাবিনার নেতৃত্বেই পরপর দুবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়লাভ করে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ক্লাব থেকেও খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি।
শুধু অর্জন কুড়িয়েই নন, নিজেদের অধিকারের ব্যাপারেও যথেষ্ট সোচ্চার এই নারী ক্রীড়াবিদ। অধিনায়ক সাবিনার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সাবিনা যেমন ভালো খেলোয়াড়, তেমন ভালো শিক্ষার্থীও। দারুণ মানবিক গুণসম্পন্ন, দক্ষ এবং চৌকস। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে শুরু থেকেই তার ক্ষিপ্রতা এবং দক্ষ নেতৃত্ব বিভিন্ন খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। সাবিনাকে দেখে এখন অনেক মেয়ে খেলাধুলায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। গণবিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাবিনাসহ পাঁচজন খেলোয়াড় এবার সাফ চ্যাম্পিয়ন দলে খেলেছে।’
২০১৫ সাল থেকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করে আসা এই ক্রীড়াবিদ স্বপ্ন দেখেন সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল টিমকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। ব্রাজিলের খ্যাতিমান নারী ফুটবলার মার্তা ডা সিলভাকে আইডল মানা সাবিনাকেই আজ আইডল মানা বহু তরুণী ক্রীড়াঙ্গনে আসতে চান। নতুনদের জন্য সাবিনার বার্তা, ‘সকল কাজেই প্রতিকূলতা আসবে। নারী হিসেবে হয়তো সেটা একটু বেশিই। তবে সব প্রতিকূলতা ছুড়ে ফেলে স্বপ্নের পেছনে ছুটে যেতে হবে, লেগে থাকতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে নিশ্চিত।’
সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা খাতুন। পড়াশোনার পাশাপাশি পেশাদার ফুটবলার হয়েও নিজের দক্ষতার গুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বিজয়ী হয়েছেন ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলায়।
সাতক্ষীরার পলাশপুরের মেয়ে সাবিনা খাতুন। মা-বাবার পাঁচ কন্যার মধ্যে তিনি চতুর্থ। কে জানত পাড়াগাঁয়ে বেড়ে ওঠা সাবিনাই হয়ে উঠবেন দেশের নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য গৌরবের প্রতীক! অনেক বন্ধুর পথ পেরিয়ে সাবিনার সফল নেতৃত্বে বারবার আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। স্বপ্নে বুক বাঁধছেন হাজারো ফুটবলপ্রেমী তরুণী। জৌলুশহীন গ্রামীণ জীবনের আর দশটা মেয়ের মতো গৎবাঁধা জীবন ছুড়ে ফেলে স্বপ্নের জন্য ছুটে চলা সাবিনার ঝুলিতে এখন দেশসেরা নারী ফুটবলার; এমনকি দেশসেরা নারী ক্রীড়াবিদের খেতাব।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শুরু করেন ফুটবল খেলা। আন্তস্কুল ও আন্তজেলা পর্যায়ে ভালো খেলার সুবাদে ডাক পান জাতীয় দলে। সাতক্ষীরা থেকে মাত্র ছয়জন জাতীয় দলে ডাক পেলেও টিকে যান শুধু সাবিনা। প্রথমে শখের বশে খেলা শুরু করলেও পরে পেশা হিসেবে ফুটবলকে বেছে নেন তিনি। মিডফিল্ডার হিসেবে যাত্রা শুরু করার পর এখন তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কের ভূমিকায়। ফুটবলার এবং অধিনায়ক হিসেবে তিনি অর্জন করে যাচ্ছেন একের পর এক সাফল্য।
দেশীয় ফুটবলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাবিনার অনেক অর্জন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়; যিনি বিদেশের কোনো ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়ে ইতিহাস গড়েন। সাবিনার নেতৃত্বেই পরপর দুবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়লাভ করে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ক্লাব থেকেও খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি।
শুধু অর্জন কুড়িয়েই নন, নিজেদের অধিকারের ব্যাপারেও যথেষ্ট সোচ্চার এই নারী ক্রীড়াবিদ। অধিনায়ক সাবিনার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সাবিনা যেমন ভালো খেলোয়াড়, তেমন ভালো শিক্ষার্থীও। দারুণ মানবিক গুণসম্পন্ন, দক্ষ এবং চৌকস। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে শুরু থেকেই তার ক্ষিপ্রতা এবং দক্ষ নেতৃত্ব বিভিন্ন খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। সাবিনাকে দেখে এখন অনেক মেয়ে খেলাধুলায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। গণবিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাবিনাসহ পাঁচজন খেলোয়াড় এবার সাফ চ্যাম্পিয়ন দলে খেলেছে।’
২০১৫ সাল থেকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করে আসা এই ক্রীড়াবিদ স্বপ্ন দেখেন সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল টিমকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। ব্রাজিলের খ্যাতিমান নারী ফুটবলার মার্তা ডা সিলভাকে আইডল মানা সাবিনাকেই আজ আইডল মানা বহু তরুণী ক্রীড়াঙ্গনে আসতে চান। নতুনদের জন্য সাবিনার বার্তা, ‘সকল কাজেই প্রতিকূলতা আসবে। নারী হিসেবে হয়তো সেটা একটু বেশিই। তবে সব প্রতিকূলতা ছুড়ে ফেলে স্বপ্নের পেছনে ছুটে যেতে হবে, লেগে থাকতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে নিশ্চিত।’
গণ-অভ্যুত্থানের কাছে কোনো না কোনো দিন স্বৈরশাসককে মাথা নোয়াতে হয়। ৮ ডিসেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসে আরও এক স্বৈরশাসক পরাজিত হয় জনতার কাছে। এ জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে নাম না জানা হাজারো মানুষকে। আর নিখোঁজ মানুষেরা বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে, সে খবর জানে না কেউ। বাশার আল-আসাদের...
১৬ ঘণ্টা আগেরাঙামাটির কাপ্তাইয়ের সফল জননী হিসেবে জয়িতা নারীর সম্মাননা পেয়েছেন কাপ্তাই উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন এলাকার বাসিন্দা মাসাংফ্রু খিয়াং।
১৭ ঘণ্টা আগেদেশের নারীদের এগিয়ে নিতে বেশ কিছু আইন হয়েছে আমাদের। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীর অধিকার ও সুরক্ষার জন্য এখনো নির্দিষ্ট আইন অনুপস্থিত। এই ফাঁকগুলো নারীর জীবনমান উন্নয়ন ও সমানাধিকারের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীর সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এই ফাঁকগুলো পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
১৭ ঘণ্টা আগেআদিবাসী ঐতিহ্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ঘিরে কাজ করতেন মার্শা অ্যান গোমেজ। তিনি অনেক সংস্কৃতির আদিবাসী নারীদের শিক্ষা দিতে এবং অধিকার আদায়ের জন্য তাঁর চোক্টো বংশের মৃৎশিল্প এবং ভাস্কর্য ব্যবহার করতেন। তিনি ১৯৮৩ সালে আদিবাসী নারীদের নেটওয়ার্কের সহপ্রতিষ্ঠা হন।
১৭ ঘণ্টা আগে