সম্পাদকীয়
মান্নান হীরা ছিলেন নাটকের অন্তঃপ্রাণ মানুষ। নাটকের মাধ্যমে তিনি দেশের অবস্থা এবং নিরন্ন মানুষের কান্না তুলে ধরে, তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি দেশের নাট্যজগতের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অভিনয় করেছেন মঞ্চে ও টেলিভিশনে। একাধারে তিনি ছিলেন একজন অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও চলচ্চিত্রকার।
মান্নান হীরার জন্ম ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই সিরাজগঞ্জে। জন্মের শহর থেকে মাধ্যমিক, রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে তিনি আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন।
নাট্যকার হলেও মঞ্চের অন্যান্য শাখার সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তাঁর নাটকের প্রধান উপাদান ছিল নিরন্ন মানুষ ও দরিদ্র জনপদ। বিশেষ করে তাঁর পথনাটকগুলো কৃষিজীবী মানুষ ও তাদের উৎপাদন সম্পর্ককে কেন্দ্র করে লেখা। তীক্ষ্ণ সংলাপের ঘাত-প্রতিঘাতে মান্নান হীরার নাটক যেমন অভিনয় উপযোগী, তেমনি সুখপাঠ্যও। প্রচ্ছন্ন রাজনীতিকে কেন্দ্রে রেখে প্রেম ও অন্যান্য সামাজিক সম্পর্ক আবর্তিত হয়েছে তাঁর নাটকে; উচ্চারিত হয়েছে প্রথাগত সমাজ ও রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে ফেলার বক্তব্য।
যে কজন নাট্যকার এ দেশের পথনাটককে সমৃদ্ধ করেছেন, মান্নান হীরা তাঁদের অন্যতম। তাঁর রচিত রাজনীতি-আশ্রয়ী পথনাটক প্রশংসিত হয়েছে দেশ-বিদেশে। মান্নান হীরার একাধিক নাটক বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে দিল্লি, হংকং, পাকিস্তান, নেপালসহ অনেক দেশের শহরের মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছে।
মান্নান হীরা নিজেই বলেছেন, ‘আমি লিখেছি মূলত কূপমণ্ডূকতাবিরোধী, নারী নির্যাতনবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাটক’। তিনি ১৫টির মতো নাটক লিখেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘ক্ষুদিরামের দেশে’, ‘ফেরারী নিশান’, ‘আদাব’, ‘ঘুমের মানুষ’ ‘মৃগনাভি’, ‘শেকল’, ‘মেহেরজান’, ‘ফুটপাত’, ‘রেফারী’, ‘বাংলার বাদশা’, ‘সুখদৈত্য’, ‘লাল জমিন’ প্রভৃতি। তিনি ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এ ছাড়া ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামের দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মান্নান হীরা ছিলেন নাটকের অন্তঃপ্রাণ মানুষ। নাটকের মাধ্যমে তিনি দেশের অবস্থা এবং নিরন্ন মানুষের কান্না তুলে ধরে, তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি দেশের নাট্যজগতের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অভিনয় করেছেন মঞ্চে ও টেলিভিশনে। একাধারে তিনি ছিলেন একজন অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও চলচ্চিত্রকার।
মান্নান হীরার জন্ম ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই সিরাজগঞ্জে। জন্মের শহর থেকে মাধ্যমিক, রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে তিনি আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন।
নাট্যকার হলেও মঞ্চের অন্যান্য শাখার সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তাঁর নাটকের প্রধান উপাদান ছিল নিরন্ন মানুষ ও দরিদ্র জনপদ। বিশেষ করে তাঁর পথনাটকগুলো কৃষিজীবী মানুষ ও তাদের উৎপাদন সম্পর্ককে কেন্দ্র করে লেখা। তীক্ষ্ণ সংলাপের ঘাত-প্রতিঘাতে মান্নান হীরার নাটক যেমন অভিনয় উপযোগী, তেমনি সুখপাঠ্যও। প্রচ্ছন্ন রাজনীতিকে কেন্দ্রে রেখে প্রেম ও অন্যান্য সামাজিক সম্পর্ক আবর্তিত হয়েছে তাঁর নাটকে; উচ্চারিত হয়েছে প্রথাগত সমাজ ও রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে ফেলার বক্তব্য।
যে কজন নাট্যকার এ দেশের পথনাটককে সমৃদ্ধ করেছেন, মান্নান হীরা তাঁদের অন্যতম। তাঁর রচিত রাজনীতি-আশ্রয়ী পথনাটক প্রশংসিত হয়েছে দেশ-বিদেশে। মান্নান হীরার একাধিক নাটক বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে দিল্লি, হংকং, পাকিস্তান, নেপালসহ অনেক দেশের শহরের মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছে।
মান্নান হীরা নিজেই বলেছেন, ‘আমি লিখেছি মূলত কূপমণ্ডূকতাবিরোধী, নারী নির্যাতনবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাটক’। তিনি ১৫টির মতো নাটক লিখেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘ক্ষুদিরামের দেশে’, ‘ফেরারী নিশান’, ‘আদাব’, ‘ঘুমের মানুষ’ ‘মৃগনাভি’, ‘শেকল’, ‘মেহেরজান’, ‘ফুটপাত’, ‘রেফারী’, ‘বাংলার বাদশা’, ‘সুখদৈত্য’, ‘লাল জমিন’ প্রভৃতি। তিনি ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এ ছাড়া ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামের দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সোহরাব হোসেন দীর্ঘ আট দশক ধরে নজরুলসংগীতের সাধনায় নিজেকে নিমগ্ন রেখেছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯২২ সালের ৯ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাটের আয়েশতলা গ্রামে। খুব ছোটবেলা থেকেই গান শুনতে শুনতে তাঁর ভেতর সংগীতের বীজ অঙ্কুরিত হয়। তিনি যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়েন, তখন একদিন গ্রাম থেকে নৌকায় চড়ে রানাঘাট
৬ ঘণ্টা আগেমুনশী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ ছিলেন সমাজসংস্কারক। তিনি বহুবিধ জনকল্যাণকর কাজের মধ্যে আজীবন নিজেকে নিযুক্ত রেখেছিলেন। যদিও মেহেরুল্লাহ পেশায় ছিলেন একজন দরজি। জ্ঞান অন্বেষণের প্রবল ইচ্ছাশক্তির কারণে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর নিজগৃহ ত্যাগ করেন। এরপর স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠেন।
১ দিন আগেমাজহারুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশে আধুনিক স্থাপত্যের জনক ও স্থাপত্যগুরু। তাঁকে বলা হয় বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্থপতি। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণনগরের সুন্দরপুর গ্রামের নানাবাড়িতে।
২ দিন আগেশিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এখলাসউদ্দিন আহমদ। কিন্তু পেশাজীবনে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতাকে। দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠে। জনপ্রিয় কিশোর পত্রিকা মাসিক ‘টাপুর টুপুর’-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকও ছিলেন এই ছড়াকার।
৩ দিন আগে