সম্পাদকীয়
সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ছিলেন বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত ও দার্শনিক। তিনি ভারতের দর্শনের ইতিহাসকে বিস্তৃত আকারে মলাটবন্দী করেছেন। পাশাপাশি তিনি একটি নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর দার্শনিক মতবাদটি ‘থিওরি অব ডিপেনডেন্ট ইমার্জেন্স’ নামে পরিচিত ছিল। সংক্ষেপে যাকে ‘সম্ভূতিবাদ’ও বলা হয়। এই মতবাদ অনুসারে, ‘জড় পদার্থ, চেতনা, জীবন ও মন প্রভৃতি বিষয়ের বিপরীতমুখী গুণের অধিকারী হলেও তারা একটির সঙ্গে অপরটির ওপর নির্ভরশীল। এগুলির মধ্যে একটি অন্তর্নিহিত যোগসূত্র রয়েছে, যার উপলব্ধিই হচ্ছে সত্যের উপলব্ধি। সাধনার দ্বারা মানুষ নিজেকে এমন এক স্তরে উন্নীত করতে পারে, যেখানে সে তার সহজাত জৈবিক প্রবৃত্তিগুলিকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং সে সবের বহির্মুখী গতিকে রোধ করে সেগুলিকে অন্তর্মুখী করতে সমর্থ হয়।’
সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ১৮৮৭ সালের ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি বরিশালের গৈলা গ্রামে। তিনি কলকাতার কৃষ্ণনগর স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করার পর বরিশালের গৈলায় গিয়ে স্থানীয় টোলে ভর্তি হন। এরপর আবার কৃষ্ণনগরে ফিরে গিয়ে একটি কলেজ থেকে এফএ পাস করেন। এ সময় তিনি ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ সংস্কৃতিতে রচনা করেন। এফএ পাসের পর তিনি কলকাতার তৎকালীন রিপন কলেজ থেকে সংস্কৃতিতে স্নাতক পাস করে ‘নিস্তারিণী পদক’ লাভ করেন। দ্বিতীয়বার তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ্চাত্য দর্শনের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এমএ পাস করে তিনি কিছুদিন রাজশাহী কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা করেন। এরপর কলকাতা ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কেমব্রিজ থেকে ফিরে প্রেসিডেন্সি কলেজে দর্শনের অধ্যাপক হন। তারপর তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতিবিজ্ঞানে অধ্যাপনা করেন।
সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পাঁচ খণ্ডে ‘এ হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়ান ফিলোসফি’, ‘এ স্টাডি অব পতঞ্জলি’, ‘এ হিস্ট্রি অব স্যান্সক্রিত লিটারেচার’, ‘রবীন্দ্রনাথ, দ্য পোয়েট অ্যান্ড ফিলোসফার’, ‘সৌন্দর্যতত্ত্ব’ প্রভৃতি।
১৯৫২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত মৃত্যুবরণ করেন।
সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ছিলেন বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত ও দার্শনিক। তিনি ভারতের দর্শনের ইতিহাসকে বিস্তৃত আকারে মলাটবন্দী করেছেন। পাশাপাশি তিনি একটি নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর দার্শনিক মতবাদটি ‘থিওরি অব ডিপেনডেন্ট ইমার্জেন্স’ নামে পরিচিত ছিল। সংক্ষেপে যাকে ‘সম্ভূতিবাদ’ও বলা হয়। এই মতবাদ অনুসারে, ‘জড় পদার্থ, চেতনা, জীবন ও মন প্রভৃতি বিষয়ের বিপরীতমুখী গুণের অধিকারী হলেও তারা একটির সঙ্গে অপরটির ওপর নির্ভরশীল। এগুলির মধ্যে একটি অন্তর্নিহিত যোগসূত্র রয়েছে, যার উপলব্ধিই হচ্ছে সত্যের উপলব্ধি। সাধনার দ্বারা মানুষ নিজেকে এমন এক স্তরে উন্নীত করতে পারে, যেখানে সে তার সহজাত জৈবিক প্রবৃত্তিগুলিকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং সে সবের বহির্মুখী গতিকে রোধ করে সেগুলিকে অন্তর্মুখী করতে সমর্থ হয়।’
সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ১৮৮৭ সালের ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি বরিশালের গৈলা গ্রামে। তিনি কলকাতার কৃষ্ণনগর স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করার পর বরিশালের গৈলায় গিয়ে স্থানীয় টোলে ভর্তি হন। এরপর আবার কৃষ্ণনগরে ফিরে গিয়ে একটি কলেজ থেকে এফএ পাস করেন। এ সময় তিনি ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ সংস্কৃতিতে রচনা করেন। এফএ পাসের পর তিনি কলকাতার তৎকালীন রিপন কলেজ থেকে সংস্কৃতিতে স্নাতক পাস করে ‘নিস্তারিণী পদক’ লাভ করেন। দ্বিতীয়বার তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ্চাত্য দর্শনের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এমএ পাস করে তিনি কিছুদিন রাজশাহী কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা করেন। এরপর কলকাতা ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কেমব্রিজ থেকে ফিরে প্রেসিডেন্সি কলেজে দর্শনের অধ্যাপক হন। তারপর তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতিবিজ্ঞানে অধ্যাপনা করেন।
সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পাঁচ খণ্ডে ‘এ হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়ান ফিলোসফি’, ‘এ স্টাডি অব পতঞ্জলি’, ‘এ হিস্ট্রি অব স্যান্সক্রিত লিটারেচার’, ‘রবীন্দ্রনাথ, দ্য পোয়েট অ্যান্ড ফিলোসফার’, ‘সৌন্দর্যতত্ত্ব’ প্রভৃতি।
১৯৫২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
২ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
১৬ দিন আগেএক বছরেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। রক্তাক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা নয়, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনও প্রধান লক্ষ্য।
১৭ দিন আগে