সম্পাদকীয়
হাবিবুর রহমান একাধারে ছিলেন শিক্ষক, প্রধান বিচারপতি, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, ভাষাসৈনিক, অভিধানপ্রণেতা, লেখক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি ভারতের মুর্শিদাবাদের জঙ্গীপুরের দয়ারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর সপরিবারে সেখান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে রাজশাহীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে পাস করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পড়েন। এরপর লিঙ্কনস ইন থেকে বার-এট-ল সম্পন্ন করেন।
দেশে ফিরে ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে তিনি ইতিহাসের রিডার ও আইন বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী প্রথম দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৬৪ সালে তিনি আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে ঢাকা হাইকোর্টে যোগ দেন। ১৯৭৬-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগ দেন।
উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষা প্রবর্তনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে পূর্ববঙ্গের অতীত ইতিহাসের গভীরে এই জনগোষ্ঠীর উত্থানের আকুতি তিনি উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি তাঁর নানা লেখায় জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কথাই বলেছেন।
নানা ক্ষেত্রে কাজ করার পরেও তাঁর লেখনী সমানভাবে সচল ছিল। তাঁর অন্যতম গ্রন্থগুলো হলো ল অব রিকুইজিশন, রবীন্দ্র প্রবন্ধে সংজ্ঞা ও পার্থক্য বিচার, যথা-শব্দ, মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ, কোরআন সূত্র, রবীন্দ্র কাব্যে আর্ট, সংগীত ও সাহিত্য, সরকার সংবিধান ও অধিকার, গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ, বিষণ্ন বিষয় ও বাংলাদেশ, প্রথমে মাতৃভাষা পরভাষা পরে, রবীন্দ্রনাথ ও সভ্যতার সংকট, বাংলাদেশের তারিখ প্রভৃতি।
বহুমুখী প্রতিভার এই মানুষটি ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
হাবিবুর রহমান একাধারে ছিলেন শিক্ষক, প্রধান বিচারপতি, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, ভাষাসৈনিক, অভিধানপ্রণেতা, লেখক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি ভারতের মুর্শিদাবাদের জঙ্গীপুরের দয়ারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর সপরিবারে সেখান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে রাজশাহীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে পাস করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পড়েন। এরপর লিঙ্কনস ইন থেকে বার-এট-ল সম্পন্ন করেন।
দেশে ফিরে ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে তিনি ইতিহাসের রিডার ও আইন বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী প্রথম দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৬৪ সালে তিনি আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে ঢাকা হাইকোর্টে যোগ দেন। ১৯৭৬-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগ দেন।
উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষা প্রবর্তনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে পূর্ববঙ্গের অতীত ইতিহাসের গভীরে এই জনগোষ্ঠীর উত্থানের আকুতি তিনি উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি তাঁর নানা লেখায় জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কথাই বলেছেন।
নানা ক্ষেত্রে কাজ করার পরেও তাঁর লেখনী সমানভাবে সচল ছিল। তাঁর অন্যতম গ্রন্থগুলো হলো ল অব রিকুইজিশন, রবীন্দ্র প্রবন্ধে সংজ্ঞা ও পার্থক্য বিচার, যথা-শব্দ, মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ, কোরআন সূত্র, রবীন্দ্র কাব্যে আর্ট, সংগীত ও সাহিত্য, সরকার সংবিধান ও অধিকার, গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ, বিষণ্ন বিষয় ও বাংলাদেশ, প্রথমে মাতৃভাষা পরভাষা পরে, রবীন্দ্রনাথ ও সভ্যতার সংকট, বাংলাদেশের তারিখ প্রভৃতি।
বহুমুখী প্রতিভার এই মানুষটি ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১৬ ঘণ্টা আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে