সম্পাদকীয়
ইতিহাসবেত্তা, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও মুদ্রা-লিপিবিশারদ ছিলেন নলিনীকান্ত ভট্টশালী। শৈশবে বাবা মারা যাওয়ায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। তাই উপায়হীন অবস্থায় ছাত্রজীবনে টিউশনি করে নিজের লেখাপড়া চালিয়েছেন। ১৯২২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এমএ পাস করেন। এরপর শিক্ষক হিসেবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে যোগ দেন। ঢাকা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাত্র এক বছর পর তিনি এর প্রথম কিউরেটর হিসেবে যোগ দেন। জাদুঘরের জন্য দুর্লভ জিনিসপত্র সংগ্রহ করার জন্য তিনি দিনের পর দিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে এসব সংগ্রহ করেছেন। জাদুঘরের জন্য তালপত্র ও তুলট কাগজে লেখা বেশ কিছু দুর্লভ পুঁথিও সংগ্রহ করেন।
নলিনীকান্ত শুধু প্রত্নবস্তু সংগ্রহ ও জাদুঘরে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেই ক্ষান্ত হননি; ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, লিপিবিদ্যা, মুদ্রা ও শিল্পকলা সম্পর্কে ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষায়ই প্রচুর লেখালেখি করেছেন। তাঁর গবেষণামূলক চারটি মৌলিক গ্রন্থ হচ্ছে ‘আইকনোগ্রাফি অব বুড্ডিস্ট স্কাল্পচার ইন দ্য ঢাকা মিউজিয়াম’, ‘কয়েনস অ্যান্ড ক্রনোলজি অব দ্য আর্লি ইনডিপেনডেন্ট সুলতানস অব বেঙ্গল’ (এটি ১৯২২ সালে কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত হয়), ‘বেঙ্গল পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট’ এবং ‘বেঙ্গল চিফ স্ট্যাগার ফর ইনডিপেন্স ইন দ্য রেজিন্সস অব আকবর অ্যান্ড জাহাঙ্গীর’।
প্রাচীন বাংলা সাহিত্যেও গভীর আগ্রহ ছিল তাঁর। প্রাচীন বাংলা হস্তলিপিবিজ্ঞানে তিনি একজন পণ্ডিত ছিলেন। মূলত তাঁরই প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও সংস্কৃত পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের জন্য একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেখানে মাত্র এক বছরের মধ্যে দান, গ্রহণ ও ক্রয় করে ৩০০টি অমূল্য পুঁথি সংগ্রহ করা হয়েছিল।
প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির বহু অস্পষ্টতা অপসারণে তাঁর বিশাল অবদান রয়েছে। সারা জীবন তিনি পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন এলাকার ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধান, আহরণ করতে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে গেছেন।
সত্যিকার অর্থে পণ্ডিত এই মানুষটি ১৮৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের পাইকপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ইতিহাসবেত্তা, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও মুদ্রা-লিপিবিশারদ ছিলেন নলিনীকান্ত ভট্টশালী। শৈশবে বাবা মারা যাওয়ায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। তাই উপায়হীন অবস্থায় ছাত্রজীবনে টিউশনি করে নিজের লেখাপড়া চালিয়েছেন। ১৯২২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এমএ পাস করেন। এরপর শিক্ষক হিসেবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে যোগ দেন। ঢাকা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাত্র এক বছর পর তিনি এর প্রথম কিউরেটর হিসেবে যোগ দেন। জাদুঘরের জন্য দুর্লভ জিনিসপত্র সংগ্রহ করার জন্য তিনি দিনের পর দিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে এসব সংগ্রহ করেছেন। জাদুঘরের জন্য তালপত্র ও তুলট কাগজে লেখা বেশ কিছু দুর্লভ পুঁথিও সংগ্রহ করেন।
নলিনীকান্ত শুধু প্রত্নবস্তু সংগ্রহ ও জাদুঘরে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেই ক্ষান্ত হননি; ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, লিপিবিদ্যা, মুদ্রা ও শিল্পকলা সম্পর্কে ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষায়ই প্রচুর লেখালেখি করেছেন। তাঁর গবেষণামূলক চারটি মৌলিক গ্রন্থ হচ্ছে ‘আইকনোগ্রাফি অব বুড্ডিস্ট স্কাল্পচার ইন দ্য ঢাকা মিউজিয়াম’, ‘কয়েনস অ্যান্ড ক্রনোলজি অব দ্য আর্লি ইনডিপেনডেন্ট সুলতানস অব বেঙ্গল’ (এটি ১৯২২ সালে কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত হয়), ‘বেঙ্গল পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট’ এবং ‘বেঙ্গল চিফ স্ট্যাগার ফর ইনডিপেন্স ইন দ্য রেজিন্সস অব আকবর অ্যান্ড জাহাঙ্গীর’।
প্রাচীন বাংলা সাহিত্যেও গভীর আগ্রহ ছিল তাঁর। প্রাচীন বাংলা হস্তলিপিবিজ্ঞানে তিনি একজন পণ্ডিত ছিলেন। মূলত তাঁরই প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও সংস্কৃত পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের জন্য একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেখানে মাত্র এক বছরের মধ্যে দান, গ্রহণ ও ক্রয় করে ৩০০টি অমূল্য পুঁথি সংগ্রহ করা হয়েছিল।
প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির বহু অস্পষ্টতা অপসারণে তাঁর বিশাল অবদান রয়েছে। সারা জীবন তিনি পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন এলাকার ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধান, আহরণ করতে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে গেছেন।
সত্যিকার অর্থে পণ্ডিত এই মানুষটি ১৮৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের পাইকপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১৪ ঘণ্টা আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে