জহুর হোসেন চৌধুরী ছিলেন সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এবং সংবাদপত্র জগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্ম ১৯২২ সালের ২৭ জুন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামনগর গ্রামে।
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স পাস করেন। অসুস্থতার কারণে এমএ পরীক্ষা দিতে পারেননি। যৌবনে এম এন রায়ের র্যাডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন।
জহুর হোসেন চৌধুরীর সাংবাদিকতা-জীবনের সূচনা কলকাতায় হবীবুল্লাহ বাহার সম্পাদিত ‘বুলবুল’ পত্রিকায়। কলকাতার স্টেটসম্যান, কমরেড, স্টার অব ইন্ডিয়ায় কাজ করেছেন। কিছুদিন সরকারি চাকরি করেন। দেশভাগের সময় স্থায়ীভাবে চলে আসেন ঢাকায় এবং কাজ করেন সরকারের জনসংযোগ দপ্তরে। এরপর তিনি আবার সাংবাদিকতা পেশায় ফিরে আসেন। ‘উপাত্ত’, ‘পাকিস্তান অবজারভার’-এ কাজ করার পর যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। দীর্ঘ ১৭ বছর সংবাদের সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সংবাদের সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত ‘কাউন্টার পয়েন্ট’ নামে একটি ইংরেজি সাময়িকীর সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আজীবন তিনি দৈনিক সংবাদের অন্যতম পরিচালক ছিলেন।
পঞ্চাশের দশকের শেষ ভাগে ন্যাপ প্রাদেশিক কমিটির সদস্য ছিলেন জহুর হোসেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে তিনি আওয়ামী লীগ ও বামপন্থীদের কর্মসূচির সমন্বয়ের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
জহুর হোসেন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম অবৈতনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
১৯৭৫ সালের শেষ দিকে তিনি সংবাদ পত্রিকায় তাঁর বিখ্যাত কলাম ‘দরবার-ই-জহুর’ লিখতে শুরু করেন। কলামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
মৃত্যুর বছরখানেক আগে তাঁর কোনো একটি নিবন্ধের কারণে তৎকালীন সরকার অসন্তুষ্ট হয় এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এক দিন মাত্র থানায় বন্দী ছিলেন। কিন্তু অসুস্থ জহুর হোসেন চৌধুরী এ ঘটনায় খুবই মর্মাহত হন এবং তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। ১৯৮০ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জহুর হোসেন চৌধুরী ছিলেন সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এবং সংবাদপত্র জগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্ম ১৯২২ সালের ২৭ জুন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামনগর গ্রামে।
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স পাস করেন। অসুস্থতার কারণে এমএ পরীক্ষা দিতে পারেননি। যৌবনে এম এন রায়ের র্যাডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন।
জহুর হোসেন চৌধুরীর সাংবাদিকতা-জীবনের সূচনা কলকাতায় হবীবুল্লাহ বাহার সম্পাদিত ‘বুলবুল’ পত্রিকায়। কলকাতার স্টেটসম্যান, কমরেড, স্টার অব ইন্ডিয়ায় কাজ করেছেন। কিছুদিন সরকারি চাকরি করেন। দেশভাগের সময় স্থায়ীভাবে চলে আসেন ঢাকায় এবং কাজ করেন সরকারের জনসংযোগ দপ্তরে। এরপর তিনি আবার সাংবাদিকতা পেশায় ফিরে আসেন। ‘উপাত্ত’, ‘পাকিস্তান অবজারভার’-এ কাজ করার পর যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। দীর্ঘ ১৭ বছর সংবাদের সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সংবাদের সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত ‘কাউন্টার পয়েন্ট’ নামে একটি ইংরেজি সাময়িকীর সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আজীবন তিনি দৈনিক সংবাদের অন্যতম পরিচালক ছিলেন।
পঞ্চাশের দশকের শেষ ভাগে ন্যাপ প্রাদেশিক কমিটির সদস্য ছিলেন জহুর হোসেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে তিনি আওয়ামী লীগ ও বামপন্থীদের কর্মসূচির সমন্বয়ের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
জহুর হোসেন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম অবৈতনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
১৯৭৫ সালের শেষ দিকে তিনি সংবাদ পত্রিকায় তাঁর বিখ্যাত কলাম ‘দরবার-ই-জহুর’ লিখতে শুরু করেন। কলামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
মৃত্যুর বছরখানেক আগে তাঁর কোনো একটি নিবন্ধের কারণে তৎকালীন সরকার অসন্তুষ্ট হয় এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এক দিন মাত্র থানায় বন্দী ছিলেন। কিন্তু অসুস্থ জহুর হোসেন চৌধুরী এ ঘটনায় খুবই মর্মাহত হন এবং তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। ১৯৮০ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারাবিরোধী পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে অন্যতম একজন কবি ছিলেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর জন্ম ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতীবাগানে। তাঁর পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একজন দার্শনিক। আর স্ত্রী ছিলেন প্রসিদ্ধ গায়িকা রাজেশ্বরী বাসুদেব।
১৩ ঘণ্টা আগেসিলভিয়া প্লাথ ছিলেন একজন মার্কিন কবি, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি নারীবাদী কবি হিসেবেও পরিচিত। পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে এবং নারীর পরিচয়-সংকট নিয়ে তিনি তাঁর কবিতায় সাজিয়েছেন স্পষ্টভাবে।
৪ দিন আগেবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি কৌতুকমিশ্রিত গল্পের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। নামের মিল থাকলেও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আর তিনি কিন্তু আলাদা ব্যক্তি।
৭ দিন আগেপেলে ছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবল তারকা। তিনি ১ হাজার ২৮১ গোলের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন পায়ের জাদুতে। তাঁর আসল নাম এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো।
৮ দিন আগে